post
বাংলাদেশ

৫০ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল

১৯৭০ সালে নির্মিত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে, সেই ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে, বর্তমান চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। ২০০৩ সালে হাসপাতালটিকে ১শ শয্যায় উন্নীত করা হলেও চিকিৎসা সেবায়,তা বাস্তবায়ন হয়নি এখনও। এদিকে,শীতজনিত কারনে হাসপাতালে প্রতিনিয়ত ভর্তি হচ্ছে,শিশু রোগী। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যে জানা গেছে,চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে শীতজনিত কারনে,নিউমোনিয়া, এ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে পাঁচশোর অধিক শিশুরোগী। এছাড়া,হাসপাতালে নারী পুরুষ ও অন্যান্য ওয়ার্ডে প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের সংখ্যাও বাড়ছে।অসহনীয় পর্যায়ে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে, গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। শীতের হিমেল হাওয়া ও ঠান্ডা উপেক্ষা করে, হাসপাতালের বারান্দায় থেকেও কেউ কেউ নিচ্ছেন,চিকিৎসা সেবা। শিশু ওয়ার্ডে শিশুদের জন্য বরাদ্দকৃত ১৫ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী। অল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে এসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টায় বাচ্চাদের অধিক সতর্কাবস্থায় রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদ ডা. মাহমুদুর রহমান মিলনের। সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন তিনশ’র অধিক শিশুকে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে,চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন অভিভাবকরা। অতিরিক্ত রোগীর ভিড় ঠেলে  চিকিৎসা সেবা নিতে স্বজনদের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। 

post
সংবাদ

ডেঙ্গু মশার উৎসস্থল ধ্বংস করতে নতুন করে বিটিআই আমদানী হচ্ছে: ডিএনসিসি মেয়র

ডেঙ্গু প্রতিরোধে নতুন কোরে বিটিআই আমদানীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।ডেঙ্গুর জন্য কাউকে দোষারোপ না কোরে সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে, নিপসম আয়োজিত ‌কমিউনিটি পর্যায়ে ‌ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। পরে বর্ণাঢ্য র‍্যালী শেষে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

নওগাঁ বিলের নতুন রাস্তায় বদলে গেছে লাখো মানুষের জীবনযাত্রা

বর্তমান সরকারের উন্নয়নে নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার বিল এলাকার মধ্য দিয়ে রাস্তা নির্মাণ হওয়ায়, চার ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের জীবনযাত্রা বদলে গেছে। সহজ হয়েছে কৃষিপণ্য পরিবহন ব্যবস্থা। নতুন রাস্তার ফলে এখন বর্ষাকালেও সদরের সাথে যোগাযোগ থাকে সরাসরি।নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটী ও হাসাইগাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ বিল এলাকা বর্ষা মৌসুমসহ অধিকাংশ সময় পানিবন্দী থাকে। অত্র এলাকার মানুষের চলাচল একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা। নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ সারতে বা হাট-বাজার যাতায়াত করতে হলো পানিপথে। আবার শুকনো মৌসুমে মাঠে ধরে হাঁটা পথ ছাড়া কোন বিকল্প ছিলো না।বর্তমানে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্পের আওতায় বিলের মাঝ দিয়ে রাস্তা নির্মিত নতুন দিগন্ত খুলেছে এই জনপদে। সদর উপজেলার গুটিয়ার বিল,দিঘলী বিল, হাসাইগাড়ি বিল, মুনসুর বিল ও পাকুড়িয়া বিলের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন এলাকারা সাথে সংযোগকারী ১০টি নতুন রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় পাল্টে গেছে ৪ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের জীবনযাত্রা। নওগা সদরের উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান জানালেন, সম্পূর্ণ নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আন্তরিকতা এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে জানালেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন।বিল এলাকার নতুন রাস্তাগুলোর পাশে গাছ লাগানোসহ অবিলম্বে পাঁকাকরণের দাবি স্থানীয় জনসাধারনের।

post
বাংলাদেশ

যোগাযোগ শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়নে লাভবান লক্ষ্মীপুরের মানুষ

