post
লাইফ স্টাইল

লিচু খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন

গ্রীষ্মকাল মানেই নানা রকম ফলের সমাহার। এসময় মিষ্টি ও রসালো ফলে ভরে থাকে চারপাশ। আম নাকি লিচু, এই দ্বন্দ্বে পড়ে যান অনেকে। কারণ এই দুই ফলই অনেক বেশি সুমিষ্ট ও সুস্বাদু। টসটসে রসালো ফল লিচু কেবল খেতেই ভালো নয়, এর রয়েছে অনেক উপকারিতাও। তবে উপকারী বলেই একসঙ্গে অনেক লিচু খাওয়া চলবে না। বরং খেতে হবে পরিমিত। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, লিচু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-পানির ঘাটতি পূরণ ভাবছেন এতটুকুন ফল কীভাবে পানির ঘাটতি পূরণ করবে? তাহলে শুনুন, লিচুর প্রায় ৮২ শতাংশই হলো পানি। তাই লিচু খেলে তা গরমের সময়ে সৃষ্ট শরীরে পানিশূন্যতা দূর করতে দারুণ কাজ করে। কারণ গরমে ঘামের কারণে আমাদের শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়ে যায়। সেই ঘাটতি পূরণে কাজ করে লিচু। লিচু খেলে তা আপনাকে সতেজ রাখতে কাজ করবে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি আমাদের সুস্থতার জন্য শরীরে সঠিক রক্ত সঞ্চালন জরুরি। আর সেজন্য খেতে হবে সহায়ক সব খাবার। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে লিচু। লিচুতে থাকে অলিগোনাল নামক বিশেষ উপাদান যা নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে। যে কারণে লিচু খেলে তা আমাদের শরীরে রক্তের সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা তো বটেই, যারা এর ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। সেজন্য খেতে পারেন লিচুর মতো উপকারী ফল। কারণ লিচুতে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। পেটের সমস্যা দূর করে আমাদের পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূরে রাখতে কাজ করে ফাইবার। লিচু হলো ফাইবারের একটি ভালো উৎস। যে কারণে লিচু খেলে তা পেটের নানা সমস্যা দূরে রাখতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এটি আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি দিতে সাহায্য করবে। লিচুতে থাকা ফাইবার আমাদের শরীরের ভেতর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে কাজ করে যারা ওজন কমাতে চাইছেন তাদের জন্য একটি উপকারী ফল হতে পারে লিচু। কারণ এতে ফাইবার থাকার কারণে তা ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এই ফাইবার খাদ্যের পরিপাক এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে লিচুতে থাকে প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। যে কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে লিচু খেতে পারেন।

post
লাইফ স্টাইল

সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে যে ৫ খাবার খেতে হবে

সুন্দর ত্বক কে না পেতে চায়! আর সেজন্য করণীয় অনেককিছুও করতে রাজি আছেন নিশ্চয়ই? না না, খুব বেশি কিছু করতে হবে না। কেবল নিজের প্রতি আরেকটু যত্নশীল, খাবারের দিকে আরেকটু মনোযোগী হলেই তা সম্ভব। ত্বক ভালো রাখার জন্য যেমন কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, তেমনই কিছু উপযোগী খাবার যোগ করতে হবে খাবারের তালিকায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে যেগুলো আপনার ত্বক ভালো রাখতে কাজ করবে- ১. সাইট্রাস ফল আপনি যদি মসৃণ এবং উজ্জ্বল ত্বক চান তবে ভিটামিন সি-এর গুণে ভরপুর সাইট্রাস ফল অবশ্যই আপনার খাবারের তালিকায় রাখা উচিত। কারণ ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। ভিটামিন সি যুক্ত ফলের কিছু উদাহরণ হলো লেবু, কমলা, জাম্বুরা ইত্যাদি। ২. আখরোট স্বাস্থ্যকর এবং পরিষ্কার ত্বক পেতে একমুঠো আখরোট দিয়ে আপনার সকাল শুরু করুন। আখরোট ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এবং ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। তাই এই শুকনো বাদাম খেতে ভুলবেন না। তবে পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখবেন। প্রতিদিন একমুঠো আখরোটই যথেষ্ট। ৩. সবুজ শাক সবুজ শাক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, তাই পাতাযুক্ত সবুজ শাক আপনার ত্বকের জন্য একটি আশ্চর্যজনক খাদ্য হতে পারে। পাতাযুক্ত সবুজ শাক ত্বক থেকে ফ্রি র‌্যাডিকেল অপসারণ করতে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই ত্বককে স্বাস্থ্যকর করতে সহায়তা করে। তাই বিভিন্ন ধরনের শাক রাখুন আপনার খাবারের তালিকায়। ৪. গ্রিন টি শুধু ওজন কমানোর জন্য নয়, গ্রিন টি আমাদের ত্বকের জন্যও আশ্চর্যজনক উপকারিতা নিয়ে আসে। গ্রিন টি ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এবং এতে কোনো ক্যাফিন নেই, যা এই পানীয়কে আরও বেশি স্বাস্থ্যকর করে তোলে। তাই আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় গ্রিন টি যোগ করে নিন। ৫. পানি পানি এবং পানিযুক্ত বিভিন্ন খাবার প্রতিদিন খেতে হবে পর্যাপ্ত। পানি পান করলে তা শরীরের অন্যান্য উপকারিতার পাশাপাশি ত্বককে ভালো রাখতেও কাজ করে। পর্যাপ্ত পানি পানের ফলে শরীরের দূষিত পদার্থ দূর হয়ে যায়। যে কারণে ত্বকে থাকে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল। খাবার পানির পাশাপাশি ডাব, বিভিন্ন রসালো ফল ও সবজি, স্যুপ ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এগুলো আপনার ত্বককে সুন্দর করবে।

