post
লাইফ স্টাইল

বেশিরভাগ পুরুষ দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেন, এর ফলে যা হয়

অনেক পুরুষ দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশে ছেলেদেরকে শিশুবেলা থেকেই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা শেখানো হয়। দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা একটি ব্রিটিশ পদ্ধতি। আমাদের দেশের আধুনিক অফিসগুলোতে পুরুষদের দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার ব্যবস্থা রাখা হয়। এই পদ্ধতি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় বলে মত দিয়েছেন গবেষকেরা। একটি গবেষণায় দেখা গেছে— দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে দিনে দিনে প্রস্রাবের বেগ বা গতি কমে আসে। এতে পেলভিক পেশির ক্ষতি হয়। নিয়মিত দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার ফলে প্রস্টেট গ্রন্থি বাড়তে থাকে। এর ফলে নানারকম রোগ হতে পারে। তা ছাড়া দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে মূত্রথলির মধ্যে জমা দূষিত পদার্থগুলো নীচের দিকে চলে যাওয়ায় শরীর থেকে বের হতে পারে না। দিনে দিনে সেগুলো জমে। ফলে প্রস্রাব করার সময় মূত্রথলিতে চাপ অনুভব হতে পারে। দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার ফলে পুরুষের অস্থিরতা বাড়তে পারে। হতে পারে রক্তচাপ। এ ছাড়া হৃদস্পন্দনের অস্বাভাবিক গতি বৃদ্ধি পেতে পারে। দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার আরও অনেক ক্ষতি আছে। সেগুলো হলো কিডনিতে পাথর হতে পারে। এমনকি এই অভ্যাসের ফলে ডায়াবেটিস এবং জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। চিকিৎসকেরা বলেন, অফিসে আধুনিক ব্যবস্থা থাকলেও বসে প্রস্রাব করার ব্যবস্থাও থাকে। বসে প্রস্রাব করার অভ্যাস একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। পুরুষদের উচিত এই অভ্যাস রপ্ত করা।

post
আন্তর্জাতিক

আরো চাপ বেড়েছে এনএইচএস এর জরুরী চিকিৎসা বিভাগে

আরো চাপ বেড়েছে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা খাত-এনএইচএস এর জরুরী চিকিৎসা বিভাগে। গেলো জুন এবং জুলাই মাস ছিলো জরুরী বিভাগের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়। বেড়েছে অপেক্ষমান রোগীর পরিমান। গত জুন মাসে অপেক্ষায় থাকা রোগী ছিলো ৭ দশমিক ছয় দুই মিলিয়ন। যার মধ্যে অপারেশনের রোগী ছিলো বেশি। প্রায় ৫৮ হাজার রোগী আছেন যারা চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছেন ৬৫ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। এনএইচএস প্রধান বলেছেন, তারা খারাপ সময় পার করছেন। জুন এবং জুলাই মাসে এএন্ডইতে গেছেন ৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন রোগী। যা অতীতের চেয়ে অনেক বেশি। হেলথ সেক্রেটারী ওয়েস্ট স্ট্রীটিং বলেছেন, সংকট সমাধানে আরো সময় লাগবে।

post
লাইফ স্টাইল

ঝটপট তৈরি করতে পারেন মোগলাই পরোটা

সকালে কিংবা সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গে মোগলাই পরোটা আমাদের সবারই পছন্দের একটি খাবার। কিন্তু বাড়িতে খুব কমই করা হয়। কারণ অনেকেই বলেন রেস্টুরেন্টের মতো মজার হয় না খেতে, কিন্তু এবার থেকে হবে।সহজে তৈরি করা যায়, এমন পারফেক্ট রেসিপি জেনে নিন: ময়দা- দুই কাপ, তেল- তিন চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি- এক চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি- দুই চা চামচ, ডিম- তিনটি, লবণ ও পানি পরিমাণমতো, ভাজার জন্য তেল। যেভাবে তৈরি করবেন , প্রথমে ময়দা, লবণ ও তেল একসাথে মিশিয়ে হালকা গরম পানি দিয়ে মেখে আধাঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন। পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, ডিম ও লবণ একসঙ্গে ফেটে নিন। এবার পিঁড়িতে তেল মেখে বানানো খামির পরিমাণ ময়দা নিয়ে রুটি বেলে নিন। রুটির মাঝে ফেটানো ডিম ছড়িয়ে দিয়ে চার পাশ ভাঁজ করে নিন। ভাঁজটা এমন হতে হবে যেন ভেতরের ডিম বাইরে বেরিয়ে না আসে। এবার মাঝারি আঁচে একটা ছড়ানো ফ্রাই প্যানে ডুবোতেলে সাবধানে পরোটা বাদামি করে ভেজে নিতে নিন। ছুরি দিয়ে কেটে পছন্দের সালাদ বা সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন গরম গরম মোগলাই পরোটা।

post
লাইফ স্টাইল

মাছির উপদ্রব থেকে বাঁচার উপায়

১. মাছি তাড়াতে ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। ফল, শাকসবজি ভালোভাবে ধুয়ে রাখুন। আবার খাওয়ার বা রান্নার আগে দু-তিনবার ধুয়ে নিতে হবে। বাড়িতে বেশি পাকা ফল থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলুন, সামান্য পচন ধরলেও বাড়িতে না-রেখে তা ফেলে দিন। অধিক পাকা ফল মাছিদের সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে।২. অনেকেই বাড়ির বাইরে আবর্জনার ফেলেন। এ ক্ষেত্রে ঢাকনাযুক্ত পাত্রে ঘরের ময়লাআবর্জনা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ আবর্জনা থাকলে মাছির উপদ্রব বেড়ে যায়। একই সঙ্গে কোনোভাবেই আবর্জনা জমতে দেওয়া যাবে না। মাছি এই আবর্জনার স্তূপেই ডিম পাড়ে। তাই আবর্জনা জমতে না দেওয়াই ভালো। বাড়িতে আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন থাকলেও, সেটিও ঢাকা দিয়ে রাখবেন। ৩. প্রতিদিন ভালোভাবে রান্নাঘর পরিষ্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রিজের নিচে বা আশপাশে পরিষ্কার রাখুন, যাতে এখানে কোনোভাবে খাবার পড়ে না থাকে বা পাকা ফলের রস লেগে মাছিদের আকৃষ্ট করতে না পারে। রান্নাঘরে গ্যাস ওভেনের ওপরেও রান্নার সময় খাবারদাবার লেগে যায়। এই সমস্ত স্থানই মাছিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে। অতএব প্রতিবারের ব্যবহারের পর গ্যাস ওভেন পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। ৪. মশার মতো হাত দিয়ে মাছি মারা যায় না। তবে চাইলে মাছিও মারা সম্ভব। এর জন্য একটি গ্লাসে সামান্য অ্যাপেল সিডার ভিনিগার নিন। এর পর গ্লাসের মুখটি সেলোফেন পেপার দিয়ে মুড়িয়ে দিন। এবার একটি টুথপিক দিয়ে সেলোফেন পেপারের মাঝে একটি ফুটো করুন। এই ফুটোর মধ্যে দিয়ে একটি মাছি গলে যেতে পারে, তেমন বড় ছিদ্র করুন। লক্ষ্য রাখবেন, ফুটো এমন হবে, যার মধ্য দিয়ে মাছি ঢুকতে পারে, কিন্তু বেরোতে পারে না। ভিনিগারের মিষ্টি গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে ভেতরে ঢুকে আটকে যাবে মাছি। যে স্থানে সবচেয়ে বেশি মাছির আনাগোনা লেগে থাকে, সেখানে এটি রাখুন।

post
লাইফ স্টাইল

দুপুরে খাওয়ার পরেই ঘুম পেলে কী করবেন?

