post
সংবাদ

কলেরা নিয়ে ডব্লিউএইচও’র উদ্বেগ

বিভিন্ন দেশে পানিবাহিত রোগ কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। প্রাণঘাতী এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে তাই বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও’র পক্ষ থেকে বলা হয়, গত দু’তিন বছর ধরে বিভিন্ন দেশে কলেরার অনাকাঙ্খিত ও উদ্বেগজনক প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কলেরার বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো কলেরা নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা এবং নিয়মিত নজরদারি এবং কলেরা টেস্ট বিষয়ক সক্ষমতা বাড়ানো। ডব্লিউএইচও’র হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার জন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখে। চলতি ২০২৪ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আলামত পাওয়া যাচ্ছে।

post
নারী ও শিশু

শিশুর চোখে ঘুম নেই?

শিশুর ঘুম যদি কমে যায় তাহলে তার খাবারের দিকে নজর দিন। শিশুকে খেতে দিন এমন খাবার যেগুলো ঘুমে সহায়তা করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক- ডুমুর একটি অত্যন্ত উপকারী ফল। কিন্তু এটি এখনকার বেশিরভাগ মানুষেরই খাবারের তালিকায় থাকে না। পুষ্টিকর এই ফলে থাকে আয়রন, পটশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম। এই উপাদানগুলো মাসলকে রিলাক্স হতে সাহায্য করে। কলা তো আমাদের প্রায় সবার বাড়িতেই খাওয়া হয়, শিশুর পাতে নিয়মিত কলা দিচ্ছেন তো? শিশুর ঘুম যদি কমে যায় তবে তাকে প্রতিদিন কলা খেতে দিন। কারণ কলায় থাকে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের যা পেশিকে বিশ্রাম নিতে সাহায্য করে। এতে আরও থাকে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি উপাদানের যা শরীরে সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়। মিষ্টি আলুর উপকারিতা সম্পর্কে জানা আছে কি? আপনার শিশুর প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন অত্যন্ত উপকারী এই খাবার। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে দিলে তা শিশুর শরীরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি মেটাতে কাজ করবে। সেইসঙ্গে এতে থাকা আরও অনেক উপকারী উপাদান শিশুর চোখে ঘুম নিয়ে আসবে। বাদামের গুণ রয়েছে অনেক। এটি আপনার শিশুর চোখে ঘুম এনে দিতেও কাজ করে। তাই শিশুকে নিয়মিত বাদাম খেতে দিতে হবে। বাদামে থাকা পর্যাপ্ত খনিজ পেশির বিভিন্ন ব্যথা দূর করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও শিশুর জন্য উপকারী।

post
আন্তর্জাতিক

স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করতে চায় ইউনিসেফ

ইউনিসেফ করোনার সময় গোটা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও নানাভাবে সহযোগিতা করেছে। এখন জাতিসংঘের শিশু তহবিল থেকে দেশের শিশুদের শতভাগ ভ্যাকসিন পাওয়া নিশ্চিত করা, নিরাপদ মাতৃত্বসহ স্বাস্থ্যখাতের অন্যান্য দিক নিয়েও জাতিসংঘের এই বিশেষ সংস্থাটি দেশে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দপ্তরে ইউনিসেফের জাতিসংঘ শিশু তহবিলের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট এবং জাতিসংঘ শিশু তহবিলের হেলথ সেকশনের চিফ মায়া ভ্যানডেন্ট এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে একথা জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব, ভ্যাকসিন কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করা, দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়তা করা, তৃণমূল পর্যায়ে শিশুদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অবকাঠামো নির্মাণ করাসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজেও ইউনিসেফ ভূমিকা রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এগুলোর সঙ্গে শিশুদের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ইউনিসেফ প্রতিনিধিদেরকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানালে তারা তাতে আগ্রহ দেখিয়েছে। সাক্ষাৎকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটো মিয়া, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান (অতিরিক্ত সচিব), স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) মামুনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

post
লাইফ স্টাইল

রাগ করা কি ভালো?

