post
এনআরবি লাইফ

দই খাওয়ার উপকারিতা

দই তৈরি হয় দুধ থেকে এবং এটি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন বি -১২, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরা। দইয়ের একটি সুবিধা হলো এটি হালকা এবং দুধের চেয়ে সহজে হজম হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক দই খাওয়ার উপকারিতা- দই একটি দুর্দান্ত প্রোবায়োটিক । এই ভালো এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো অন্ত্রের কার্যকলাপকে উন্নত করতে, স্ফীত পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করতে এবং পেট খারাপের সমস্যা দূর করতে পরিচিত। দই খেলে তা রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং অন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দল দ্বারা পরিচালিত একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম দই খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে। দই খেলে তা আমাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং প্রভাব ফেলে এবং এটি শুষ্ক ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে নিরাময় করে। কিছু নির্দিষ্ট গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার কারণে অনেকেই ব্রণের সমস্যায় ভোগেন। দই একটি অন্ত্রের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে যা স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (AHA) এর উচ্চ রক্তচাপ গবেষণা বৈজ্ঞানিক সেশনে উপস্থাপিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা বেশি চর্বিহীন দই খেয়েছেন তাদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় ৩১ শতাংশ কম। পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টির পাশাপাষি দইয়ের বিশেষ প্রোটিনগুলো উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর হৃদপিণ্ডকে উন্নীত করতে সাহায্য করে।

post
লাইফ স্টাইল

কানের ব্যথা দূর করার উপায়

কানের ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো কানের সংক্রমণ, যা বাইরের, মধ্যম বা ভিতরের কানকে প্রভাবিত করতে পারে। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে ময়লা তৈরি হওয়া, বায়ুচাপের পরিবর্তন, সাইনাস সংক্রমণ এবং আঘাত। কানের ব্যথার একটি সহজ ঘরোয়া প্রতিকার হলো আক্রান্ত কানে উষ্ণ ভাপ প্রয়োগ করা। কানের কাপড় গরম করে বা হট ওয়ার ব্যাগ রাখলে তা ব্যথা উপশম করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন তাপ যেন সরাসরি ত্বকে না লাগে। বরং সুতির ও নরম কোনো কাপড়ে হট ওয়াটার ব্যাগ মুড়িয়ে নিন। আরেকটি কার্যকর প্রতিকার হলো রসুন তেল ব্যবহার করা। রসুনের প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। রসুনের একটি কোয়া থেতো করে তাতে এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি সামান্য গরম করুন এবং তারপর ছেঁকে নিন। আপনি যদি বিমানে থাকেন বা উচ্চ উচ্চতায় গাড়ি চালান এবং আপনার কানে ব্যথা বাতাসের চাপের পরিবর্তনের কারণে ব্যথা হয় তবে চুইংগাম চিবিয়ে নিন। এটি সেই চাপ কমাতে এবং আপনার ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে। তাই ভ্রমণের সময় সঙ্গে চুইংগাম রাখতে পারেন। যদিও এটি অদ্ভুত শোনাতে পারে, তবে বিশ্রাম বা ঘুমিয়ে থাকা আপনার কানের তরল নিষ্কাশন করতে সাহায্য করতে পারে। এটি আপনার কানে চাপ এবং ব্যথা কমাতে পারে। বালিশের স্তুপ দিয়ে বিছানায় আধশোয়া হয়ে অথবা একটু হেলান দিয়ে রাখা আর্মচেয়ারে ঘুমান।

