post
লাইফ স্টাইল

অক্সিজেনের ঘাটতি দূর করতে যা খাবেন

মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে ঘটতে পারে মৃত্যু পর্যন্ত। যে কারণে আমাদের শরীরে যেন অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই সমস্যা দেখা দিলে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, এমন কি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক অক্সিজেনের ঘাটতি দূর করতে কী খাবেন- একটি উপকারী ফল হলো বেদানা। এই ফল আমাদের শরীরে রক্ত তৈরি করার পাশাপাশি রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। বেদানায় থাকে প্রচুর আয়রন, কপার, জিঙ্কের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। তাই অক্সিজেনের ঘাটতি দূর করার জন্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন একটি করে বেদানা খাওয়ার পরামর্শ দেন। এভাবে বেদানা খেলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দূর হয়। সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি ফল হলো স্ট্রবেরি। এই ফলে থাকে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। তাই প্রতিদিন একটি করে স্ট্রবেরি খেলে তা আমাদের শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হতে দেয় না। অক্সিজেনের ঘাটতিজনিত সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে তাই প্রতিদিন স্ট্রবেরি রাখুন আপনার খাবারের তালিকায়। বিটরুট খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতা। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি-৯। আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় উপকারী এই সবজি যোগ করা গেলে মিলবে অনেক উপকার। বিশেষ করে নিয়মিত বিটরুট খেলে তা আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ এবং শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

post
লাইফ স্টাইল

গর্ভবতী নারীর সুস্থ থাকার উপায়

গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে গর্ভবতী নন এমন নারীর তুলনায় তাড়াতাড়ি ক্লান্তি, হিট স্ট্রোক বা অন্যান্য তাপ-সম্পর্কিত অসুস্থতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর কারণ হলো গর্ভবতী নারীর শরীর এবং বিকাশমান শিশু উভয়কেই ঠান্ডা করার জন্য তাদের শরীরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এছাড়াও, গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশনের প্রবণতা বেশি, যার ফলে তৃষ্ণা বৃদ্ধি, গলা শুকিয়ে যাওয়া, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, প্রস্রাব না হওয়া, জ্বর, বিরক্তি এবং ডায়রিয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহে যদি একজন গর্ভবতী নারীর শরীরের তাপমাত্রা ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে ওঠে, তবে শিশুর জন্মগত ত্রুটি হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। সিডিসি অনুসারে, কিছু ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং গর্ভাবস্থায় জ্বর জন্মগত ত্রুটি এবং অন্যান্য গর্ভাবস্থার জটিলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) ২০২০ সালে প্রকাশিত একটি পর্যালোচনায় বলা হয়েয়ে, উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে থাকা নারীদের অকাল প্রসব এবং মৃত সন্তান প্রসব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গবেষকরা দেখেছেন যে তাপমাত্রায় প্রতি ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির জন্য, অকাল প্রসবের সম্ভাবনা ৫% বেড়ে যায় এবং তাপপ্রবাহের সময় এই ঝুঁকিটি ১৬% বেড়ে যায়। উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে মৃত সন্তানের জন্মের ঝুঁকিও কিছুটা বেড়েছে,গবেষণায় যেমনটা উল্লেখ করা হয়েছে। গর্ভবতী নারীরা হিট ওয়েভ প্রতিরোধে যা করবেন * ঢিলেঢালা এবং সুতির পোশাক পরুন। * প্রখর রোদে ভ্রমণ বা হাঁটা এড়িয়ে চলুন। * সাদা ছাতা সঙ্গে রাখুন এবং বাইরে যেতে হলে হালকা পোশাক পরুন। * প্রচুর পানি, ডাবের পানি, তাজা ফলের রস, মৌসুমি ফল, বাটার মিল্ক এবং দই পান করে হাইড্রেটেড থাকুন।