রাগী মানুষকে সবাই যেন একটু এড়িয়েই চলতে চায়। যার রাগ বেশি, তার বদনামও বেশি। কিন্তু রাগও যে একটি আবেগ, তা আমরা বেশিরভাগ সময়েই ভুলে যাই। অন্যসব আবেগের মতো এটি নিয়ন্ত্রণ করাও বেশ কষ্টকর। তাই কখনো কখনো রাগ প্রকাশ হয়ে গেলেই যে তা খারাপ, এমনটা মনে করার কারণ নেই। রাগ কি শরীরের জন্য ভালো? চলুন জেনে নেওয়া যাক- অনেক সময় আমরা অনেককিছু সহ্য করে নিই। নিজের সঙ্গে নিজের লড়াই চলতে থাকে ভেতরে ভেতরে। কিন্তু আমরা বাইরে তা প্রকাশ করতে পারি না। এতে আমাদের মন ধীরে ধীরে বিমর্ষ হয়ে যেতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে শরীরেও। আমাদের ছোটবেলা থেকেই শেখানো হয় যে রাগ এবং অন্যান্য নেতিবাচক আবেগগুলো খারাপ এবং অন্যের কাছে কখনোই প্রকাশ করা উচিত নয়। কিন্তু অন্যান্য নেতিবাচক আবেগের মতো রাগ ক্ষতিকর নয়। বরং এটি পুষে রাখাই ক্ষতিকর। রাগ ধরে রাখলে তা ধীরে ধীরে অস্বস্তিও বাড়িয়ে তোলে। অন্য কারও ওপর জমতে থাকে বিতৃষ্ণা। এরপর একদিন না একদিন তা বিস্ফোরিত হয়ই। তাই রাগ ধরে না রেখে যে কারণে বা যার ওপর রাগ জমেছে তাকে বলে দেওয়াই ভালো। রাগ করলেই যে ভীষণ ঝগড়া করতে হবে কিংবা মুখ দেখাদেখি বন্ধ করতে হবে বিষয়টি কিন্তু এমন নয়। বরং রাগ মানে হলো যে বিষয়টি আপনার পছন্দ নয় তা বুঝিয়ে দেওয়া। সেটি ভদ্রভাবেই করা যেতে পারে। এমনটাই স্বাস্থ্যকর।

post
বাংলাদেশ

রোগীর কষ্ট লাঘবে পদক্ষেপের দাবি ক্যাবের

৩০ হাজার টাকা ভাতা ও কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবিতে সারাদেশে একযোগে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ (ইচিপ)। ফলে দেশজুড়ে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) মনে করে রোগীদের জিম্মি করে চিকিৎসকের কর্মবিরতি অমানবিক, অসাংবিধানিক ও মানবাধিকার পরিপন্থি। তাই বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোগীর কষ্ট লাঘবে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ক্যাব। সংস্থাটি বলছে, গত কয়েকদিন থেকে ইন্টার্ন-পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা ৪ দফা দাবিতে অনিদিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে। ফলে অনেক হাসপাতালে বন্ধ অস্ত্রোপচার। রোগী দেখছেন ওয়ার্ডবয় ও নার্স। এতে সরকারি হাসপাতালের রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে তাদের যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবি মেনে নিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে ক্যাব।

post
লাইফ স্টাইল

ত্বক ভালো রাখার কৌশল

রোজায় পানি কম পান করা হলে এবং ভাজাপোড়া ও মসলাদার খাবাার বেশি খাওয়া হলে তার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকেও। এসময় ত্বক নির্জীব ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই রোজায়ও ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, রোজায় ত্বক ভালো রাখতে কী করবেন- আমাদের ত্বকের উপর মরা চামড়া জমে লোমকূপ বন্ধ করে দিতে পারে। তাই ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে ক্লিনজিং ব্যবহার করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর একটি পরিষ্কার সুতির কাপড়ে এক টুকরা বরফ নিয়ে মুখে ঘষতে পারেন। তবে বরফ কখনোই সরাসরি মুখে লাগাবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এভাবে বরফ ব্যবহারের ফলে মুখের ফোলাভাব অনেকটাই কমে যাবে। চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করার জন্য ফ্রিজে একটি চা চামচ রেখে দিতে পারেন। সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করতে পারেন স্ক্র্যাব। নিয়মিত ক্লিনজিং এর পরও অনেক সময় ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার হয় না। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে স্ক্র্যাব। বাইরে থেকে না কিনে ঘরেই তৈরি করতে পারেন স্ক্র্যাব। যেমন ধরুন কফি আর মধু দিয়েই আপনি একটি স্ক্যাব তৈরি করে নিতে পারেন। রোজায় ইফতারের সময় অনেকেই পাকা পেঁপে খেতে পছন্দ করেন। এটি কিন্তু এসময় আপনার ত্বক ভালো রাখতেও কাজ করবে। সেজন্য আপনার প্রয়োজন হবে দুই চা চামচ পাকা পেঁপের পেস্ট এবং দুই চা চামচ মধু। এবার এই দুই উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।