post
লাইফ স্টাইল

রসালো লেবু চেনার উপায়

বাজার থেকে সঠিক ধরনের লেবু বাছাই করাটা অনেক সময় কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। অনেক সময় আমাদের কিনে আনা লেবু হয়তো খুব কাঁচা বা অতিরিক্ত পাকা হয়ে যায়, যা রান্নায় ব্যবহার করা অসম্ভব হতে পারে। আপনিও যদি মাঝে মাঝে এমন ভুল করে থাকেন তবে আগেভাগেই জেনে নিন রসালো লেবু চেনার উপায়- এটি সম্ভবত রসালো লেবু বাছাই করার সবচেয়ে সহজ উপায়। সব সময় মনে রাখবেন যে লেবু যত ভারী হবে, তত রসালো হবে। সুতরাং প্রতিটি লেবু বাছাই করার সময় সেগুলোর ওজন দেখে নিন। একই আকারের অন্য লেবুর সঙ্গে তুলনা করুন। এতে সহজেই বুঝতে পারবেন কোন লেবুটি বেশি রসালো। এটি আপনাকে খুব সাবধানে করতে হবে। ওজন চেক করার পর লেবু আলতো করে চেপে দেখুন নরম হয়েছে কিনা। নরম লেবু মানে বেশি রসালো এবং ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। তবে মনে রাখবেন, ফলটি খুব জোরে চাপবেন না কারণ তাতে এটি সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। লেবু বাছাই করার সময় সেটির খোসা পরীক্ষা করুন। যদি লেবুর ত্বক খসখসে দেখায় তাহলে বুঝবেন, ফলটি পুরোপুরি পরিপক্ক হয়নি। লেবু এমন হলে তা রেখে অন্য লেবুর খোঁজ করুন যার খোসা মসৃণ। লেবু পরিপক্ক হলে খোসাও মসৃণ হয়। আর পরিপক্ক লেবু মানে তাতে রসও বেশি থাকবে। এর পরে লেবুর রঙ খেয়াল করতে হবে। উজ্জ্বল এবং হালকা হলুদ দেখতে হলে সেই লেবু বাছাই করুন। কারণ এ ধরনের লেবু পরিপক্ত ও রসালো হবে। তাই লেবুর রঙের দিকে ভালোভাবে নজর দিন। তবে খুব বেশি হলুদ হয়ে গেলে সেই লেবু কিনবেন না। কারণ তাতে লেবু অতিরিক্ত পাকা হতে পারে।

post
লাইফ স্টাইল

আম খাওয়া কতটা স্বাস্থ্যকর?

আম খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি, কিন্তু এতে থাকা উচ্চ ক্যালোরির কারণে এটি স্থূলতার কারণ হতে পারে। তবে বিভিন্ন পুষ্টি ও খনিজ উপাদানের উপস্থিতির কারণে এটি স্বাস্থ্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এর পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতাও কম নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কলা, তরমুজ বা আঙুরের মতো ফলের তুলনায় আমের ক্যালোরি অনেক বেশি। তবে এতে উচ্চ মানের পুষ্টিরও রয়েছে, যা সাধারণত এতে থাকা ক্যালোরির দিকটা আড়াল করে দেয়। আমের ক্যালোরি বেশি, কিন্তু পরিমিত খাওয়া হলে তা খুবই স্বাস্থ্যকর প্রমাণিত হতে পারে। ডাঃ রূপালীর মতে, আমরা সাধারণত ফল বা সবজির ক্যালোরিকে স্বাস্থ্যকর বা অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করার মানদণ্ড হিসাবে সেট করি। একটি আমের ক্যালোরির মান প্রতি গ্রামে প্রায় ২ ক্যালোরি, তাই আমরা যদি প্রায় ১০০ গ্রাম আম খাই, তাহলে প্রায় ২০০ ক্যালোরি খাই। ডিকে পাবলিশিং হাউসের হিলিং ফুডস বই অনুসারে, আমের ঔষধি গুণ রয়েছে। আমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি। আর তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করতে এবং হজমে সহায়তা করতে কাজ করে এই ফল। পুষ্টিবিদ জসলিন কৌরের মতে, কমলার চেয়ে আমে ভিটামিন সি বেশি থাকে। মজার ব্যাপার, তাই না? যেখানে একটি কমলায় প্রায় ৭০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে, সেখানে আমে থাকে ১২২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে জেক্সানথিন থাকে। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চোখকে সুস্থ রাখে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

