post
বন্যার খবর

ভেলায় ভেসে আসছে লাশ, সঙ্গে চিরকুট

পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত ফেনী। বন্যা কেড়ে নিয়েছে সবকিছু। এর ভেতর যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের বেদনার ভয়াবহতা হৃদয়বিদারক। সব তলিয়ে যাওয়ায় মাটির অভাবে মৃত মানুষটির দাফন বা সৎকারের সুযোগ না পেয়ে ভাসিয়ে দিতে হচ্ছে কলাগাছের ভেলায়। স্বজনের মরদেহ যেন একটু মাটির ছোঁয়া পায় সে আশায় অনেকে মরদেহের সঙ্গে কাগজে দাফনের অনুরোধ লিখে দিচ্ছেন। জীবনের এমনই ভয়াবহতা ছুঁয়ে যাচ্ছে ফেনীবাসীকে।শনিবার স্বজনরা মরদেহ কলাগাছের ভেলায় ভাসিয়ে দেন। সঙ্গে একটি চিরকুটে তাকে দাফনের অনুরোধ করা হয়। সেখানে ঠিকানাও দেওয়া হয়।ওই চিরকুটে লেখা ছিল, 'এই মৃতদেহটি অতিরিক্ত বন্যার কারণে আমরা দাফন করতে পারিনি। দুদিন অতিবাহিত হওয়ার পরে আমরা পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছি। সঙ্গে আমাদের এলাকার নাম-ঠিকানাসহ ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ শুকনো জায়গা পান, তাকে কবর দিয়ে দেবেন এবং আমাদের এই ঠিকানায় যোগাযোগ করবেন। আপনাদের কাছে আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকব'।ফেনী সদর উপজেলার একটি গ্রামে বন্যার পানিতে মরদেহ ভাসছে উল্লেখ করে সাংবাদিক ফারাবী হাফিজ তার ফেসবুকে একটি লাশের তথ্য জানিয়ে লেখেন, 'কলার ভেলায় মরদেহ ভাসছে। প্লাস্টিকে লেখা, "মুসলিম মহিলা। পারলে জানাজা পড়ে দিয়েন।"'জানা যায়, দাফনের জন্য জায়গা না পেয়ে বানের পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় শিফু (৪২) নামের ওই নারীকে। বৃহস্পতিবার বন্যার পানিতে তলিয়ে মারা যান তিনি।ফেনী সদর উপজেলার উত্তর ধলিয়া গ্রামের লতিফ হাজী বাড়ির মৃত নুরুল আমিনের মেয়ে শিফু। তার ভগ্নিপতি শাহেদুল হক জুয়েল জানান, শিফুর দাফনের ব্যবস্থা করে দিতে প্রশাসনের কাছে বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল। সহযোগিতা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে পানিতে ভাসিয়ে দিতে হয়েছে।ফেনী আল জামিয়াতুল ফালাহিয়া আশ্রায়ন প্রকল্পের মো. আজিজুর রহমান জানান, বন্যার পানিতে ভেসে আসা পাঁচটি লাশ গত শনিবার ও রোববার দাফন করেছেন তারা। এছাড়াও আশ্রয়ন প্রকল্পে স্বাভাবিক মৃত্যু হওয়া তিনজনের লাশও দাফন করেছেন।বন্যার পানিতে লাশ ভেসে আসার আরও কিছু তথ্য ফেসবুক পোস্টে দিয়েছেন অনেকে। তবে এসব তথ্য যাচাই করার সুযোগ হয়নি।এদিকে জেলা প্রশাসনের কাছে বন্যায় একজনের মৃত্যুর তথ্য রয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান ফেনীর জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার। 

post
বন্যার খবর

কুমিল্লায় কলাগাছের ভেলায় ভাসছে কাফনে ঢাকা লাশ

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বন্যার পানিতে কলাগাছের ভেলায় ভাসছে কাফনে ঢাকা লাশ। এই লাশের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তেই।স্থানীয়রা বলছেন, কোথাও দাফন কাফন করার পর চারদিকে পানি আর পানি তাই হয়তো কেউ এই লাশ কলাগাছের ভেলায় ভাসিয়ে দিয়েছেন। অনেক বলেছেন, এই প্রথম দেখেছি লাশ কলাগাছের ভেলায় ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া দুই উপজেলার মানুষ মারা গেলে এই মুহূর্তে কোথাও মাটি দেওয়ার মতো জায়গা নেই। চতুর্দিকে শুধু পানি আর পানি। তবে এই লাশ ভাসতে ভাসতে কোথা থেকে এলো তা জানা যায়নি। তার কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

post
বন্যার খবর

এবার ফারাক্কার সব গেট খুলে দিলো ভারত!