সরকারের উন্নয়ন ধারায় পাল্টে গেছে লক্ষ্মীপুর জেলার চিত্র। সারাদেশের মতো এ জনপদেও যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। এখন অল্প সময়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের সুবাধে কৃষিপণ্য ও মেঘনার ইলিশসহ বিভিন্ন পন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছে। একইসঙ্গে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে জেলার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগেও।সড়কপথে আমূল পরিবর্তনে অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা হচ্ছে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর। প্রশস্তকৃত লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল জাতীয় মহাসড়ক বছরখানেক আগে উদ্বোধন করা হয়েছে। চাঁদপুর-রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কটি প্রশস্তকরণসহ সংস্কার কাজ করা হয় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই। এছাড়া নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়ক ও উত্তর তেমুহনী থেকে দক্ষিণ তেমুহনী পর্যন্ত বাজার সংযোগ সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। চলতি বছরই সম্পন্ন হয়েছে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের ৪০ কিলোমিটার সংষ্কার কাজ। আওয়ামী লীগ সরকারের এসব উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন লক্ষ্মীপুর পৌর মেয়র মোজাম্মেল হোসেন মাসুম ভূঁইয়া ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান। এদিকে, লক্ষ্মীপুরে ১০০ শয্যা হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নিতকরণ করা হয়েছে। সদর উপজেলার বটতলীতে নির্মিত হয়েছে মডেল মসজিদ। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিল পাস হয়েছে।

post
সংবাদ

স্বাস্থ্যখাতে জনবলের সংকট : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নে জনবলের সংকট সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ, তবে এরপরও স্বাস্থ্যসেবা দেশের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে- বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।সোমবার সকালে সচিবালয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পদে সায়মা ওয়াজেদের বিজয়লাভ ও বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম কালাজ্বর ও ফাইলেরিয়া মুক্ত হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সবধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে স্বাস্থ্যখাত এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

post
সংবাদ

আবারো বাড়ছে ডেঙ্গু, শনাক্ত ২১০৩, মৃত্যু ১৫

বাংলাদেশ আবারো বাড়ছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ। শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১০৩ জন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠছে।নতুন শনাক্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৩৩ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬৭০ জন। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৫ জনের। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর সারা দেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১৩৫৭ জন, সেদিন মৃত্যু হয়েছিলো ১০ জনের। এরপর গত ৪ নভেম্বর ১৬৩৮ জনের ডেঙ্গু শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিনও ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের। এ ধারাবাহিকতায় আজ (৫ নভেম্বর) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২১০৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।

post
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে চলেছে স্থুলকায় মানুষের সংখ্যা

বর্তমানে স্থুলতা বা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ওজন একটি গুরুতর সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে এ সমস্যা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে স্থুলকায় বা মোটা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, লুইজিয়ানা ও ওকলাহোমা প্রদেশে সবচেয়ে বেশি স্থুলকায় মানুষ বসবাস করছে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, এই প্রদেশগুলিতে প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের ‘বডি মাস ইন্ডেক্স’ বা বিএমআই ৪০ শতাংশ বা তার বেশি। রবার্ট উড জনসন ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত দাতব্য সংগঠনের জেমি বাসেল মন্তব্য করেছেন, “সিডিসি-র সাম্প্রতিক তথ্য ভয়ানক।” তিনি পরিসংখ্যা দেখিয়ে বলেন, এক দশক আগে কোনও প্রদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে স্থুলত্বের হার ৩৫ শতাংশ ছিল না, কিন্তু এখন এটি বাড়তির দিকে। অন্যান্য প্রদেশের মধ্যে যেগুলি স্থুলত্বের হার ৩৫ শতাংশ বা তার বেশি তা অ্যালাবামা, আরকানসা, ডেলাওয়্যার, জর্জিয়া ইত্যাদি। স্থুলত্বের প্রকোপ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি প্রকাশ পায়। কৃষ্ণকায়, হিস্পানিক, আদিবাসী আমেরিকান ও আলাস্কার মূলনিবাসীদের মধ্যে এ হার তুলনামূলকভাবে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি প্রদেশেই স্থুলত্বের হার অন্তত ২০ শতাংশ ছিল। স্থুলতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য বাড়তি সাহায্যের বিষয়কে “জরুরি অগ্রাধিকার” বলে অভিহিত করেছে সিডিসি।