post
লাইফ স্টাইল

পাকা আম খাওয়ার ৫ উপকারিতা

পাকা আমের মৌসুম আসতে চলেছে। গ্রীষ্মের সবচেয়ে আকর্ষণীয় আর লোভনীয় ফল হলো এই আম। রসালো আম কেবল সুমিষ্টই নয়, বরং এর রয়েছে অনেক উপকারিতাও। আম খেলে তা শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে। তবে আম খাওয়ার সময় এর ক্যালোরির দিকে নজর রাখা জরুরি, কারণ এটি অত্যন্ত মিষ্টি এবং অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া না-ও যেতে পারে। ১. কোলেস্টেরল কমায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আম খেলে তা কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে। আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পেকটিন এবং ফাইবার রয়েছে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরিমিত পরিমাণ আম খেতে পারেন। ২. চোখের জন্য উপকারী এক কাপ কাটা আমের মধ্যে ২৫ শতাংশ ভিটামিন এ থাকে যা চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে এবং রাতকানা ও শুষ্ক চোখ প্রতিরোধ করে। তাই যারা চোখের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য আম একটি উপকারী খাবার। নিয়মিত এই ফল খেলে চোখ ভালো রাখা সহজ হয়। ৩. শরীরকে ক্ষারীয় করে আমের নানা উপকারের মধ্যে এটিও একটি। আমে উপস্থিত ম্যালিক অ্যাসিড, টারটারিক অ্যাসিড এবং কিছু সাইট্রিক অ্যাসিড সহ অ্যাসিড শরীরে ক্ষারীয় উপাদান বজায় রাখতে সাহায্য করে। ৪. হিট স্ট্রোকের বিরুদ্ধে লড়াই করে আম থেকে তৈরি একটি জুস খেলে তা বাইরের অতিরিক্ত তাপ থেকে শরীরকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং আপনাকে সহজে ক্লান্ত হতে দেয় না। শুধু পাকা আম নয়, কাঁচা আমের শরবতও বেশ এক্ষেত্রে উপকারী। ৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ২৫টি বিভিন্ন ধরণের ক্যারোটিনয়েড সহ আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে এবং গ্রীষ্মে শরীরকে অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করে।

