post
লাইফ স্টাইল

ধূমপান ছাড়তে চাইলে যা খাবেন

প্রতি বছর এই অভ্যাস মোকাবিলা করার জন্য নতুন কৌশল এবং সমাধান উদ্ভূত হয়। আপনি কি খাবারের সাহায্যে আপনার নিকোটিনের আসক্তিকে কাটিয়ে ওঠার কথা কল্পনা করতে পারেন? আপনার পরিচিত কিছু খাবারই ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে সাহায্য করবে। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক- বিশেষজ্ঞের মতে, পুদিনা পাতার ক্যান্ডি বা টফি আপনাকে তামাক প্রত্যাহার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। ধূমপান ছাড়ার পর পুদিনাপাতা প্রয়োজন ছাড়াই মস্তিষ্কের ডোপামিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। তাই ধূমপান ছাড়তে চাইলে এ জাতীয় খাবার খেতে পারেন। আপনি যখন সিগারেট খান, তখন শরীরের ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের শোষণ হ্রাস পায় এবং ভিটামিন সি-এর প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়। ফল এবং শাকসবজির মতো তাজা খাবার মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ যা আপনাকে হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করে এবং ধূমপানের আসক্তি থেকে দূরে রাখে। ফুটি, তরমুজ, কমলা ইত্যাদি ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। শুধু নিজেকে হাইড্রেটেড রাখার জন্যই নয়, ধূমপানের লোভ সামলাতেও পানি পান করা অপরিহার্য। তাই যখনই ধূমপারে ইচ্ছা হবে তখনই এক গ্লাস পানি পান করে নিন। তবে অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এগুলো ধূমপানের প্রতি আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি অস্বাভাবিক শোনাতে পারে, তবে দুধ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্য খেলে তা আপনার সিগারেটের আসক্তি দূর করতে কাজ করতে পারে। ধূমপান ত্যাগ করা বা ধূমপান কমানোর চেষ্টা করার সময় দুধ পান করা বা দই খাওয়া সহায়ক হতে পারে। ২০০৭ সালে ২০৯ জনের ওপর করা এক গবেষণা থেকে এই পরামর্শ দেওয়া হয়।

post
লাইফ স্টাইল

পেট ভালো রাখার ঘরোয়া উপায়

জার্নাল নিউট্রিয়েন্টস অনুসারে, প্রতিটি ব্যক্তির পরিপাকতন্ত্রে ২০০টিরও বেশি স্বতন্ত্র ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক থাকে। পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আপনাকে করতে হবে এই কাজগুলো- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্ট করে এবং তাদের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি করে। পর্যাপ্ত ফাইবার গ্রহণ নিশ্চিত করতে আপনার খাবারে ফল, শাক-সবজি, লেবু, বাদাম এবং দানাশস্য অন্তর্ভুক্ত করুন। বাদাম খাদ্যতালিকাগত ফাইবারের একটি ভালোল উৎস হওয়ায় সহজেই আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করা যেতে পারে। গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিতে থেরাপিউটিক অ্যাডভান্সেস অনুসারে, প্রোবায়োটিক খাবার খেলে তা স্বাস্থ্যকর অন্ত্র বজায় রাখতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এটি অন্ত্রের প্রদাহ এবং অন্যান্য অন্ত্রের সমস্যা এড়াতে পারে। প্রোবায়োটিক হলো জীবন্ত অণুজীব যা পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া হলে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া সুষম অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা বজায় রাখে এবং হজমের স্বাস্থ্য উন্নত করে। প্রিবায়োটিক খাবার উপকারী অণুজীবের জন্য খাদ্য হিসাবে কাজ করে, তাদের বৃদ্ধি এবং অন্ত্রে বিস্তারে সহায়তা করে। আপনার খাদ্যতালিকায় প্রিবায়োটিক খাবার যেমন রসুন, পেঁয়াজ, অ্যাসপারাগাস, কাঁচা কলা, ফ্ল্যাক্সসিড, লেগুম, আপেল এবং এ জাতীয় খাবার যোগ করুন। মন ও অন্ত্রের সংযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ চাপ এবং মানসিক সুস্থতা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। হজম এবং পুষ্টির শোষণকে অপ্টিমাইজ করার জন্য খাবারের সময় মনোযোগী হয়ে খান। আপনার দৈনন্দিন রুটিনে ধ্যান, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা ইয়োগার মতো স্ট্রেস-কমানোর কৌশল যোগ করুন যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে সাহায্য করে।