post
প্রযুক্তি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় শনাক্ত হবে যক্ষ্মা

বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হবে। আগামী বছর থেকে দেশের তিনটি জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে পাইলট কর্মসূচি হিসেবে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু হচ্ছে। শুরুতে ঢাকা, খুলনা ও পঞ্চগড় জেলায় এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সোমবার রাজধানীতে আইএসিআইবি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান। ‘টিবি (যক্ষ্মা)-সিআরজি বিষয়ে কর্ম-পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। এতে আইএসিআইবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা.মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে উন্নত দেশগুলো শতভাগ সফলতা পেয়েছে। আমাদের উপমহাদেশেও এখন যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করার পাইলটিং চলছে। আমাদের দেশেও আগামী বছর থেকে ঢাকা, খুলনা ও পঞ্চগড় এই তিনটি জেলায় যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের জন্য কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক এই কর্মকর্তা আরও বলেন, দেশে ৫১ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী খুব উচ্চ পরিবহন খরচের কারণে যক্ষ্মা রোগের ওষুধ নিতে কেন্দ্রে আসেন না। এ জন্য রোগীদের কাছাকাছি যদি ফার্মেসিতে ওষুধ রাখা যায়, তাহলে তারা সহজেই ওষুধ নেবেন। ওষুধ সেবন করে তারা সুস্থ হবেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা একটি জীবাণুঘটিত রোগ। যেকোনো বয়সী নারী পুরুষের যে কোনো সময়ে যক্ষ্মা হতে পারে। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে যক্ষ্মারোগের সংক্রমণ ঘটে।

post
লাইফ স্টাইল

রোজায় যা খাবেন

রমজান মাসে খাদ্যাভ্যাসেরও পরিবর্তন হয়, সারাদিন ধরে টেকসই শক্তি প্রদান করে এমন স্বাস্থ্যকর খাবারের ওপর জোর দেওয়া হয়। তবে অঞ্চলভেদে রোজার খাবার হিসেবে কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবারও থাকে। মুম্বাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালের ক্লিনিকাল নিউট্রিশনিস্ট মিসেস বর্ষা পুষ্টি এবং শক্তির মাত্রা ঠিক রাখার জন্য সেহরি ও ইফতারে সঠিক খাবার বেছে নিতে বলেন। তিনি রোজায় কিছু খাবার খেতে এবং কিছু এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেহরিতে যা খেতে পারেন: * ওটসের মতো দানা শস্য। * প্রোটিনের উৎস যেমন ডিম, দই, পনির, মুরগি বা মাছ। * শক্তির জন্য দানা শস্য খাবেন। এতে জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে। * প্রোটিন পেশী মেরামতে সাহায্য করে, ক্ষুধা কমায়। ইফতারে যা খেতে পারেন * খেজুর এবং পানির মতো হালকা কিছু দিয়ে শুরু করুন। * খেজুর প্রাকৃতিক শর্করা, ফাইবার,পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম প্রদান করে। * ফল, সবজি, ভাত, মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবারসহ সুষম খাবার। * প্রোটিন টিস্যু রক্ষণাবেক্ষণ এবং নির্মাণে সহায়তা করে। * দানা শস্য এবং জটিল কার্বোহাইড্রেট রিচার্জ এনার্জি স্টোর করে।