post
আন্তর্জাতিক

করোনার টিকায় চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পেলেন ক্যারিকো ও ওয়েইসম্যান

অত্যাধুনিক এমআরএনএ করোনা টিকা আবিষ্কারে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২০২৩ সালে চিকিৎসা খাতে নোবেল পুরস্কার জয় করলেন ক্যাথিলন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইসম্যান। ২ অক্টোবর সোমবার সুইডেনের নোবেল অ্যাসেম্বলি চিকিৎসায় চলতি বছরের নোবেলজয়ী হিসেবে এই দুই বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করেছে। করোনা টিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নাম ম্যাসেঞ্জার আরএনএ বা এমআরএনএ। মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও মডার্নার করোনা টিকা এমআরএনএ প্রযুক্তির। এই প্রযুক্তিতে টিকা প্রস্তুতে মৃত বা বিশেষভাবে প্রক্রিয়াজাত জীবাণু ব্যবহার করা হয় না। বরং ব্যবহার করা হয় এক ধরনের প্রোটিন, যা দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর কোনো নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে মানবদেহের সহজাত প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। এই এমআরএনএ প্রযুক্তিকে কার্যকর করতে মানবকোষের প্রধান অংশ নিউক্লিয়াসের অনুপুঙ্খ গবেষণা জরুরি ছিল। এই দুই বিজ্ঞানী সেই কাজটিই করেছেন। তাদের ‘নিউক্লিওসাইড বেইজড মডিফিকেশন’ গবেষণার সাফল্যই এমআরএনএ করোনা টিকার আগমনের পথ সুগম করে। পুরস্কার হিসেবে তারা দুজনে মিলে মোট ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রাউন বা ৯ লাখ ৮৬ হাজার ডলার ভাগাভাগি করবেন। এর পরিমাণ বর্তমান বিনিময় হার (১ ডলার সমান ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা) অনুযায়ী প্রায় ১০ কোটি ৮২ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এবার নোবেল বিজয়ীদের পুরস্কারের অর্থ ১০ লাখ ক্রাউন বেড়েছে। সম্প্রতি পুরস্কারদাতা প্রতিষ্ঠান নোবেল ফাউন্ডেশন এ ঘোষণা দেয়। ১৯৯০ এর দশকের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনির্ভার্সটি অব পেনসেলভেনিয়ায় একত্রে কাজ করতে শুরু করেন ক্যাথলিন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইসম্যান। ২০০৫ সালে ‘নিউক্লিওসাইড বেইজড মডিফিকেশন’ গবেষণার ফল প্রকাশ করেন তারা। বিশ্বে এমআরএনএ প্রযুক্তির প্রথম করোনা টিকা আনে মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োটেক। এ বছর ২ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হবে নোবেল বিজয়ীদের নাম। ৩ অক্টোবর পদার্থে, ৪ অক্টোবর রসায়নে নোবেল জয়ী/জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। তারপর ৫ অক্টোবর সাহিত্যে এবং ৬ অক্টোবর শান্তিতে নোবেলজয়ীর নাম জানা যাবে। দুদিন বিরতি দিয়ে ৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম।

