post
লাইফ স্টাইল

রোজায় ওজন কমানোর সহজ উপায়

পবিত্র রমজান মাসে সেহরি এবং ইফতারে সুস্বাদু খাবার খাওয়ার ইচ্ছে আপনার হতেই পারে। অবশ্য বেশিরভাগই এই এক মাসে কযেক কেজি ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই না? তবে এসময় ইফতারে নানা রকম মুখরোচক খাবার বিশেষ করে ভাজা খাবার এবং মিষ্টি খাওয়ার ফলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ওজন বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি রোজার মাসে সেহরি ও ইফতারে খাবারের দিকে খেয়াল রাখতে পারেন তাহলে ওজন কমানো বেশ সহজ হয়ে যাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক- সেহরির জন্য ১. দুই গ্লাস পানি, পাঁচ থেকে সাতটি ভেজানো বাদাম, একটি আখরোট এবং আপনার পছন্দের একটি ফল দিয়ে সেহরি শুরু করুন। পুষ্টিবিদ মোহিতার মতে, আপনি আপেল, পেঁপে, ডালিম এবং আঙুর থেকে বেছে নিতে পারেন। ২. আপনার পছন্দের সবজির সঙ্গে তিনটি ডিম রান্না করে এবং একটি টোস্ট বা পরোটার সঙ্গে মুড়িয়ে নিন। বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, ডিমের পালং শাক, মাশরুম, বেল মরিচ বা টমেটো যোগ করতে পারেন। এরপর সেটি খেয়ে নিন। ইফতারের জন্য ১. খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙুন, তারপরে এক গ্লাস পানি, ডাবের পানি, লাচ্ছি ইত্যাদি খান। ২. এর পরে এক কাপ চা এবং কিছু ভাজা ছোলা খেতে পারেন। রাতের খাবারের জন্য ১. এক কাপ মুরগি বা মাছ বা চিংড়ি রাখুন। ২. দুই কাপ ভাজা বা ভাপানো সবজি যোগ করুন। সালাদও খেতে পারেন। ৩. কিছু ভাত বা রুটি নিন। ৪. মিষ্টি বা চকলেটের একটি ছোট টুকরো ডেজার্টের জন্য নিন। রমজানে ওয়ার্কআউট খাবারের পরিকল্পনা সন্ধ্যায় রোজা ভাঙার পর অন্তত আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করার বা দ্রুত হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়। পুষ্টিবিদ মোহিতা আরও বলেছেন যে, আপনি বাড়িতে কিছু ওজন উত্তোলন বা কম প্রভাবের কার্ডিও করতে পারেন। - জিমে যাওয়ার আগে বা হাঁটতে যাওয়ার আগে একটি কলা খান। - ওয়ার্কআউটের পরে পানির সঙ্গে প্রোটিন পাউডার মিশিয়ে খান। অবশ্যই সপ্তাহে একটি দিন নিজের পছন্দের খাবার উপভোগের জন্য রাখতে হবে তবে খাবারের পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে।