post
নারী ও শিশু

শিশু জন্মদানে সরকারি উদ্যোগের আহ্বান

গর্ভকালীন সময়ে ও শিশু জন্মদানের সময় মায়েদের নানা ঝুঁকি থাকে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুর মৃত্যু রোধে এবং মা-শিশুকে সুস্থ রাখতে হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে শিশু জন্মদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকায় কোনো স্বাস্থ্যসেবা ছাড়াই ঘরেই সাধারণভাবে শিশু জন্মদানের চেষ্টা করানো হয়। তাদের মাঝে গর্ভকালীন সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং হাসপাতালে ডেলিভারি করানোর বিষয়ে সঠিক জ্ঞান থাকেনা। ধর্মীয় গোঁড়ামিও অনেকটা বাধাগ্রস্ত করে হাসপাতালে শিশুর জন্মদান। সোমবার রাজধানীর গুলশান ২ এর একটি হোটেলে আয়োজিত দ্বীপ এলাকায় মিডওয়াফ পরিচালিত স্বাস্থ্য সেবা প্রধান শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ে জ্ঞান আদান-প্রধান ওয়ার্কশপে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা সরকারিভাবে গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের সেবাদানে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পার্টনার্স ইন হেলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিএইচডি) ও কনসার্ন ওয়ার্লওয়াডের যৌথ প্রকল্পে দেশের দ্বীপ এলাকায় পরিচালিত হচ্ছে মিডওয়াইফ ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা প্রজেক্ট। এই প্রকল্প ভোলা জেলার চরফ্যাশন এবং মনপুরা উপজেলায় পরিচালিত হয়। এই প্রকল্পে মাধ্যমে মিডওয়াইফদের মাধ্যমে হাসপাতালে প্রায় ৬০০ শিশুর জন্ম হয়েছে। দ্বীপ এলাকায় মাঠপর্যায়ে কাজ করে ও নানাভাবে বুঝিয়ে হাসপাতালে শিশু জন্মদানে উৎসাহিত করতে কাজ করেছেন মিডওয়াফ ইতি আক্তার। তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলে মানুষদের হাসপাতালে নিয়ে আসা অনেক কষ্টকর। পরিবার থেকে শ্বশুর শ্বাশুড়িরা রাজী হতে চায়না। তারা চায় বউয়ের ডেলিভারি ঘরেই হোক।

post
লাইফ স্টাইল

কানের যত্ন নিতে হয় যেভাবে

কীভাবে কানের যত্ন নেওয়া যেতে পারে, তা হয়তো অনেকে জানেন না। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত- কান যে নিয়মিত ধোওয়ার প্রয়োজন আছে সেকথা কি আপনি জানেন? অনেকে কানের ভেতরে পানি চলে যাওয়ার ভয়ে কান ধোওয়া থেকে বিরত থাকেন। এমনটা করা যাবে না। বরং নিয়মিত কান ধোওয়ার অভ্যাস করতে হবে। অনেকে কান পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ইয়ারবাড ব্যবহার করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কান পরিষ্কারের ক্ষেত্রে ইয়ারবাড ব্যবহার করা একদমই উচিত নয়। অনেকে আবার দিয়াশলাইয়ের কাঠি কিংবা কলম ইত্যাদি কানের ভেতরে প্রবেশ করান কান পরিষ্কারের জন্য। কানের ভেতরে কিছু ঢুকলে তা দ্রুত বের করার ব্যবস্থা করুন। কারণ অপরিষ্কার পানি বা কিছু রাসায়নিক জাতীয় কিছু কানের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এর ফলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে। কান ভালো রাখার জন্য খেয়াল রাখতে হবে শব্দের দিকেও। উচ্চ শব্দ এড়িয়ে চলতে হবে। তাই যেখানে অতিরিক্ত কোনো শব্দ থাকে সেখানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ উচ্চ শব্দ কানের জন্য ক্ষতিকর। কানে বিভিন্ন ধরনের অলঙ্কার পরতে পছন্দ করেন অনেকে। তাতে সৌন্দর্য ফুটে উঠলেও অনেক সময় ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ অনেক ভারী অলংকারের কারণে কানের চামড়া কেটে যেতে পারে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.