post
সংবাদ

মাত্র ১০০ রুপির ট্যাবলেটে ক্যানসার নিরাময়!

ক্যানসারের গবেষণায় নতুন আশার দেখালো ভারতের অন্যতম বড় ক্যানসার হাসপাতাল মুম্বাইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট। দ্বিতীয়বার ক্যানসারের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে একটি ওষুধ আবিষ্কারের দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি’ যার মূল্য মাত্র ১০০ রুপি।মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, টাটা ইনস্টিটিউটের গবেষক ও চিকিৎসকরা প্রায় ১০ বছর ধরে এই ওষুধ আবিষ্কারে কাজ করেছেন।গবেষকদের দাবি, রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির মতো চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেবে এই ওষুধ। গবেষক দলের সদস্য ও টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের সিনিয়র ক্যানসার সার্জন ডা. রাজেন্দ্র বাড়বে এনডিটিভিকে বলেন,গবেষণার জন্য ইঁদুরের মধ্যে মানুষের ক্যানসার কোষ ঢোকানো হয়েছিল, যা তাদের মধ্যে একটি টিউমার তৈরি করেছিল। তখন ইঁদুরগুলোকে রেডিয়েশন থেরাপি, কেমোথেরাপি এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। তখন দেখা যায়, এই ক্যানসার কোষগুলো মারা গেলে সেগুলো ক্রোমোটিন নামক ক্ষুদ্র কণায় টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এই কণাগুলো রক্তের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য অংশে যেতে পারে এবং যা সুস্থ কোষকে ক্যানসারে পরিণত করে। তিনি বলেন, এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে চিকিৎসকরা ইঁদুরকে রেসভেরাট্রল এবং কপারের সম্মিলিত প্রো-অক্সিডেন্ট ট্যাবলেট দিয়েছেন। এই ট্যাবলেটটি ক্রোমাটিন কণার প্রভাব প্রতিরোধে উপকারী ছিল।  ডা. রাজেন্দ্র বাড়বে বলেন, এই ট্যাবলেটটি সর্বত্র ১০০ রুপিতে পাওয়া যাবে। এটি এখন পর্যন্ত ক্যানসার নিরাময়ে সবচেয়ে সস্তা চিকিৎসা হিসাবে প্রমাণিত। এই চিকিৎসকের মতে, এই ট্যাবলেট থেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেবে এবং ক্যানসারের পুনরাবৃত্তি না হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৩০ শতাংশ। ডা. রাজেন্দ্র বলেন, লাখ লাখ থেকে কোটি টাকার বাজেটে চিকিৎসা করা হলেও এই ট্যাবলেটটি সর্বত্র পাওয়া যাবে মাত্র ১০০ টাকায়। জুন-জুলাইয়ের মধ্যে এটির অনুমোদন পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।

