post
লাইফ স্টাইল

সহজ উপকরণ দিয়ে দাঁত কীভাবে ঝকঝকে সাদা করবেন

আকর্ষণীয় হাসির জন্য ঝকঝকে সাদা দাঁতের বিকল্প নেই। ঝকঝকে দাঁত ব্যক্তিত্বে আনে বলিষ্ঠতা। চাইলেই কিন্তু হাতের কাছে থাকা উপকরণ দিয়ে দাঁত ঝকঝকে সাদা করে ফেলতে পারেন। এতে বাড়তি খরচের হ্যাপাও নেই। জেনে রাখুন বিস্তারিত।বেকিং সোডা বেকিং সোডা বা সোডিয়াম বাইকার্বনেটে আছে পরিষ্কারক গুণাবলি। এটি দাঁত থেকে চা–কফির দাগ দূর করতে বেশ কার্যকর। হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসেবে বেশ পরিচিত। এ ছাড়া দাঁত সাদা করতেও ব্যবহার করা হয়। হাউড্রোজেন পার–অক্সাইডে ব্যাকটেরিয়া–গুণও আছে। তাই এটি দিয়ে গরগরা করলে গলাব্যথা দূর হয়। মাড়ির প্রদাহ দূর করতেও কার্যকর। তবে এটি ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি, ব্যবহারের সময় গিলে ফেলা যাবে।দাঁত সাদা করতে যেভাবে বেকিং সোডা ও হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড একসঙ্গে ব্যবহার করবেন উপকরণ ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ২ টেবিল চামচ হাইড্রোজেন পার–অক্সাইডের ৩ শতাংশ দ্রবণ মিশ্রণ তৈরির জন্য ১টি গামলা বা বাটি ১টি টুথব্রাশ মিশ্রণ তৈরি ২ টেবিল চামচ হাইড্রোজেন পার–অক্সাইডের ৩ শতাংশ দ্রবণ একটি গামলা বা বাটিতে নিয়ে তাতে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা যোগ করুন। এরপর পেস্টের মতো যৌগ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত মাখাতে থাকুন। যদি মনে হয়, মিশ্রণটি বেশ পাতলা হয়ে গেছে, তাহলে তাতে আরও বেকিং সোডা যোগ করুন। এভাবে একটি পেস্টের মতো মিশ্রণ তৈরি করুন। ব্রাশ করুন পেস্টের মতো মিশ্রণটি টুথব্রাশে লাগিয়ে ব্রাশ করুন। তবে খুব বেশি জোর খাটিয়ে ব্রাশ করবেন না। ধীরে ধীরে কবজি বৃত্তাকার ঘুরিয়ে ব্রাশ করুন। বেকিং সোডা এমনিতেই পরিষ্কারক, তাই জোরে ব্রাশ করার প্রয়োজন হবে না। কুলকুচি করুন দুই মিনিট ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে কুলকুচি করুন। মুখের ভেতরে যেন পেস্টটি থেকে না যায়। এরপর ভালোভাবে টুথব্রাশটিও ধুয়ে ফেলুন। ধারাবাহিকতা ধরে রাখুন সপ্তাহে কমপক্ষে দু–তিনবার এভাবে ব্রাশ করুন। এতেই উপকার পাবেন। তবে খুব বেশি করতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে। মাড়ির প্রদাহ হতে পারে।