অনেকেরই দুপুরে খাওয়ার পর পর ঘুম আসে। বিছানায় কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলে স্বস্তি লাগে। কিন্তু অফিসে থাকলে দেখা দেয় বিপত্তি। সাধারণত ভারী খাবার খেলে এমন অনুভূতি বেশি হয়। খাবার যত ভারী হবে, তত বেশি ইনসুলিন তৈরি হবে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির করতে পারে।খাওয়ার পরে অল্প হাঁটাহাঁটি করলে এই সমস্যা দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায়। শক্তির মাত্রা ধরে রাখতে প্রতি খাবারের পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটুন। খাবারের পদ্ধতিতে একটু পরিবর্তন আনুন। খাবারের প্রথম অংশটি স্যালাড দিয়ে শুরু করতে পারেন। শারীরিক পরিশ্রম খুব কম করলেও দুপুরে খাবার খেয়ে ঘুম আসবে। সেই জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন, যা ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করবে। প্রতিদিনই দুপরের খাওয়ার পর ঘুম আসলে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ গ্রহণ করুন। খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। যথেষ্ট ঘুম ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

post
লাইফ স্টাইল

কোষ্টকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে রাখুন ফলগুলো

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে আমাদের দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার ওপর বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এই সমস্যা থাকলে সব খাবার খাওয়া যায় না। নির্দিষ্ট কোনোও নিয়ম মেনে না চললে সমস্যা আরও দ্বিগুণ হয়ে উঠতে পারে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের ঘরোয়া খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকরা। কয়েকটি ফল বেশ কাজে দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে। যেমন-পেঁপে পুষ্টিবিদদের মতে, পেটের ময়লা পরিষ্কার করতে পেঁপে বেশ উপকারী। এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ, এতে প্যাপেইন নামক একটি এনজাইম রয়েছে। যা হজমের উন্নতি করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আপেল খোসা ছাড়ানো আপেল খাওয়া পেটের জন্য ভীষণ উপকারী। কারণ, আপেলে থাকা ফাইবার অন্ত্রের গতি বাড়াতে সহায়ক। এছাড়াও এতে রয়েছে পেকটিন, যা মলত্যাগের উন্নতি ঘটিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। নাশপাতি পুষ্টিগুণে ভরপুর নাশপাতি। এটি পেট সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে কার্যকর। ফাইবার, ফ্রুক্টোজ এবং সরবিটলের মতো উপাদানগুলি নাশপাতিতে পাওয়া যায়। যা অন্ত্রের গতি বাড়ায়। আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট সম্পর্কিত সমস্যা থাকে, তবে আপনি এটি আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন। কিউই এই ফলে ভালো পরিমাণে জল ও ফাইবার রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে অ্যাক্টিনিডিন নামক এনজাইম রয়েছে, যা প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে। সঙ্গে হজম এবং মলত্যাগে সাহায্য করে।

post
লাইফ স্টাইল

ডেঙ্গু নাকি সাধারণ জ্বর- বুঝবেন যেভাবে!

বর্ষা আসতেই বেড়ে যায় ডেঙ্গুর প্রকোপ। এডিস মশাবাহিত ভাইরাসজনিত জ্বর হলো ডেঙ্গু। ডেঙ্গুর উপসর্গ হলো- জ্বর, পেশি ব্যথা, শরীর ব্যথা, দুর্বলতা ইত্যাদি। তবে এখন জ্বর হলেই সেটি সাধারণ জ্বর নাকি ডেঙ্গু বা করোনা কি না তা বুঝার উপায় নেই শুরুতেই। তাই চিকিৎসায় অনেকটাই দেরি হয়ে যায়।তবে জ্বর হলেই ধরে নেওয়া যাবে না সেটা ডেঙ্গু জ্বর।এর আলাদা কিছু লক্ষণ আছে। যেগুলো শরীরে দেখা দিলে বুঝতে হবে সাধারণ জ্বর নয় বরং ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময় জ্বর হলেই উদ্বিগ্ন না হয়ে বরং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ডেঙ্গুর তিনটি ধরন আছে। ক্লাসিক্যাল, হেমোরেজিক, শক সিনড্রোম। জেনে নিন ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো- ডেঙ্গুর ক্লাসিক্যাল জ্বরের লক্ষণ কী কী? ১. ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর ও সেই সঙ্গে সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়ে থাকে। ২. জ্বর ১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে। ৩. তীব্র পেটে ব্যথাও হতে পারে। ৪. শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি এবং মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা হয়। ৫. এছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। ৬. এই জ্বরের আরেক নাম ‘ব্রেক বোন ফিভার’। ৭. জ্বর হওয়ার ৪ বা ৫ দিনের সময় সারা শরীরজুড়ে লালচে দানা দেখা যায়, যাকে বলা হয় স্কিন র্যাশ। যা অনেকটা এলার্জি বা ঘামাচির মতো। ৮. পাশাপাশি বমি বমি ভাব, এমনকি বমিও হতে পারে। ৯. রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে ও রুচি কমে যায়। ১০. সাধারণত ৪ বা ৫ দিন জ্বর থাকার পর তা এমনিতেই চলে যায়। কারও ক্ষেত্রে ২ বা ৩ দিন পর আবারো জ্বর আসে। যাকে বাই ফেজিক ফিভার বলে।