post
লাইফ স্টাইল

সঙ্গী প্রতারণা করছে বুঝবেন যেভাবে

আপনার সঙ্গে প্রতিশ্রুতবদ্ধ থেকেও যদি সঙ্গী প্রতারণা করে, তবে তা আগেভাগে বুঝতে পারলেই ভালো। কারণ, কারও প্রতারণার শিকার হওয়ার মানে হলো নিজেকে ঠকানো। যখনই নিশ্চিত হবেন যে সঙ্গী প্রতারণা করছে, তখনই তার কাছ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেবেন। কারণ প্রশ্রয় পেলে সে বারবারই প্রতারণা করে যাবে। কিন্তু তার আগে তো নিশ্চিত হতে হবে। কেবল অনুমানের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। তাহলে কীভাবে বুঝবেন যে সঙ্গী প্রতারণা করছে? সেজন্য এই লক্ষণগুলোর দিকে খেয়াল করুনকোনোকিছু লুকানো প্রাইভেসি আর কোনো কিছু লুকানোর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্কে থাকার সময় প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত স্পেস থাকে। দু’জন দু’জনের সবকিছুতে নাক গলানোও ঠিক নয়। বরং কিছু ক্ষেত্রে বাউন্ডারি থাকা বরং ভালো। কিন্তু সঙ্গী যদি এর বদলে আপনার কাছ থেকে অনেক সত্য গোপন করে বা লুকিয়ে রাখে সেটি ক্ষতিকর। এটি এক ধরনের সূক্ষ্ম প্রতারণা। ফ্লার্টিং বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে চটকদার কথোপকথন করার অভ্যাস আছে কি তার? সে যদি আপনাকে লুকিয়ে অন্য কারও সঙ্গে এমনটা করে থাকে তবে সতর্ক হোন। এর মানে হলো আপনি তার সুক্ষ্ম প্রতারণার শিকার। এ ধরনের মানুষ অনেক সময় মেসেজে এমনটা করতে পারে, কেউ কেউ আবার সামনাসামনিও করে থাকে। ভালো করে খেয়াল করুন, সেও কি এমনটা করছে? তাহলে আপনার উপস্থিতি তার জীবনে ততটাও গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনলাইনে আড্ডা দেওয়া অনলাইন কোর্টিং হলো অনলাইনে রোমান্টিক সংযোগ খোঁজার একটি কাজ, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে যদি সে এমনটা করে থাকে তবে তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। যদি আপনার সঙ্গী গোপনে বিপরীত লিঙ্গের কাউকে ফলো করে এবং তার ছবিতে লাইক করে বা ঘন ঘন টেক্সট পাঠায়, তবে এটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সতর্কতা সংকেত পারে। মিথ্যা বলা যদি কোথায় আছে তা জিজ্ঞেস করলে উত্তরে আপনাকে সত্যি কথা না বলে তবে এটিও আপনার জন্য সতর্ক সংকেত। হয়তো অন্য কারও সঙ্গে সময় কাটাতে পারে কিন্তু আপনাকে বলছে যে সে বাসায় আছে। যদি সত্যিটা আপনার সামনে আসে তবে এড়িয়ে যাবেন না। কারণ এই সত্যি একটা সময় আপনার বড় বিপদের কারণ হতে পারে। প্রাক্তনের সঙ্গে কথা বললে আপনার সঙ্গী যদি তার প্রাক্তনের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ রাখে বা যোগাযোগের চেষ্টা করে তবে বুঝে নেবেন যে সে একজন প্রতারক। কারণ তার হৃদয়ে এখনও প্রাক্তনের জন্য জায়গা রয়েছে, যা আপনার কাছে স্বীকার করে না। এভাবে আপনাকে না জানিয়ে প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে গেলে তা আপনার জন্য কখনোই মঙ্গলজনক হবে না। তাই আগেভাগেই সতর্ক হোন।

post
নারী ও শিশু

জাপানিজ দুস্থ শিশুদের মাঝে হালাল দেশীয় খাবার বিতরন

জাপানে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগে জাপানিজ দুস্থ শিশুদের মাঝে হালাল দেশীয় খাবার বিতরন করা হয়। দেশীয় খাবারের মধ্যে বিরিয়ানি, গরুর রেজালা, পোলাও ও ডালসহ বিভিন্ন রকমের স্বুস্বাদু সব খাবার। দুস্থ: শিশুরা ছাড়াও সাধারন জাপানিজরাও অংশগ্রহন করে উপভোগ করেন বাংলাদেশী খাবার এবং সংস্কৃতি। জাপানের চিবা প্রেফাক্সারের চ্যারিটি অরগানাইজেসন “মিনামি নাগারেয়ামা কিডস ক্যাফেটেরিয়া” সপ্তাহান্তে জাপানিজ দুস্থ শিশুদের জন্য নিয়োমিত ভাবে খাবারের আয়োজন এবং বিতরন করে থাকে। এরই অংশ হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশীরা জাপানিজ শিশুদের মধ্যে প্রথমবারের মত দেশীয় হালাল খাবার বিতরন এবং দেশীয় সংস্কৃতি উপস্থাপন করেন । দেশীয় খাবারের মধ্যে বিরিয়ানি গরুর রেজালা পোলাও ডাল সহ বিভিন্ন রকমের খাবারের আয়োজন ছিলো। জাপানিজ শিশুরা ছাড়াও সাধারন জাপানিজরাও অংশগ্রহন করে বেশ উপভোগ করেন বাংলাদেশী খাবার এবং সংস্কৃতি। মিতসুবিসি ব্যাংক জাপানের আইটি ডিপার্টমেন্ট এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর, জাপান প্রবাসী রনি পারভেজ তালুকদার এবং চ্যারিটি অরগানাইজেসনের কর্ণধার সাতোমি কানাগাওয়া সহ প্রবাসী অন্যান্য আয়োজকবৃন্দ উপস্থিত থেকে খাবার বিতরন এবং অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন ।

post
লাইফ স্টাইল

নারীরা কী খাবেন?