post
লাইফ স্টাইল

পরোক্ষ ধূমপানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে শিশুরা

তামাক প্রাণঘাতি দ্রব্য। তামাকের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ উভয় প্রভাবেই প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে,প্রতি বছর পৃথিবী জুড়ে ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় শুধুমাত্র তামাক গ্রহণের কারণে। এর মধ্যে ১২ লাখ মানুষই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড থেকে প্রকাশিত নিকোটিন অ্যান্ড টোব্যাকো রিসার্চ সাময়িকীর এক প্রবন্ধে উঠে এসেছে পরোক্ষ ধূমপানে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। পরোক্ষ ধূমপানের হাত থেকে শিশু রক্ষায় সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছে নারী মৈত্রীর নারী নেত্রীরা। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নারী মৈত্রীর প্রধান কার্যালয়ে “২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নারীর কণ্ঠস্বর বলিষ্ঠ” করণ শির্ষক প্রশিক্ষণের শেষে এ দাবি জানান তারা। ২০ জন নেত্রীর সমন্বয়ে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বয়ে প্রশিক্ষণের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ আবদুস সালাম মিয়া, প্রোগ্রামস ম্যানেজার, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশ। প্রশিক্ষণে তামাকের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে নারী নেত্রীদের সামনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নারী মৈত্রীর প্রোজেক্ট কোঅর্ডিনেটর নাসরিন আকতার। তিনি জানান, তামাক ব্যবহারের দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন এবং কর্মক্ষেত্র, পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন লাখো মানুষ। বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি’তে স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ। তামাকের মহামারী সম্পর্কিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ধুমপানমুক্ত পরিবেশ এবং তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রণোদনা নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে এখনও সর্বোত্তম মান অর্জন করতে পারেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত প্রস্তাবিত সংশোধনীটি পাশ হলে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতাগুলো দূর হবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র সুপারিশসমূহের কার্যকর বাস্তবায়ন এবং বৈশ্বিক সর্বোৎকৃষ্ট অনুশীলনের আলোকে বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি বৈশ্বিক মানদন্ডে উপনীত হবে।বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে এফসিটিসির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত খসড়ায় যে বিষয়গুলো প্রস্তাব করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সব পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা,তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক পণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা,তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা,ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট আমদানি,উৎপাদন,ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা,তামাক পণ্যের সব প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।শিশুর পাশাপাশি নারী স্বাস্থ্যের জন্যও তামাক অত্যন্ত ক্ষতিকর। শাহীন আকতার ডলি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। যেখানে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।আর তামাকের কারণে প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন ৪৪২ জন মানুষ। এই অকাল মৃত্যু রোধ করতে এবং পরোক্ষ ধূমপানের হাত থেকে নারী-শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ করা অত্যন্ত জরুরী। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নারীর প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস,গর্ভপাত এবং সন্তান জন্মদানে মা ও শিশু উভয়ই মৃত্যুর মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নারী ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের জন্য আমাদের সবার দাবির কণ্ঠস্বর বলিষ্ঠ হতে হবে। আবদুস সালাম মিয়া বলেন,"শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। বিশেষ করে জন্ম থেকেই সংস্পর্শে আসা মানুষগুলোর ভাষা থেকে শুরু করে আচার-ব্যবহারই তারা অনুকরণ করে। শিশুরা যা দেখে তাই শিখে বড় হয়। তাই বাবা,বড় ভাই, চাচা, মামা কিংবা অন্য কেউ ধূমপান করলে সেই শিশুটিও ধূমপানে আকৃষ্ট হয়। তাই এখনি সময় সচেতন হওয়ার।"এছাড়াও ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশের তাগিদ জানান নারী নেত্রীরা। পাশাপাশি তামাকবিরোধী সকল কাজে নারী মৈত্রীর পাশে সর্বদা থাকার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তারা।

post
লাইফ স্টাইল

বেগুন দিয়ে লইট্টা শুঁটকি ভুনা

যা লাগবে: বেগুন- ২০০ গ্রাম, লইট্টা শুঁটকি- ১৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি- ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা- ২ টেবিল চামচ, রসুন কুচি- ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা- ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা- ২ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ- ৪টি, শুকনা মরিচের গুঁড়া- ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ, লবণ- স্বাদমতো ও তেল- পরিমাণমতো। যেভাবে করবেন: প্রথমে শুঁটকি ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে তেলে হাল্কা করে ভেজে নিতে হবে। বেগুন ধুয়ে কেটে নিতে হবে। একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিতে হবে। অতঃপর তাতে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, কাঁচামরিচ বাটা, শুকনা মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, লবণ, অল্প পানি দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে বেগুন ও লইট্টা শুঁটকি দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢেকে দিতে হবে। অন্য একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে রসুন কুচি ও শুকনা মরিচ ভেজে এর ওপর ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার বেগুন দিয়ে লইট্টা শুঁটকি ভুনা।

post
লাইফ স্টাইল

বেশিরভাগ পুরুষ দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেন, এর ফলে যা হয়