post
লাইফ স্টাইল

গরমে বাইরে বের হলে ডিহাইড্রেশন এড়ানোর উপায়

গরমের সময় বাইরে বের না হয়ে থাকা সবার জন্য সম্ভব নয়। কারণ কাজ ও জীবিকার প্রয়োজনে আমাদের অনেককেই বাইরে বের হতে হয়। তীব্র তাপের সময় বাইরে বের হলে তা ত্বকে প্রভাব ফেলে। সেইসঙ্গে ঘাম, ট্যানিং এবং এমনকী ডিহাইড্রেশন হতে পারে! ডিহাইড্রেশন আমাদের সামগ্রিক সুস্থতা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই গরমের সময়ে বাইরে বের হলে ডিহাইড্রেশন এড়ানোর উপায় জেনে নেওয়া জরুরি- ১. পানির বোতল সঙ্গে রাখুন গরমে বাইরে বের হলে পানির বোতল সঙ্গে রাখুন। এমন একটি বোতল বেছে নিন যা সারাদিন বহন করার জন্য সুবিধাজনক। একটি ভালো বোতল বেছে নিন যা সারা দিন পানি সতেজ ও ঠান্ডা রাখবে। তৃষ্ণার্ত হওয়ার আগেই পানিতে ঘন ঘন চুমুক দিন। ২. ইলেক্ট্রোলাইট প্রচণ্ড গরমে ঘাম হওয়া সাধারণ ব্যাপার। এই কারণে আমরা আমাদের শরীর থেকে প্রচুর খনিজ হারিয়ে ফেলি। সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট সর্বোত্তম হাইড্রেশনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে তীব্র গরমের সময়। আপনার পানির বোতলে ইলেক্ট্রোলাইট ট্যাবলেট বা এক চিমটি গোলাপি লবণ যোগ করুন। আরেকটি বিকল্প হলো ডাবের পানি পান করা, যা ইলেক্ট্রোলাইটে ভরপুর। ৩. হাইড্রেটিং খাবার সম্ভব হলে বাইরে বের হওয়ার আগে হাইড্রেটিং খাবারে পূর্ণ একটি বক্স সঙ্গে নিন। পানি সমৃদ্ধ ফল যেমন শসা, তরমুজ, ফুটি ইত্যাদি কেটে সঙ্গে নিতে পারেন। হাইড্রেটেড রাখার জন্য এই ফলগুলো চমৎকার। সেইসঙ্গে এগুলো আপনাকে চিপসের মতো সোডিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখবে, যা ডিহাইড্রেশন এবং ওজন বাড়াতে পারে।

post
লাইফ স্টাইল

খালি পেটে কিশমিশ খেলে কী হয়?

এক মুঠো কিশমিশ এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি সামান্য গরম করে খেয়ে নেওয়ার এই অভ্যাস বেশ স্বাস্থ্যকর। সপ্তাহে মাত্র তিনদিন এই পানীয় পান করলে অনেক ধরনের উপকার পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো পানি খেলে কী হয়? হজম নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যায় ভুগলে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন কিশমিশ ভেজানো পানি। কারণ সপ্তাহে মাত্র তিন দিন এই পানীয় পান করলে তা আপনার হজম ক্ষমতা বাড়াবে এবং সেইসঙ্গে দূর করবে কোষ্ঠকাঠিন্যও। তাই ভালো হজমের জন্য এদিকে মনোযোগ দিন। গরমের সময়ে তো বটেই, সারাবছরই আমাদের হাইড্রেশন বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কিশমিশ ভেজানো পানি পা করলে করলে তা শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়া পানির ঘাটতি পূরণে কাজ করে। তাই ডিহাইড্রেশন রোধে এই পানীয় আপনার সকালের খাবারের তালিকায় যুক্ত করে নিন। হার্ট ভালো রাখার জন্য খাবারের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। সেজন্য খেতে হবে সহায়ক সব খাবার ও পানীয়। তেমনই একটি পানীয় হলো কিশমিশ ভেজানো পানি। কিশমিশে থাকে প্রচুর পটাশিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হাটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। আজকাল অনেকেরই রক্তস্বল্পতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই সমস্যা দূর করতে উপকারী সব খাবার রাখতে হবে তালিকায়। আমাদের বাড়িতে থাকা কিশমিশ কিন্তু এ ধরনের সমস্যা দূর করতে বেশ সহায়ক। নিয়মিত কিশমিশ ভেজানো পানি পান করলে শরীরে রক্ত তৈরি হয়।

