post
লাইফ স্টাইল

খেজুর গুড়ের নারিকেল নাড়ু তৈরির রেসিপি

শীতের নানা খাবারের আয়োজন মানে তাতে খেজুর গুড় থাকবেই। এর মিষ্টি স্বাদ আর গন্ধ পছন্দ করেন না, আমাদের দেশে এমন মানুষ খুব কমই আছেন। শীতের সময়ে খেজুরের গুড় দিয়ে নানা মজাদার খাবার তৈরি করা হয়। বিশেষ করে এসময় বিভিন্ন পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। গ্রামে তো বটেই, শহরের গলির মোড়ে মোড়েও বসে পিঠা তৈরির আয়োজন। তবে আজ পিঠা নয়, জেনে নেবো খেজুর গুড়ের নারিকেল নাড়ু তৈরির রেসিপি-তৈরি করতে যা লাগবে:নারিকেল বাটা- ২ কাপখেজুর গুড়- ৪ কাপঘি- ১ টেবিল চামচ।যেভাবে তৈরি করবেন:প্রথমে প্যানে ঘি দিন। চুলার আঁচের দিকে খেয়াল রাখুন যেন নারিকেল দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তলায় ধরে না যায়। এরপর আস্তে আস্তে নারিকেল ঢেলে দিন। এরপর গুড় দিন। একদিকে নাড়তে থাকুন। একটু পর গুড় গলে আসবে এবং নারিকেল পাক ধরবে। আঠালো ভাব ও সুন্দর গন্ধ বের হলে নামিয়ে ফেলুন। গরম থাকা অবস্থায় নাড়ুর আকৃতিতে গড়ে নিন। এরপর পরিবেশন করুন। এই নাড়ু কয়েকদিন সংরক্ষণ করেও খেতে পারবেন।

post
লাইফ স্টাইল

ঠান্ডায় ত্বকের সুরক্ষা কিভাবে করবেন ?

ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে নবজাতক, শিশু, কিশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক, প্রবীণ সবার প্রতি সব ঋতুতেই যত্নশীল হতে হয়। তবে শীতকালে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য এ সময় ময়েশ্চারাইজার জাতীয় প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে। এগুলোর মধ্যে তেল, লোশন, জেল, সাদা পেট্রোলিয়াম জেলি ইত্যাদি বেশ পরিচিত। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন মেনে চলতে হবে। শীতকালে যেন ঘনঘন প্রস্রাবের চাপ না আসে, তাই অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি পান করে থাকেন। অথচ এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। রঙিন শাকসবজি ও তাজা ফলমূল খেতে হবে। শীতকালে শরীরে খোস-পাঁচড়া, দাদ, চুলকানি, খুশকি, চুলপড়া ইত্যাদি বেশি দেখা দেয়। এ সময় মাথার ত্বকে ছত্রাক জাতীয় জীবাণুর সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। তাই মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে কন্ডিশনারও ব্যবহার করতে হবে। শরীরের ত্বকের জন্য ত্বকের ধরনের অনুযায়ী ইমোলিয়েন্ট ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই মনে করে থাকেন শীতকালে তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন হয় না। স্বাভাবিক, মিশ্র, শুষ্ক, তৈলাক্ত, সব ধরনের ত্বকেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। যে কোনো ধরনের চুলকানি থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। ত্বকের যে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ ও সেবা গ্রহণ করতে হবে।