অনেক পুরুষ দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশে ছেলেদেরকে শিশুবেলা থেকেই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা শেখানো হয়। দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা একটি ব্রিটিশ পদ্ধতি। আমাদের দেশের আধুনিক অফিসগুলোতে পুরুষদের দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার ব্যবস্থা রাখা হয়। এই পদ্ধতি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় বলে মত দিয়েছেন গবেষকেরা। একটি গবেষণায় দেখা গেছে— দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে দিনে দিনে প্রস্রাবের বেগ বা গতি কমে আসে। এতে পেলভিক পেশির ক্ষতি হয়। নিয়মিত দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার ফলে প্রস্টেট গ্রন্থি বাড়তে থাকে। এর ফলে নানারকম রোগ হতে পারে। তা ছাড়া দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে মূত্রথলির মধ্যে জমা দূষিত পদার্থগুলো নীচের দিকে চলে যাওয়ায় শরীর থেকে বের হতে পারে না। দিনে দিনে সেগুলো জমে। ফলে প্রস্রাব করার সময় মূত্রথলিতে চাপ অনুভব হতে পারে। দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার ফলে পুরুষের অস্থিরতা বাড়তে পারে। হতে পারে রক্তচাপ। এ ছাড়া হৃদস্পন্দনের অস্বাভাবিক গতি বৃদ্ধি পেতে পারে। দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার আরও অনেক ক্ষতি আছে। সেগুলো হলো কিডনিতে পাথর হতে পারে। এমনকি এই অভ্যাসের ফলে ডায়াবেটিস এবং জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। চিকিৎসকেরা বলেন, অফিসে আধুনিক ব্যবস্থা থাকলেও বসে প্রস্রাব করার ব্যবস্থাও থাকে। বসে প্রস্রাব করার অভ্যাস একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। পুরুষদের উচিত এই অভ্যাস রপ্ত করা।

post
লাইফ স্টাইল

পানির বোতল প্রতিদিন পরিষ্কার করা জরুরি যে ৩ কারণে

হাইড্রেটেড থাকা স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। তাই পানি পান করার বোতল প্রতিদিন পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি অতিরিক্ত কাজ বলে মনে হতে পারে, তবে প্রতিদিন আপনার পানির বোতল ধোয়ার অভ্যাস সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করা থেকে শুরু করে অপ্রীতিকর গন্ধ এড়ানো পর্যন্ত, প্রতিদিন ধোয়ার অভ্যাস আপনার বোতলটিকে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর রাখে। প্রতিদিন আপনার পানির বোতল ধোয়ার প্রাথমিক উপকারিতার মধ্যে একটি হলো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি রোধ করা। চলতি বছরের একটি সমীক্ষা অনুসারে, পানির জৈবিক দূষকগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, প্রোটোজোয়া, ছত্রাক এবং তাদের বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে যা গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসের মতো পানিবাহিত রোগের কারণ হতে পারে। ধীরে ধীরে পানির বোতল ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে যদি তা নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয়। ব্যাকটেরিয়া, যেমন ই. কোলাই এবং সালমোনেলা উষ্ণ, আর্দ্র পরিবেশে বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রতিদিন ডিশ ওয়াশার দিয়ে পানির বোতল পরিষ্কার করলে এই ক্ষতিকারক অণুজীব দূর করতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। আপনি কি জানেন যে নিয়মিত পরিষ্কার না করা হলে পানির বোতলের ভেতরে ছত্রাক দ্রুত বিকাশ লাভ করতে পারে? এই ছত্রাকগুলো স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বেড়ে ওঠে। সেই পানি খাওয়া হলে কটু গন্ধ পাওয়া যায় এবং স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। অপরিষ্কার পানির বোতল থেকে পান করলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগ হতে পারে। যেমন বমি বমি ভাব, বমি এবং ডায়রিয়া। একটি নোংরা বোতলে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক পানিকে দূষিত করতে পারে, যা কখনও কখনও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যাগুর কারণ হতে পারে।

post
লাইফ স্টাইল

নাকের দুপাশে দাগ দূর করবেন যেভাবে?