post
আন্তর্জাতিক

তিন দশকে অনূর্ধ্ব-৫০ বয়সীদের ক্যান্সার বেড়েছে ৮০ শতাংশ: গবেষণা

গত তিন দশকে বিশ্বে ৫০ বছরের নিচে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ শতাংশ বেড়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।বিএমজে অনকোলজিতে প্রকাশিত ‘১৯৯০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রারম্ভিক ক্যানসারের ঘটনা, মৃত্যু, চাপ এবং ঝুঁকির কারণের বৈশ্বিক প্রবণতা’ শীর্ষক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯০ সালে ১৮ লাখ ২০ হাজার মানুষের ক্যানসার শনাক্ত হয়। ২০১৯ সাল এ সংখ্যা বেড়ে ৩২ লাখ ৬০ হাজারে ছাড়িয়েছে। এ সময় ৪০-৩০ বা তার কম বয়সী প্রাপ্তবয়ষ্কদের ক্যানসারে মৃত্যুর হার ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।বিএমজে অনকোলজিতে প্রকাশিত এ গবেষণার লেখকরা ক্যানসারের হার বাড়ার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেননি। বলা হয়েছে এ বিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে খারাপ খাদ্যাভ্যাস, অ্যালকোহল ও তামাক সেবন, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ও স্থূলতার প্রভাবকে ক্যানসারের জন্য দায়ী করেছেন তারা।প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ক্যানসার ও এতে মৃত্যু বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, তামাক ও অ্যালকোহল সেবন সীমিতকরণ এবং শারীরিক পরিশ্রমসহ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ক্যানসারের লাগাম টানতে পারে।

post
এনআরবি লাইফ

স্ট্রোকের লক্ষণ কি? হলেই কি করবেন?