সবাইকে ভালো রাখার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে নিজের দিকটাই ভুলে থাকেন নারীরার। কিন্তু নিজের দিকে খেয়াল না রাখলে একটা সময় অন্যের দিকে খেয়াল রাখাই মুশকিল হয়ে যাবে। বিশেষ করে বয়স ত্রিশ বছর পার হলেই নজর দিতে হবে খাদ্যাভ্যাসের দিকে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক-নারীর হরমোনের ভারসাম্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো ভিটামিন ডি। সেইসঙ্গে এটি মন ভালো রাখতে সাহায্যও করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি শরীরে পৌঁছলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এ কারণে নারীকে ত্রিশের পরে বেশি করে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে। অনেক নারীই এই বয়সে বেশ ক্লান্ত বোধ করেন। এর অনেক কারণও আছে। তবে এমনটা হলে সবার আগে খাবারের দিকে খেয়াল করবেন। আপনি যদি ভীষণ ক্লান্তি বোধ করেন, তবে খাবারের তালিকায় ডায়েটে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করতে হবে। সুস্থতার জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য, মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একজন নারী যখন বয়স ত্রিশ বছর পার করবেন তখন অবশ্যই ওমেগা ৩ জাতীয় খাবার রাখতে হবে খাবারের তালিকায়।হাড় ভালো রাখার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তার কথা কম-বেশি শুনে থাকবেন। তবে কেবল শক্তিশালী হাড়ের জন্যই নয়, ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয় আমাদের শরীরের সামগ্রিক শক্তির জন্য, পেশীর শিথিলতার জন্য এবং স্নায়ুর কার্যকারিতার জন্যও।

post
লাইফ স্টাইল

প্রতিদিন বেদানা খেলে যেসব উপকার পাবেন

আপনার অস্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায়ই হতে পারে সুস্থতার পথে সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই বাইরের খাবার, ভাজাভুজি, প্যাকেটজাত খাবারের বদলে তালিকায় রাখতে হবে সতেজ ও পুষ্টিকর প্রয়োজনীয় খাবার। অনেকে গলা ভেজানোর জন্য প্যাকেটজাত পানীয় কিনে খান। এতে থাকে প্রচুর চিনি ও প্রিজারভেটিভ। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে এসবের বদলে আপনি আপনি খেতে পারেন বেদানা বা পান করতে পারেন বেদানার রস। এই ফলে থাকে থায়ামিন এবং ফোলেট। এসব উপাদান আমাদের কোষকে সুস্থ রাখতে কাজ করে।বেদানা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারিতা নিয়ে আসে। প্রতিদিন টাটকা বেদানার রস পান করলে অনেক উপকার পাবেন। বেদানার রসে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এটি শরীরে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে। সেইসঙ্গে এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ফ্রি ব়্যাডিকেলের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি কমাতেও কাজ করে। যে কারণে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা তৈরি করা সহজ হয়। নিয়মিত বেদানার রস পান করলে কোলেস্টেরল কমে যায়। এর ফলে ধমনীতে ব্লক হওয়ার ভয় থাকে না। সেইসঙ্গে এই ফল খেলে তা আপনাকে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকেও দূরে থাকবে। বেদানা খেলে তা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। তা এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত বেদানা বা এর রস খাওয়ার অভ্যাস করুন। আমাদের ত্বকের জন্য বেদানার রস পান করা উপকারী। এতে থাকে ভিটামিন সি। এর ফলে বেদানা খেলে ত্বকে কালচে দাগ থাকলে তা দূর হয়, সেইসঙ্গে আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। বেদানায় থাকে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এটি ফ্রি ব়্যাডিক্যাল ড্যামেজ কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। নিয়মিত বেদানা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। যে কারণে যেকোনো সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ভয় অনেকটাই কমে যায়। বেদানায় থাকা বিশেষ একটি উপকারী যৌগ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের কারণে হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো অসুখ হওয়ার ভয় থাকে। বেদানা খেলে তা প্রদাহ কমিয়ে এসব রোগ প্রতিরোধে