post
লাইফ স্টাইল

সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি বাড়ে যে ৩ কারণে

সম্পর্কে ভালোবাসা থাকলে থাকবে মান-অভিমান কিংবা ভুল বোঝাবুঝিও। ভালোবাসার এই অংশকে মেনে নিয়েই আমরা এগিয়ে যাই। কিন্তু মাঝে মাঝে হওয়া এক কথা আর ভুল বোঝাবুঝি লেগেই থাকা আরেক কথা। একে অন্যকে বুঝতে না পারলে সেই সম্পর্ক থেকে আর কী-ই বা পাওয়ার থাকে?আমরা বেশিরভাগই মনে করি যে, মুখে না বললেও অপরপক্ষ ঠিকই বুঝে নেবে। কিন্তু আমরা নিজের মনের কথাই কি সব বুঝতে পারি? সেখানে আরেকজনকে না বলতেই সে বুঝে নেবে, এমনটাই আশা করাই বোকামি। কেউ কেউ আবার বলতে চেয়েও নিজের কথা গুছিয়ে বলতে পারেন না। যে কারণে বাড়তে থাকে ভুল বোঝাবুঝি। এছাড়াও ভুল বোঝাবুঝি বৃদ্ধি পাওয়ার আছে আরও কিছু কারণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক- সঙ্গী মানে প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। সঙ্গী মানে যিনি আপনার সঙ্গে আছেন, আপনার সুখ ও দুঃখের অংশীদার। তাই তার ভুলগুলোর সমালোচনা করা বন্ধ করুন। এর বদলে কোথায় তার ভুল হচ্ছে তা তাকে বুঝিয়ে বলুন। আপনি যদি অনবরত তাকে আক্রমণ করে কথা বলতে থাকেন তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই তার কাছ থেকে সম্মান আশা করতে পারবেন না। তাই অপরপক্ষ থেকে ভালোবাসা পেতে চাইলে তাকেও ভালোবাসা ও সম্মান জানানো জরুরি। যদি চান সে আপনাকে বুঝুক, তাহলে তাকেও বোঝার চেষ্টা করতে হবে। নিজে দোষ থেকে বাঁচতে সঙ্গীকে দোষারোপ করেন? যেকোনো ভুলের দায় তার কাঁধে ঠেলে দেন? এমনটা করতে থাকলে নিজেকে হয়তো সাময়িক কিছু ঝামেলা থেকে রক্ষা করতে পারবেন কিন্তু আপনাদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে। তাই দোষারোপ বন্ধ করুন। এমনকী যদি সে সত্যিই দোষ করেও থাকে তবে তাকে শোধরানোর জন্য বুঝিয়ে বলুন। এক্ষেত্রে আপনার দোষারোপ করার অভ্যাস থাকলে তা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করবেই।

