post
লাইফ স্টাইল

যেসব খাবার পানিশূন্যতা তৈরি করে

সুস্থ থাকার জন্য হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, কিছু খাবার আপনাকে গোপনে ডিহাইড্রেট করতে পারে? যদিও আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিহাইড্রেশনকে পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার ফল হিসেবে মনে করি। তবে কিছু খাবার মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য বা অতিরিক্ত লবণের কারণে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। সেই খাবারগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা সহজ হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক- ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় কফি, চা এবং কিছু কোমল পানীয়তে ক্যাফেইন থাকে, যা হালকা মূত্রবর্ধক। যদিও সকালে এককাপ কফি বা চা উপভোগ করা ভালো, তবে অত্যধিক পান করার ফলে প্রস্রাব বাড়তে পারে। পর্যাপ্ত পানি পানের সঙ্গে ভারসাম্য না থাকলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। অ্যালকোহল অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এর মূত্রবর্ধক প্রভাবের কারণে আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে। এগুলো প্রস্রাব উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যার ফলে শরীরের তরল কমে যায় হয়। তাই অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকাই শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো। লবণাক্ত স্ন্যাকস চিপস, প্রিটজেল এবং ক্র্যাকারের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারে সোডিয়াম বেশি থাকে। অত্যধিক লবণ গ্রহণ করলে তা আপনাকে তৃষ্ণার্ত করে তুলতে পারে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে পানির ক্ষয় বৃদ্ধি করতে পারে। নোনতা নাস্তা খাওয়ার বিষয়ে সচেতন হোন এবং পানি-সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখুন। উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার, যেমন লাল মাংস, হাঁস-মুরগি এবং দুগ্ধজাত পণ্য ইত্যাদি ডিহাইড্রেশনে অবদান রাখতে পারে। আপনি যখন প্রোটিন গ্রহণ করেন, তখন আপনার শরীর অতিরিক্ত ইউরিয়া তৈরি করে। এটি একটি বর্জ্য পদার্থ যা প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দিতে হয়, এর ফলে পানির ক্ষয় বৃদ্ধি পায়। চিনিযুক্ত খাবার কেক, কুকিজ এবং ক্যান্ডির মতো চিনিযুক্ত খাবারও আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে। আপনি যখন প্রচুর পরিমাণে চিনি গ্রহণ করেন, তখন আপনার শরীর এটিকে পাতলা করতে পানি ব্যবহার করে, যা ডিহাইড্রেশনের দিকে নিয়ে যা। তাই হাইড্রেটেড থাকার জন্য তাজা ফল বেছে নিন। ঝাল খাবার মসলাদার খাবার আপনার বিপাককে উদ্দীপিত করতে পারে এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে, যার ফলে ঘাম হতে পারে, যা আপনাকে ডিহাইড্রেট করে। মসলাদার খাবার উপভোগ করার সময় হাইড্রেটেড থাকার জন্য প্রচুর পানি পান করতে ভুলবেন না। ভাজা খাবার ভাজা খাবারে লবণ এবং চর্বি বেশি থাকে, যা আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে। উচ্চ চর্বিযুক্ত উপাদান হজমকেও ধীর করে দিতে পারে। ভাজা খাবার খাওয়া সীমিত করুন এবং শাকসবজির মতো পানি-সমৃদ্ধ খাবার বেশি খান।

post
লাইফ স্টাইল

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যে ফল

ডায়াবেটিসে কী খাবেন আর কী খাবেন না এই নিয়ে সারাক্ষণ অস্থির হয়ে থাকেন রোগীরা। এমনকি কোন ফল সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, সেটি নিয়েও সচেতন থাকতে হবে। সুগারের রোগীদের সব ধরনের ফল খাওয়া চলে না। যেমন গ্রীষ্মকালে আম খেতে পারবেন না। কলাও খেতে হবে বুঝেশুনে। খেজুর ও কিশমিশের মতো শুকনো ফলও না খেলেই ভালো। গ্রীষ্মকালীন ফল খেয়েও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। যেসব ফলের গ্লাইসেমিক সূচক কম, সেগুলো ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে জাম। আর এই ফলই ডায়াবেটিসের যম। জামের মধ্যে শর্করার পরিমাণ কম এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি। এছাড়া, জামে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। আঙুরের মধ্যে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। কিন্তু সীমিত পরিমাণে খেলে এই ফল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। আঙুরের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখলে সুগার লেভেল বাড়বে না। কিউই হলো পুষ্টিতে ভরপুর খাবার। এর মধ্যে শর্করার পরিমাণ কম এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এটি আদর্শ ফল। এই ফল ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এই মৌশুমে তরমুজ খান। জলে ভরপুর এই ফলের গ্লাইসেমিক সূচকও কম। তরমুজ ডায়াবেটিসের রোগীদেরকে হাইড্রেটেড ও সতেজ রাখে। তবে, সীমিত পরিমাণে তরমুজ খাওয়াই ভালো।