post
লাইফ স্টাইল

গাজরের লাড্ডু তৈরির রেসিপি

গাজর দিয়ে তৈরি করা যায় চমৎকার স্বাদের সব খাবার। বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবার এটি দিয়ে তৈরি করলে তা খেতে বেশি সুস্বাদু লাগে। গাজরের পায়েস, গাজরের হালুয়া তো তৈরি করাই হয়, গাজরের লাড্ডু তৈরি করে খেয়েছেন কখনো? এই লাড্ডুর স্বাদ মুখে লেগে থাকার মতো। একবার তৈরি করে খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা হবে। আপনি চাইলে বাড়িতে খুব সহজ রেসিপিতে তৈরি করতে পারেন গাজরের লাড্ডু। চলুন জেনে নেওয়া যাক গাজরের লাড্ডু তৈরির রেসিপি-তৈরি করতে যা লাগবে গাজর- ১ কেজি দুধ- ১ লিটার মাওয়া- ২ কাপ চিনি- ৩ কাপ ঘি- আধা কাপ এলাচ গুঁড়া- আধা চা চামচ কেওড়া- ১ টেবিল চামচ দারুচিনি- ২ টুকরা এলাচ- ২টি। গাজর দিয়েও পায়েস হয়! যেভাবে তৈরি করবেন: গাজর মিহি কুচি করে দারুচিনি, এলাচ, দুধ দিয়ে সেদ্ধ করে শুকিয়ে ফেলতে হবে। অন্য প্যানে ঘি গরম করে সেদ্ধ গাজরের সঙ্গে চিনি দিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে হবে। একটু পর কেওড়া ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে নাড়তে হবে। নাড়তে নাড়তে প্যানের গা ছেড়ে এলে চুলা বন্ধ করে দেড় কাপ মাওয়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নেড়ে নিতে হবে। অল্প ঠান্ডা হলে লাড্ডুর আকার করে মাওয়ায় গড়িয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

post
আন্তর্জাতিক

করোনার নতুন ধরন, মাস্ক পরা ও স্ক্রিনিং প্রস্তুতির পরামর্শ

দুনিয়া কাঁপানো করোনাভাইরাসের নতুন ধরন জেএন-১ এর সংক্রমণ ঠেকাতে এবার মাস্ক পরাসহ জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি।যদিও নতুন এই ধরনটি বাংলাদেশে এখনও শনাক্ত হয়নি। তবে ভারতসহ বিশ্বের কিছু দেশে এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতামূলক এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে সংক্রমণ বেড়ে গেলে বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। মঙ্গলবার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির সভা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পরামর্শ তুলে ধরা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে এবং নতুন ওই ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হয়নি। তবে সতর্কতা হিসেবে সবার মাস্ক পরাসহ জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।কমিটি  বলেছে, ভবিষ্যতে সংক্রমণ বেড়ে গেলে নমুনা পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসা এবং বিদেশ ফেরত যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে।কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরী কমিটির সদস্য, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বাংলাদেশে কোভিডের ওই ধরনটি ছড়িয়ে না পড়লেও যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হতে পারে। ধরনটি বাংলাদেশে আসবে না ধরে নিয়ে বসে থাকলে হবে না।তার মতে, এখন অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ খুব সহজ হয়ে গেছে। যেসব দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে সেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে যাত্রীরা আসছেন। তাদের কারও মধ্যে ভাইরাসের এই ধরনটি থাকলে সেটি বাংলাদেশে চলে আসতে পারে। আশঙ্কা যে নাই তা বলা যায় না।তিনি আরও বলেন, নতুন এই ধরন যে বিরাট সমস্যা, সেটি এখনও বলা যাচ্ছে না। কিন্তু শীত মৌসুমে শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেড়ে যায়। এ কারণেই সতর্কতা নেওয়া দরকার।