post
লাইফ স্টাইল

চুলকানির সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়

গরমের সময়ে অনেকের ত্বকেই চুলকানির সমস্যা বেড়ে যায়। এটি যেমন অস্বস্তিকর তেমনই যন্ত্রণাদায়ক। একবার দেখা দিলে সহজে যেতে চায় না। নানা রকম ওষুধ ব্যবহার করেও অনেকে সুফল পান না। এ ধরনের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা বেছে নিতে পারেন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াহীন ঘরোয়া উপায়। প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক চুলকানির সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়- ওটমিল ওটমিলে পাওয়া যায় অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি যৌগ। এই উপাদান আমাদের ত্বকে তৈরি হওয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে এবং চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে কাজ করে। গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা ওটমিল মিশিয়ে রেখে দিন মিনিট বিশেক। এরপর সেই পানিতে গোসল সেরে নিন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। অ্যালোভেরা আমাদের ত্বক ভালো রাখার জন্য ভীষণ উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান হলো অ্যালোভেরা। চুলকানির সমস্য দূর করার জন্য প্রতিদিন ত্বকে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। পোকামাকড়ের কামড় অথবা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে সৃষ্টি হওয়া চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে এটি আপনাকে দারুণভাবে সাহায্য করবে। তবে অনেকের অ্যালোভেরাতে অ্যালার্জি থাকতে পারে। তারা ব্যবহার না করাই ভালো। বেকিং সোডা বেকিং সোডা কেবল খাবার তৈরিতেই নয় বরং আমাদের ত্বক ভালো রাখার কাজেও ব্যবহার করা যায়। আপনার ত্বকে চুলকানির সমস্যা হলে তা দূর করার জন্য এটি ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে পানির সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর চুলকানির স্থানে লাগিয়ে নিন। এভাবে রেখে পরবর্তীতে ধুয়ে ফেলুন। ফুসকুড়ি, অ্যালার্জি, রোদে পোড়া দাগ ইত্যাদি দূর করতে কাজ করবে এই উপাদান। আপেল সাইডার ভিনেগার পানিতে কয়েক ফোঁটা আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে তুলোর বল বা নরম কাপড়ের সাহায্যে গায়ে লাগিয়ে নিন। আপেল সাইডার ভিনেগারের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য চুলকানির সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

post
লাইফ স্টাইল

উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে যে খাবারগুলো

উচ্চ রক্তচাপের কারণে ধমনীতে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যায়। জেনেটিক্স, বয়স এবং জীবনযাত্রার ধরন হাইপারটেনশনের নেপথ্যে কাজ করতে পারে। যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং রেনাল ফেইলিওরের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। লাইফস্টাইল পরিবর্তন যেমন সুষম খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম, স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক- ১. উচ্চ সোডিয়াম গ্রহণ অত্যধিক সোডিয়াম গ্রহণ, প্রাথমিকভাবে লবণ থেকে তরল ধারণ এবং রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। অত্যধিক সোডিয়াম গ্রহণের ফলে শরীর পানি ধরে রাখতে পারে, যার ফলে রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ধমনীর দেয়ালে চাপ পড়ে। ২. কম পটাসিয়াম গ্রহণ চিকিৎসকের মতে, পটাসিয়াম শরীরে সোডিয়ামের প্রভাবের ভারসাম্য বজায় রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ভাসোডিলেশনে (রক্তনালীর শিথিলকরণ) কাজ করে। কম পটাসিয়াম এবং উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত খাবার এই ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করতে পারে। ৩. অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল পান করলে তা রক্তচাপ বাড়াতে পারে এবং সেইসঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। অ্যালকোহল উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, তখন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। ৪. উচ্চ স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণ স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার বেশিরভাগ প্রক্রিয়াজাত এবং ভাজা খাবারে পাওয়া যায়, এগুলো প্রদাহ এবং ধমনী শক্ত হওয়ার নেপথ্যে কাজ করে যা উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। এই ফ্যাট ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলত্বের কারণ হতে পারে, যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকির কারণ। ৫. কম ফাইবার গ্রহণ ফাইবার কম খাওয়া বিশেষ করে ফলমূল, শাক-সবজি এবং আস্ত শস্য কম খেলে তা উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, তৃপ্তি বাড়াতে এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। আর এর অভাব হলে তখন রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। ৬. অত্যধিক চিনি খাওয়া অতিরিক্ত শর্করা যুক্ত খাবার, বিশেষ করে চিনিযুক্ত পানীয় এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার ওজন বৃদ্ধি, ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রদাহ বৃদ্ধি করে উচ্চ রক্তচাপে অবদান রাখতে পারে। উচ্চ চিনি গ্রহণ সরাসরি রক্তচাপের মাত্রা বাড়াতে পারে। ৭. কম ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে জড়িত অপরিহার্য খনিজ। এ জাতীয় খাবার কম খেলে তা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার (যেমন দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং শাক-সবুজ) এবং ম্যাগনেসিয়াম (যেমন বাদাম, বীজ এবং আস্ত শস্য) খেলে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে কাজ করে।

post
লাইফ স্টাইল

গরমে সুস্থ থাকতে হলে কি খাবেন?