post
লাইফ স্টাইল

মিষ্টি তরমুজ চেনার কিছু টিপস

গ্রীষ্ম মানেই বিভিন্ন সুমিষ্ট আর রসালো ফলের সমাহার। কেবল ফলের স্বাদ নেওয়ার জন্যই বছরের এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন অনেকে। গ্রীষ্মের ফলের মধ্যেই শুরুতেই আসে তরমুজের নাম। বাইরে সবুজ আর ভেতরে টুকটুকে লাল তরমুজ খেতে পছন্দ করেন না, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বাইরে থেকে দেখে তরমুজ চেনার উপায় কী? অনেকেই না বুঝে কিনে নিয়ে বাসায় গিয়ে দেখেন তরমুজের ভেতরটা সাদা! অর্থাৎ এখন পরিপক্ব হয়নি। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় আগেভাগেই বাজারে তরমুজ নিয়ে আসেন। আপনি যদি সুমিষ্ট ও পরিপক্ক তরমুজ কিনতে চান তাহলে জেনে নিতে হবে কিছু টিপস- চকচকে জিনিসের প্রতিই আমাদের আকর্ষণ বেশি থাকে। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে এমনটা করতে যাবেন না যেন। চকচকে দেখে কিনলে তা মিষ্টি ও পাকা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বাইরে থেকে চকচকে দেখায় এমন তরমুজ না কিনে কিছুটা ফ্যাকাশে বর্ণের তরমুজ বেছে নিন। এতে সুমিষ্ট তরমুজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তরমুজের গায়ের ছোপ দেখেও কিন্তু বুঝতে পারা যায় যে এটি মিষ্টি হবে কি না। তাই কেনার আগে দেখে নিন যে তরমুজটি কিনতে চাচ্ছেন সেটির গায়ে হলদে ছোপ রয়েছে কি না। যদি থাকে তাহলে সেটি কিনতে পারেন। কারণ তরমুজের গায়ে হলদে ছোপ থাকলে তা মিষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তরমুজ কেনার আগে এর গায়ে হালকা হাতে টোকা দিতে দেখবেন অনেককেই। এর কারণ কী বলুন তো? এই টোকার মাধ্যমেও কিন্তু বোঝা যেতে পারে যে তরমুজটি পরিপক্ক কি না। আপনিও তাই যে তরমুজটি কিনতে চাচ্ছেন তার গায়ে হালকা করে টোকা দিয়ে দেখুন। শব্দ যদি গভীর হয় এবং ফাঁপা না হয় তবে সেটি কিনতে পারেন। এ ধরনের তরমুজ রসালো ও মিষ্টি হয়ে থাকে।