post
লাইফ স্টাইল

ডায়াবেটিসের জন্যে যা করবেন

ডায়াবেটিস রোগীর পক্ষে অন্য দশজনের মতো স্বাভাবিক রুটিনে চলা সম্ভব হয় না। কিন্তু নিয়ম মেনে চলতে পারলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে অনেক অসুখ থেকে দূরে থাকা সহজ হবে। চলুন জেনে নেই নিয়ম গুলো-ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। যতই লোভ হোক না কেন, এ জাতীয় খাবার খাবেন না। অনেক সময় আপনার কোল্ড ড্রিংকস খাওয়ার ইচ্ছা হতে পারে। কিন্তু সেই ইচ্ছাও নিয়ন্ত্রণ করতে জানতে হবে। কোনো ধরনের কোল্ড ড্রিংকস খাবেন না। কারণ এতে অনেক বেশি চিনি থাকে।আপনাকে প্রসেস খাবার এবং রিফাইন কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার থেকে পুরোপুরি দূরে থাকতে হবে। কারণ এ ধরনের খাবার খেলে তা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য এটি ভীষণ ক্ষতিকর অভ্যাস।সব ধরনের মুখরোচক খাবারে এক ধরনের অলিখিত নিষেধাজ্ঞা থাকতে হবে। এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হলে আপনাকে অবশ্যই ভাজাপোড়া ও উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এ ধরনের খাবার ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দেয়। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। সাদা পাউরুটির বদলে লাল আটার তৈরি রুটি খেতে পারেন। কারণ সাদা পাউরুটি খেলে তাও ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দেয়।

post
আন্তর্জাতিক

ইংল্যান্ডে ক্যান্সার চিকিৎসায় অবহেলার রেকর্ড

ইংল্যান্ডে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় অবহেলা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এতে করে অসংখ্য ক্যান্সার রোগীর জীবন পড়েছে চরম ঝুঁকিতে। ২০২৩ সালের ক্যান্সার চিকিৎসার পরিস্থিতি গবেষণা শেষে বিবিসি এ সংবাদ প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ৬৪ শতাংশ রোগীর ৬২ দিনের মধ্যে চিকিৎসা পাওয়ার ভাগ্য হলেও, প্রায় লক্ষাধিক রোগীর সে ভাগ্য হয়নি। ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসায় গত ১১ বছরে এমন অবনতি হয়নি বলেও জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে। ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্টের প্রধান নির্বাহী গিমা পিটারস একে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেও মন্তব্য করেছেন। ইংল্যান্ডে প্রায় তিন মিলিয়ন ক্যান্সার রোগী রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, এদের মধ্যে বড় একটি অংশই বয়স্ক রোগী। এনএইচএস ইংল্যান্ডের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গত এক দশক ধরে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়েছে। এতে করে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য সেবায় জড়িতদের চাপ বেড়েছে। সেই সাথে যোগ হয়েছে চিকিৎসকদের ধর্মঘট। কেবল ইংল্যান্ড নয় পুরো ব্রিটেনেই ক্যান্সার রোগী সেবার বেহাল দশা বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

post
লাইফ স্টাইল

দুধ ও আনারস একসঙ্গে খেলে কি সত্যিই বিষক্রিয়া হয়?

আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া হয়, মানুষ মারা যাওয়ারও ঝুঁকি থাকে- এ ধরনের কথা আমাদের দেশে প্রচলিত আছে। আসলেই কি এটি সত্যি? নাকি মিথ?চলুন জেনে নিই পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশির কাছ থেকে।আনারস ও এর গুণাগুণ নিশাত শারমিন নিশি বলেন, আনারসে ক্যালরির মাত্রা খুব কম পরিমাণে থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম আনারসে ৪০ থেকে ৫০ ক্যালরি পাওয়া যায়। এ ছাড়া ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, রিবোফ্লাভিন, থায়ামিন, ফোলেট ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এ ছাড়াও এতে যথেষ্ট পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবারও পাওয়া যায়। পাকা কলা ও পাকা পেঁপে খাওয়ার সঙ্গে ঠান্ডা লাগার সম্পর্ক আরও পাকা কলা ও পাকা পেঁপে খাওয়ার সঙ্গে ঠান্ডা লাগার সম্পর্ক আছে কি? আনারসের উপকারিতা অনেক। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় আনারস খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়া, আমাদের দেশে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। আনারসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। সাধারণত জ্বর, জন্ডিস এ ধরনের সমস্যায় লিভার খুব দুর্বল থাকে, মুখের রুচি কমে যায়। এসব ক্ষেত্রে আনারস বেশ উপকারী। আগে থেকেই কৃমিনাশক হিসেবেও আনারসের চাহিদা অনেক। এখনও কৃমিনাশক হিসেবে এর কার্যকারিতার মূল্য দেওয়া হয়। এ ছাড়া আর্থ্রাটিসের ঝুঁকি কমাতেও আনারসের বেশ ভূমিকা রয়েছে। দুধ ও এর গুণাগুণ নিশাত শারমিন নিশি বলেন, দুধকে আর্দশ খাবার হিসেবে ধরা হয়। এতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেলস সবই রয়েছে। এ ছাড়া, এতে আছে ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লাভিন। আরও রোগী শিং মাছ খেলে শক্তি ও রক্ত বাড়ে, সত্যি নাকি মিথ প্রোটিনের সেরা উৎস হওয়ায় পেশি তৈরিতে সাহায্য করে দুধের প্রোটিন। এ ছাড়া অনেকেই লো অ্যানার্জেটিক হয়ে থাকেন, শক্তির সেরা উৎস হিসেবে তাদের জন্য দুধ দারুণ পথ্য। অনেকেরই অনেক খাবার গ্রহণের পরেও ওজন সহজে বাড়তে চায় না। তারা বাড়তি ক্যালরির মাধ্যমে ওজনের বাড়াতে হিমশিম খান। তাদেরকে দুধের তৈরি বিভিন্ন খাবার বা প্রোটিন শেক খাওয়ার পরামর্শ দেন নিশাত শারমিন। দুধ-আনারস একসঙ্গে খেলে কি বিষক্রিয়া হয়? নিশাত শারমিন নিশি জানান, বৈজ্ঞানিকভাবে দুধ-আনারস একসঙ্গে খেলে সরাসরি ক্ষতি হওয়ার কথার কোনো প্রমাণ নেই। আনারস ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল। সাধারণত ফল দিয়ে দুধ খুব কমই খাওয়া হয়, আর খেলেও সেটি মিষ্টি জাতীয় ফল হয়ে থাকে। কোনো টক জাতীয় খাবার দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয় না। যেহেতু দুধ দিয়ে আনারসের মতো টক জাতীয় খাবার খাওয়া হয় না, সেহেতু হজমেও অভ্যস্ত থাকে না পাকস্থলী। অনেকের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে। সেক্ষেত্রে অ্যাসিডিক এই খাবার খেয়ে বদহজম হতে পারে। তবে দুধের সঙ্গে আনারস খেলে বিষক্রিয়া হয় বা মৃত্যুঝুঁকি থাকে এমনটা বলার সুযোগ নেই। 