post
লাইফ স্টাইল

বছরের প্রথম দিনটি যেভাবে কাটাবেন

সবকিছুরই প্রথম মানে বিশেষ। আর সেটি বছরের প্রথম দিন হলে তো কথাই নেই। এই দিন সবাই বিশেষ করে রাখতে চায়। একটু ভালো খাবার খেয়ে, একটু বাইরে ঘুরতে গিয়ে অথবা প্রিয়জনের সান্নিধ্যে সময় কাটিয়ে কোনো না কোনোভাবে দিনটি মানুষ বিশেষ করে তোলে। এই যে আরেকটি বছরের সূচনা হতে যাচ্ছে, দিনটি আপনি কীভাবে কাটাবেন? এই দিনে করতে পারেন ভিন্নকিছু। এমনকিছু কাজ করতে পারেন যা দিনটিকে আনন্দময় করে তোলে বা বিশেষ স্মৃতি হিসেবে রেখে দেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক বছরের প্রথম দিনটি কীভাবে কাটাবেন-১. সৃজনশীল কিছু করুনবছরের প্রথম দিনটি স্মৃতিময় করে রাখুন সৃজনশীল কিছু করার মাধ্যমে। আপনার যদি লেখালেখির হাত থাকে তবে নতুন কিছু লিখে ফেলতে পারেন বা লেখা শুরু করতে পারেন। যদি গান গাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে নতুন কোনো গান কণ্ঠে তুলতে পারেন। ছবি আঁকতে ভালোবাসলে নতুন কোনো চিত্রকল্প ফুটিয়ে তুলতে পারেন আপনার ক্যানভাসে। এতে বছরের প্রথম দিনটি সারা বছরই আপনার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।২. পরিকল্পনা লিখে রাখুনযেকোনো কিছুর পরিকল্পনা থাকলে তা আরও সুন্দরভাবে চলতে থাকে। তাই সারা বছরের পরিকল্পনা শুরুতেই করে ফেলুন। আর বছরের প্রথম দিনেই তা লিখে রাখুন আপনার ডায়েরির পাতায়। বছরের কোন সময়টাতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান তা লিখে রাখুন। এরপর সেই অনুযায়ী এগিয়ে যান। এতে আপনার লক্ষ্য পূরণ করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। বছরের শেষে নিজেকে সফলদের তালিকায় দেখতে পাবেন।৩. ভিন্ন কিছু করুনবছরের শুরুর দিনটাতে একটি কাঁচের জার আর রঙ-বেরঙের কাগজ কিনে নিয়ে আসুন। এবার সেই কাগজের ছোট ছোট টুকরা করে বছরজুড়ে বিভিন্ন স্মৃতিময় কাহিনি লিখে সংরক্ষণ করুন। বছর শেষে দেখবেন অনেক স্মৃতি সংরক্ষণ করা হয়ে গেছে। সেসব কাগজ তুলে একটা একটা করে পড়তে পারবেন। এতে নিজের সাফল্য ও ব্যর্থতাও বুঝতে পারবেন। ফলে নিজেকে পরিবর্তন করা সহজ হবে।৪. মানবিক কাজ করুনমানবিক কাজ আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দেবে। বছরের প্রথম দিনটি বিশেষ করে রাখতে চাইলে মানবিক কোনো কাজে ব্যয় করতে পারেন। দরিদ্রদের সামর্থ্য অনুযায়ী উপহার দেওয়া, বৃদ্ধাশ্রমে বা এতিমখানায় গিয়ে কিছুটা সময় কাটানো, গাছ লাগানো এ ধরনের কাজ করতে পারেন। চাইলে এই দিনটি রক্তদানের জন্যও বেছে নিতে পারেন। এতে দিনটি বিশেষ হয়ে থাকবে।৫. ওয়াল ম্যাগাজিন বানাতে পারেনযদিও এটি পুরনো আইডিয়া কিন্তু আপনার জন্য হতে পারে নতুন কিছু। আপনার পুরো বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি ওয়াল ম্যাগাজিন বানাতে পারেন। এতে ফেলে আসা বছরের বিভিন্ন স্মৃতি লিখে বা তোলা ছবি টাঙাতে পারেন। সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারেন। টাঙিয়ে দিতে পারেন ঘরের দেয়ালের এক কোণে। এটি সবারই ভালোলাগবে।

post
লাইফ স্টাইল

জুতার সঙ্গে মোজা পরা ভালো না খারাপ?

শীতকালে মোজা প্রায় সবাই পরেন। কিন্তু অনেকে জুতা পরেন, কিন্তু মোজা পরেন না। মোজা ছাড়াই জুতা পরেন। কিন্তু মোজা ছাড়া জুতা পরা কি ঠিক? এতে কী কী সমস্যা হতে পারে?গবেষণা অনুযায়ী, জুতা পরলে পা থেকে প্রায় কয়েক মিলিলিটার ঘাম বের হয়। মোজা পরলে পা অত্যধিক ঘামার সুযোগ থাকে না। কিন্তু মোজা না পরলে পায়ের ঘাম পায়েই শুকিয়ে যায়। আর এই ঘাম থেকে জন্ম নেয় ব্যাকটেরিয়া। যা পায়ের ত্বকে র‍্যাশ ও চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। মোজা না পরে শুধু জুতা পরলে পায়ের বিভিন্ন অংশে সরাসরি চাপ পড়ে। এই চাপের জন্য অনেক সময় রক্ত চলাচলও ব্যাহত হয়। মোজা পরলে পায়ে সরাসরি চাপ পড়ে না। এতে কিছুটা হলেও সুরক্ষিত থাকে পা। শীতকালে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে। নানা কারণে মাঝেমাঝেই ত্বকে দেখা দেয় র‌্যাশ ও চুলকানি। মোজা ছাড়া জুতা পরলে অ্যালার্জির আশঙ্কা বাড়ে। তাছাড়া মোজা না পরলে ধুলোবালি থেকে পায়ে ইনফেকশনও হতে পারে! অতএব জুতা পরলে সব সময় মোজা পরুন! গরমকাল হোক বা শীতকাল!