সোমবার (২৬ আগস্ট) গেটগুলো খুলে দেয়া হয়। এতে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি বাংলাদেশেও নতুন করে বন্যার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রবল বৃষ্টি আর বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে পানি ছাড়ার কারণে চাপ বাড়ছে ফারাক্কা ব্যারেজে। পানি ছাড়তে হচ্ছে এই ব্যারেজেও। ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় দৈনন্দিন পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়ছে। যদিও বাকি সময়ে আপস্ট্রিমে পানি যেমন থাকে, সেই অনুযায়ী পানি ছাড়া হয় ডাউনস্ট্রিমে। গঙ্গার পানিস্তর বেড়ে যাওয়ায় ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প সূত্রের বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় এবং ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের পানিস্তর বৃদ্ধি হতেই সব গেট খুলে দেয়া হয়েছে। যে পরিমাণ পানি আসছে, সেই পরিমাণ পানি ছাড়া হয়েছে। এরইমধ্যে ফারাক্কা ব্যারাজ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার উপর দিয়ে বইতে থাকায় ‘বাধ্য হয়ে’ গেট খুলতে হচ্ছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ফারাক্কা ব্যারেজে পানি ধরে রাখার সক্ষমতা নেই, ফলে পানি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে তারা। পানি না ছাড়া হলে ফারাক্কা ব্যারেজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে। অন্যদিকে এই পানি ছাড়ার ফলে গঙ্গা থেকে তা ঢুকছে বিভিন্ন গ্রাম ও মাঠে। প্লাবনের আশঙ্কা করছেন মুর্শিদাবাদের মানুষ। বিহার, ঝাড়খণ্ডসহ গঙ্গার উচ্চ অববাহিকায় ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে হু হু করে বাড়ছে গঙ্গার পানিস্তর। ফারাক্কা ব্যারেজের আপস্ট্রিমে পানি ধারণ ক্ষমতা ২৬ দশমিক ২৪ মিটার। বিপৎসীমা ২২ দশমিক ২৫ মিটার এবং সতর্কতা সীমা ২১ দশমিক ২৫ মিটার। এরইমধ্যে আপস্ট্রিমের ধারণ ক্ষমতা অতিক্রম করায় শনিবার থেকে খুলে দেয়া হয়েছে অধিকাংশ গেট। এরইমধ্যেই ১১ লাখ কিউসেকের বেশি পানি ছাড়া হয়েছে ব্যারেজ থেকে।এর আগে, ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও মৌলভীবাজারসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। 

post
বন্যার খবর

'উড়ন্ত নদীর' কারণে বিশ্ব জুড়ে দেখা দিচ্ছে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিমাত্রার বন্যা দেখা যাচ্ছে, যার সবচেয়ে সাম্প্রতিক উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশ, চীন এবং কানাডার ভয়াবহ বন্যা।এতো ঘন ঘন বন্যা হওয়া আমাদের এটাই মনে করিয়ে দেয় যে দ্রুত উষ্ণ হয়ে উঠতে থাকা বায়ুমণ্ডল এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি আর্দ্রতা ধারণ করছে। বিজ্ঞানীরা এমনটাই মনে করেন।২০২৩ সালের এপ্রিলে, ইরাক, ইরান, কুয়েত এবং জর্ডান প্রতিটি দেশে ভয়াবহ বন্যা আঘাত হেনেছে। তার সাথে ছিল তীব্র বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি এবং অতি মাত্রায় বৃষ্টিপাত।আবহাওয়াবিদরা পরে দেখতে পান যে ওইসব অঞ্চলের আকাশ বা বায়ুমণ্ডল রেকর্ড পরিমাণ আর্দ্রতা বহন করছে, যা ২০০৫ সালের পরিস্থিতিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।দুই মাস পরে, চিলিতে মাত্র তিন দিনে ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল – আকাশ থেকে এত বেশি পানি ঝরেছিল যে এটি আন্দিজ পর্বতের কিছু অংশের তুষারও গলিয়ে ফেলে।এতে ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়, যার ফলে সেখানকার রাস্তাঘাট, সেতু এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থা সব ধ্বংস হয়ে যায়।এক বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশে বন্যা আঘাত হানে। যাকে সেই দেশের রাজনীতিবিদরা "রেইন-বোমা" বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।ওই বন্যায় ২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং হাজার হাজার মানুষকে তাদের ভিটেবাড়ি থেকে সরিয়ে নিতে হয়।বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, এসব ঘটনা বায়ুমণ্ডলীয় নদীগুলোর কারণে হয়েছে, যা ক্রমেই আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।