post
শিক্ষা

কোন কফির কী নাম জানেন কি

আজ জানব বিভিন্ন ধরনের কফির নাম এবং বিস্তারিত, যেন পরেরবার কোনো দ্বিধা ছাড়াই নিজের জন্য সঠিক কফিটি বেছে নিতে পারেন।এসপ্রেসো কফিকফিভক্তদের মধ্যে অনেক জনপ্রিয় এই কফিটি মূলত সামান্য গরম পানিতে গাঢ় কফির মিশ্রণ। যেহেতু এতে কফির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে তাই এটি অল্প পরিমাণে পরিবেশন করা হয়। অনেক কড়া ও এই তেতো স্বাদযুক্ত কফিটি আপনাকে অনেকক্ষণ চাঙা রাখতে সাহায্য করবে। বেশিরভাগ মানুষ এটি স্বাদের জন্য নয়, কাজের জন্য পুরোপুরি উদ্যম নিয়ে আসতে খেয়ে থাকেন। আপনি যদি আয়েশ করে কফি খেতে চান উপভোগের জন্য, তাহলে এটি আপনার জন্য নয়। ক্যাপুচিনোআপনি কফিভক্ত হোন বা না হোন, ক্যাপুচিনোর নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। মূলত এসপ্রেসোভিত্তিক এই কফিটির নাম এসেছে অস্ট্রিয়ার কাপুজিনার থেকে। সবার পছন্দের এই কফি বানানোর জন্য প্রথমে সমপরিমাণ দুধ এবং ফোম মেশানো হয়। এরপর তা এক তৃতীয়াংশ এসপ্রেসোর মধ্যে ঢেলে দিতে হয়। অন্যান্য দুধসহ কফির তুলনায় এটি একটু কড়া হয়ে থাকে। যারা একটু কড়া দুধ কফি পছন্দ করেন তাদের জন্য সঠিক পছন্দ হতে পারে এটি। লাতে ইতালিয়ান শব্দ লাতের অর্থ 'মিল্ক কফি'। যারা দুধসহ কফি চান কিন্তু বেশি কড়া কফি খেতে চান না,তারা ক্যাপুচিনোর বদলে লাতে বেছে নিতে পারেন। লাতেএই কফিতে বেশি পরিমাণে দুধ এবং ফোম থাকে। আপনার পছন্দ অনুযায়ী গরম বা ঠান্ডা লাতে বেছে নিতে পারেন। ফ্র্যাপুচিনো অত্যন্ত জনপ্রিয় কফি ফ্র্যাপুচিনোর ইতিহাস বেশ মজার। কারণ এটি প্রখ্যাত কফি চেইন স্টারবাকস একবার ভুল করে বানিয়ে ফেলেছিল। তারপর এটি পায় তুমুল জনপ্রিয়তা। এটিও একটি এসপ্রেসোভিত্তিক কফি, যার সঙ্গে আরও থাকে ক্রিম এবং আইসড কফি। ক্যাফেইন ছাড়াও ফ্র্যাপুচিনো পাওয়া যায়। এর স্বাদ নিতে চাইলে কফিশপে আপনার বারিস্তাকে ডিক্যাফ ফ্র্যাপুচিনো বানিয়ে দিতে অনুরোধ করতে পারেন।মোকা বিভিন্ন রকম কফির মধ্যে মোকা অন্যতম মজাদার একটি কফি। মোকা বানানো হয় এসপ্রেসো, দুধ এবং চকলেটের সমন্বয়ে, যা গরম বা ঠান্ডা দুভাবেই খাওয়া যেতে পারে। এই কফির উৎপত্তিস্থল ইয়েমেনের মোকা বিন থেকে হলেও এটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠে ইতালিয়ান কফি হাউজগুলোর কল্যাণে। যদি আপনি একইসঙ্গে একজন চকলেট এবং কফিপ্রেমী হয়ে থাকেন, তবে এই কফিটি আপনার জন্যই। অ্যামেরিকানো এই কফি দুধ ছাড়া। এক শট এসপ্রেসোর সঙ্গে গরম পানি যোগ করলেই তৈরি হয়ে যায় কড়া এক কাপ অ্যামেরিকানো। অ্যামেরিকানোযারা সারাদিন সতেজ থাকার জন্য কোনো পানীয় খুঁজছেন তারা নিশ্চিন্তে বেছে নিতে পারেন এক কাপ অ্যামেরিকানো, যা আপনাকে সারাদিন কাজ করার শক্তি দিয়ে চনমনে রাখবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈনিকরা এই কফি খেতেন। ইতালিয়ান ব্ল্যাক কফির মতো এই কফিটি বেশ কড়া। আফোগাতো গরম এসপ্রেসো আর এক স্কুপ ভ্যানিলা আইসক্রিমের সমন্বয়ে পরিবেশন করা এই কফিটিকে এক প্রকার ডেজার্টই বলা যায়। যারা মিষ্টি খাবার খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এটি খুবই মজাদার একটি কফি। যেকোনো ধরনের এসপ্রেসো দিয়ে বানানো এই কফির ওপর গুঁড়ো চকোলেট বা ক্যারামেল ছড়ানো থাকে।

post
লাইফ স্টাইল

রাতে ঘুম আসে না?

অনেকেরই রাতে বিছানায় শুয়ে ঘুম আসে না। বিছানায় এ পাশ-ও পাশ করেই ভোর হয়ে যায়। অনিদ্রার এই সমস্যা নানা কারণে হতে পারে, তার মধ্যে অন্যতম হলো ঘুমাতে যাওয়ার আগে কী খাবার খাচ্ছেন। বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো ঘুম আসতে বাধা দেয়। জেনে নিন, অনিদ্রার সমস্যা থাকলে ঘুমোনোর আগে কোন কোন খাবার ভুলেও খাবেন না— কফি বাড়িয়ে দিতে পারে উদ্বেগের সমস্যা। কারণ, কফিতে থাকা ক্যাফিন স্নায়ুর কার্যকারিতা শিথিল করে দেয়। সেই সঙ্গে ক্যাফিন রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। উচ্চ রক্তচাপ মানসিক উদ্বেগের একটি অন্যতম বড় কারণ। কিন্তু ক্যাফিন মাত্রই যে ক্ষতিকর, তা নয়। দিনে ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন খেলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ভাজাভুজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্সফ্যাট। এই ফ্যাট অনিদ্রার সমস্যার একটি অন্যতম কারণ। কারও যদি ঘুম না আসার সমস্যা থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে রাতের খাবারে বেশি তেল-মশলা এবং ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। তা ছাড়া এই ধরনের খাবার উদ্বেগের মাত্রাও বাড়িয়ে দিতে পারে। কেক, পেস্ট্রি, সন্দেশ বা এই ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। শর্করার মাত্রা ওঠানামা করায় উদ্বেগও নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যায়। মিষ্টি জাতীয় খাবার মস্তিষ্ককে শান্ত হতে দেয় না, তাই অনিদ্রার সমস্যা যাদের দীর্ঘ দিনের, রাতে তাদের মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকার কথা বলেন চিকিৎসকরা।

post
লাইফ স্টাইল

যে ৩ অভ্যাস ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দেয়

বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যাই শুধু বাড়ছে না, সেইসঙ্গে বাড়ছে অল্প বয়সে আক্রান্ত হওয়ার হারও। ফলস্বরূপ হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কিডনি ফেইলরের আশঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে। ডায়াবেটিস হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি না করলেশরীর কার্যকরভাবে উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহার করতে না পারলে এর সৃষ্টি হয়। ইনসুলিন হলো এমন একটি হরমোন যা রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে।যদিও বয়স এবং জেনেটিক্স ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তবে জীবনযাপনের ধরনও এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের ঘাটতি এবং প্রচণ্ড মানসিক চাপ, নিষ্ক্রিয় জীবনযাপনের ফলে বেড়ে চলেছে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা। ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দেওয়া এই অভ্যাসগুলো আপনারও নেই তো? মিলিয়ে নিন- ১. নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে একটি। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই এমন চাকরিতে নিযুক্ত হন যেগুলোতে কাজের সময়সূচী অনিয়মিত থাকে এবং দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকতে হয়। নিয়মিত ব্যায়াম না করলে অতিরিক্ত চিনি শক্তির জন্য পেশীতে পাঠানোর পরিবর্তে রক্তের প্রবাহে থেকে যায়, ইনসুলিনের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া ব্যাহত করে এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। শরীরের চর্বি কমানো, রক্তচাপ কমানো এবং রক্তে শর্করা কমানো সহ ডায়াবেটিস পরিচালনার জন্য ব্যায়ামের বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার পেশী, লিভার এবং চর্বি কোষে চিনির (গ্লুকোজ) শোষণ বাড়ায়। এটি ইনসুলিনের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া উন্নত করে, ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১৫০ মিনিট ব্যায়াম এবং শারীরিক কার্যকলাপ করতে হবে। প্রতিদিন হাঁটা, সিঁড়ি ভাঙা এবং একটানা বসে না থেকে বিরতি নেওয়ার মতো ছোট পরিবর্তনগুলো আপনার শারীরিক কার্যকলাপের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ২. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বিশ্বব্যাপী টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির একটি কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। অপর্যাপ্ত দানা শস্য খাওয়া, পরিশোধিত চাল এবং গমের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের অতিরিক্ত ব্যবহার এর মধ্যে অন্যতম। জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস প্রায় সবারই রয়েছে। এ ধরনের খাবারে ক্যালোরি বেশি থাকে কিন্তু পুষ্টির মান থাকে কম। এই খাবারগুলোতে থাকে অতিরিক্ত চিনি এবং চর্বি যা ওজন বৃদ্ধি করে। এই অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পর্কিত। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি হলো সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা। ৩. কম ঘুমানো এবং মানসিক চাপ স্ট্রেস সরাসরি ডায়াবেটিসের সঙ্গে যুক্ত নয়, তবে এটি একটি অবদানকারী কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়। স্ট্রেসের সময়, শরীর কর্টিসোল নামে একটি স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ করে, যা ইনসুলিন কার্যকলাপের বিরোধী। স্ট্রেস হরমোন রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে ইনসুলিন বা ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। অপরদিকে ঘুমের সময় না ঘুমিয়ে জেগে থাকার মতো অভ্যাস আছে অনেকেরই। রাত জাগার এই বদ অভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে ফেলে। ঘুমের স্বল্পতা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রিত হরমোনগুলোতে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে, যে কারণে আপনি ক্ষুধার্ত বোধ করেন এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যায়।