post
লাইফ স্টাইল

এই ফলগুলো ফ্রিজে রাখবেন না

অনেক ফলও আমরা ফ্রিজে রেখে খাই। কিন্তু কিছু ফল ফ্রিজে রাখা উচিত নয় কারণ এর ফলে সেসব ফলের স্বাদ, গঠন এবং পুষ্টির মানে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যদিও হিমায়ন অনেক খাবারের জন্য উপকারী তবে এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ যে কোন ফলগুলো ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা ভালো। চলুন জেনে নেওয়া যাক- কলা কখনোই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। ফ্রিজে রাখা হলে কলার খোসা কালো হতে শুরু করে, যা অনেকে বিশেষ করে শিশুরা খেতে নাও চাই পারে। আবার ফ্রিজে রাখা কলা দ্রুত পাকে না। তরমুজ তাড়াতাড়ি নষ্ট হওয়া ঠেকাতে অনেকেই ফ্রিজে রাখার ভুল করে থাকেন। এটি করলে এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কমে যায় এবং এর পুষ্টিগুণও কমে যায়। রেফ্রিজারেটরে পেঁপে সংরক্ষণ করলে এর স্বাদ এবং গঠন পরিবর্তন হতে পারে। এটি ঘটে কারণ রেফ্রিজারেটরের নিম্ন তাপমাত্রা পেঁপে পাকার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। লিচুর মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে লিচু কিনে সেগুলো সতেজ রাখতে ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন অনেকেই। এটি শুধুমাত্র খোসার সতেজতা বজায় রাখে, তবে লিচু ভেতর থেকে নষ্ট হতে পারে। তাই লিচু ফ্রিজে না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। ফ্রিজে আনারস সংরক্ষণ করলে এর গঠন এবং স্বাদের অবনতি হতে পারে। তাই ফ্রিজে না রাখাই ভালো। রেফ্রিজারেশনের ফলে ফলটি খুব নরম হয়ে যায়, যার ফলে এর প্রাকৃতিক স্বাদ পরিবর্তন হয়। ফ্রিজে আম সংরক্ষণ করার ভুল করবেন না, কারণ ঠান্ডা তাপমাত্রা এই ফল পাকানোর প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে এবং স্বাদ এবং গঠনকে প্রভাবিত করতে পারে।

post
সংবাদ

ডেঙ্গু হলে যেসব লক্ষণ থাকে

প্রতি বছর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনা কম ঘটে না। ডেঙ্গু জ্বরকে প্রথমে বেশিরভাগ মানুষই সাধারণ জ্বর ভেবে ভুল করে থাকেন। কিন্তু এর লক্ষণ আগে থেকেই জানা থাকলে চিনতে পারা সহজ হয়। ডেঙ্গু জ্বরের শুরুতে হালকা জ্বর থাকলেও তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। এরপর জ্বর ১০০ ডিগ্রির ওপরে উঠে যায়। সেইসঙ্গে ত্বকে ক্ষত তৈরি হতে পারে। রক্ত পড়তে পারে প্রস্রাব ও মলের সঙ্গে। এসব লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তবে খুব বেশি ব্যথা হলে সতর্ক হোন। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুজ্বরের অন্যতম লক্ষণ হলো পেশী ও জয়েন্টে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া। তাই এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে মোটেও অবহেলা করবেন না। জ্বরের পাশাপাশি পেটে ব্যথা হলে সতর্ক হোন। কারণ ডেঙ্গুজ্বর হলে পেটে ব্যথা ও অস্বস্তি হতে পারে। এই জ্বরে আক্রান্ত হলে তীব্র ব্যথা বা ক্র্যাম্প অনুভব হতে পারে। এই ব্যথা যে ডেঙ্গুর কারণে হচ্ছে তা অনেকে বুঝতে পারেন না। ডেঙ্গুজ্বর হলে রক্তপাত সবার ক্ষেত্রে দেখা নাও দিতে পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে শরীরে ছোট ছোট দাগ বা লালচে দাগ দেখাতে পারে। অনেক সময় ত্বক, নাক এমনকী মাড়ি থেকেও রক্তপাত হতে পারে।

post
সংবাদ

স্বাস্থ্যসেবায় ব্রিটেনের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে ব্রিটেনের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ। চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত পেশাজীবিদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন তিনি। বুধবার যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এক সভায় একথা বলেন তিনি। এসময় লন্ডনের নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ও ডক্টর রেজাউল করিমসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