প্রচণ্ড তাপাদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জীবন। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। দেখা দেয় পানিশূন্যতা। ফলে দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো, মাথাব্যথা, খিটখিটে মেজাজ, গলা শুকিয়ে যাওয়া, অচেতন হয়ে পড়া, বুক ধড়ফড়, কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রস্রাব হলুদ হওয়া বা প্রস্রাব কমে যাওয়ার মতো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। আসুন জেনে নেই কিভাবে এই তাপাদাহে শরীরে পানির অভার পূরণ করা যায়- পানি: সারা দিনে ১০-১২ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করুন। সবসময় একটি ছোট পানির বোতল হাতের নাগালে রাখুন। কিছুক্ষণ পর পরই অল্প অল্প পানি পান করার অভ্যাস করুন। ডাবের পানি: ডাবের পানি পান করলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে। এতে থাকা রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, থিয়ামিন ও পাইরিডোক্সিনের মতো উপকারী উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডাবের পানি সহজলভ্য না হলেও তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সবজি: ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, লাউ, পেঁপে ও পালংশাকে পানির পরিমাণ ৯০ শতাংশের বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় রাখুন। হালকা মসলায় এই খাবারগুলো শরীরের জন্য উপকারী। ফল: গরমে স্বস্তি পেতে খেতে পারেন তরমুজ। এটি শরীরে পানির অভাব পূরণ করে। তরমুজে শতকরা ৯০ ভাগের বেশি পানি থাকে। যে কারণে পানিশূন্যতা রোধে এটি হতে পারে একটি উপকারী খাবার। পানিশূন্যতা ও দুর্বলতা দূর করতে কলার বিকল্প নেই। সকালের নাশতায় কিংবা ব্যায়ামের আগে কলা খেয়ে নিলে যেমন শক্তি পাওয়া যায়, তেমনি শরীরের পানির চাহিদা পূরণ হয়। শশা: শসার প্রায় ৯৬ শতাংশই পানি। তাই এ গরমে প্রতি বেলায় সালাদ হিসেবে শসা রাখুন। সালাদে শসার সঙ্গে লেটুসপাতাও রাখতে পারেন। লেটুসপাতায়ও ৯৬ শতাংশ পানি থাকে। টমেটো: টমেটোর প্রায় ৯৪ শতাংশ পানি। সালাদ, স্যুপ, জুসসহ বিভিন্নভাবে টমেটো খাওয়া যেতে পারে। লেবু: এই গরমে লেবুর চেয়ে উপকারী আর কী হতে পারে! ভিটামিন সি যুক্ত এই ফলের রস আপনাকে সারাদিন সতেজ অনুভূতি দেবে। লেবুর শরবত হতে পারে গরমে সবচেয়ে সুস্বাদু পানীয়। বেল: বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।

post
সংবাদ

বেড়েছে গাঁজা-ইয়াবাসেবী

বাংলাদেশে মাদকের মধ্যে গাঁজা ও ইয়াবা সেবনকারীর সংখ্যা বেড়েছে। এরমধ্যে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ গাঁজা ও ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ ইয়াবা সেবনকারী। আহ্ছানিয়া মিশনের মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে। গত ২০ বছরে তাদের কাছে আসা দুই হাজার ৭৮৯ জন মাদকাসক্ত রোগীর ওপর জরিপ চালিয়ে এ তথ্য পায় বেসরকারি সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (৯ মে) গাজীপুরে মিশনটির মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এসব তথ্য জানান ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। তিনি জানান, ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ ঘুমের ওষুধ, ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ হিরোইন, ১২ দশমিক ৬ শতাংশ অ্যালকোহল এবং ৪৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ একই সঙ্গে একাধিক মাদক গ্রহণকারী, বাকিরা অন্যান্য মাদক গ্রহণকারী। আর মানসিক রোগের মধ্যে সিজোফ্রেনিয়া ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ, বাইপোলার ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ডিপ্রেশন ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ওসিডি ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং বাকিরা অন্যান্য মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মিশনের এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটি ২০০৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত দুই হাজার ৭৮৯ জনকে সেবা দিয়েছে। এরমধ্যে মাদকাসক্তজনিত সমস্যা দুই হাজার ১৪২ জনের। আর মানসিক সমস্যা ৬৪৭ জনের। যার মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থতার হার প্রায় ৭৫ শতাংশ।