post
বন্যার খবর

বন্যার্তদের জন্য ফান্ড সংগ্রহ করছে ববি শিক্ষার্থীরা

দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার্ত মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেখানে অনেক শিক্ষার্থী কাজ করছেন। ত্রিপুরার উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রবল চাপ ও অবিরাম বৃষ্টিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছেন বিভিন্ন জেলার মানুষ।এতে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফান্ড সংগ্রহ ছাড়াও শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হল ও এলাকাবাসির থেকে বন্যার্তদের জন্য পুরনো পোশাক সংগ্রহ করছে। যা বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ হবে বলে জানা যায়।  প্রথম আলো বন্ধু সভা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বন্যার্তদের সাহায্য সহযোগিতায় ফান্ড কালেকশন করতেছি।তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা প্রথম আলো বন্ধুসভা ও ৭১'র চেতনা একত্রে বরিশাল শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষের দারে দারে ঘুরে ফান্ড কালেকশন করেছি।বাংলাদেশের সকল মানুষ বানবাসিদের সহযোগিতায় যেভাবে এগিয়ে এসেছে সেখানে আমরা সামান্য হলেও অবদান রাখতে চাই।এবং ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে বন্যাদুর্গত মানুষদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহবান জানাই।

post
বন্যার খবর

আজ রাতেই খুলে দেওয়া হবে কাপ্তাই বাঁধের সব গেট, সতর্কতা জারি !

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ রাত ১০টায় কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি স্পিলওয়ের গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হবে। এ জন্য ভাটি অঞ্চলকে জরুরি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ম্যানেজার এটিএম আব্দুজ্জাহের।তিনি বলেন, কাপ্তাই লেকে ১০৮ ফুট এমএসএল পর্যন্ত পানি উঠলে বিপৎসীমার অবস্থা সৃষ্টি হয়। শনিবার ২টা পর্যন্ত পানি ১০৭ দশমিক ৬৩ ফুট পর্যন্ত উঠেছে। সন্ধ্যার মধ্যে পানি ১০৮ ফুটে উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় ১৬টি গেটের ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়া হবে। সবাই সাবধানে থাকুন।গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা বা বিপৎসীমার কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর ফলে হ্রদ সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে হ্রদের নিম্নাঞ্চলের অনেকের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। দ্রুত সময়ে যদি কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়ার ব্যবস্থা করা না হয়, তবে কাপ্তাই হ্রদসংলগ্ন অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।এদিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রে দৈনিক পাঁচটি ইউনিটে সর্বোচ্চ ২১৯ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।

post
বন্যার খবর

কুমিল্লায় বন্যার্তদের মাঝে পিপলএনটেকের শুকনা খাবার বিতরণ

সময় যত বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যাও। ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডাকাতিয়া নদীর পানি বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি উপচে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে কুমিল্লা নাঙ্গলকোট এলাকার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন। দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। এ অবস্থায় শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) ঢাকায় অবস্থিত আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটি ও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির উদ্যোগে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক মানুষের মাঝে শুকনা খাবার ও নগদ অর্থ বিতরন করা হয়।এদিন বন্যার্ত এসব মানুষের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলেদেন পিপলএনটেকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসাইন খান লিওন ও চীফ অপারেশন অফিসার আব্দুল হামিদ।এসময় বানভাসি মানুষের উদ্দেশ্য মাশরুল হোসাইন বলেন, কুমিল্লায় বন্যার্তদের মাঝে পিপলএনটেকের পক্ষ থেকে আমি ও পিপলএনটেক, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ আয়োজন, ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক সকল দুর্যোগে পিপলএনটেক সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে ছিল, আছে, থাকবে, ইনশাআল্লাহ।এর আগে বুধবার সকাল থেকে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার অধিকাংশ এলাকায় লাখ-লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। গ্রামীণ অধিকাংশ সড়ক ও ফসলি মাঠ  তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। সাধারণ মানুষ  আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।বিশেষ করে উপজেলার সাতবাড়িয়া, বক্সগঞ্জ, ঢালুয়া, মৌকারা, রায়কোট উত্তর, রায়কোট দক্ষিণ, আদ্রা উত্তর, আদ্রা দক্ষিণ, বাঙ্গড্ডা ও পেরিয়া ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা তলিয়ে গিয়েছে, দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। ঢালুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ তার নিজ গ্রামের বন্যার্ত মানুষের মাঝে খাবার বিতরন করায় তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এলাকার সাধারণ মানুষ।এদিকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গোমতী নদীর পানি। এছাড়াও বন্যাকবলিত জেলার চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, লাকসাম মনোহরগঞ্জসহ কয়েকটি উপজেলার ৫ থেকে ৬ লাখ মানুষ দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে।সবখানেই বন্যার্তদের মাঝে হাহাকার দেখা গেছে। অনেক এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পানিবন্দী হয়ে পড়ায় বন্যার্তদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গিয়েছে।