post
লাইফ স্টাইল

গরমে ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন

গরমে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার কেন এড়িয়ে চলবেন তা জানা থাকা জরুরি। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক গরমে এ জাতীয় খাবার খেলে কী হয়- ভাজা খাবারে সাধারণত ফ্যাট বেশি থাকে, যা শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে এবং ডিহাইড্রেশনের সমস্যা বাড়াতে কাজ করে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। গরমের সময়ে এ ধরনের খাবার খেলে তা আরও বেশি অস্বস্তিকর হতে পারে। তাই গরমে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা এড়াতে এই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকুন। ভাজা খাবারে উচ্চ চর্বিযুক্ত উপাদান পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভারী হতে পারে। এটি বদহজম, পেটফাঁপা এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে। গরমে আমাদের শরীর ঠান্ডা থাকার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে, তাই এসময় পরিপাকতন্ত্রে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এমন খাবার এড়িয়ে চলা উপকারী। চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে, কারণ এই খাবারগুলো হজম করতে শরীর অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় করে। এটি আপনার জন্য গরমে আরও অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তাই গরমে এ ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকুন। ভাজা খাবারে সাধারণত উচ্চ ক্যালোরি, অস্বাস্থ্যকর চর্বি এবং কখনো কখনো ট্রান্স ফ্যাট থাকে, যা ওজন বৃদ্ধি এবং হৃদরোগের মতো অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাজা ফল, শাক-সবজি এবং চর্বিহীন প্রোটিন সহ একটি হালকা ধরনের খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর।

post
লাইফ স্টাইল

তীব্র গরমে মাথাব্যথা হওয়ার কারণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাথাব্যথা হয় পানিশূন্যতা, পরিবেশ দূষণ, তাপ ক্লান্তি এবং হিট স্ট্রোকের মতো অন্তর্নিহিত কারণে। তাপের মাথাব্যথা আধা ঘণ্টা থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং যদি শুরুতে চিকিৎসা করা হয় তবে ব্যথা কিছুটা কম হতে পারে। জেনে নিন গরমে মাথাব্যথার কারণগুলো- ডিহাইড্রেশন মাথাব্যথার জন্য সবচেয়ে বড় কারণ হতে পারে। তাপ সরাসরি মাথাব্যথার কারণ হয় না তবে পানিশূন্যতাই এর প্রধান কারণ। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ঘাম বৃদ্ধি পায়, যা শরীর থেকে তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইটের উল্লেখযোগ্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। যখন শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়, তখন মস্তিষ্ক অস্থায়ীভাবে তরল হ্রাস থেকে সঙ্কুচিত হতে পারে, যার ফলে মাথাব্যথা শুরু হয়। আপনার মাথাব্যথা হলে এক গ্লাস পানি পান করুন এবং সেই মাথাব্যথা দূর করতে সূর্যের সংস্পর্শে নিজেকে হাইড্রেট করতে থাকুন। সরাসরি সূর্যের আলোতে দীর্ঘ সময় থাকলে তাপ জমার কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। তীব্র আলোও চোখকে চাপ দিতে পারে, এটি মাথাব্যথা বাড়িয়ে দেয়। মাইগ্রেনের রোগীর ক্ষেত্রে আলো এবং শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা এবং মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হতে পারে। সান প্রোটেক্টেড পোলারয়েড গ্লাস পরে রোদে গেলে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব হতে পারে। শীতের দিনগুলোতে আমরা সবাই কিছুটা অলস হয়ে যাই। গরমের সময় এলে সবাই গা-ঝাড়া দিয়ে উঠি যেন। এসময় বাইরে বেশি যাওয়া হয়। এছাড়া হাঁটা, দৌঁড়, ব্যায়ামের মতো কার্যকলাপও বেশি হয়। যদিও সক্রিয় থাকা উপকারী তবে অত্যধিক শারীরিক পরিশ্রম, বিশেষ করে উচ্চ তাপে, ডিহাইড্রেশন এবং অতিরিক্ত গরমের কারণ হতে পারে। এর ফলে মাথাব্যথা আরও বেড়ে যায়।