post
লাইফ স্টাইল

হাড় ভালো রাখে যে ভিটামিন

বেশীরভাগ মানুষ ত্রিশ বছর বয়সের কাছাকাছি এসে হাড়ের ভর অর্জন করে। এরপরে, হাড়ের পুনর্নির্মাণ অব্যাহত থাকে, তবে আপনি অর্জনের চেয়ে সামান্য বেশি হাড়ের ভর হারাবেন। হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক- প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি প্রয়োজন। ভিটামিন ডি অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য অপরিহার্য, যা শক্তিশালী হাড় গঠন ও বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয়। এটি রক্তে ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে, যা হাড়ের খনিজকরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি-এর প্রাথমিক উৎস হলো সূর্যের আলো, কারণ সূর্যের আলোর সংস্পর্শে ত্বক ভিটামিন ডি সংশ্লেষণ করে। ক্যালসিয়াম হাড়ের প্রধান খনিজ উপাদান এবং হাড়ের গঠন ও শক্তির জন্য অপরিহার্য। এটি পেশী সংকোচন, স্নায়ু ফাংশন এবং রক্ত ​​জমাট বাঁধতে ভূমিকা পালন করে। ক্যালসিয়ামের ভারো খাদ্যতালিকাগত উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে দুগ্ধজাত দ্রব্য, সবুজ শাক-সবজি, টফু, বাদাম ইত্যাদি। ভিটামিন কে হাড়ের খনিজকরণে জড়িত এবং হাড়ের মধ্যে ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি রক্ত জমাট বাঁধতেও ভূমিকা রাখে এবং হাড়ের টিস্যুতে প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব থাকতে পারে। ভিটামিন কে-১ পাওয়া যায় সবুজ শাক-সবজিতে, আর ভিটামিন কে-২ পাওয়া যায় গাঁজানো খাবার যেমন নাট্টো এবং পনির এবং প্রাণীজ পণ্যে। ভিটামিন সি কোলাজেন সংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় যা হাড়, তরুণাস্থি এবং সংযোগকারী টিস্যুর গঠন এবং শক্তি প্রদান করে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা হাড়ের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে ফল এবং সবজি ইত্যাদিতে পাওয়া যায়।

post
লাইফ স্টাইল

বিয়ের আগে যে বিষয়ে আলোচনা করে নেবেন

আপনার মানসিক এবং শারীরিক চাহিদা,আপনার প্রেমের ভাষা এবং আপনি কীভাবে দ্বন্দ্ব সামাল দেন, সে সম্পর্কে খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেইসঙ্গে সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা করাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৪টি বিষয় সম্পর্কে- যেহেতু দুজন মানুষ বিয়ের পর সারাজীবন একসঙ্গে থাকার প্রতীজ্ঞা করছেন তাই পারস্পারিক যোগাযোগের ধরন যাচাই করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। দ্বন্দ্ব, মতবিরোধ এবং তর্কের সময়ে আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানান তা তাকে জানানোও গুরুত্বপূর্ণ। কথা বলার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি দুজনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কী আশা করেন তা জানানো, আপনার আবেগ এবং বিয়ে নিয়ে পরিকল্পনাও এর অংশ হতে পারে। বিয়ে, প্রতিশ্রুতি এবং আপনি উভয়ে কীভাবে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে চান, তা নিয়ে আলোচনা করা অপরিহার্য। দাম্পত্য জীবনেও পার্সোনাল স্পেস এবং বাউন্ডারি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক সুখী এবং পরিপূর্ণ সম্পর্ক অর্জনের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজের মতো করে কিছুটা সময় একা কাটানো কিংবা পার্সোনাল স্পেসের জন্য পরবর্তীতে যেন পরস্পরকে দোষারোপ করা না হয় তাই আগেভাগেই কথা বলে নিন। বিয়ের আগে হবু সঙ্গীর সঙ্গে আপনার আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোলামেলা এবং স্বচ্ছ আলোচনা হওয়া জরুরি। আপনার আয়, ঋণ, সঞ্চয় এবং ব্যয় করার অভ্যাস সম্পর্কে সৎভাবে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। দম্পতি হিসাবে আপনি কীভাবে যৌথ ব্যয় এবং আর্থিক বিষয়গুলো পরিচালনা করবেন তা সহ দীর্ঘমেয়াদী বাজেট এবং আর্থিক পরিকল্পনা সম্পর্কে কথা বলুন।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.