post
লাইফ স্টাইল

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের সম্ভাব্য ৫ কারণ

লাখ লাখ মানুষ বন্ধ্যাত্বের সমস্যার সম্মুখীন হয়। এতে বলা হয়েছে যে, সারা বিশ্বে প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন দম্পতি বন্ধ্যাত্ব ভোগ করে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, প্রায় ২০% ক্ষেত্রে পুরুষ সম্পূর্ণরূপে দায়ী এবং সমস্ত বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে আরও ৩০% থেকে ৪০% ক্ষেত্রে আংশিকভাবে দায়ী হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক পুরুষের বন্ধ্যাত্বের সম্ভাব্য কারণগুলো- বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের একটি বড় কারণ হলো হরমোনজনিত সমস্যা। হাইপোগোনাডিজম, অর্থাৎ টেস্টোস্টেরন এবং টেস্টিস দ্বারা প্রজনন সম্পর্কিত অন্যান্য হরমোনের অপর্যাপ্ত উৎপাদন বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। ভ্যারিকোসেল এমন একটি অবস্থা যেখানে অণ্ডকোষের মধ্যে শিরার বৃদ্ধি এবং বেলুনিং অণ্ডকোষের তাপমাত্রাকে পরিবর্তন করতে পারে। এটি শুক্রাণু উৎপাদনকে ব্যাহত করে। যা বন্ধ্যাত্বের দিকে নিয়ে যায়। রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশনে বীর্য লিঙ্গ দিয়ে বের হওয়ার পরিবর্তে মূত্রথলিতে প্রবেশ করে,যা পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাসের কারণে পুরুষের বন্ধ্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দীর্ঘস্থায়ী ধূমপান বা তামাক সেবন শুক্রাণুর গতিশীলতা, গুণমান এবং পরিমাণকে কমিয়ে দিতে পারে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশন এবং শুক্রাণু উৎপাদন হ্রাস করতে পারে ও হরমোনের মাত্রাও পরিবর্তন করতে পারে যা বন্ধ্যাত্বের দিকে নিয়ে যায়। জেনেটিক্স বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পারে। ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম একটি জেনেটিক অবস্থা যেখানে একটি পুরুষ শিশু অতিরিক্ত এক্স ক্রোমোজোম নিয়ে জন্মগ্রহণ করে,এটি পুরুষের প্রজনন অঙ্গে ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে,যার ফলে টেস্টিকুলার ফাংশন এবং শুক্রাণু উৎপাদন প্রভাবিত হয়।

post
লাইফ স্টাইল

চুলের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর খাবার

কিছু খাবার যেমন আমাদের চুল সুন্দর ও উজ্জ্বল করে তেমনি কিছু খাবার আবার চুলের জন্য হতে পারে ক্ষতিকর। তাই আগে থেকে জানা থাকলে চুলের জন্য ক্ষতিকর খাবারগুলো এড়িয়ে চলা সহজ হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক চুলের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর ৫ খাবার সম্পর্কে- ডুবো তেলে ভাজা খাবার শুধু আমাদের স্বাস্থ্যকেই প্রভাবিত করে না, সেইসঙ্গে আমাদের চুলের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস, পাকোড়া, সমুচা, সিঙ্গারা পুরি ইত্যাদি খাবারে তেলের পরিমাণ বেশি থাকে এবং তা সহজেই আমাদের মাথার ত্বককে চর্বিযুক্ত করে তুলতে পারে। আরেকটি জিনিস যা আপনাকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে তা হলো চিনিযুক্ত খাবার। এর কারণ হলো, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে এবং সহজেই চুলের ফলিকলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ফ্রন্টিয়ার্স অফ ফার্মাকোলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনে পুষ্টির ঘাটতি হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। এর ফলে আমাদের চুল প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না, যা চুলের ক্ষতির কারণ হতে পারে। পরিশোধিত ময়দার উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) থাকে এবং এটি ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। এটি আমাদের চুলের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এবং চুল পড়া এবং অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে। আপনি যদি কার্বনেটেড পানীয় পছন্দ করেন তবে তা দ্রুত খাওয়া বাদ দিন। নিউট্রিয়েন্টস জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, কার্বনেটেড পানীয় পান করলে চুল পড়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