post
এনআরবি লাইফ

ক্যান্সার থেকে বাঁচতে সচেতন হওয়ার তাগিদ

বাংলাদেশে প্রতি বছর দেড় লাখেরও বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়াও প্রায় ৯১ হাজারের মানুষ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে মারা যাচ্ছেন, যার মধ্যে বড় একটা অংশ ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও শান্তি ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা সিমিন হোসেন (রিমি)। তিনি বলেন, দেশে ২০৩০ সালের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে যার মূল ভুক্তভোগী হবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের জনগণ। তাই বাঁচতে হলে ওরাল ক্যান্সার সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। শুক্রবার (৩ মে) শান্তি ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ওরাল ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মূলত লিভার, স্তন, কোলন ও ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হন। এরমধ্যে অধিকাংশ ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা জানেন না কিভাবে এই ক্যান্সার সংক্রমিত হয়। ওরাল ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ক্যান্সার অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, পান, জর্দা, গুল ইত্যাদির মাধ্যমে ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এসব দ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকার জন্য প্রতিমন্ত্রী আহ্বান জানান। ওরাল ক্যান্সার প্রতিরোধে রাতে ঘুমানোর আগে ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দেন।

post
ক্যাম্পাস লাইফ

গরমে লাউয়ের উপকারিতা

গরমের দাবদাহে সুস্থ থাকতে গেলে গ্রীষ্মকালীন খাবারই ভরসা। প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পাশাপাশি মৌসুমি ফল ও সবজি গরমের হাত থেকে শরীরকে বাঁচাতে পারে। আর যদি রোজ সকালে লাউয়ের রস খান, গরমের পাশাপাশি অতিরিক্ত মেদের হাত থেকেও মুক্তি পাবেন। গরমের অন্যতম উপকারী সবজি লাউ। গরমে লাউ খেলে কী-কী উপকারিতা মিলবে, জেনে নিন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : রোদে বেরিয়ে রক্তচাপ যে কোনও সময় বেড়ে বা কমে যেতে পারে। দু’টোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। কিন্তু গরমে রোজ লাউ খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। লাউ খেলে প্রেশার ফল্ট করবে না। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে : লাউয়ের মধ্যে হাইড্রেটিং ও কুলিং উপাদান রয়েছে। লাউয়ের রস খেলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকে। এই পানীয় গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। ওজন কমায় : যদি গরমে কম কসরত করে ওজন কমাতে চান, রোজ লাউয়ের রস খান। আয়ুর্বেদের মতে, লাউ খেলে সহজেই ওজন কমে। এই আনাজের মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি এবং ক্যালোরি কম। এছাড়া এই সবজির মধ্যে ভিটামিন বি, কে, এ, ই, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। পেটকে ঠান্ডা রাখে : গরমে পেটের সমস্যা লেগেই থাকে। গরমে বদহজম, গ্যাস, অম্বল, ডায়ারিয়ার মতো সমস্যা এড়াতে লাউয়ের তৈরি খাবার খান। এটি হজম স্বাস্থ্যকে উন্নত করে এবং পাচনতন্ত্রের কাজকে সচল রাখে।

