৫০ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল
১৯৭০ সালে নির্মিত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে, সেই ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে, বর্তমান চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। ২০০৩ সালে হাসপাতালটিকে ১শ শয্যায় উন্নীত করা হলেও চিকিৎসা সেবায়,তা বাস্তবায়ন হয়নি এখনও। এদিকে,শীতজনিত কারনে হাসপাতালে প্রতিনিয়ত ভর্তি হচ্ছে,শিশু রোগী। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যে জানা গেছে,চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে শীতজনিত কারনে,নিউমোনিয়া, এ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে পাঁচশোর অধিক শিশুরোগী। এছাড়া,হাসপাতালে নারী পুরুষ ও অন্যান্য ওয়ার্ডে প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের সংখ্যাও বাড়ছে।অসহনীয় পর্যায়ে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে, গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। শীতের হিমেল হাওয়া ও ঠান্ডা উপেক্ষা করে, হাসপাতালের বারান্দায় থেকেও কেউ কেউ নিচ্ছেন,চিকিৎসা সেবা। শিশু ওয়ার্ডে শিশুদের জন্য বরাদ্দকৃত ১৫ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী। অল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে এসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টায় বাচ্চাদের অধিক সতর্কাবস্থায় রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদ ডা. মাহমুদুর রহমান মিলনের। সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন তিনশ’র অধিক শিশুকে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে,চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন অভিভাবকরা। অতিরিক্ত রোগীর ভিড় ঠেলে চিকিৎসা সেবা নিতে স্বজনদের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে।