post
লাইফ স্টাইল

শীতকালে নাক বন্ধ থেকে বাঁচার উপায়

শীতকালে মানুষ সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে ভোগেন নাক বন্ধের সমস্যা নিয়ে। এটার কারণে কোনো কাজেই মন বসে না। শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। ঘুম হয় না। মাথা ধরে থাকে সারাক্ষণ। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিন নাকের ড্রপ ব্যবহার করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তখন ড্রপ না নিলে ঘুম আসতে চায় না। তার চেয়ে বন্ধ নাক খোলার জন্য ঘরোয়া উপায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।চলুন জেনে নিই কয়েকটি ঘরোয়া উপায়, যেগুলো করলে বন্ধ নাক খোলার ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে— প্রথমে মাঝারি আঁচে ফ্রাইং প্যান গরম করুন। এক মুঠো জোয়ান শুকনো প্যানে ভাজতে থাকুন। জোয়ানোর রং গাঢ় হলে এবং সুগন্ধ বেরোলে নামিয়ে নিন। একটি পরিষ্কার কাপড়ে এই ভাজা জোয়ান বেঁধে নাকের কাছে ধরে রাখুন। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, যাতে এর গরম ভাপটা নাকের ভেতরে পৌঁছায়। এরপর বন্ধ নাক খুলতে কাজে লাগাতে পারেন ইউক্যালিপটাস অয়েল। একটা বড় পাত্রে জল ফুটিয়ে নিন ভালোভাবে। তারপর গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে সেই ভাপটা নিন। মাথার ওপর থেকে টাওয়েল ঢাকা দিয়ে গরম পানি থেকে উঠতে থাকা বাষ্প নাক-মুখ দিয়ে টানতে থাকুন। নাক দিয়ে শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। ভাপ নেওয়ার সময় চোখ অবশ্যই বন্ধ রাখুন। সেই সাথে এক কাপ পানিতে আদা থেঁতো করে দিয়ে ফুটিয়ে নিন মিনিট পাঁচেক। চা ছেঁকে নিয়ে তাতে কয়েকটা তাজা পুদিনা পাতা দিন। ঈষদুষ্ণ অবস্থায় পান করুন। এতে আরাম পাবেন। এছাড়াও এক কাপ পানিতে ২-৩ কোয়া রসুন আর আধ চামচ হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এই পানি ছেঁকে পান করলে নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে। সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যাবে।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে যা করবেন

নিপাহ ভাইরাস হচ্ছে বাদুড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত একটি ভাইরাস। এর সংক্রমণের ফলে মৃত্যুহার ৪০-৭০ শতাংশ হয়ে থাকে। এটি হেনিপা ভাইরাসের অন্তর্গত একটি আরএনএ ভাইরাস। সংক্রমিত বাদুড়ের লালা ও মূত্রে ভাইরাসটি পাওয়া যায়। মানবদেহ ও শূকরের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেছে।বাংলাদেশে খেজুরের রস খাওয়ার মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর আতঙ্ক সবার মনেই আছে। বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই জেনে নেওয়া উচিত, কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় এই ভাইরাস। কীভাবে ছড়ায় নিপাহ ভাইরাস বাদুড় আর শূকরের দেহ থেকে মানবদেহে ছড়ায়। এছাড়া অসুস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে সুস্থ ব্যক্তির শরীরে রক্ত, প্রস্রাব আর সর্দির মাধ্যমে ছড়াতে পারে। তবে ৪-১৪ দিন বা সর্বোচ্চ ৪৫ দিন পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। রোগের লক্ষণ এই রোগের কারণে শরীরে জ্বর, মাথাব্যথা, কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, গায়ে ব্যথা, বমি, আচ্ছন্নতা, ঝিমুনি ভাব, সংজ্ঞাহীনতা, নিউমোনিয়া, মস্তিষ্কের প্রদাহ এবং কোমা দেখা দিতে পারে। নির্ণয়ের উপায় এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে গলার সোয়াব, রক্ত, সিএসএফ ও প্রস্রাবের আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাস শনাক্ত করতে হবে। এছাড়া রক্তের ওমে আর আইজিএম পরীক্ষা এবং মৃত ব্যক্তির নির্দিষ্ট টিস্যুর অটোপ্সির মাধ্যমে Immunohistochemistry পরীক্ষা করা যেতে পারে। প্রতিরোধে করণীয় ১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ২. আক্রান্ত মানুষ, বাদুড় ও শূকরের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। ৩. শীতকাল বা অন্য যে কোনো সময়ে কাঁচা খেজুরের রস পান করা থেকে বিরত থাকা। ৪. হিমায়িত খেজুরের রস পান করা থেকে বিরত থাকা। ৫. বাদুড়ের আংশিক খাওয়া বা কামড়ানো ফল খাওয়া যাবে না। ৬. বাদুড় বসবাস করা কূপের পানি ব্যবহার করা যাবে না। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি এই ক্ষেত্রে হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী, আক্রান্ত শূকরের খামারি, সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সুস্থ ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে। এমনকি যারা শীতকালে কাঁচা খেজুরের রস পান করেন, বাদুড়ের আংশিক খাওয়া ফল খান, যাতে বাদুড়ের লালা লেগে থাকে কিংবা যারা বাদুড়ের বাস করা কূপের পানি পান বা ব্যবহার করেন। চিকিৎসা ও জটিলতা নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট ও কার্যকরী কোনো ওষুধ বা টিকা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাই উত্তম। তবে সুস্থ হওয়ার পরও বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। এ ব্যাপারে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। মৃত্যুঝুঁকি রোধে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

post
সংবাদ

ভারতে আতঙ্ক ছড়ানো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশেও শনাক্ত

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ এবার বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় জেএন.১ উপধরন শনাক্ত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় জেএন.১ উপধরন শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে এই মুহূর্তে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের রোগী আছেন। তবে তাদের মধ্যে কারও দেশের বাইরে থেকে আসার কোনো হিস্ট্রি নেই। তারা দেশেই ছিলেন। তাহমিনা শিরীন বলেন, তারা প্রত্যেকেই ভালো আছেন। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছুই নেই। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া সবশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে জেএন.১ উপধরন শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২২৬ জন। কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ১৭টি রাজ্যে ভ্যারিয়েন্টটি ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে দেশে আবারও করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দ্রুত টিকা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

post
শিক্ষা

রেসিপি শিখুন ফুলকপির বড়া

শীতের অন্যতম আকর্ষণীয় সবজি হলো ফুলকপি। এই সবজি দিয়ে তৈরি করা যায় সুস্বাদু সব খাবার। ফুলকপির কোর্মা, ফুলকপির রোস্ট, ফুলকপির পায়েস তৈরি করেও খাওয়া যায়। আবার আপনি চাইলে খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন ফুলকপির বড়া। শীতের বিকেলের নাস্তা হিসেবে কিংবা অতিথি আপ্যায়নেও রাখতে পারেন এই পদ। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফুলকপির বড়া তৈরির রেসিপি-যা লাগবে তৈরি করতে: ফুলকপি- ১টি, ময়দা ও কর্নফ্লাওয়ার- ১ কাপ, কালিজিরা- এক চিমটি, ধনিয়াপাতা কুচি- ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি- ১ টেবিল চামচ, চিনি- আধা চা চামচ,লবণ- স্বাদমতো,টেস্টিং সল্ট- এক চিমটি, গোলমরিচ গুঁড়া- আধা চা চামচ, সয়াসস- ১ টেবিল চামচ,ডিম- ১টি ও ভাজার জন্য তেল। তৈরি করার নিয়ম: ফুলকপি লবণ দিয়ে একটু ভাপ দিয়ে তুলে নিন। তেল ছাড়া সব উপকরণ পানি দিয়ে গোলা তৈরি করুন। খুব পাতলা বা খুব ঘন যেন না হয়। ভাপানো ফুলকপি গোলায় চুবিয়ে ডুবো তেলে ভাজুন। গরম গরম পোলাও বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। এটি চাইলে পছন্দের যেকোনো সসের সঙ্গেও পরিবেশন করতে পারবেন।

post
নারী ও শিশু

ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে পরীমণি

টানা কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরেও সুস্থ না হওয়ায় ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণির ছেলে পদ্মকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবার বিকেল ৫টার ফ্লাইটে সন্তানকে নিয়ে কলকাতায় গেছেন পরী।এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে এক পোস্টে পরী জানান, বরিশাল থেকে ফেরার পথে একটা ফলের দোকান থেকে কিছু ফল কিনেছিলাম। বাসায় ফল খাওয়ার আগে রেগুলার যেভাবে ক্লিন করা হয় সেভাবে না করেই শুধু মিনারেল ওয়াটার দিয়ে ধুয়ে খেয়েছিলাম। বাবু খুবই অল্প পরিমাণ মানে দুই একটা বাইট নিয়েছিল। ব্যস! বাচ্চা, আমি, আমার গাড়িচালকসহ আমার বাসার মোট পাঁচ জন ফুড পয়জনিং নিয়ে ১১ তারিখ রাত থেকে হসপিটালে। সবাই মোটামুটি রিকোভার করলেও পুণ্য (রাজ্য) এখনও হসপিটালাইজড! বরিশাল থেকে ফিরেই নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন পরীমণি। এমনটাই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই পরিকল্পনাও জলে ভেসে গেছে। এই নায়িকা বললেন, নানুবাড়ি থেকে ভীষণ রকম গুড এনার্জি নিয়ে ফিরেছিলাম। জমে থাকা কাজগুলো একটানা শেষ করব ভাবছিলাম। শনিবার আমার ওয়েব ফিল্ম কাগজের বউর প্রেস মিট ও প্রিমিয়ার ছিল এফডিসিতে। থাকতে পারিনি। সবশেষ ভক্তদের সাবধান করে পরী বলেন, শীতকালে সবাই খাবার-দাবার বুঝে খাবেন। বিশেষ করে বাইরের খাবার। এত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস শীতের সময় এসব থেকে সেফ থাকা মুশকিল।

post
লাইফ স্টাইল

নারী নয়, পুরুষরাই বিষণ্ণতায় বেশি ভোগেন!

বিষণ্ণতা একটি ভয়ংকর সমস্যা। বাইরে থেকে কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও; ভেতরে ভেতরে একটি মানুষ অনেক বেশি দুর্বল হতে পারে, এই বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হওয়ার কারণেই। অফিশিয়াল তথ্য অনুসারে, পুরো বিশ্বে ৪৫.৭ মিলিয়ন মানুষ বিষণ্ণতায় ভোগেন। দিন দিন এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যদিও ডিপ্রেশন মেয়েদের মধ্যে বেশি দেখা যায়; তবে পুরুষদের মধ্যেও অনেকে বিষণ্ণতায় ভুগতে পারেন। বরং পুরুষদের বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশনে ভোগার সংখ্যা, নারীদের চেয়ে বেশি। ভারতীয় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রতিক্ষা সাক্সেনা বলেছেন, পুরুষদের মধ্যে বিষণ্ণতার কয়েকটি লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে। যেমন-১. ঘুমাতে অসুবিধা হওয়া বা ক্লান্ত বোধ করা।২. অস্বাভাবিক ক্ষুধা পরিবর্তনের কারণে, ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি।৩. মানসিক শূন্যতা বা শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করা।৪. যৌন ইচ্ছা বা কর্মক্ষমতা হ্রাস।৫. মাথাব্যথা।৬. পেশী ব্যথা।৭. পেট খারাপ করা।৮. দৈনন্দিন কাজকর্মে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।৯. কাজে মনোনিবেশ করতে বা মনোযোগ ধরে রাখতে অক্ষমতা।পুরুষদের ‍বিষণ্ণতায় ভোগা নিয়ে কিছু প্রথা আছে। সেগুলা ভাঙ্গার উপায় বলেছেন সিনিয়র মনোরোগ বিজ্ঞানী ডাঃ সমীর কুমার প্রহরাজ:১. বিষণ্ণতাকে মেয়েলি রোগ ভাবা বন্ধ করতে হবে। প্রচলিত খুব সাধারণ একটি ভুল ধারণা হলো, পুরুষরা শক্তিশালী। তাই তারা বিষণ্ণ হতে পারে না।২. অনেকে বিভিন্ন জিনগত কারণে বিষণ্ণতায় ভুগতে পারেন। এরকম ব্যক্তিরা বিভিন্ন প্রতিকূলতার মুখোমুখি হন।৩. বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার চেষ্টা করার ক্ষেত্রে নারীর সংখ্যা বেশি। কিন্তু বেশি সংখ্যক পুরুষ আত্মহত্যা করে মারা যান।৪. বিষণ্ণতায় ভোগা পুরুষরা রাগ এবং বিরক্তি বেশি প্রকাশ করে। অপরদিকে নারীরা সাধারণত দুঃখ প্রকাশ করে।৫. অনেক পুরুষ খোলাখুলিভাবে বিষণ্ণবোধ করার কথা স্বীকার নাও করতে পারে। অতিরিক্ত কাজের চাপ, পরিবার বা কর্মক্ষেত্রের দায়িত্ব এড়ানো এবং ঝুঁকি নেওয়ার আচরণে বিষণ্ণতা প্রকাশ পায়।৫. পুরুষদের বিষণ্ণতার ব্যাপারে সাহায্য চাওয়ার প্রবণতা কম। তাই, পরিবারের নারী সদস্যদের ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।

post
লাইফ স্টাইল

ছোলা ভাজা খাওয়ার ৫ উপকারিতা

ছোলা ভাজা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। এটি সুস্বাদু একটি নাস্তা হিসেবেও বেছে নেন অনেকে। বিশেষ করে স্কুলে টিফিনের সময়ে ছোলাভাজা কিনে খাওয়ার স্মৃতি আছে অনেকেরই। আবার বন্ধু কিংবা পারিবারিক আড্ডায় ছোলা ভাজা খাওয়া হয়। একমুঠো ছোলা ভাজা প্রাণবন্ত করতে পারে আপনার ভ্রমণের সময়টাকেও। এইযে যেকোনো সময় খাওয়া হয়, তা কি কেবল এমনিতেই? নিশ্চিত থাকুন যে ছোলা ভাজা খাওয়ার উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন না। এমনকী আপনারও হয়তো অজানা। চলুন জেনে নেওয়া যাক ছোলা ভাজা খেলে কী উপকার হয়-১. ফাইবার এবং প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ ছোলা ভাজা শরীরে এই দুই উপাদানের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। একশো গ্রাম ছোলা ভাজার মধ্যে প্রায় ১৮ থেকে ২০ গ্রাম এই দুই পুষ্টি উপাদান থাকে। এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার পেট ভরিয়ে রাখে, ফলে ঘন ঘন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা আপনার জন্য সহজ হয়। এছাড়াও এটি শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং আপনাকে আরও সক্রিয় থাকতে কাজ করে। ২. ওজন কমাতে সাহায্য করে ছোলা ভাজা ওজন কমাতে সহায়ক। কারণ এতে থাকে উচ্চ ফাইবার কন্টেন্ট যা আপনার পেট দীর্ঘ সময়ের জন্য ভরিয়ে রাখে। এতে কম ক্যালোরি থাকে তাই আপনাকে অতিরিক্ত ক্যালোরির বিষয়ে চিন্তা করতে হবে না। সুতরাং ডুবো তেলে ভাজা খাবার খাওয়া বাদ দিন এবং এর পরিবর্তে এক মুঠো ছোলা ভাজা বেছে নিন। ৩. হাড়ের জন্য উপকারী ছোলা ভাজা আপনার হাড়ের জন্য ভালো। এটি শুধুমাত্র ফাইবার এবং প্রোটিনের একটি বড় উৎস নয়, ক্যালসিয়ামেরও। এই কারণে এটি আপনার হাড় শক্তিশালী করার জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। যদি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম না থাকে, তাহলে বয়সের আগেই হাড়ের সমস্যা হতে পারে। আপনার খাদ্যতালিকায় ছোলা ভাজা যোগ করুন। এতে হাড় সংশ্লিষ্ট সমস্ত অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হবে। ৪. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে আপনি কি জানেন যে ছোলা ভাজা হার্ট ভালো রাখতেও কাজ করতে পারে? তামা এবং ফসফরাসের উপস্থিতি একে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে যোগ্য করে তোলে, যা হার্টের জন্য সহায়ক। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (এনআইএইচ) অনুসারে, ফসফরাসের মাত্রা এবং হৃদরোগের ঝুঁকির মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এই ছোলাভাজা খাওয়ার মাধ্যমে আপনি সহজেই হার্ট ভালো রাখতে পারেন। ৫. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী ডায়াবেটিস রোগীরাও কোনোরকম চিন্তা ছাড়াই ছোলা ভাজা খেতে পারেন। এই খাবারের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, যা আরও উপকারী। কম-জিআই খাবার মানে হলো যে এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রায় হঠাৎ ওঠানামা করবে না। এর উচ্চ ফাইবার উপাদানও গ্লুকোজের ধীর নিঃসরণে সাহায্য করে, এইভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

post
লাইফ স্টাইল

সাবান দিয়ে মুখ ধুচ্ছেন, জেনে নিন কী ক্ষতি হয় ত্বকের

মুখ ধোয়া বা পরিষ্কার করা ত্বকের যত্নের রুটিনের একটি অপরিহার্য অংশ। পরিষ্কার মুখ গ্যারান্টি দেয় যে আপনার মুখের ছিদ্রগুলো বন্ধ রয়েছে। এতে আপনার ত্বক ভালো থাকে।সাবান দিয়ে মুখ ধোয়া কি নিরাপদ?আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে মুখের ত্বক শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বকের চেয়ে বেশি সূক্ষ্ম এবং কোমল। সুতরাং সাবান আপনার মুখের ত্বককে জ্বালাতন করতে পারে এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা যেমন শুষ্ক ত্বক, চুলকানি এবং এমনকি ব্রেকআউটের কারণ হতে পারে। শুধু সাবান নয়, আপনার শরীর পরিষ্কার করার জন্য আপনি যে পণ্য ব্যবহার করেন তা আপনার মুখের ত্বকের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। মুখের একটি মৃদু টেক্সচার সহ একটি ক্লিনজার প্রয়োজন যা ত্বকের প্রাকৃতিক তেল দূর করবে না এবং ত্বককে নরম এবং ময়শ্চারাইজ রাখতে সাহায্য করে। ত্বক ময়লা, জীবাণু কিংবা ব্যাকটেরিয়া মুক্ত রাখা উচিত। তাছাড়া ব্রণ বা ব্ল্যাকহেডস হতে পারে। তবে ত্বক পরিষ্কার রাখতে অনেকে সাবান দিয়ে মুখ ধোয়ার ভুল করে। শরীর পরিষ্কার করার জন্য সাবান ব্যবহার করা একটি সাধারণ অভ্যাস হলেও তা দিয়ে মুখ ধোয়া ঠিক নয়। এতে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, ত্বক রুক্ষ হতে পারে। চলুন জেনে নিই সাবান দিয়ে মুখ ধোয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-  শুষ্কতা বাড়েআপনার ত্বক প্রকৃতিতে অ্যাসিডিক, তবে বেশিরভাগ সাবানই ক্ষারীয়। তাই সাবান ব্যবহারে আপনার ত্বকের পিএইচ (pH) ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। কেনণা সাবানে অিধিক পরিমাণে রাসায়নিক দ্রব্যাদি রয়েছে, যা আপনার ত্বককে এর প্রাকৃতিক আর্দ্রতা থেকে সরিয়ে দেয়, এটিকে আরও শুষ্ক এবং নিস্তেজ করে দেয়। অত্যাধিক শুষ্ক ত্বকের ফলে ফ্ল্যাকিনেস এবং ব্রেকআউট হতে পারে। জ্বালাপোড়াকিছু সাবানে কঠোর রাসায়নিক, যেমন- রঙ এবং সুগন্ধ থাকে। যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করতে পারে। ত্বকে লালভাব, চুলকানি বা ফুসকুড়ি হতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এই সমস্যাগুলো আরও গুরুতর হয়ে ওঠে।অস্বাস্থ্যকরসাবান আপনাকে খুব পরিষ্কার রাখে না। এটিতে প্রচুর ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া সংগ্রহ করার প্রবণতা রয়েছে, যা আপনি আপনার মুখে প্রয়োগ করতে পারেন এবং সেখানে ছড়িয়ে দিতে পারেন। এটি ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস এবং আটকে থাকা ছিদ্র সৃষ্টি করে। ত্বকের জন্য ক্ষতিকরপ্যারাবেন এবং ফর্মালডিহাইডের মতো কঠোর রাসায়নিক থেকে ত্বকের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করে। সাবানের ক্ষারীয় প্রকৃতি এবং এর অত্যধিক ঘ্রাণ এবং রঞ্জক উপাদান এই সমস্ত কারণে ঘটে। আপনার ত্বক বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখার মতো বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলোর জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং এটি শুষ্ক হয়ে যাওয়ার পর থেকে সূর্যের ক্ষতির জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। আপনি যখন দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার মুখে সাবান লাগান, আপনার ত্বক নিস্তেজ হয়ে যায় এবং তার নমনীয়তা এবং উজ্জ্বলতা হারায়। ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়সাবান দিয়ে প্রতিদিন গোসল করলে ত্বকের আদ্রতা কমে যায়। বিশেষ করে গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কেড়ে নিতে পারে। ফলে ত্বকের ক্ষতি ছাড়াও শুষ্কতা, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি দেখা দেয়। 

