post
শিক্ষা

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজির সাথে আইসিটি বিভাগের সমঝোতা স্মারক সই

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজির সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার ২১ নভেম্বর রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারক চুক্তি অনুযায়ী এখন থেকে দুই প্রতিষ্ঠান একে অপরের সাথে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। বক্তারা বলেন, বর্তমানে, আইসিটি বিভাগ বিভাগীয় পর্যায়ে বিশেষ করে মহিলা এবং সুবিধাবঞ্চিত লোকদের জন্য আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রদানের বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি আইসিটি এবং ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করার সুযোগ তৈরি করবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিফ আইসিটি অধিদপ্তরের সিনিয়র সচিব জিয়াউল আলম, আইসিটি বিভাগের ডিজি মোস্তফা কামাল, প্রোগামার হারুন উর রশিদ, ইঞ্জি. এ এস এম হোসনে মোবারক, পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অব আইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসেন খান লিওন, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাসুমা ভুইয়া ফারহা, প্রীতি সরকার ও আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৩০ জনেরও বেশি প্রোগ্রামার উপস্থিত ছিলেন।

post
শিক্ষা

বৃত্তি পেয়েও বাংলাদেশি ছাত্ররা যেতে পারছে না আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে! কেনো?

এলামী মো. কাউসার, কায়রো, মিশর: বাংলাদেশি ছাত্রদের আর যাওযা হচ্ছে না আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে! কথা টা শুনে কেমন মনে হলেও এটাই হয়তোবা সত্যি হতে যাচ্ছে। কেননা বিগত কয়েক বছর ধরে সরকারিভাবে বৃত্তি প্রাপ্ত হয়েও কোন বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীর আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা সম্ভব হয়নি। মূলতঃ মিশরে সরকারিভাবে ছাত্র ও শ্রমিকদের আনা নেয়া শুরু হয় নব্বই সালের পর থেকে। তারপর ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে ২০০১ সালে থেকে শুরু হয়ে ২০১৯ অথবা ২০২০ পর্যন্ত চলতে থাকে এর ধারাবাহিকতা। কিন্তু কোন এক ধূসর কালো ছায়ায় বন্ধ হতে চলেছে দেশের হাজারো তরুনদের স্বপ্নের চাওয়া আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ। তরুণরা কেনইবা এই স্বপ্ন দেখবে না বলুন? অথবা কেনইবা ছেড়ে দেবে সরকারি বৃত্তি পেয়েও পৃথিবীর প্রাচীনতম ও স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটি পড়ার সুযোগ? আফ্রিকার ছয়টি দেশের সরকার প্রধান, বিরোধীদলীয় নেতা, মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট, বিখ্যাত ধর্মতত্ত্ববিদ মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি, মুসলিম বিশ্বে নোবেল খ্যাত কিং ফায়সাল পুরস্কার জিতেছে দর্শন, ধর্ম ও সামাজিক কাজে গবেষণায় আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র শিক্ষক সহ মধ্য প্রাচ্যের অনেক বড় মুসলিম শিক্ষার্থী। এছাড়াও বাংলাদেশের গর্বিত সন্তান সৈয়দ মুজতবা আলী, হাজী শরীয়তুল্লাহ, বর্মানে জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আযহারীসহ ইন্দোনেশিয়া, মালোয়শিয়া, সিংগাপুরসহ পৃথিবীর নানা মুসলিম দেশে মন্ত্রী ও সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও নানাবিধ সুযোগ সুবিধা প্রদান করার কারনে বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের আকর্ষণের তালিকায় রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। পৃথিবীর এমন একটি দেশ হয়তোবা পাওয়া যাবে না যে দেশের দুই একটি ছাত্র হলেও আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে মিলবে না।