সব সময়ে চশমা পরার কারণে নাকের দুপাশে চাপ পড়ে। এক সময়ে সেই স্থানে কালচে ছোপ প্রকট হয়। এমন দাগ ঢাকতে কনসিলার ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু প্রতিকার বেছে নিতে পারেন। ঘরোয়া উপায়ে সমাধান ১. কমলালেবুর খোসার পাউডারও এক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী। এই পাউডারের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে দুধের সর মিশিয়ে দাগের উপরে লাগান। ভালো কাজ হবে। ২. অ্যালোভেরা জেল নাকের দুপাশের কালচে দাগ দূর করতে বেশ কার্যকরী। তাই আপনি নাকের দুপাশে এই জেল লাগিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন। উপকার পাবেন। ৩. কড়া দাগ মলিন করতে আলুর রসের জুড়ি মেলা ভার। তাই নাকের দুপাশে চশমার দাগ মুছতে অল্প পরিমাণে আলুর রসে তুলো ভিজিয়ে সেই স্থানে লাগাতে পারেন। উপকার পাবেন। ৪. শসার রস লাগাতে পারেন নাকের দুপাশে। এটি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে এবং কালচে ছোপ মলিন করতে সাহায্য করবে।

post
লাইফ স্টাইল

খিচুড়ির সঙ্গে যা খাবেন?

বৃষ্টির দিন খিচুড়ি ছাড়া কী জমে? তবে মাংস বা মাছ যদি বাসায় না থাকে, তাহলে খিচুড়ির সঙ্গে কী খাওয়া যায়? বাসায় পটল থাকলে ছুরি দিয়ে বাইরের অংশ সামান্য চেঁছে নিন। খোসা ছাড়ানোর প্রয়োজন নেই। চেঁছে নেওয়া হলে মাঝখান দিয়ে অর্ধেক করে লবণ, হলুদের গুঁড়া ও মরিচের গুঁড়া মেখে তেলে ভেজে নিন। পেঁয়াজের বেরেস্তা ছিটিয়ে নিন ভাজা পটলের উপরে। বেগুন চাকা করে কেটে লবণ ও হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ভেজে নিন তেলে। ঝটপট তৈরি করে ফেলা যায় মজার এই বেগুন ভাজা। খিচুড়ির সঙ্গে খেতেও লাগে দুর্দান্ত। ভর্তা খেতেও দারুণ লাগে খিচুড়ির সঙ্গে। রসুন ভর্তা, মরিচ ভর্তা, টমেটো ভর্তা, পেঁয়াজ-মরিচের ভর্তা, চিংড়ি ভর্তা কিংবা যেকোনো সবজির ভর্তা পরিবেশন করতে পারেন খিচুড়ির সঙ্গে। টমেটো বেগুনের মতো চাকা করে কেটে অল্প তেলে পোড়া পোড়া করে ভেজে নিন। গরম গরম খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করুন। টমেটো, গাজর ও শসা কুচি করে পেঁয়াজ ও মরিচ কুচি দিয়ে মেখে পরিবেশন করুন খিচুড়ির সঙ্গে। টক আচার বা টক-মিষ্টি থাকলে সেটাও সাজিয়ে নিন খাবার টেবিলে বসার আগে। খিচুড়ির স্বাদ বেড়ে যাবে অনেক গুণ। খাওয়ার আগে এক চামচ ঘি ছড়িয়ে নিন খিচুড়ির উপরে। দুর্দান্ত স্বাদ উপভোগ করুন বৃষ্টির এই দিনে।

post
লাইফ স্টাইল

ঝটপট তৈরি করতে পারেন মোগলাই পরোটা

সকালে কিংবা সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গে মোগলাই পরোটা আমাদের সবারই পছন্দের একটি খাবার। কিন্তু বাড়িতে খুব কমই করা হয়। কারণ অনেকেই বলেন রেস্টুরেন্টের মতো মজার হয় না খেতে, কিন্তু এবার থেকে হবে।সহজে তৈরি করা যায়, এমন পারফেক্ট রেসিপি জেনে নিন: ময়দা- দুই কাপ, তেল- তিন চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি- এক চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি- দুই চা চামচ, ডিম- তিনটি, লবণ ও পানি পরিমাণমতো, ভাজার জন্য তেল। যেভাবে তৈরি করবেন , প্রথমে ময়দা, লবণ ও তেল একসাথে মিশিয়ে হালকা গরম পানি দিয়ে মেখে আধাঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন। পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, ডিম ও লবণ একসঙ্গে ফেটে নিন। এবার পিঁড়িতে তেল মেখে বানানো খামির পরিমাণ ময়দা নিয়ে রুটি বেলে নিন। রুটির মাঝে ফেটানো ডিম ছড়িয়ে দিয়ে চার পাশ ভাঁজ করে নিন। ভাঁজটা এমন হতে হবে যেন ভেতরের ডিম বাইরে বেরিয়ে না আসে। এবার মাঝারি আঁচে একটা ছড়ানো ফ্রাই প্যানে ডুবোতেলে সাবধানে পরোটা বাদামি করে ভেজে নিতে নিন। ছুরি দিয়ে কেটে পছন্দের সালাদ বা সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন গরম গরম মোগলাই পরোটা।