post
এনআরবি লাইফ

ওজন কমাতে চাইলে যে ভুল নয়

আপনি কি এমন একজন যিনি এত পরিশ্রম করেও এক কেজি কমাতে পারেননি? আপনি কি ওজন কমানোর যাত্রা অর্ধেক পথ ছেড়ে দিয়েছেন, মনে হয়েছে যে এটি আপনার জন্য কাজ করছে না? আপনি হয়তো ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ৩টি ভুল করছেন। আপনাকে বুঝতে হবে যে ওজন কমানো একদিনের কাজ নয়। এই কাজে সময়, ধৈর্য এবং ত্যাগের প্রয়োজন হয়। সবচেয়ে বড় কথা, ইন্টারনেটে প্রচলিত বিষয়বস্তুতে না গিয়ে সর্বোত্তম উপায় হলো একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে আপনার শরীরের ধরন বোঝা এবং সেই অনুযায়ী ডায়েট কাস্টমাইজ করা। সিমরুন চোপড়ার মতে, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এই ৩টি ভুল আপনাকে এখনই বন্ধ করতে হবে- খাবারের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ রাখা অনেক সময় কঠিন হতে পারে, যার ফলে অনিয়ম, খাবার বাদ দেওয়া ইত্যাদি হতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, আপনি যদি আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী সঠিকভাবে খেতে না পারেন, তাহলে পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে না। এক্ষেত্রে হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। আমরা সবাই আমাদের স্বাস্থ্যকর খাবার বাছাই করতে গিয়ে ভুল করে বসি। সিমরুন চোপড়ার মতে, ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া, সেগুলো সংশোধন করা এবং চালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার লক্ষ্য পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার চেয়ে সব সময়েই ভালো। যখন আমরা হাল ছেড়ে দিই, তখন আমাদের অর্জন থাকে শুন্য। আমরা নিখুঁত হতে পারি না; আমরা যেখানে আছি তা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারি এবং আমরা চাইলে আরও ভালো হতে পারি। তবে হ্যাঁ, উন্নত করার চেষ্টা করা যেতে পারে। ওজন কমানোর প্রক্রিয়া একদিনে সুফল দেবে না। বরং আপনি প্রতিটি দিন আলাদা আলাদা মনোযোগ দিন।

post
সংবাদ

বন্ধ করে দেয়া হলো আস্ট্রাজেনিকা ভ্যাকসিন

প্রায় তিন বিলিয়ন ডোজ দেয়ার পর বন্ধ করে দেয়া হলো অক্সফোর্ডের আস্ট্রাজেনিকা কভিড ভ্যাকসিন। সেবা তুলে নেয়ার পর আস্ট্রাজেনিকা জানিয়েছে, তারা কভিডকালীন সময়ে মানুষের সেবা করতে পারায় গর্বিত। তবে কভিড টিকা সেবাকে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করতে চায় উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সেজন্য কভিড টিকা আপাতত তুলে নেয়া হয়েছে। এছাড়া কভিডের ধরণ বদলেছে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ভ্যাকসিনের নতুন ভার্সন নিয়ে আসবে তারা। কভিডকালীন সময়ে আস্ট্রাজেনিকা ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে রক্ত জমাট বাঁধাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

post
সংবাদ

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়াদের খতিয়ে দেখা হচ্ছে

দেশে যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন, তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, জানালেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত করোনার অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এছাড়া ডেঙ্গু বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় হাসপাতালগুলো প্রস্তুত। এর চিকিৎসায় যেনো সরঞ্জাম সংকট তৈরি না হয় এবং দাম না বাড়ে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়ার কথা জানান ডা.সামন্ত লাল সেন।

post
সংবাদ

ডেঙ্গুতে মাকে হারিয়েছি:স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির আগেই তা প্রতিরোধে জনসচেতনতায় গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে আমি মাকে হারিয়েছি। তাই এটা নিয়ে আমার চিন্তা আছে। আমি কাজ করব যাতে আর কারও মা এতে মারা না যায়। মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ২০২৪ সালের ডেঙ্গু প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব রোগের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে যাতে রোগটি কারও হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা যায়। যাতে মানুষের ডেঙ্গু না হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। মশা নির্মূলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশন এবং যে ঘরে মানুষ থাকে সেখানকার সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতালগুলো খালি রাখার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে করে যাদের প্রয়োজন তাদের ভর্তি করানো যায়। আর যাদের কম প্রয়োজন তাদেরও যেন হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া যায়।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.