গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে গর্ভবতী নন এমন নারীর তুলনায় তাড়াতাড়ি ক্লান্তি, হিট স্ট্রোক বা অন্যান্য তাপ-সম্পর্কিত অসুস্থতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর কারণ হলো গর্ভবতী নারীর শরীর এবং বিকাশমান শিশু উভয়কেই ঠান্ডা করার জন্য তাদের শরীরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
এছাড়াও, গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশনের প্রবণতা বেশি, যার ফলে তৃষ্ণা বৃদ্ধি, গলা শুকিয়ে যাওয়া, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, প্রস্রাব না হওয়া, জ্বর, বিরক্তি এবং ডায়রিয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহে যদি একজন গর্ভবতী নারীর শরীরের তাপমাত্রা ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে ওঠে, তবে শিশুর জন্মগত ত্রুটি হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। সিডিসি অনুসারে, কিছু ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং গর্ভাবস্থায় জ্বর জন্মগত ত্রুটি এবং অন্যান্য গর্ভাবস্থার জটিলতার সঙ্গে সম্পর্কিত।
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) ২০২০ সালে প্রকাশিত একটি পর্যালোচনায় বলা হয়েয়ে, উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে থাকা নারীদের অকাল প্রসব এবং মৃত সন্তান প্রসব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গবেষকরা দেখেছেন যে তাপমাত্রায় প্রতি ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির জন্য, অকাল প্রসবের সম্ভাবনা ৫% বেড়ে যায় এবং তাপপ্রবাহের সময় এই ঝুঁকিটি ১৬% বেড়ে যায়। উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে মৃত সন্তানের জন্মের ঝুঁকিও কিছুটা বেড়েছে,গবেষণায় যেমনটা উল্লেখ করা হয়েছে।
গর্ভবতী নারীরা হিট ওয়েভ প্রতিরোধে যা করবেন
* ঢিলেঢালা এবং সুতির পোশাক পরুন।
* প্রখর রোদে ভ্রমণ বা হাঁটা এড়িয়ে চলুন।
* সাদা ছাতা সঙ্গে রাখুন এবং বাইরে যেতে হলে হালকা পোশাক পরুন।
* প্রচুর পানি, ডাবের পানি, তাজা ফলের রস, মৌসুমি ফল, বাটার মিল্ক এবং দই পান করে হাইড্রেটেড থাকুন।