post
লাইফ স্টাইল

গর্ভাবস্থায় যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলো প্রথম ত্রৈমাসিকের সময়য়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ মহিলারা ৫-৬ সপ্তাহের মধ্যে লক্ষণগুলো অনুভব করেন। এই সময়ে হবু মায়ের নিজের সর্বোচ্চ যত্ন নেওয়া এবং উপসর্গগুলো বুঝতে পেরে সে অনুযায়ী চলা গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে হবু মায়ের শরীরে অনেক পরিবর্তন হয়। এর মধ্যে রয়েছে- স্তনের পরিবর্তন,ক্লান্তি,ঘন ঘন মূত্রত্যাগ, মেজাজ পরিবর্তন, ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া ও বমি বমি ভাব।গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলো প্রতিরোধ করার কোনো উপায় নেই, কারণ এগুলো গর্ভাবস্থায় শরীরে ঘটে যাওয়া রূপান্তরের একটি অংশ। তবে উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণ করার এবং যাত্রা সহজ করার উপায় রয়েছে। মায়ো ক্লিনিকের মতে, মর্নিং সিকনেস প্রথম ত্রৈমাসিক জুড়ে এবং কখনও কখনও তার পরেও স্থায়ী হতে পারে। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসের বিভিন্ন সমস্যা সহজ করার কিছু উপায় চলুন জেনে নেওয়া যাক- ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ সুষম খাদ্যের দিকে মনোযোগ দিন। ক্লান্তি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য মোকাবিলায় হাইড্রেটেড থাকুন। অল্প পরিমাণে বার বার খান। এটি আপনার বমি বমি ভাব নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। আদা চা বা মিছরিযুক্ত আদা বেছে নিন, কারণ আদা বমি বমি ভাব বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। শিশুর জন্মপূর্ব ভিটামিন ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে যা ভ্রূণের বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এসময় চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ করুন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে কোনো ওষুধ খাবেন না।

post
লাইফ স্টাইল

যেসব কারণে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে

গর্ভধারণের আকাঙ্ক্ষা কারও কারও ক্ষেত্রে অধরা থেকে যায়। এমন অনেক নারী আছেন যারা অনেকদিন ধরে চেষ্টা করেও গর্ভধারণে সফল হতে পারছেন না। অনেক কারণেই এমন সমস্যা হতে পারে। সেসব কারণ সম্পর্কে জানা থাকলে সমস্যা খুঁজে বের করা এবং তার সমাধান করা সহজ হতে পারে। এক্ষেত্রে কারণগুলো জেনে সে অনুযায়ী সতর্ক থাকতে হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন কারণে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে-জরায়ুর আকৃতি অনেক সময় গর্ভধারণ না হওয়ার পেছনে সেই নারীর জরায়ুর আকৃতি দায়ী হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জরায়ুর আকৃতি যদি সঠিক না হয় তাহলে তা অনেক সময় ডিম্বাশয়ের নিষেক প্রতিরোধ করতে পারে। যে কারণে গর্ভধারণে সফলতা আসে না। আবার ডিম্বাশয়ের আকৃতি সঠিক না হলেও একই সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুরুষের স্বাস্থ্য গর্ভধারণ না হওয়ার পেছনে যে কেবল নারীর স্বাস্থ্যই দায়ী তা কিন্তু নয়। অনেক সময় এক্ষেত্রে পুরুষের স্বাস্থ্যও দায়ী হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপর্যাপ্ত শুক্রাণু সংখ্যা, শুক্রাণুর অস্বাভাবিক গতিশীলতা বা আকৃতি পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। সেইসঙ্গে পুরুষের যদি মদ্যপানের অভ্যাস থাকে কিংবা ডায়াবেটিস থাকে, তবে সেক্ষেত্রেও নারীর গর্ভধারণ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। স্ট্রেস স্ট্রেস শরীরের জন্য নানাভাবে ক্ষতিকর হতে পারে। তার মধ্যে একটি হলো গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, অতিরিক্ত মানসিক চাপ গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই যতটা সম্ভব চাপমুক্ত জীবনযাপন করতে হবে। এক্ষেত্রে স্ট্রেস নারীর থেকে পুরুষকে বেশি প্রভাবিত করে থাকে। বয়স গর্ভধারণের ক্ষেত্রে বয়সও একটি কারণ হতে পারে। কারণ আমাদের বয়সে সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হতে থাকে উর্বরতার হার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীর বয়স ৩৭ পার হলে তাদের ডিম্বানুর গুণগত মান কমতে থাকে। যে কারণে এই বয়সের পর অনেকের ক্ষেত্রে গর্ভধারণ কঠিন হতে পারে। এদিকে পুরুষের বয়স ৪০ পার হলে তাদের শুক্রাণুর উর্বরতাও কমতে থাকে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.