post
এনআরবি লাইফ

যে খাবার দইয়ের সঙ্গে খাবেন না

দই খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতা। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি -২, ভিটামিন বি -১২, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে দইয়ে। তবে এই দইয়ের সঙ্গে কয়েকটি খাবার খাওয়া যাবে না। কোন খাবারগুলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক- গরমের দিনে মাংসের চাইতে বেশি মাছটাই খাওয়া হয়ে থাকে। এসময় রুই-কাতলার মতো মাছ খাওয়া হয় বেশি। অনেকে দই দিয়ে মাছও রান্না করছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাছের সঙ্গে দই খাওয়া চলবে না। কারণ এই দুই প্রোটিন একসঙ্গে পেটে গেলে বাঁধতে পারে বিপত্তি। তাই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গরমের সময়ের অন্যতম আকর্ষণ হলো পাকা আম। এসময় অনেকে দইয়ের সঙ্গে আম চটকে খেতেও পছন্দ করেন। কিন্তু এমনটা করা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা এই দুই খাবার একসঙ্গে খেতে নিষেধ করছেন। কারণ আম ও দই একসঙ্গে খাওয়া শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। খাবারের সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার অভ্যাস বাঙালির পুরোনো। সালাদ কিংবা রায়তা তৈরিতে পেঁয়াজের ব্যবহার হয়ে থাকেই। কিন্তু আপনি যদি দইয়ের সঙ্গে পেঁয়াজ খেয়ে থাকেন তবে তা আপনার শরীরের জন্য উপকারী নাও হতে পারে। তাই রায়তা তৈরিতে পেঁয়াজটা বাদ দিয়ে দিন। ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়া এমনিতেই উপকারী নয়, এর সঙ্গে দই যোগ করে খেলে তা আরও বেশি অপকারী হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাজাপোড়ার সঙ্গে দই খাওয়া এড়িয়ে চলাই উত্তম। তাই কখনোই এই দুই খাবার একসঙ্গে বা পরপর খাবেন না।

post
এনআরবি লাইফ

গরমে ত্বক ভালো রাখার উপায়

ব্রণ এবং ফুসকুড়ি হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত তাপমাত্রা ত্বকের কোষগুলোকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তবে চিন্তা করবেন না, এই গরমে সুন্দর ও সুস্থ ত্বক পেতে আপনাকে সাহায্য করবে কিছু কাজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক গরমে ত্বক ভালো রাখার সহজ ৪ উপায়- এক্সফোলিয়েটিং ত্বকের যত্নের একটি অপরিহার্য অংশ কারণ এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ অপসারণ করতে সহায়তা করে। তবে এক্সফোলিয়েট করার সময় আপনার ত্বকে খুব বেশি ঘষবেন না, কারণ এটি ত্বকের স্তরগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং জ্বালাপোড়া বাড়িয়ে দিতে পারে। স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখার জন্য তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। গ্রীষ্মে তৈলাক্ত বা ভাজা খাবার আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত খারাপ হতে পারে কারণ এটি ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে দেয় যা আরও জেদী পিগমেন্টেশন দাগের কারণ হতে পারে। গ্রীষ্মের সময় আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা অপরিহার্য। তবে ক্যাফেইন জাতীয় এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন। এ ধরনের পানীয়ের পরিবর্তে বিশুদ্ধ পানি, তাজা ফলের রস, ডাবের পানি ইত্যাদি পান করে হাইড্রেট থাকা গুরুত্বপূর্ণ। অত্যধিক ঘাম এড়াতে সিন্থেটিক কাপড় পরা এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে সুতির জামা-কাপড় বেছে নিন। কারণ সুতির পোশাকের মধ্য দিয়ে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে। এর ফলে ত্বকে ঘাম, ফুসকুড়ি এবং চুলকানি প্রতিরোধ করা সহজ হয়।

