প্রচণ্ড তাপাদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জীবন। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। দেখা দেয় পানিশূন্যতা। ফলে দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো, মাথাব্যথা, খিটখিটে মেজাজ, গলা শুকিয়ে যাওয়া, অচেতন হয়ে পড়া, বুক ধড়ফড়, কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রস্রাব হলুদ হওয়া বা প্রস্রাব কমে যাওয়ার মতো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
আসুন জেনে নেই কিভাবে এই তাপাদাহে শরীরে পানির অভার পূরণ করা যায়-
পানি: সারা দিনে ১০-১২ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করুন। সবসময় একটি ছোট পানির বোতল হাতের নাগালে রাখুন। কিছুক্ষণ পর পরই অল্প অল্প পানি পান করার অভ্যাস করুন।
ডাবের পানি: ডাবের পানি পান করলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে। এতে থাকা রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, থিয়ামিন ও পাইরিডোক্সিনের মতো উপকারী উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডাবের পানি সহজলভ্য না হলেও তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
সবজি: ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, লাউ, পেঁপে ও পালংশাকে পানির পরিমাণ ৯০ শতাংশের বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় রাখুন। হালকা মসলায় এই খাবারগুলো শরীরের জন্য উপকারী।
ফল: গরমে স্বস্তি পেতে খেতে পারেন তরমুজ। এটি শরীরে পানির অভাব পূরণ করে। তরমুজে শতকরা ৯০ ভাগের বেশি পানি থাকে। যে কারণে পানিশূন্যতা রোধে এটি হতে পারে একটি উপকারী খাবার।
পানিশূন্যতা ও দুর্বলতা দূর করতে কলার বিকল্প নেই। সকালের নাশতায় কিংবা ব্যায়ামের আগে কলা খেয়ে নিলে যেমন শক্তি পাওয়া যায়, তেমনি শরীরের পানির চাহিদা পূরণ হয়।
শশা: শসার প্রায় ৯৬ শতাংশই পানি। তাই এ গরমে প্রতি বেলায় সালাদ হিসেবে শসা রাখুন। সালাদে শসার সঙ্গে লেটুসপাতাও রাখতে পারেন। লেটুসপাতায়ও ৯৬ শতাংশ পানি থাকে।
টমেটো: টমেটোর প্রায় ৯৪ শতাংশ পানি। সালাদ, স্যুপ, জুসসহ বিভিন্নভাবে টমেটো খাওয়া যেতে পারে।
লেবু: এই গরমে লেবুর চেয়ে উপকারী আর কী হতে পারে! ভিটামিন সি যুক্ত এই ফলের রস আপনাকে সারাদিন সতেজ অনুভূতি দেবে। লেবুর শরবত হতে পারে গরমে সবচেয়ে সুস্বাদু পানীয়।
বেল: বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।