post
এনআরবি বিশ্ব

ব্রিটেনে ক্যান্সারের হার আশংকাজনক বাড়ছে

ব্রিটেনে সূর্যবাহিত মেলানোমা স্কীন ক্যান্সারের হার আশংকাজনক বাড়ছে বলে জানিয়েছে চ্যারিটি সংস্থা ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে। চলতি বছর প্রায় ২১ হাজার মেলানোমা স্কীনক্যান্সার রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এ সংস্থা। গত ২০২০ থেকে ২২ সাল পর্যন্ত এর সংখ্যা ছিলো ১৯ হাজার। বিশেষ করে বয়স্কদের শরীরে এই ক্যান্সার বেশি বাসা বাঁধছে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। তবে আশার কথা হলো, আক্রান্তদের মধ্য থেকে প্রতি বছর প্রায় ১৭ হাজার রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করেছে ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে। তারা বলেছে, দশ জনের মধ্যে একজন রোগীকে সুস্থ করতে হলে কঠিন চিকিৎসার মধ্য দিয়ে নিতে হয়। সবচেয়ে আশংকার বিষয় হলো,ম্যালানোমা ক্যান্সার ছোঁয়াচে। একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে প্রবাহিত হতে পারে। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বিভিন্ন বয়সী মানুষের মধ্যে নন মেলানোমা স্কীন ক্যান্সারও আশংকাজনক হারে বাড়ছে। যা এখনো নিরাময়যোগ্য বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

post
লাইফ স্টাইল

আম খাওয়ার পরে যেসব খাবার খাবেন না

গরমে প্রাণ জুড়াতে আমের তুলনা হয় না। পুষ্টিকর এই ফলে থাকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন বি। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্যও আম খাওয়া উচিত। তবে আম খেলেই হবে না, এটি খাওয়ার আছে কিছু নিয়মও। যেমন আম খাওয়ার পরপরই কিছু খাবার খাওয়া যাবে না। কোনগুলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক- আম খাওয়ার পরপরই পানি পান করবেন না। কারণ আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আম খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা পর পানি পান করবেন। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে। ধরুন, আম খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই ভাত খেতে বসলেন। আর ভাতের সঙ্গে আছে করলা ভাজি। তখন কী করবেন? এসময় করলা একদমই খাওয়া চলবে না। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আম খাওয়ার পরপরই যদি আপনি করলা খান তাহলে দেখা দিতে পারে বমি কিংবা বমি বমি ভাব। পুষ্টিবিদদের মতে, আম খাওয়ার পর দই খাওয়া মোটেই উচিত নয়। অনেকেই না জেনে এই দুই খাবার একসঙ্গে খেয়ে থাকেন। কিন্তু এমনটা করা যাবে না। কারণ আম খাওয়ার পর দই খেলে শরীরে শর্করার ভাগ অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। যে কারণে নষ্ট হয় শরীরের ভারসাম্য। সেইসঙ্গে হতে পারে বিষক্রিয়াও। আম খাওয়ার পরপরই তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাবেন। কারণ আম খাওয়ার পর এ ধরনের খাবার খেলে দেখা দিতে পারে সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা। এছাড়া অতিরিক্ত মসলাদার খাবার আমাদের ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর। কোল্ড ড্রিংক খাওয়া এমনিতেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আর যদি তা আম খাওয়ার পরপরই খান তবে আরও বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ কোল্ড ড্রিংকস খেলে তা শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই।

post
লাইফ স্টাইল

মেদ কমানোর সহজ উপায়

মেদ কমানো মুখের কথা নয়। নানাজন নানা প্রচেষ্টার পরেও মেদ কমাতে সফল হন না। এমনই নাছোড়বান্দা এই সমস্যা যে একবার দেখা দিলে আর যেতে চায় না। ওজন কমানো আর মেদ কমানো কিন্তু এক কথা নয়। অনেকে ওজন কমাতে সক্ষম হলেও মেদ থেকে যায় আগের মতোই। এক্ষেত্রে হাল ছেড়ে দেওয়া চলবে না। বরং এমন সব উপায় বেছে নিতে হবে যায় ব্যয়বহুল কিংবা ক্ষতিকর নয়। বাড়িতে বসেই মেদ কমানোর কিছু উপায় মেনে চলতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক- শাক-সবজি খান আপনার খাবারের তালিকার দিকে খেয়াল করুন। সেখান থেকে সব ধরনের ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড বিদায় দিয়ে তার বদলে টাটকা শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। খাবারের থালায় অল্প ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে প্রচুর শাক-সবজি খান। এতে আপনার শরীরের বাড়তি মেদ ঝরানো অনেকটাই সহজ হবে। প্রোটিনযুক্ত খাবার খান কেবল শাক-সবজিই নয়, বরং খেতে হবে সুষম খাবার। তাই খাবারের তালিকায় রাখতে হবে পর্যাপ্ত প্রোটিনযুক্ত খাবারও। তবে ফ্যাটযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখবে। এতে বারবার খাওয়ার ইচ্ছা হবে না এবং বাড়তি খাওয়ার ফলে বাড়তি মেদেরও ভয় থাকবে না। খালি পেটে লেবুপানি সকালে ঘুম থেকে উঠে কোনো না কোনো স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করুন। এটি আপনার দিনের শুরুটা সতেজ করে দেবে। আপনার যদি বাড়তি মেদ ঝরানোর লক্ষ্য থাকে তাহলে সকালে খালি পেটে লেবুপানি পান করতে পারেন। এই পানীয় মেটাবলিজম ঠিক রাখতে এবং মেদ ঝরাতে দারুণ কাজ করে। হাঁটতে হবে প্রতিদিন মেদ ঝরাতে চাইলে হাঁটার বিকল্প নেই। তবে অনিয়মিত নয়, হাঁটতে হবে নিয়মিত। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন। দিনে অন্তত ১৫ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। এর বেশি হাঁটতে পারলে আরও ভালো। এভাবে নিয়মিত করলে দেখবেন আপনার বাড়তি মেদ ঝরানো অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