post
লাইফ স্টাইল

ঘরোয়া উপায়ে ফেসিয়াল করার নিয়ম

ত্বক ভালো রাখার জন্য ফেসিয়াল করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এটি মাসে একবার করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে আপনি যদি নিয়মিত পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করান, তা সময় ও খরচসাপেক্ষ হয়ে দাঁড়াবে। এর বদলে বাড়িতেই করতে পারেন ফেসিয়াল। তাতে আর পার্লারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। বাঁচবে সময় এবং খরচও। সেইসঙ্গে ঘরোয়া উপায় বলে ত্বকের কোনো ক্ষতি হওয়ার ভয়ও থাকবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফেসিয়াল করার ঘরোয়া উপায়-১. ঘরে ফেসিয়াল করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে চিয়া সিডস, দুধ, মধু, চালের গুঁড়া, ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অ্যালোভেরা জেল। একটি পরিষ্কার পাত্রে ১ চামচ চিয়া সিডস নিয়ে তা দুধে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সেই চিয়া সিডস ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর তাতে মধু, চালের গুঁড়ো, ভিটামিন ই এবং অ্যালোভেরা মিশিয়ে নিন।২. এবার হালকা কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। মুখ ধোয়া হযে গেলে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে আলতো হাতে মুছে নিন। এবার আগে থেকে তৈরি করে রাখা ফেসপ্যাক মুখে লাগিয়ে নিন। মিশ্রণটি হালকা হাতে মিনিট দশেক ম্যাসাজ করুন। এভাবে রেখে অপেক্ষা করুন পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। শুকিয়ে গেলে একটি পরিষ্কার ও ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুখ ভালো করে মুছে নিন। ৩.প্যাকটি ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়ে গেলে আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই টোনার লাগিয়ে নিন। এরপর ব্যবহার করতে হবে ময়েশ্চারাইজার। ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাজ করে মধু ও দুধ। অন্যদিকে চিয়া সিডস ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এরপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে তা আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

post
লাইফ স্টাইল

ঘরে বসেই হেয়ার স্পা, ডিমের সঙ্গে যে উপাদান মেশালে নরম হবে চুল

চুলে ডিম দেওয়ার কথা শুনলে অনেকে নাম সিঁটকান। কিন্তু আপনি জানেন কি—পশমের মতো নরম চুল পেতে ডিমই সেরা। ডিমের প্রোটিন চুলকে নরম ও সিল্কি করতে বেশ কার্যকর। এছাড়া চুল পড়া, স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে যাওয়া, রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর করতে পারে ডিম। এমনকি স্ট্রেট করা চুলের যত্নও নেওয়া যায় ডিম দিয়ে। তবে চুলে সরাসরি ডিম মাখলে আঁশটে গন্ধ আসবে। তাই ডিমের হেয়ার প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।যেভাবে বানাবেন ডিমের হেয়ার প্যাক ১। চুলে ডিম মেখে মাথায় শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট বসে থাকুন। এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার সময় অবশ্যই ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন। ২। চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ডিম পানির সঙ্গে গুলিয়ে ব্যবহার করুন। প্রথমে চুলে শ্যাম্পু করে নিন। তারপর ডিমের এই মিশ্রণ চুল ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। আধ ঘণ্টা রেখে সাধারণ পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুলকে মসৃণ করে তুলবে। ৩। চুলে সরাসরি ডিম মাখলে আঁশটে গন্ধ ছাড়ে। তাই ডিমের হেয়ার প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করুন। এতে ডিমের গন্ধ হয়তো যাবে না, কিন্তু উপকারিতা দ্বিগুণ পাবেন। ৪। ডিমের কুসুম নিন এবং ১ কাপ টক দইয়ের সঙ্গে ভালো করে মিক্স করুন। এবার এই হেয়ার প্যাক চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। প্রথমে পরিষ্কার পানিতে চুল ধুয়ে নিন। এরপর ডিমের আঁশটে গন্ধ দূর করতে শ্যাম্পু করে নিন। ৫। ডিমের কুসুমের সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। এই হেয়ার প্যাক কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার পর চুল থেকে সমস্ত পানি নিংড়ে নিন। চাইলে মুছেও নিতে পারেন। এরপর এই হেয়ার প্যাক লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে আবার ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার প্যাক চুলকে নরম করে তুলবে। ৬। অতিরিক্ত শুষ্ক চুলে ডিম ও মধুর হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। ডিমের কুসুম ও মধু একসঙ্গে মিক্স করে চুলে লাগান। ঘণ্টা দুয়েক পর শ্যাম্পু করে নিন। এই হেয়ার প্যাক ফ্রিজি হেয়ারের সমস্যা দূর করে দেবে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.