post
লাইফ স্টাইল

নতুন বছরে মেনে চলবেন যে নির্দেশনা

বছরের শেষে এসে নতুন বছরের শুরুতেও আপনি অনেক পরামর্শ পাবেন। আবার আপনার নিজেরও মনে হবে, কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি, সেসবের সবগুলো ধরে রাখা সম্ভব হবে না। তবে পরিবর্তনের চেয়েও পরিবর্তনের চেষ্টা থাকা জরুরি। আপনার প্রচেষ্টা আপনার লক্ষ্যে না হোক, কাছাকাছি পৌঁছে দেবেই। চলুন নতুন বছরে মেনে চলি যে নির্দেশনাগুলো:নতুন বছরে প্রিয়জনের সঙ্গে আপনার সম্পর্ককে লালন করুন এবং অগ্রাধিকার দিন। পরিবার, বন্ধু বা সহকর্মীই হোক না কেন, তাদের সঙ্গে একটি সুন্দর সম্পর্ক ধরে রাখতে সময় এবং প্রচেষ্টা বিনিয়োগ করুন। যা আপনাদের বন্ধনকে শক্তিশালী করবে এবং আপনার মানসিকতা তৈরিতে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখবে।সব সময় নতুন কিছু শেখার বা বোঝার চেষ্টা করুন। যা জীবনে সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা এবং মাত্রা যোগ করবে। কমফোর্ট জোনের বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করুন। নিজেকে আবিষ্কার করুন। নিজের দক্ষতা ও দুর্বলতার জায়গাগুলো চিহ্নিত করুন। নতুন শখ খুঁজে বের করুন। সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত হোন। এগুলো আপনার আত্মবিশ্বাসের মাত্রা বাড়াতে এবং সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করতে কাজ করবে।স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। নতুন বছরে ভারসাম্যপূর্ণ এবং আরও ফিট লাইফস্টাইল করার চেষ্টা করুন। শারীরিক ক্রিয়াকলাপ যেমন শক্তি প্রশিক্ষণ এবং কার্ডিও ব্যায়াম করতে পারেন। আপনার মানসিক স্বাস্থ্য এবং অবস্থার প্রতিও সমান মনোযোগ দিন। প্রতিদিন নিজের জন্য আধা ঘন্টা সময় বের করুন। ধ্যান বা যোগ অনুশীলন করার চেষ্টা করুন। যা শরীর এবং আত্মার জন্য অনন্য উপকারী। এটি আপনার শরীরের শ্বাস নিয়ন্ত্রণ, মননশীলতা এবং নমনীয়তা উন্নত করবে।ইতিবাচক ডিজিটাল উপস্থিতি বজায় রাখুন এবং আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো গঠনমূলক পদ্ধতিতে ব্যবহার করুন। অনলাইনে অন্যদের অভিজ্ঞতা, ক্রিয়াকলাপ, কৃতিত্ব এবং ব্যস্ততা দেখে প্রভাবিত হবেন না। সব সময় মনে রাখবেন যে একটি গল্পের দুটি অংশ রয়েছে এবং অনলাইনে সবকিছু সত্যি নয়। ধৈর্য ধরুন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক ব্যবহার নিশ্চিত করুন।নিজের প্রতি যত্নকে অগ্রাধিকার দিন। কম ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করুন যা চিন্তাশীল এবং ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। আপনার বাউন্ডারি তৈরি করুন, স্ট্রেস এবং উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন। এমন কাজ করুন যা আপনার মননশীলতা বাড়িয়ে তুলবে। নিজেকে ভালোবাসলে বাকি সবকিছু ভালোবাসাও সহজ হবে।