post
বন্যার খবর

স্বেচ্ছাশ্রমে মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ মেরামত

চাঁদপুরের মতলব উত্তর মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধের ৬৪ কিলোমিটারের বিভিন্ন স্থানে গর্ত ভরাট করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে মাটি সরে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ভাঙন দেখা দেওয়ায় বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে বাঁধটি।শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সরেজমিন দেখা যায়, এখলাছপুর ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকা থেকে শুরু হওয়া বাঁধটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বালুমাটি দিয়ে তৈরি বাঁধটির বালু সরে গিয়ে ওই স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।পাউবোর চাঁদপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৬৪ কিলোমিটারে ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। এতে অর্থায়ন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এই বাঁধের ভেতরে প্রায় ৩২ হাজার ১১০ একর ফসলি জমি আছে। নির্মাণের পর এ পর্যন্ত দুবার বেড়িবাঁধটি ভেঙে যায়। এতে কয়েকশ কোটি টাকার ফসল ও সম্পদের ক্ষতি হয়। বাঁধের সবটাতেই পিচঢালা সড়ক রয়েছে।মেঘনা-ধনাগোদা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের আওতাধীনে ৫ লাখ মানুষের বসবাস। সবার কথা চিন্তা করে আমরা মতলবের ২৫টি সামাজিক সংগঠন অনলাইনে যুক্ত হয়ে একটি বৈঠক করে আজ সারাদিন বেড়িবাঁধের গর্তগুলো সংস্কারের কাজ করছি।নন্দলালপুর, শীবপুর, ফরাজীকান্দি, জহিরাবাদ ও হাসিমপুর গ্ৰামের সামনেও একটি বড় গর্ত। তাই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্র-জনতা মিলে গর্তগুলো ভরাট করেছি। আমরা বাঁধটির মেরামতের দাবি জানাই।ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের সোহেল সরকার বলেন, অতিবৃষ্টির পানিতে বাঁধের অনেক স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাফেরায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্র-জনতা মিলে মেরামত করেছি।এ ব্যাপারে ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদাউস আলম বলেন, এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ। তাদের ধন্যবাদ জানাই এমন মহৎ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।এ বিষয়ে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত পাল বলেন, দুই দিনের ভারি বৃষ্টি ও নদীর পানির চাপে বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে গর্ত (রেইনকাট) ও বড় বড় ছিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো দূরত্ব সংস্কার কাজ করার জন্য এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাউবোর চাঁদপুর কার্যালয়ের থেকে তদন্ত টিম পর্যবেক্ষণ করে এসেছে। এখন এগুলো দ্রুত সংস্কার করা হবে।

post
বন্যার খবর

ফেনীর সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বিছিন্ন, ৯২ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল।

অচল হয়ে পড়েছে ফেনী জেলার ৯২ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার। একদিকে বিদ্যুৎসংযোগ না থাকা, অপরদিকে টাওয়ার এলাকা ডুবে যাওয়ায় নেটওয়ার্ক সচল করা যাচ্ছে না। এদিকে সারা দেশে বন্যাকবলিত ১০ জেলার প্রায় ১১ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে।শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বন্যাকবলিত অঞ্চলের মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিস্থিতি নিয়ে এ কথা জানিয়েছে।বিটিআরসি আরও জানায়, সেনাবাহিনীর সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় টাওয়ার সচল করতে সমন্বয়ের কাজ চলছে। তবে যেসব টাওয়ার এলাকা ডুবে গেছে, পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত সচল করার কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

post
বন্যার খবর

ত্রাণের পাহাড় নিয়ে যাচ্ছে আহমাদুল্লাহর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। পানিতে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। সেসব এলাকায় তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়। বিপর্যস্ত এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে শায়খ আহমাদুল্লাহর আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন। ত্রাণের পাহাড় নিয়ে বন্যার্তদের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন তারা।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান জানিয়েছেন, এসব জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ। এখন পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের ত্রাণের পরিমাণ আরও ২০০ টন বাড়িয়েছে আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন।শুক্রবার (২৩ আগস্ট) আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, চলছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কর্তৃক বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ প্রস্তুতির বিশাল কর্মযজ্ঞ। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০০ টন, যা এখন ৭০০ টনে পৌঁছাচ্ছে। প্রয়োজন সাপেক্ষে আরও বর্ধিত হবে ইনশাআল্লাহ।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.