post
লাইফ স্টাইল

যেসব লক্ষণে বুঝবেন ডিহাইড্রেশনের শিকার আপনি

শরীরে পর্যাপ্ত পানির অভাব হওয়াকে ডিহাইড্রেশন বলা হয়ে থাকে। ডিহাইড্রেশন হলে অনেক পরিমাণে পানি খেতে হয় এটি সবার জানা। কিন্তু ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ কী কী হতে পারে তা জানেন? সাবধান হতে জেনে নিন ডিহাইড্রেশনের লক্ষণগুলো- • ডিহাইড্রেশন হলে শরীরের মাংসপেশিগুলিতেও পানি পৌঁছায় না। তাই হঠাৎ করে হাত-পায়ে টান লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। হাঁটতে গেলে বা দৌড়াতে গেলে কিংবা ওঠাবসার সময়ে কি প্রায়ই টান লাগছে? তা হলে কিন্তু পানি খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। • দীর্ঘ দিন শরীরে পানির ঘাটতি হলে, লিভার ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। লিভার পানির সাহায্যে গ্লাইকোজেন তৈরি করে, যা শক্তি জোগায়। কিন্তু সেটা ঠিক মতো না হলে শরীরের আরও বেশি খাবারের প্রয়োজন হবে। তাই নোনতা খাবার, চকোলেট, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। • মাথা ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তার মধ্যে একটি কারণ হলো ডিহাইড্রেশন। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়। তাই সারাক্ষণ মাথা যন্ত্রণা হতে থাকলে বেশি করে পানি খান। • গরমে এমনিতেই ত্বক রুক্ষ থাকে। তার ওপর যদি শরীরে পানির ঘাটতি হয়, তা হলে এই সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। ত্বক অত্যধিক শুকিয়ে যায়। ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। এমনিতে ত্বক যদি অনেকক্ষণ কুঁচকে থাকে তা হলেও আরও বেশি পানি খাওয়া প্রয়োজন। • যদি হঠাৎ প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রেও বুঝতে হবে শরীরে পানির অভাব রয়েছে। এ ছাড়াও শরীরে পানির ঘাটতির কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বোধ হয়।

post
লাইফ স্টাইল

তুলসি ভেজানো পানি খেলে কী হয়?