post
সংবাদ

রোগীর তথ্য না দিলে পরীক্ষার অনুমোদন বাতিল

বেসরকারি হাসপাতালগুলো থেকে নিয়মিত ডেঙ্গু রোগীর তথ্য না দিলে পরীক্ষার অনুমোদন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেছেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো থেকে ঠিকমতো তথ্য আমাদের কাছে পৌঁছে না। কোভিডের সময় অনেকে কোভিড টেস্টের রিপোর্ট আমাদের দেননি, ডেঙ্গুতেও এমনটা হচ্ছে। কিন্তু এমন হতে থাকলে আমরা পরীক্ষা অনুমোদন বাতিল করে দিব। মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর আইসিডিডিআর,বিতে স্ত্রেন্দেনিং টিউবারকিউলোসিস পাবলিক-প্রাইভেট মিক্স ফর অ্যানহ্যান্সড পলিসি অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড প্রাইভেট সেক্টর এনগেজমেন্ট শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বেসরকারি তথ্যগুলো আমাদের কাছে যথাযথভাবে না আসার কারণে সমস্যাগুলো ডিটেক্টেড হচ্ছে না, এমনকি ডিটেক্টেড না হওয়ায় রিপোর্টেডও হচ্ছে না। কিন্তু সংক্রামক ব্যাধি আইন অনুযায়ী যে কোনো সংক্রামক রোগ শনাক্ত হলে সরকারকে অবশ্যই জানাতে হবে। কিন্তু এটা ঠিকমতো জানানো হচ্ছে না। এমনটা হতে থাকলে আমরা আর টেস্টের অনুমোদন দেব না। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও আমাদেরকে এই বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিতে বলেছেন। তিনি বলেন, এখনো ৩১ শতাংশের বেশি মানুষ যক্ষ্মা শনাক্তের বাইরে, এটি খুবই আশঙ্কাজনক। উচ্চবিত্ত শ্রেণি সর্দিকাশিতে হাসপাতালে যায়, কিন্তু নিম্নবিত্ত শ্রেণি সবসময় কাশি হলেই ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খেয়ে ফেলে। অথচ ওইসব রোগীদের যক্ষ্মা হওয়ারও ঝুঁকি থাকে। কিন্তু ফার্মেসিগুলোতে এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এজন্য ওষুধের দোকানগুলোকে কীভাবে আওতায় আনা যায়, সেটা আমাদের ভাবতে হবে। এই সেক্টরটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

post
সংবাদ

বাসায় সেলিভা টেস্ট প্রোস্টেট ক্যান্সার নির্ণয় বেশি কার্যকর

হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষার চেয়ে বাসায় সেলিভা টেস্ট প্রোস্টেট ক্যান্সার নির্ণয়ে বেশি কার্যকর বলে জানানো হয়েছে এক গবেষণায়। এ টেস্ট বংশগত প্রোস্টে ক্যান্সার নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ লন্ডন এবং রয়েল মার্চডেন এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট পরিচালিত এ গবেষণায় বলা হয়েছে, বাড়িতে বসে প্রোস্টেট ক্যান্সার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেলে তা নিরাময়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব। এতে বলা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার মানুষ প্রতি বছর প্রোস্টেট ক্যান্সারে মারা যায় ব্রিটেনে। এখনো এ গবেষণা প্রতিবেদন কোন জার্ণালে প্রকাশ করা হয়নি। তাতে বলা হয়েছে,রক্ত পরীক্ষা পুরোপুরি প্রোস্টেট ক্যান্সার নির্ণয়ের উপযোগি নয়। এছাড়া ব্রিটেনে প্রোস্টেট ক্যান্সার নির্ণয়ের কোন স্ক্রীনিং প্রকল্পও নেই। ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রোস্টেট ক্যান্সার নির্ণয়ে সেরিভা টেস্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণায়।

post
লাইফ স্টাইল

কাঁঠাল খাবেন যে কারণে

কাঁঠাল খাওয়ার রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। কেউ কেউ কাঁঠাল খেতে পছন্দ করেন না। তবে এর গুণ জানা থাকলে নিয়মিত খাবেন নিশ্চয়ই। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, কাঁঠাল প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস। এটি ভিটামিন এ, সি এবং বি-কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ, যা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাঁঠালে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টি এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। বি৬, নিয়াসিন এবং রিবোফ্লাভিন সহ বি-কমপ্লেক্স ভিটামিনগুলো শক্তি বিপাকের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন কাঁঠাল খাওয়া উপকারী- ফাইবার হজমের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য কারণ এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং নিয়মিত অন্ত্রের চলাচল বজায় রাখে। এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখে যা স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে। কাঁঠালের মধ্যে প্রিবায়োটিকও রয়েছে, যা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার খাবার হিসেবে কাজ করে। স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম সামগ্রিক হজম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্যাধি প্রতিরোধ করতে সহায়ক। কাঁঠালের উচ্চ ভিটামিন সি উপাদান এটিকে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি চমৎকার উপায় করে তোলে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেসের গবেষণা অনুসারে, ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিক্যাল দূর করে সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। নিয়মিত কাঁঠাল খেলে তা শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