post
শিক্ষা

রোজা রাখার ৫ উপকারিতা

রোজা রাখার রয়েছে অনেকগুলো উপকারিতা। ধর্মীও কিংবা আত্ম-প্রশান্তির দিক ছাড়াও রোজার রয়েছে কিছু শারীরিক উপকারিতাও। এই নিয়ে অনেকগুলো গবেষণা হয়েছে এবং আরও অনেক গবেষণা চলছে। কিছু বিষয়ে এখনও পুরোপুরি সিদ্ধান্তে আসা না গেলেও বেশ সন্তুষ্টিজনক ফলাফল মিলেছে। এমনিতে বছরের অন্যান্য সময়ে একবেলার খাবার বাদ দিলেই তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে একটি নির্দিষ্ট রুটিনে সেহরি ও ইফতার খেয়ে রোজা রাখলে তা শরীরের জন্য উপকারিতা নিয়ে আসে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-১. প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ রোজা রাখলে তা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরের ক্ষমতা উন্নত করে বলে মনে করা হয়। যেমন হৃদরোগ, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যার ঝুঁকি কমে রোজা রাখার ফলে এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ২. তারুণ্য ধরে রাখে রোজা রাখা এবং বিশেষ করে কম প্রোটিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার অভ্যাস শরীরে তারুণ্য ধরে রাখতে কাজ করে। রোজা মানুষের বৃদ্ধির হরমোনের স্তরকে উন্নীত করে বলে মনে করা হয়। এই হরমোন শরীরের বৃদ্ধি, বিপাক, ওজন হ্রাস, পেশী শক্তি এবং ব্যায়ামের কর্মক্ষমতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সম্পর্কিত বর্তমান গবেষণা মূলত প্রাণিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ, তাই এটি কীভাবে মানুষের তারুণ্যকে প্রভাবিত করে তা সম্পূর্ণরূপে বোঝার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। ৩. সার্কাডিয়ান রিদম ঠিক রাখে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা রাখলে তা সরাসরি অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে বিপাক নামক রাসায়নিকের স্তরে পরিবর্তন ঘটে। যা আমাদের কেন্দ্রীয় শরীরের ঘড়িতে সংকেত অণু হিসাবে কাজ করে। এভাবে রোজা আমাদের সার্কাডিয়ান রিদমকে পুনরায় সেট করতে সাহায্য করে। এর ফলে স্থূলত্বের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করাও সহজ হয়। ৪. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে প্রাণিদের ওপর করা গবেষণায় দেখা গেছে যে, রোজা রাখলে তা পার্কিনসন এবং আলঝাইমারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং ফলাফল উন্নত করে। সেইসঙ্গে স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের প্রক্রিয়াকরণকে বাড়িয়ে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও উন্নত করে। প্রানিজ গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, রোজা রাখলে তা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং স্নায়ু কোষের উৎপাদন বাড়ায়। তবে মানুষের জন্য প্রাসঙ্গিকতা নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন। ৫. উদ্বেগ কমায় মানব গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোজা উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতার লক্ষণ কমায় এবং সামাজিক সংযোগ উন্নত করতে পারে। এই প্রভাবগুলো মূল্যায়ন করার জন্য আরও অধ্যয়ন প্রয়োজন তবে এখনও পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলগুলো সন্তুষ্টিজনক।