তুলসি পাতার উপকারিতার কথা কম-বেশি সবারই জানা। জেনে অবাক হবেন যে তুলসি এর নিরাময় বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণে কমপক্ষে ৩,০০০ বছর ধরে একটি ভেষজ প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সবচেয়ে ভালো দিক হলো এই গাছ বাড়িতেই থাকে। শহরে অনেকেরই ছাদ বাগান কিংবা বেলকোনির বাগানেও তুলসি গাছ লাগানো হয়। তাই আপনাকে এই গাছ খুঁজতে দূরে যেতে হবে না। প্রাকৃতিকভাবে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তুলসি পাতায়। সকালে খালি পেটে তুলসি ভেজানো পানি পান করলে পাবেন উপকার। কীভাবে তুলসির পানি তৈরি করবেন বাড়িতে তুলসির পানি তৈরি করা খুবই সহজ। আপনাকে যা করতে হবে তা হল একমুঠো তুলসি পাতা নিয়ে ধুয়ে নেওয়া। এরপর প্রায় ১২-১২ মিনিটের জন্য পানিতে পাতা সেদ্ধ করতে হবে। এবার পাতা ছেঁকে নিয়ে এবং পানি ঠান্ডা হতে দিন। আপনার যদি এটি একটু মিষ্টি প্রয়োজন হয় তবে এতে এক চামচ মধু যোগ করুন। সকালে এই পানি পান করুন। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক তুলসির পানি খাওয়ার উপকারিতা- ১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তুলসির পানি আপনাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। ২০১৭ সালে হিন্দাউইতে প্রকাশিত একটি পর্যালোচনা অনুসারে, তুলসি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ইমিউনোমোডুলেশন বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ যা আমাদের শরীরে, বিশেষ করে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর থেরাপিউটিক প্রভাব ফেলতে পারে। নিয়মিত তুলসির পানি পান করলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। ২. স্ট্রেস এবং উদ্বেগ হ্রাস বর্তমানে অনেকের জন্যই চাপ এবং উদ্বেগ একটি পরিচিত সমস্যা। নিয়মিত তুলসির পানি পান করার মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। একাধিক গবেষণা অনুসারে, তুলসির অ্যাডাপটোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এতে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন এবং ভিটামিন এ এবং সি এর মতো বেশ কয়েকটি পুষ্টি রয়েছে। অ্যাডাপ্টোজেন হলো প্রাকৃতিক পদার্থ যা শরীরকে চাপের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং চাপের পরে এটি পুনরায় সহজ হতে সাহায্য করে। প্রতিদিন তুলসির পানি পান করলে তা স্নায়ুকে শান্ত করতে এবং মানসিক স্বচ্ছতা বাড়াতে সাহায্য করে। ৩. হজম ক্ষমতা বাড়ায় পেট ফুলে যাওয়া, গ্যাস এবং বদহজমের মতো হজম সংক্রান্ত সমস্যা দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করতে পারে। তবে তুলসির পানি দিয়ে এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব। কারণ এটি হজমপ্রক্রিয়াকে সহজ করে। এই ভেষজ উদ্ভিদ হজমকারী এনজাইমের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে যা দক্ষতার সঙ্গে খাবারকে ভেঙে দেয়। এছাড়া, তুলসিতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা পরিপাকতন্ত্রকে প্রশমিত করতে এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।

post
লাইফ স্টাইল

চুলের জন্য সেরা ৫ খাবার

আপনার চুলের স্বাস্থ্য শুধুমাত্র প্রতিদিন কোন শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করেন তার ওপর নির্ভর করে না বরং আপনি কী খান তার ওপরেও নির্ভর করে। আপনি যতই অভিনব পণ্য ব্যবহার করুন না কেন, খাবারে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং পুষ্টির অভাব থাকলে তা কাজ করবে না। পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রার মতে, স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং সঠিক যত্ন চুল ভালো রাখতে কাজ করে। কিন্তু এই খাবারগুলো কী যা চুল ভালো রাখার জন্য নিয়মিত খাওয়া উচিত? চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে- ১. ডিম ডিম আমাদের চুলের জন্য চমৎকার একথা জানা আছে নিশ্চয়ই? এটি প্রোটিনের অন্যতম প্রাকৃতিক উৎস, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যক। এই কারণে আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ডিম যোগ করতে হবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবার আপনার চুল চকচকে এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে কাজ করবে। ২. সবুজ শাক সবুজ শাক আয়রন সমৃদ্ধ এবং আমাদের চুলের জন্য দারুণ কাজ করে। আমাদের চুলের কোষে প্রচুর পরিমাণে এই খনিজ প্রয়োজন হয় এবং এর ঘাটতির কারণে চুলের ক্ষতি হয়। পালং শাক, কলমি শাক, লাউ শাক, কুমড়া শাক, পুঁইশাকের মতো সবুজ শাক নিয়মিত খেলে চুল ভালো রাখা সহজ হবে। ৩. বাদাম এবং বীজ আমাদের চুল সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর চর্বিও প্রয়োজন। বাদাম এবং বীজ এই স্বাস্থ্যকর চর্বির একটি চমৎকার উৎস। এগুলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা চুলকে পুষ্ট এবং ঘন করতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ফ্ল্যাক্সসিড, আখরোট এবং চিয়া বীজ খেতে পারেন। ৪. অ্যাভোকাডো ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (এনআইএইচ) অনুসারে, অ্যাভোকাডোতে পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে, যা চুল ভাঙতে বাধা দেয় এবং চুলকে চকচকে দেখায়। ভাবছেন কীভাবে এটি আপনার খাবারের যোগ করবেন? স্যান্ডউইচ বা স্মুদি তৈরি করে সহজেই খেতে পারেন উপকারী ফল অ্যাভোকাডো। ৫. সাইট্রাস ফল স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য আপনার খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সাইট্রাস ফল যোগ করা জরুরি। এ ধরনের ফল আয়রন শোষণ এবং কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করে। লেবু, কমলা, জাম্বুরা ইত্যাদি সবই চুলের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.