post
লাইফ স্টাইল

সবচেয়ে উপকারী ৫ শাক

আমাদের দেশি বিভিন্ন শাক নিয়মিত খেলে সুস্থতা নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। শরীর ঠান্ডা রাখা থেকে শুরু করে পেট পরিষ্কার- অনেক উপকারিতা মিলবে ভাতের পাতে শাক রাখলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সবচেয়ে উপকারী ৫টি শাক সম্পর্কে- উপকারী শাকের তালিকা করলে উপরের দিকেই থাকবে পালং শাকের নাম। এই শাকে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে। সেইসঙ্গে আরও পাওয়া যায় ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ। তাই গরমে তো বটে, সারাবছরই এই শাক রাখা উচিত খাবারের তালিকায়। বেতো শাক চিনতে পেরেছেন নিশ্চয়ই? পুকুরপাড়ে অযত্নেই বেড়ে ওঠে এই শাক। এখন অবশ্য অনেক জায়গায় চাষও করা হয়। নিয়মিত বেতো শাক খেলে তা শরীরকে সুস্থ রাখতে কাজ করে। কারণ এই শাকে থাকে প্রচুর প্রোটিন, সোডিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই শাক নারীদের পিরিয়ড সংক্রান্ত নানা সমস্যায়ও বেশ কার্যকরী। চিংড়ি দিয়ে পুইঁ শাকের চচ্চরি এড়িয়ে যেতে পারবেন? নিশ্চয়ই না! এই শাক যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিকর। এতে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত পুঁই শাক খেলে তা হাড় মজবুত করে এবং বাতের সমস্যা দূর করে। ডাটা শাক ভাজি আর একথালা গরম ভাত হলে আর কী চাই! সুস্বাদু এই শাক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি কেবল হাড়কে শক্তই করে না বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও দারুণ কার্যকরী। ডাটা শাকে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। মূলা শাকে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড এবং ফসফরাস। এসব উপকারী উপাদান পাইলস এবং আর্থ্রাইটিসের মতো অনেক গুরুতর অসুস্থতা থেকে দূরে রাখতে কাজ করে।

post
সংবাদ

এ প্লাস ক্যাম্পেইনে রাতকানা নির্মূল হয়েছে

ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল হওয়ায় দেশে রাতকানা রোগ প্রায় নির্মূল হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার (১ জুন) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বছরে দুইবার ৯৮ শতাংশ শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ানোর ফলে এর অভাবজনিত অন্ধত্বের হার এক শতাংশের নিচে নেমে এসেছে এবং শিশুমৃত্যুর হারও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখতে হবে। তিনি বলেন, সকাল থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দেশবাসী সবার কাছে আবেদন একটি শিশুও যেন বাদ না পড়ে। যাদের ঘরে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু আছে সেই সব মা-বাবা এবং অভিভাবকরা যেন অবশ্যই তাদের শিশুদের নিকটস্থ কেন্দ্রে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান। এবার প্রায় দুই কোটি ২২ লাখ শিশুকে দিনব্যাপী এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ। ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও প্রায় ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এই আয়োজনে যুক্ত আছেন।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

পর্বত স্বাভাবিক থাকলে আমরা ভালো থাকব

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পাহাড় পর্বত স্বাভাবিক থাকলে আমরা ভালো থাকব। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এই পাহাড়গুলোকে সংরক্ষণ করা অপরিহার্য। জলবায়ু পরিবর্তন পর্বত, হিমবাহ এবং প্রতিবেশ ব্যবস্থার জন্য উল্লেখযোগ্য হুমকি সৃষ্টি করে। হিমবাহের গলে যাওয়া জীববৈচিত্র্য এবং পানির ওপর নির্ভরশীল লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকাকে প্রভাবিত করে। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার তাগিদ দেয়। শুক্রবার (৩১ মে) মাউন্ট এভারেস্ট দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে নেপাল দূতাবাসের আয়োজনে 'মাউন্টেন মেমোরিজ: কানেক্টিং পিক্স অ্যান্ড পিপল' শীর্ষক ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাবের চৌধুরী বলেন, মেধাবী ফটোগ্রাফারদের ছবিগুলো আমাদের জীবনে প্রকৃতির গভীর প্রভাবের কথা মনে করিয়ে দেয় এবং সেই পরিবেশকে লালন ও রক্ষা করতে অনুপ্রাণিত করে। পর্বত আমাদের সীমানা পেরিয়ে নেপাল ও অন্যান্য জাতির সঙ্গে পরিবেশগত স্থায়িত্ব ও জলবায়ু স্থিতিশীলতার প্রতিশ্রুতিতে একত্রিত করে। মন্ত্রী ফটোগ্রাফারদের শিল্পকর্মের জন্য প্রশংসা করে বলেন, আপনাদের কাজ কেবল আমাদের আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত করে না, বরং আমাদের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.