post
আন্তর্জাতিক

করোনায় বিশ্বে মানুষের গড় আয়ু কমেছে দেড় বছর: গবেষণা

কোভিড মহামারির প্রথম দুই বছরে বিশ্বে মানুষের গড় আয়ু ১.৬ বছর কমেছে। যে ধারণা করা হয়েছিল তার চেয়েও কম এই সংখ্যা। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। অ্যামেরিকান ভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) তথ্য অনুসন্ধানকারী গবেষকদের মতে, বিশ্বে আয়ুর গড় টানা এক দশক দীর্ঘ বৃদ্ধি পাওয়ার পর এখন উল্টো দিকে ঘুরছে। আইএইচএমই গবেষক এবং দ্য ল্যানস্যাট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার প্রধান অস্টিন শুমাখার বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, কোভিড মহামারি গত ৫০ বছরে সংঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ অন্য যে কোন ঘটনার চেয়ে গভীর প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২০২০-২০২১ সময়কালে, ২০৪ টি দেশ ও অঞ্চলের বিশ্লেষণে ৮৪ শতাংশে আয়ু হ্রাস পেয়েছে, যা নতুন ভাইরাসগুলোর ‘সম্ভাব্য বিধ্বংসী প্রভাব প্রদর্শন করে।’ এই সময়ে ১৫ বছরের বেশি মানুষের মৃত্যুর হার পুরুষদের জন্য ২২ শতাংশ ও নারীদের জন্য ১৭ শতাংশ বেড়েছে। গবেষকরা অনুমান করেছেন, মেক্সিকো সিটি, পেরু ও বলিভিয়ায় আয়ু সবচেয়ে বেশি কমেছে।

post
আন্তর্জাতিক

বার্ড ফ্লু থেকে দেখা দিতে পারে আরেক মহামারি, গবেষকদের আশঙ্কা

বার্ড ফ্লু এর এইচফাইভএনওয়ান ধরণটির ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিভিন্ন দেশের সরকার এবং গবেষকরা। তবে যুক্তরাজ্যের একজন গবেষক দাবি করেছেন, বার্ড ফ্লু মহামারি হয়তো ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে। দ্যা মেট্রো সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাংলিয়ার অধ্যাপক ড. ডায়ানা বেল জানিয়েছেন, ২০২০ সালের পর থেকে দ্রুত ছড়াচ্ছে বার্ড ফ্লু। ১৯৯৭ সালের দিকে চীনে গৃহপালিত হাঁসের মাঝে প্রথম দেখা দেয় বার্ড ফ্লু। এরপর থেকে তা বিভিন্ন মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পাখি ছাড়াও অন্যান্য প্রজাতিতে দেখা দিচ্ছে বার্ড ফ্লু।ড. ডায়ানা বেল এর সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ সাল থেকে ২৬টি দেশে বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রজাতিতে ছড়িয়েছে বার্ড ফ্লু- যার মাঝে শ্বেতভালুক এবং পেঙ্গুইন পর্যন্ত আছে। আর এতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশ ভয়াবহ। মানুষের মাঝেও ছড়াচ্ছে বার্ড ফ্লু। শুধু গত বছরেই ২৩টি দেশের ৮৮২ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বার্ড ফ্লুতে। এতে মৃত্যুর হার ৫২ শতাংশ। এশিয়ার কিছু দেশে পাখি থেকে মানুষে ভাইরাস ছড়ানোর হার অনেক বেশি। এসব দেশে বার্ড ফ্লু আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের মতো বার্ড ফ্লুয়ের উৎসও অজানা। তবে ধারণা করা হয় অন্য কোনো প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়েছে দুটোই। এখন পর্যন্ত মানুষ থেকে মানুষে বার্ড ফ্লু সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা খুব বেশি ঘটেনি। তবুও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে এই ভাইরাসটি মহামারি হয়ে উঠতে পারে। মহামারি ঠেকাতে বার্ড ফ্লু নিয়ে গবেষণা এবং নজরদারির বিকল্প নেই বলে মনে করেন ড. ডায়ানা বেল। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো গৃহপালিত হাঁস-মুরগির মাঝে বার্ড ফ্লুয়ের প্রকোপ কমিয়ে আনা। এর জন্য পোলট্রি ফার্মিং পদ্ধতিতেই আমূল পরিবর্তন আনা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