post
লাইফ স্টাইল

শীতের সকালে ঘুম থেকে ওঠার সহজ উপায়

শীতের সকালে আড়মোড়া ভেঙে আর উঠতে মনে চায় না যেন। যতটুকু বেশি সময় কম্বলের মধ্যে থাকা যায়, ততটুকুই লাভ যেন। তবু ব্যস্ততার কারণে উঠে পড়তেই হয়। অনেক সময় শীতের তীব্রতার কারণে আমরাও আরামের ঘুমে তলিয়ে যাই। এমনকী অ্যালার্ম দেওয়া থাকলেও সেই অ্যালার্ম বন্ধ করে আবার ঘুমিয়ে যাই অনেক সময়। এর ফলে দৈনন্দিন অনেক কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। তাই শীতকালেও সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠা জরুরি।দিন হলো কাজের জন্য আর রাতটা বিশ্রামের। তাই রাত জেগে না থেকে আগেভাগে ঘুমিয়ে যেতে হবে যাতে করে সকাল সকাল উঠে পড়তে পারেন। কারণ দিনের শুরুটা সুন্দর ও প্রশান্তিদায়ক হলে পুরো দিনটিই আপনার ভালো কাটবে। সেজন্য এই শীতে আলস্য ত্যাগ করে আপনাকে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতের সকালে ঘুম থেকে ওঠার সহজ উপায়-

post
লাইফ স্টাইল

ক্রিম মেখে কি আদৌ ফর্সা হওয়া যায়?

ফর্সা হওয়ার ক্রিমে ছেয়ে গেছে বাজার। বাজারের অনেক কোম্পানির দাবি, তাদের ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করে মানুষের গায়ের রং ফর্সা হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ফেসিয়াল ও স্কিন ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ফর্সা হওয়ার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। যদিও সৌন্দর্যের সঙ্গে গায়ের রঙের কোনো সম্পর্ক নেই। তবুও এ সমস্ত ক্রিম ব‍্যবহার করছেন বেশিরভাগ যুবক-যুবতী।কিন্তু সত‍্যিই কোনো ক্রিম ত্বকের রং বদল করতে পারে? পুরুষ এবং নারী সবাই ব‍্যাপকভাবে পণ‍্যগুলো ব‍্যবহার করছেন। কিন্তু এবার এসব আসল সত‍্যি প্রকাশ করলেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, কোনো ক্রিম বা অন্য কোনো চিকিৎসার মাধ্যমে ত্বককে স্থায়ীভাবে ফর্সা করা যায় না। যতক্ষণ মানুষ ক্রিম লাগায় ততক্ষণ ত্বকের রঙে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে, তবে ধীরে ধীরে ত্বক তার স্বাভাবিক রঙে ফিরে আসে। যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য কোনো চিকিৎসা বজায় রাখেন, তবে ত্বকের স্তরে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আজকাল, অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শট, আইভি ড্রিপ এবং ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়, যা ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে পারে। তবে এই জিনিসগুলোরও রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। তাদের ব্যবহার ছাড়া, ত্বকের রং চিরতরে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা ভিটিলিগো অর্থাৎ সাদা দাগে ভুগছেন, তাদের জন্য কিছু বিশেষ ক্রিম পাওয়া যায়। এই ক্রিমগুলো শুধুমাত্র ভিটিলিগো রোগীদের দ্বারা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই ক্রিমগুলো ত্বককে স্বাভাবিক রঙে ফিরিয়ে আনতে সহায়ক প্রমাণিত হতে পারে। পাশাপাশি এই ক্রিমগুলো শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করা উচিত এবং সুস্থ ব্যক্তিদের ব্যবহার করা উচিত নয়। যেকোনো ধরনের ফেয়ারনেস ক্রিম অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। অতএব, মানুষের ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত এবং যেকোনো সমস্যায় ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.