কিন্তু হঠাৎ কেন বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের সেই আশায় গুড়েবালি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ অবস্থিত মিশর দূতাবাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে ভর্তি প্রসেসিং করা হয় সেখানে নকল ও অবৈধ কাগজপত্র দাখিল, বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তি জটিলতা এবং বাংলাদেশি ছাত্রদের অবৈধভাবে মিশরে এনে ভর্তি সহ এই ধরনের নানা অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশি ছাত্রদের বিরুদ্ধে।এই সম্পর্কিত অভিযোগ মিশর দূতাবাসের মাধ্যমে মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে পাসপোর্ট এবং ইমিগ্রেশন অফিসে গেলে নড়েচড়ে বসে মিশরের পাসপোর্ট এবং ইমিগ্রেশনের গোয়েন্দা সংস্থা।এই বিষয়ে জানতে চাইলে মিশর দূতাবাসে কাউন্সিলর মিনা মিকারী বলেন, যারা ছাত্র এবং ভ্রমণ ভিসায় সাধারণ পাসপোর্টে মিসরে যাওয়ার জন্য আবেদন করে আমরা মূলত তাদের সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে মোফায় পাঠাই। তারপর সেখান থেকে মানদুব হয়ে পাসপোর্ট এবং ইমিগ্রেশনে (আব্বাসিয়া) পাঠানো হয় সেখান থেকে অনুমতি অথবা ছাড়পত্র আসলেই আমরা ভিসা দেই। সরকারি ও ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্টের জন্য এই ধরনের কোনো শর্ত নেই। মূলতঃ সমস্যা টা এখানেই। মিশরের পাসপোর্ট এবং ইমিগ্রেশন‌অফিসে পড়ে আছে অসংখ্য বাংলাদেশি ভ্রমণ প্রত্যাশীদের ভ্রমন ফাইল যেন দেখার কেউ নেই।এছাড়াও সরকারি বৃত্তি পাওয়ার পরেও যারা যেতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা অনেকেই এই প্রতিবেদক কে জানান যে তাদের কেউ এক বছর কেউ দুই বছর আগে অথবা কেউ নতুন বৃত্তি পাওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে না পারছেন না। এ নিয়ে তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং দায়ী করেন কুটনৈতিক ব্যর্থতাকে।এই দিকে তারা বছরের পর বছর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কারন এই আশায় বুক বেঁধে অনেকেই অন্য কোথাও আর ভর্তি হয়নি।এই প্রতিবেদককে মিশরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর ও বাংলাদেশ পুলিশের এসপি ইসমাইল হোসেন বলেন, "বিষয়টি আমরা আপনার মাধ্যমে জানলাম আসলে অবাক হওয়ার মত একটা বিষয় এবং বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়।"এই বিষয়ে আমরা রাষ্ট্রদূত সারের মাধ্যমে দ্রুত কতৃপক্ষের সাথে আলোচনায় বসে একটা সমাধান বের করবো, বলেন ইসমাইল হোসেন। এছাড়াও মিশরে অবস্থিত একমাত্র ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন চায় দ্রুত অবসান হোক এই সমস্যার। আবার অবাধ বিচরণ হোক বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশ্বের এই প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একেকজন হয়ে উঠুক সৎ দক্ষ দেশপ্রেমিক এটাই প্রত্যাশা সকলের।

post
শিক্ষা

আমেরিকায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ১০,৫০০ এরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ায় আমেরিকাতে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিগত শিক্ষাবর্ষের ১৪তম স্থান থেকে উন্নীত হয়ে ১৩তম হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ১৪-১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন উপলেক্ষ্যে এই ঘোষণা দিয়েছে। দূতাবাস জানিয়েছেন, ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ১০, ৫৯৭ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকাকে বেছে নিয়েছে। এই তথ্য আমেরিকাতে ভর্তি হওয়া বিদেশী শিক্ষার্থী বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন "২০২২ ওপেন ডোরস রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল এক্সচেঞ্জ"-এ প্রকাশিত হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে আমেরিকাতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পাঠানোর দেশের তালিকায় বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়ে আগের বছরের ১৪তম স্থান থেকে ১৩তম স্থানে উঠে এসেছে। গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের ৩,৩১৪ জন শিক্ষার্থী থেকে বেড়ে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ১০, ৫৯৭ জন হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপর ১৯৭৪-১৯৭৫ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকাতে লেখাপড়া করতে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৮০ জন।"যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সবসময় স্বাগত জানায়। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন যুগান্তকারী গবেষণায় সম্পৃক্ত হওয়া থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের জীবনকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, “আমরা জেনে আনন্দিত যে সময়ের সাথে আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে বেছে নিচ্ছে," ।যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আন্তর্জাতিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক/স্কলারদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া, বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম এবং শিক্ষা-তহবিল/বৃত্তির সুযোগ সম্পর্কিত ভার্চুয়াল ও সশরীরে উপস্থিত হয়ে অংশ নেওয়া যায় এমন বেশ কয়েকটি তথ্যবিনিময় সেমিনার ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশস্থ এডুকেশনইউএসএ পরামর্শ কেন্দ্রগুলো শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের উপর যেমন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার অনন্য সুবিধাগুলো কী তা নিয়ে বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করবে এবং সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করার জন্য স্থানীয় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করবে। এই ধরনের বিশেষ অধিবেশনগুলোতে বক্তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তারা, আমেরিকার কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভর্তি বিষয়ক কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন, যারা আমেরিকাতে পড়াশোনা করতে যাওয়ার আবেদন প্রস্তুত প্রক্রিয়া, বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত শিক্ষা ও পেশাজীবী বিনিময় কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করবেন। আরো তথ্যের জন্য https://www.facebook.com/EdUSABangladesh ব্রাউজ কিংবা ইমেইলে [email protected] যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।প্রতি বছর, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো এবং ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ইনস্টিটিউট যৌথভাবে ওপেন ডোরস রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল এক্সচেঞ্জ প্রকাশ করে। যুক্তরাষ্ট্র সে দেশে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া-সহ আন্তর্জাতিক শিক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার সমর্থনে প্রণীত যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং শিক্ষা বিভাগের নীতি বিষয়ক যৌথ বিবৃতিতে পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।এডুকেশনইউএসএ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শিক্ষা বিষয়ক একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক, যার অধীনে ৪৩০টিরও বেশি পরামর্শ কেন্দ্রের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমেরিকাতে অধ্যয়ন করার বিষয়ে সঠিক, সর্বশেষ এবং বিস্তারিত তথ্য দেয়। এডুকেশনইউএসএ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত পরামর্শ কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নের সুযোগ সম্পর্কিত তথ্য বিনামূল্যে দিয়ে আসছে। যেসব আমেরিকান স্পেস কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত পরামর্শক/উপদেষ্টারা ভার্চুয়াল এবং ব্যক্তিগত তথ্য অধিবেশনের আয়োজন করে এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিনামূল্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ও দলভিত্তিক পরামর্শ সেবা দেয় তার মধ্যে রয়েছে:• আমেরিকান সেন্টার, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, ঢাকা;• এডওয়ার্ড এম. কেনেডি (ইএমকে) সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড দা আর্টস, ধানমন্ডি, ঢাকা;• আমেরিকান কর্নার খুলনা (নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, খুলনা, শিববাড়ী মোড়, খুলনা);• আমেরিকান কর্নার সিলেট (সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, শামীমাবাদ, বাগবাড়ী, সিলেট);• আমেরিকান কর্নার রাজশাহী (বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাড়ি # ৫৩২, জাহাঙ্গীর সরণি, তালাইমারি, রাজশাহী- ৬২০৪); এবং• আমেরিকান কর্নার চট্টগ্রাম দূতাবাস বর্তমানে একজন এডুকেশনইউএসএ এডভাইজরের মাধ্যমে এই কর্নারে ভার্চুয়াল পরামর্শ সহায়তা দিচ্ছে। আরো তথ্যের জন্য [email protected] করতে বলা হয়েছে। ওপেন ডোরস হলো যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বা শিক্ষাদানকারী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এবং আমেরিকান শিক্ষার্থী যারা বিদেশে তাদের নিজ দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্রেডিট অর্জন করার জন্য অধ্যয়নরত তাদের বিস্তারিত তথ্যভান্ডার। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা বিভিন্ন দেশের গবেষক এবং শিক্ষাপূর্ব নিবিড় ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রকাশ করে। বার্ষিক প্রতিবেদনটি সোমবার, ১৪ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছে৷ ওপেন ডোরস ২০২২ রিপোর্ট সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে দেখুন: https://opendoorsdata.org/annual-release/ ৷ আন্তর্জাতিক শিক্ষা সপ্তাহ (আইইডব্লিউ) সম্পর্কে আরো তথ্যের জন্য দেখুন: https://iew.state.gov 

post
শিক্ষা

শিক্ষায় রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট জরুরি বিষয়, দুবাইয়ে শিক্ষা সম্মেলনে বললেন ডব্লিউইউএসটি চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি তার শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে মানসম্মত শিক্ষা দিয়ে সারা বিশ্বের যে কোনো স্থানে কাজ করার উপযুক্ত করে তোলে। এখানকার দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার কারণে শিক্ষার্থীদের আজ ফ্রেশার হিসাবে কর্মজগত ঢুকতে হয় না। তারা মধ্য পর্যায় এমনকি সিনিয়র পর্যায় থেকেই তাদের কর্মজীবন শুরু করতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক একটি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে অংশ নিয়ে এসব কথা বলছিলেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-ডব্লিউইউএসটি'র চ্যান্সেলর ও বোর্ড চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। গত ৪ থেকে ৬ ডিসেম্বর দুবাইয়ের ক্রাউন প্লাজা হোটেলে তিনদিন ব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ এডুকেশন ফোরাম। আবুবকর হানিপ বলেন, এখন শিক্ষার্থীদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিভিত্তিক জ্ঞান জরুরি। আর সে কারণে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি তার পাঠক্রমে ইন্ডাস্ট্রি নলেজের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এখানকার শিক্ষকরা তাদের একাডেমিক পাণ্ডিত্যের পাশাপাশি চার থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত ইন্ডাস্ট্রি অভিজ্ঞতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের শেখান। এটাই ডব্লিউইউএসটি'র বিশেষত্ব। "রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট এখানে একটি জরুরি বিষয়। শিক্ষার্থীরা যে অর্থ ব্যয় বা বিনিয়োগ করে লেখাপড়া করে তার সুফল যেনো কর্মজগতে ঢুকেই পেতে পারে সে ব্যাপারে জোর দেই আমরা," বলেন আবুবকর হানিপ। তিনি আরও বলেন, ডব্লিউইউএসটির শিক্ষার্থীরা আমেরিকান কর্পোরেট নলেজ নিয়ে বিশ্বের যেকোন স্থানে কাজ করার উপযোগী হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ থেকে একটি বড় সংখ্যক শিক্ষার্থী এখন ডব্লিউইউএসটি-তে পড়ছে এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশি যে কোনো শিক্ষার্থীর জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বিশেষ সুবিধা। তিনি জানান, প্রতিটি শিক্ষার্থী তাদের প্রথম কোয়ার্টারে টুইশ্যান ফি'র ৫০ শতাংশ বৃত্তি পাচ্ছে। আর এরপর কোর্সের ফলের ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তির সুবিধা রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি একটি সঠিক গন্তব্য এমনট উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের ১২১টি দেশের শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠ নিয়েছে এবং নিচ্ছে। এটি একটি মাল্টি কালচারাল ডাইভার্সিফায়েড ক্যাম্পাস যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের জীবন বোধকেও আন্তর্জাতিক করে তুলতে পারে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যদি তাদের শিক্ষাজীবন শেষে বাংলাদেশেও ফিরে আসতে চায় তারা একটি আন্তর্জাতিক মান নিয়ে ফিরবে। যা তাদের জন্য তো বটেই দেশের জন্যও হবে বড় পাওয়া, বলেন আবুবকর হানিপ। বাংলাদেশ এডুকেশন ফোরাম এই সম্মেলনে দেশের ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের উচ্চশিক্ষা খাতকে আন্তর্জাতিকতায় উত্তীর্ণ করার লক্ষ্যে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করে। বাংলাদেশেরও বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এই সম্মেলন যোগ দেয়। অংশ নেন বাংলাদেশের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ধীরে ধীরে বাংলাদেশও বিকল্প উচ্চ শিক্ষার গন্তব্য হয়ে উঠছে। এরই মধ্যে কয়েক হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বেশ কিছু মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া করছে। দিনে দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। এটি ছিলো বাংলাদেশ এডুকেশন ফোরামের এ ধরনের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজসহ সাধারণ ও বিশেষায়িত কলেজগুলোতে যাতে পড়তে আগ্রহী হয় সে লক্ষেই এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে, সম্মেলনে জানান আয়োজকরা। তারা বলেন, এতদিন বাংলাদেশ ছিলো নিছক শিক্ষার্থী রপ্তানিকারক এখন বাংলাদেশ শিক্ষার্থী আমদানিকারক হয়ে উঠতে চায়। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা কখনোই মন্দ কিছু ছিলো না, কিন্তু এ নিয়ে কিছু সাধারণ ধারণা প্রচলিত রয়েছে যা পরিবর্তন করতে হবে, বলেন শিক্ষা-উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান। শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে তিনি দেশের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্ত্বাধিকারী, উপাচার্য, শিক্ষাবিদ, শিক্ষা-উপদেষ্টা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এতে অংশ নিয়ে বলেন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। দেশের ভবিষ্যত বিবেচনায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিস অব বাংলাদেশ (এপিইউবি) এই ফোরামের সঙ্গে রয়েছে। বাংলাদেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এখন ইউএই, সৌদিআরবের মতো দেশগুলোতে তাদের ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে, জানানো হয় এই সম্মেলন। এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ড. এম সবুর খান বলেন, বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষা খাতের জন্য এটি একটি বড় খবর। আন্তর্জাতিক বাজারে রিসোর্স ছড়িয়ে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এরই মধ্যে ভূমিকা রেখে আসছে। এমন একটি ব্যবস্থার মাধ্যমে সে সুযোগ আরও বাড়বে। শিক্ষাখাত দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন দিক হিসেবে উন্মোচিত হতে পারে। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে এবং বর্তমান সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসবে, বলেন তিনি। উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে বসবাসরত নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশিদের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে ড. সবুর খান বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এখন কাজ খোঁজার চেয়ে তরুনদের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী হিসেবে আগ্রহী করে তুলতে হবে। উদ্যোক্তারাই তখন নতুন নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে। 

post
শিক্ষা

ডেনমার্কে উচ্চ শিক্ষার জন্য যেভাবে যাবেন

৫৭ লাখেরও বেশি মানুষের নর্ডিক দেশ ডেনমার্ক মূলত ৪৪৩টি দ্বীপের এক দ্বীপপুঞ্জ। নিম্নভূমির এই দেশটির আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। বিশ্বের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্ক অন্যতম। শিক্ষাক্ষেত্রে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর তুলনায় কোনো অংশেই কম নয়। বরং দেশটির উচ্চমানের জীবনযাত্রার কারণে হাজারো শিক্ষার্থী ডেনমার্ক অভিমুখী হন উচ্চশিক্ষার জন্য। এই ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষার নানা দিক নিয়েই আজকের আয়োজন। ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষার যোগ্যতাবাংলাদেশ থেকে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তরের জন্য ডেনমার্ক গেলেও, সেখানে স্নাতক করারও বেশ ভালো সুযোগ রয়েছে। এইচএসসি পাস বা মাধ্যমিক ডিপ্লোমাধারীরা তাদের সনদ দিয়ে ডেনমার্কে ব্যাচেলরের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এই সনদ ডেনমার্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমমূল্য কিনা তা যাচাই করা হয়। এখানে মূলত একাডেমিক মার্কশিটের প্রতিটি বিষয়ের প্রাপ্ত গ্রেড ও জিপিএ (গ্রেড পয়েন্টের গড়) ডেনমার্কের পরীক্ষার নম্বর ব্যবস্থার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। ডেনিশ এজেন্সি ফর সায়েন্স অ্যান্ড হায়ার এডুকেশন তাদের আন্তর্জাতিক পরীক্ষার হ্যান্ডবুকের নিয়ম অনুযায়ী বিদেশি গ্রেডগুলোকে ড্যানিশ গ্রেডিং স্কেলে রূপান্তর করে। তাই এই যোগ্যতা পূরণ হয়েছে কিনা তা জানতে শিক্ষার্থীদের তাদের পছন্দের বিষয়ের জন্য পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ভালো ভাবে অধ্যয়ন করে নেওয়া উচিত। এছাড়া ডেনমার্কের স্নাতক শিক্ষার জন্য এখানে নিবন্ধন করে যোগ্যতা যাচাই করে নেওয়া যেতে পারে। অথবা এই ফর্মটি পূরণ করে সরাসরি ইউনিভার্সিটিতে পাঠালে তারা ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর যোগ্যতা যাচাই করে দেয়। মাস্টার্স ও পিএইচডিসহ যে কোনো স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের জন্য যোগ্যতা ন্যূনতম ৪ বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রী। তবে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। এক্ষেত্রে ডেনিশ ডিগ্রীগুলোর সমতূল্য বাংলাদেশের ব্যাচেলর ডিগ্রীগুলো একটা স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারে। ভাষাগত যোগ্যতা ইংরেজি ভাষার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের আবেদনকারীদের ইংরেজি ভাষা দক্ষতা ন্যূনতম ইংরেজি-বি ক্যাটাগরির হতে হবে। এটি মূলত ডেনিশ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রণীত ইংরেজি ভাষা দক্ষতা যাচাই ব্যবস্থা। কোনো কোনো প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ইংরেজি-এ প্রয়োজন হয়। ইংরেজি-বি এর সমতূল্য আইইএলটিএস স্কোর ৬ দশমিক ৫ পয়েন্ট, যেটা ইংরেজি-এ এর ক্ষেত্রে ৭ পয়েন্ট। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ডেনমার্কের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ডেনমার্ক বোলোগনা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। তাই শিক্ষার্থীরা ডেনিশ প্রতিষ্ঠানে যে ডিগ্রি অর্জন করেন তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ২০২৩-এর কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ের ৮২-তম অবস্থানে আছে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ডেনমার্কের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- - আরহাস বিশ্ববিদ্যালয় - ডেনমার্কের কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় - ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ডেনমার্ক - আলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় - কোপেনহেগেন বিজনেস স্কুল - রসকিল্ড ইউনিভার্সিটি এছাড়াও ডেনমার্কের আন্তর্জাতিক ভাবে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদেরকে তাদের পছন্দ অনুসারে বিভিন্ন বিষয় বেছে নেওয়ার জন্য স্বাগত জানায়। ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন পদ্ধতি ডেনমার্কে পড়াশোনার জন্য যাবতীয় যোগ্যতা নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান দ্বারা স্বীকৃত হওয়ার পর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। এক্ষেত্রে আগে থেকেই যোগ্যতা প্রমাণের জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি যোগাড় করে রাখা আবশ্যক। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র - স্নাতকের জন্য শুধু এইচএসসি/ডিপ্লোমার মূল প্রশংসাপত্র - আইইএলটিএস/টোফেল স্কোরের সনদ - যদি কোনো নথিতে নামের পরিবর্তন থাকে তাহলে নাম পরিবর্তনের নথি প্রয়োজন হবে; যেমন: বিবাহের সনদপত্র - যোগ্যতা মূল্যায়নের জন্য দ্বিতীয়বার আবেদন করা হয়ে থাকলে পূর্বের মূল্যায়ন এবং স্বীকৃতির সিদ্ধান্তের নথি সংযুক্ত করতে হবে - স্নাতকোত্তরের জন্য উপরোক্ত নথিপত্রের সাথে স্নাতক ডিগ্রি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সংযুক্ত করতে হবে| এছাড়াও বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে ডেনিশ এজেন্সি ফর হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড সায়েন্স শিক্ষার্থীর যোগ্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে আরও কাগজপত্র চাইতে পারে। ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনের উপায় ডেনমার্কে স্নাতক উচ্চশিক্ষার আবেদনগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত হয়। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদেরকে সরাসরি একক কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন না করে জাতীয় ভর্তির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এই অনলাইন আবেদন চলাকালে কাগজপত্র আপলোড করার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। - মূল নথিগুলোর প্রতিটি আলাদা ভাবে উভয় পিঠ স্ক্যান করতে হবে। - স্ক্যান করা নথির ছবি অবশ্যই রঙিন হতে হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে যেন, নথির তথ্যগুলো স্পষ্ট পড়া যায়। - শুধুমাত্র পিডিএফ ফাইল গ্রহণযোগ্য - স্ক্যানের পর প্রতিটি নথির ফাইলের তার স্ব-স্ব নাম দিয়ে কম্পিউটারে রাখতে হবে। তারপর আবেদনের সময় প্রয়োজন অনুসারে আপলোড করতে হবে| প্রতিটি প্রোগ্রামে আবেদনের বেলায় শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পৃথক পৃথক স্বাক্ষর করা পৃষ্ঠা পাঠাতে হবে। ডিজিটাল আবেদন সম্পন্ন করার পর সেই জাতীয় ভর্তির ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে স্বাক্ষর করার পৃষ্ঠা। সেটি প্রিন্ট করে স্বহস্তে স্বাক্ষর করে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায় পাঠাতে হবে। তবে মাস্টার্স বা পিএইচডির বেলায় শিক্ষার্থীকে সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এখানেও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষর করার নথি পাবেন। এখানেও একই ভাবে প্রিন্ট করে স্বহস্তে স্বাক্ষর করে পাঠিয়ে দিতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায়। সাধারণত স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য আবেদনগুলো স্নাতক ডিগ্রির আবেদনের তুলনায় সহজ। অনলাইন আবেদনের পর কাগজপত্র পাঠানোর উপায় স্নাতকের ক্ষেত্রে সমস্ত নথি পাঠানোর ঠিকানা হলো- Danish Agency for Higher Education and Science, Haraldsgade 53, 2100 Copenhagen কুরিয়ারের সময় খামের ওপর শিক্ষার্থীর পুরো নাম এবং জন্ম তারিখ উল্লেখ করতে হবে। স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে সব একই শুধু ঠিকানার জায়গায় থাকবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা। শিক্ষার্থীর যোগ্যতা যাচাই সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল নথিগুলো ডাকযোগে আবেদনে উল্লেখিত শিক্ষার্থীর ঠিকানায় ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ডেনমার্কে পড়াশোনার খরচ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রোগ্রামের উপর নির্ভর করে পড়াশোনার খরচ প্রতি বছরে প্রায় ৬ হাজার থেকে ১৮ হাজার ইউরো হয়ে থাকে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬ লাখ ৮ হাজার থেকে ১৮ লাখ ২৪ হাজার। সবচেয়ে সাশ্রয়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি বছর ৬ হাজার থেকে ৯ হাজার ইউরোর (প্রায় ৬ লাখ ৮ হাজার থেকে ৯ লাখ ১২ হাজার বাংলাদেশি টাকা) মধ্যে চার্জ করে থাকে। স্বভাবতই স্নাতক ডিগ্রীগুলো স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর চেয়ে কম খরচের হয়ে থাকে। ডেনমার্কে জীবনযাত্রার জন্য আর্থিক ব্যবস্থাপনা শুধু ডেনমার্কেই নয়; জীবনযাত্রার খরচ সাধারণত মানুষের জীবনধারণের পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। ডেনমার্কে বাসা ভাড়া, খাবার, যাতায়াত এবং কেনাকাটা সব মিলিয়ে মাসে খরচ পড়তে পারে প্রায় ৭৫০ থেকে ৯০০ ইউরোর মত, যা বাংলাদেশি টাকায় ৭৫ হাজার ৯৭০ থেকে ৯১ হাজার ১৬৪ টাকা। কোপেনহেগেনের মত উচ্চ খরচের শহরে যা সর্বোচ্চ এক হাজার ২০০ ইউরোর (এক লাখ ২১ হাজার ৫৫২ বাংলাদেশি টাকা) মতো উঠতে পারে। ডেনমার্কে পড়াশোনার পাশাপাশি খন্ডকালীন চাকরির সুযোগ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরা ডেনমার্কে পড়াশোনার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। তবে জুন, জুলাই এবং আগস্ট মাসে এরকম কোনো বিধিনিষেধ নেই; পুরোটা সময়ই কাজ করা যায়। ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপের সুবিধা ডেনমার্কের ব্যয়বহুল উচ্চশিক্ষার খরচ চালানোর জন্য সেরা উপায় হচ্ছে স্কলারশিপ। আর ডেনমার্ক তার আন্তর্জাতিক মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ ভালো স্কলারশিপের ব্যবস্থা রেখেছে। স্থানীয় শিক্ষার্থী ও স্কলারদের নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার মাধ্যমে এই স্কলারশিপগুলোতে সহজেই আবেদন করা যেতে পারে। সবচেয়ে জনপ্রিয় স্কলারশিপ প্রকল্পগুলোর মধ্যে ইরাসমাস মুন্ডাস/জয়েন্ট মাস্টার ডিগ্রি এবং ডেনিশ সরকারি বৃত্তি অন্যতম। এছাড়াও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার খরচ পুষিয়ে নেওয়ার জন্য ডেনমার্কের বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপের সুযোগ আছে।স্নাতক হওয়ার পরে চাকরি খুঁজে পেতে ৬ মাস সময় পাওয়া যায়। আর এর মধ্যেই রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য আবেদন করতে হয়। উত্তম উপায় হলো ডেনমার্কে পড়াশোনা করার জন্য রেসিডেন্স পারমিটের আবেদন করার সময়েই ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করা। এছাড়া পরবর্তীতে ডেনমার্ক ইমিগ্রেশন সার্ভিস নেওয়ার সময়েও ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করা যায়।সুত্রঃ ইউএনবি