post
লাইফ স্টাইল

রোজায় শক্তি বাড়ায় যেসব খাবার

রোজায় দীর্ঘ সময় উপবাসের কারণে শরীরে পানির চাহিদা বেশি থাকে। আবার অনেকক্ষণ খাবার না খাওয়ার কারণে শরীরে শক্তিরও ঘাটতি হয়। সেক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় কিছু সুপারফুড যুক্ত করা হলে শরীর একই সঙ্গে পুষ্টি এবং শক্তি পাবে। যেমন- খেজুর : রোজার সর্বোত্তম ফল হিসাবে খেজুর পরিচিত। খেজুরে থাকা গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা শরীরে দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, খেজুরে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ কারণে ইফতারে এই ফলটি যোগ করা জরুরি।ওটস: রোজার সময় শরীরে শক্তি জোগাতে ওটসের জুড়ি নেই। ওটস এমন একটি কার্বোহাইড্রেট যা ধীরে ধীরে শক্তি প্রকাশ করে,এ কারণে এটি খেলে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষুধা অনুভূত হয় না। ওটসে পর্যাপ্ত পরিমাণে বি ভিটামিন রয়েছে, যা খাবারকে শক্তিতে রূপান্তর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত পুষ্টি এবং স্বাদের জন্য ওটমিলে ফল, বাদাম এবং বীজ যোগ করতে পারেন। বাদাম এবং বীজ: বাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ এবং ফ্ল্যাক্সসিড হল পুষ্টিকর স্ন্যাকস যা শরীরে শক্তি এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এসব খাবারে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন এবং ফাইবার রয়েছে। বাদাম এবং বীজ শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। ইফতার বা সেহেরিতে দইয়ের মধ্যে বাদাম এবং বীজ যোগ করে খেতে পারেন। উপকার পাবেন। বেরি: বেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনের ভালো উৎস। এই ফল ফ্রি র‌্যাডিক্যালের সাথে লড়াই করে। এর ফলে ক্লান্তি দূর হয়, শরীর শক্তি পায়। ওটমিল বা দইয়ের সাথে বেরি যোগ করতে পারেন। মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু ভিটামিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ একটি খাবার। মিষ্টি আলু খেলে শরীর দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করে এবং শক্তি পায়। ইফতারে এই খাবারটি অনায়াসে যোগ করতে পারেন।

post
লাইফ স্টাইল

লিভার ভালো রাখার উপায়

ভুল খাদ্যাভাস, অতিরিক্ত ফাস্টফুড বা অস্বাস্থ্যকর খাবার, বেশি বেশি ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই আপনাকে বেছে নিতে হবে লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে এমন সব খাবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক-লিভার ভালো রাখার জন্য পাতে নিয়মিত রাখতে হবে পালংশাক। এই শাকে থাকে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই। এসব উপাদান লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে। যারা ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রেও পালংশাক বেশ উপকারী। তাই এই শাক খাওয়ার অভ্যাস করুন। উপকারী একটি ফল পেঁপে। এটি সারা বছরই পাওয়া যায়। এই ফলে থাকা প্যাপাইন হজমের জন্য বেশ সহায়ক। প্রোটিন ভাঙতেও সাহায্য করে এই উপকারী ফল। নিয়মিত পেঁপে খেলে তা লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত এটি পাতে রাখুন। হলুদ আমাদের সবার বাড়িতেই থাকে। এই ভেষজ মসলা ব্যবহার করা হয় নানা ধরনের রান্নায়। এমনকী রূপচর্চার কাজেও হলুদের ব্যবহার চলছে বহু প্রাচীনকাল থেকেই। উপকারী এই ভেষজে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ। এছাড়া এতে থাকা কারকিউমিন লিভারকে সুস্থ ও সতেজ রাখে। আদার উপকারিতার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। কাশি, কফ থেকে শুরু করে নানা অসুখ দূরে রাখতে এই ভেষজ মসলা একাই একশো। আদায় থাকা জিঞ্জেরাল নামক অ্যাক্টিভ কম্পাউন্ড লিভারের টক্সিন দূর করতে কাজ করে। যে কারণে নিয়মিত আদা খেলে লিভার ভালো রাখা সহজ হয়। নিয়মিত আদা চা পান করুন বা আদা কুচি করেও খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.