স্ট্রোক হলো ব্রেইন বা মস্তিষ্কের রোগ। মস্তিস্কের রক্তনালীর অন্যতম একটি রোগ হলো স্ট্রোক। রক্তনালীতে কখনো রক্ত জমাট বেঁধে কিংবা রক্তনালী ছিঁড়ে রক্তক্ষরণের কারণে ব্রেইনের একটি অংশ কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। স্ট্রোক দুই ধরনের এক. মস্তিস্কের রক্তনালী ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ দুই. রক্তনালী ব্লক হয়ে গিয়ে মস্তিস্কে পর্যাপ্ত রক্ত না পৌঁছানো যার ফলে ওই অংশ শুকিয়ে যায়। স্ট্রোকের কারণ অতিরিক্ত টেনশন, হৃদরাগ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, রক্তে বেশি মাত্রায় চর্বি বা অতিমাত্রায় কোলেস্টেরলের উপস্থিতির কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে এগুলোর থেকেও অন্যতম একটি কারণ হল ধূমপান। স্ট্রোকের লক্ষণইদানীং অনেক কম বয়সী মানুষজনকেও স্ট্রোক করতে দেখা যায়। মাঝে মাঝে এই স্ট্রোকগুলো মাইনর পর্যায়ের হয়। কিন্তু অজ্ঞতার কারনে, ভুল চিকিৎসায় এই স্ট্রোকের ভয়াবহতা বাড়তে পারে। প্যারালাইসিস থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে যদি মাইনর স্ট্রোক ধরতে না পারা যায়। তাই সকলের উচিৎ স্ট্রোকের লক্ষন সমূহ জেনে রাখা। এতে মাইনর স্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা ও উপযোগী চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যাবে। মুখমণ্ডলের এক পাশ ঝুলে পড়া স্ট্রোকের প্রধান ও প্রথম লক্ষন রোগীর মুখমণ্ডলে ধরা পড়ে।মুখের বাম পাশের মাংস পেশি ঝুলে পড়ে। যার ওপর রোগীর কোনো নিয়ন্ত্রন থাকে না। লক্ষণটি ভালো করে বুঝতে হলে রোগীকে হাসতে বলুন। তিনি যদি না হাসতে পারেন তবে যত দ্রুত সম্ভব তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাতে দুর্বলতা অনুভবঅনেক সময় আমরা হাতের দুর্বলতা অনুভবকে পাত্তা দিই না। কিন্তু এটা হতে পারে স্ট্রোকের লক্ষন। স্ট্রোক করার আগে রোগী দুই হাতে অস্বাভাবিক দুর্বলতা অনুভব করেন। রোগীকে সাথে সাথে হাত মাথার উপরে তুলে ধরতে বলুন। যদি রোগী বলেন তিনি হাত তুলতে পারছেন না। কিংবা যদি লক্ষ্য করেন হাত ছেড়ে দিচ্ছেন তবে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেবার ব্যবস্থা করুন। কথা জড়িয়ে যাওয়ামস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে বা খুব কমে গেলে স্ট্রোক হয়। স্ট্রোকের আগে কথা জড়িয়ে যাওয়ার মাধ্যমে লক্ষণটি ধরা পড়ে। যদি কেউ কথা বলতে বলতে হঠাৎ অস্পষ্ট কথা কিংবা জড়িয়ে যাওয়া গলায় কথা বলতে থাকেন তবে অবশ্যই তা লক্ষণীয়। রোগীকে দিয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করে দেখুন। যদি আসলেই জড়ানো কথা হয় তবে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর করুন। তীব্র মাথা ব্যথাস্ট্রোকের আগে রোগীরা তীব্র মাথা ব্যথার শিকার হয়ে থাকেন। তীব্র মাথা ব্যথা অনেক কারনেই হতে পারে। অনেকের মাইগ্রেন আছে। তীব্র মাথা ব্যথা মাইগ্রেনেও হয়। কিন্তু যদি হঠাৎ করে কোন ধরনের কারণ ছাড়াই মাথার বাম অংশে তীব্র ব্যথা শুরু হয় তবে অবহেলা করবেন না। দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকামস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনের বাঁধা পাবার ফলে শরীরের সাধারণ কাজ করার ক্ষমতা ব্যাহত হয়। ফলে হাত পা কিংবা অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপর স্ট্রোকের রোগীরা নিয়ন্ত্রন হারান। রোগীকে উঠে দাড়াতে বলুন। স্ট্রোকের লক্ষন হিসেবে তিনি উঠে দাঁড়াতে পারবেন না। সুতরাং স্ট্রোক অবশ্যম্ভাবী। তাকে সাথে সাথে হসপিটালাইজড করতে হবে। শর্ট মেমোরি লসস্ট্রোকের আগে রোগীরা তাদের আপনজনকেও চিনতে পারেন না এমনকি নিজের নাম পর্যন্ত ভুলে যান। ডাক্তারদের ভাষায় একে শর্ট মেমোরি লস বলে থাকেন। রোগীকে তার নিজের নাম জিজ্ঞেস করুন। তার পরিবারের লোকজনকে চিনতে পারেন কিনা তা দেখুন। তা না হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে ।কেন দ্রুত হাসপাতালে নেবেন? কারণ স্ট্রোকে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রোক হলে প্রতি মিনিটে ১৯ মিলিয়ন নিউরোন মারা যায়। স্ট্রোকের সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে আসলে আধুনিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব, যেটাকে বলে আইভি থ্রোম্বলাইসিস। দেশের অনেক হাসপাতালে সীমিত পরিসরে হলেও এ আধুনিক চিকিৎসা হচ্ছে। স্ট্রোক হলে কোন হাসপাতালে যাবেন? স্ট্রোক করলে অনেকে ভুলে রোগীকে হৃদরোগের চিকিৎসা হয় এমন হাসপাতালে নিয়ে যান। তারা মনে করেন স্ট্রোক বুঝি হার্টের রোগ। আসলে তা নয়। স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কের বা ব্রেনের রোগ। তাই স্ট্রোক করলে রোগীকে নিতে হবে এমন হাসপাতালে যেখানে মস্তিষ্কের চিকিৎসা হয়। রোগীকে নিতে হবে নিউরোলজিস্টের কাছে। স্ট্রোকের চিকিৎসা যেকোনো মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগে স্ট্রোকের চিকিৎসা সম্ভব। স্ট্রোকে কেউ আক্রান্ত হলে দেরি না করে নিউরোলজি বিভাগে যোগাযোগ করুন। মনে রাখবেন, স্ট্রোক মস্তিষ্কের রোগ, হার্টের নয়।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.