post
লাইফ স্টাইল

মাছির উপদ্রব থেকে বাঁচার উপায়

১. মাছি তাড়াতে ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। ফল, শাকসবজি ভালোভাবে ধুয়ে রাখুন। আবার খাওয়ার বা রান্নার আগে দু-তিনবার ধুয়ে নিতে হবে। বাড়িতে বেশি পাকা ফল থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলুন, সামান্য পচন ধরলেও বাড়িতে না-রেখে তা ফেলে দিন। অধিক পাকা ফল মাছিদের সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে।২. অনেকেই বাড়ির বাইরে আবর্জনার ফেলেন। এ ক্ষেত্রে ঢাকনাযুক্ত পাত্রে ঘরের ময়লাআবর্জনা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ আবর্জনা থাকলে মাছির উপদ্রব বেড়ে যায়। একই সঙ্গে কোনোভাবেই আবর্জনা জমতে দেওয়া যাবে না। মাছি এই আবর্জনার স্তূপেই ডিম পাড়ে। তাই আবর্জনা জমতে না দেওয়াই ভালো। বাড়িতে আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন থাকলেও, সেটিও ঢাকা দিয়ে রাখবেন। ৩. প্রতিদিন ভালোভাবে রান্নাঘর পরিষ্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রিজের নিচে বা আশপাশে পরিষ্কার রাখুন, যাতে এখানে কোনোভাবে খাবার পড়ে না থাকে বা পাকা ফলের রস লেগে মাছিদের আকৃষ্ট করতে না পারে। রান্নাঘরে গ্যাস ওভেনের ওপরেও রান্নার সময় খাবারদাবার লেগে যায়। এই সমস্ত স্থানই মাছিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে। অতএব প্রতিবারের ব্যবহারের পর গ্যাস ওভেন পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। ৪. মশার মতো হাত দিয়ে মাছি মারা যায় না। তবে চাইলে মাছিও মারা সম্ভব। এর জন্য একটি গ্লাসে সামান্য অ্যাপেল সিডার ভিনিগার নিন। এর পর গ্লাসের মুখটি সেলোফেন পেপার দিয়ে মুড়িয়ে দিন। এবার একটি টুথপিক দিয়ে সেলোফেন পেপারের মাঝে একটি ফুটো করুন। এই ফুটোর মধ্যে দিয়ে একটি মাছি গলে যেতে পারে, তেমন বড় ছিদ্র করুন। লক্ষ্য রাখবেন, ফুটো এমন হবে, যার মধ্য দিয়ে মাছি ঢুকতে পারে, কিন্তু বেরোতে পারে না। ভিনিগারের মিষ্টি গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে ভেতরে ঢুকে আটকে যাবে মাছি। যে স্থানে সবচেয়ে বেশি মাছির আনাগোনা লেগে থাকে, সেখানে এটি রাখুন।

post
লাইফ স্টাইল

দুপুরে খাওয়ার পরেই ঘুম পেলে কী করবেন?

অনেকেরই দুপুরে খাওয়ার পর পর ঘুম আসে। বিছানায় কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলে স্বস্তি লাগে। কিন্তু অফিসে থাকলে দেখা দেয় বিপত্তি। সাধারণত ভারী খাবার খেলে এমন অনুভূতি বেশি হয়। খাবার যত ভারী হবে, তত বেশি ইনসুলিন তৈরি হবে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির করতে পারে।খাওয়ার পরে অল্প হাঁটাহাঁটি করলে এই সমস্যা দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায়। শক্তির মাত্রা ধরে রাখতে প্রতি খাবারের পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটুন। খাবারের পদ্ধতিতে একটু পরিবর্তন আনুন। খাবারের প্রথম অংশটি স্যালাড দিয়ে শুরু করতে পারেন। শারীরিক পরিশ্রম খুব কম করলেও দুপুরে খাবার খেয়ে ঘুম আসবে। সেই জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন, যা ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করবে। প্রতিদিনই দুপরের খাওয়ার পর ঘুম আসলে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ গ্রহণ করুন। খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। যথেষ্ট ঘুম ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.