post
সংবাদ

দেশে ডেঙ্গুতে আরও চারজনের মৃত্যু

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৮৬ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩৯ জন। অন্যদিকে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন এক হাজার ৪৫৬ জন ডেঙ্গুরোগী।সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২৩৯ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬৫ জন। ঢাকার বাইরের ১৭৪ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার ভেতরে একজন ও ঢাকার বাইরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ১৯ হাজার ৪৭৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৯ হাজার ৫৭৬ জন, আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ নয় হাজার ৮৯৯ জন। ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৪২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরের ২৫৩ জন।গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ১৬ হাজার ৩৩৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৮ হাজার ১৫৬ জন এবং ঢাকার বাইরের দুই লাখ আট হাজার ১৭৭ জন। ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।

post
বাংলাদেশ

বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর: বিএসএমএমইউ

মানুষের শরীরে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী প্রধান জীবাণুগুলোর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ব্যবহৃত প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের অ্যান্টিবায়োটিক প্রায় ৯০ শতাংশ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। অ্যান্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহার এর প্রথম ও প্রধান কারণ। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে তা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা নিতে যাওয়া ৭২ হাজার ৬৭০ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।সোমবার বিএসএমএমইউর শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘সংক্রামক ব্যাধি চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও কার্যকারিতার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফলে এ তথ্য তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফজলে রাব্বি চৌধুরী।বিএসএমএমইউর মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে। অনুষ্ঠানে মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা আনোয়ার গবেষণাপত্র তুলে ধরেন। আর সংক্রামক ব্যাধি চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও কার্যকারিতার চ্যালেঞ্জসমূহ বর্ণনা করেন অধ্যাপক ডা. ফজলে রাব্বি চৌধুরী।গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে অন্তত ৭৫ ভাগ ইনফেকশন হয় টাইফয়েড, ই-কোলাই, স্ট্যাফাউরিয়াস, ক্লিবশিয়েলা ও সিউডোমোনাস ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে। এসব ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাকসেস ও ওয়াচ গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক প্রায় ৯০ শতাংশ অকেজো হয়ে গেছে। এছাড়া আইসিইউয়ের রোগীদের যে অ্যান্টিবায়োটিকে চিকিৎসা চলতো, তা এখন ওয়ার্ডের রোগীদেরও দিতে হচ্ছে। এতে বোঝা যায় পরিস্থিতি কতটা খারাপের দিকে যাচ্ছে একই সঙ্গে যেসব জীবাণু আগে শুধু আইসিইউতে মিলতো সেগুলো এখন কমিউনিটিতেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে না। অযাচিত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে মানুষ এখন প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৭০ হাজার লোক মারা যায় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সের কারণে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২০৫০ সালে গিয়ে দেখা যাবে করোনার থেকেও বেশি রোগী মারা যাবে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সের কারণে।হাসপাতালে দর্শনার্থীরা রোগীদের দ্বারা সংক্রমিত হয়ে থাকে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, হাসপাতালে যাবেন রোগী দেখতে, একটু দূরে থেকে দেখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় রোগীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়ে সাধারণ মানুষও রোগী হয়ে যায়। এটিকে ক্রস ইনফেকশন বলে। এজন্য হাসপাতালে গেলেও দ্রুত সেখান থেকে চলে যেতে হবে।অনুষ্ঠানে মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগে ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত রোগীর নমুনায় সব ধরনের জীবাণুর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সংবেদনশীলতার রিপোর্ট প্রকাশ করেন বেসিক সায়েন্স ও প্যারা-ক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ।বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. চন্দন কুমার রায় রোগীদের নমুনায় জীবাণু শনাক্তকরণ ও জীবাণুসমূহের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সংবেদনশীলতা নির্ণয়ের বিএসএমএমইউতে থাকা প্রযুক্তিসমূহ এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্ট মোকাবিলায় এ বিভাগের ভূমিকা তুলে ধরেন।

post
বাংলাদেশ

ডা. আবদুল মালিক আর নেই

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার ডা. আবদুল মালিক আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন তিনি। বাংলাদেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় ১৯৭৮ সালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন ডা. আবদুল মালিক। ২০০৪ সালে স্বাধীনতা পদককে ভূষিত হন। ২০০৬ সালে সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক মনোনীত করে। অধ্যাপক আবদুল মালিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.