post
লাইফ স্টাইল

গরমে ৫ খাবার এড়িয়ে চলুন

কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে। তাই গরমের সময়ে সেসব খাবার খেতে হবে বুঝেশুনে। নয়তো অতিরিক্ত ঘামের কারণে আপনি অস্বস্তিতে তো ভুগবেনই, সেইসঙ্গে অসুস্থ হয়ে যাওয়ারও ভয় থাকতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো আপনার ঘাম বাড়িয়ে দিতে পারে- এক কাপ কফি অনেকের জন্য দিন শুরু করার একটি প্রধান জিনিস। পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রার পরামর্শ অনুযায়ী, এই ক্যাফেইনযুক্ত আনন্দের ক্ষেত্রে সংযম গুরুত্বপূর্ণ। ক্যাফেইন আপনার অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। এটি হাতের তালু, পা এবং আন্ডারআর্মের ঘাম বাড়িয়ে দেয়। খুব মসলাদার খাবার খাচ্ছেন এবং হঠাৎ আপনার কপাল এবং উপরের ঠোঁটে ঘাম জমতে শুরু করলো, দৃশ্যটা পরিচিত না? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মসলাদার খাবার আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। মিষ্টি খেতে ভালো তো লাগবেই, তবে সাবধান! এটি স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি ঘামের কারণ হতে পারে। ওয়েবএমডির মতে, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করে। আপনি কি জানেন যে অ্যালকোহল আপনার ঘামের উৎপাদন বাড়াতেও ভূমিকা রাখতে পারে? হেলথলাইনে উল্লিখিত, অত্যাধিক অ্যালকোহল গ্রহণ পেরিফেরাল রক্তনালীগুলোকে প্রশস্ত করে, যা আপনার শরীরে ঘামের সৃষ্টি করে। এই গরমে অনেকেই ঠান্ডা কোমল পানীয়তে চুমুক দিয়ে প্রশান্তি অনুভব করেন। যদিও এটি আপনার তৃষ্ণা মেটাতে পারে, কিন্তু তা সাময়িক। কোমল পানীয় কখনোই শরীরের জন্য ভালো নয়।

post
লাইফ স্টাইল

যখন পেঁপে খাবেন না

তীব্র গরমে একটু সতেজ থাকার জন্য নানা ধরনের ফল নিশ্চয়ই রাখছেন খাবারের তালিকায়? এর ভেতরে পেঁপেও আছে, তাই না? এই গরমে মিষ্টি পেঁপের টুকরা আপনার প্রাণ জুড়াতে বাধ্য। এটি পেট এবং মন দুই-ই ভরায়। কিন্তু কিছু খাবারের সঙ্গে পেঁপে খাওয়া যাবে না। খেয়াল রাখতে হবে সেদিকেও। নয়তো এই গরমে খাবার একটু এদিক-ওদিক হলে আর দেখতে হবে না! চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলোর সঙ্গে পেঁপে খাবেন না কখনোই- বিশেষজ্ঞদের কথায়, উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন রয়েছে এমন খাবারের সঙ্গে পেঁপে না খাওয়াই ভালো। আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন বেশ উপকারী। প্রায় সব বাড়িতেই প্রতিদিন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া হয়। তাই পেঁপে খাওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে এই ফল খাওয়া যাবে না। মাছ, মাংস, ডিমের মতো খাবারের সঙ্গে পেঁপে খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে পেটের সমস্যা হতে পারে। লেবুর সঙ্গে কখনো পেঁপে খাবেন না। দুপুরের স্যালাদে পেঁপে থাকলে তাতে ভুলেও লেবুর রস মেশাবেন না। কারণ এর ফলে শরীরে হিমগ্লোবিন সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে। কমলার সঙ্গেও পেঁপে মিশিয়ে খাওয়া উচিত নয়। এগুলো আলাদা আলাদা সময়ে খাবেন। ক্রিম, চিজের মতো উচ্চমাত্রায় ফ্যাটযুক্ত খাবারের সঙ্গে পেঁপে মিশিয়ে খেলে হতে পারে নানা সমস্যা। খেলেই বিপদ! এ ধরনের খাবার একসঙ্গে খেলে পেটে গোলমাল বাঁধতে সময় লাগবে না। গরমে স্বস্তির জন্য পেঁপে খাচ্ছেন তাই স্বস্তির দিকেই আগে নজর দিতে হবে। এমন কিছুর সঙ্গে এই ফল খাওয়া যাবে না যা একসঙ্গে খেলে ক্ষতিকর।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.