post
শিক্ষা

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে হ্যালোইন পার্টি

হ্যালোইন উদযাপন হয়ে গেলো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হ্যালোইনের নানান সাজে সেজে ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করলো। ওকে ওকে ভয় দেখালো। আর মাতলো হ্যালোইন উৎসবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও বোর্ড চেয়ারম্যান আবুবকর হানিপ, প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক, ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. জাফর পিরিম, সিএফও ফারহানা হানিপ যোগ দেন এই হ্যালোইন পার্টিতে। ডাইভার্সিটিকে গুরুত্ব দেয় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। আর সে কারণে বিভিন্ন উৎসব উদযাপন এর একটি নিয়মিত চর্চা। ক্যাম্পাসের দেয়ালগুলোতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো ভুত-প্রেত- ডাইনির মুর্তি। আর মাকরসাসহ অন্যান্য প্রাণি। ছিলো মমি তৈরির প্রতিযোগিতা। চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপসহ কয়েকজনে মমি বানানোর লড়াইয়ে নামে কর্মকর্তা-শিক্ষার্থীদের দল। মমি তৈরি হলে শুরু হয় তার দৌড় প্রতিযোগিতা। সেরা হ্যালোইন সাজের জন্য দেওয়া হয় পুরস্কার। বিশ্ববিদ্যালয়র কর্মকর্তা কিনানা এই পুরস্কার জয় করেন। সবশেষে ছিলো পিজা উৎসব। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও  উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সকলে মিলে উপভোগ করেন পিজা। যার মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই উৎসব।

post
শিক্ষা

ব্যাংক অব মঙ্গোলিয়ার গভর্নরের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি পরিদর্শন

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা বিশ্বের বহু দেশ থেকে পড়তে এসেছে। এ পর্যন্ত ১২১টি দেশের শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছে। যাদের মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষার্থী রয়েছে মঙ্গোলিয়ার।সম্প্রতি পূর্ব-এশীয় এই দেশটির ব্যাংক অব মঙ্গোলিয়ার গভর্নর খাগভাসুরেন বাদ্রান এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। এখানে বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিচ্ছিলেন তিনি। এই সময়ে কাজের অবসরে তিনি এসেছিলেন মঙ্গোলীয় শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির- ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও বোর্ড চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক ও অন্যান্যের সঙ্গে মত বিনিময় করেন ব্যাংক অব মঙ্গোলিয়ার গভর্নর। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস এর পরিচালক ড. মার্ক রবিনসন এসময় উপস্থিত ছিলেনব্যাংকের মনিটারি পলিসি বিষয়ক মহাপরিচালক বায়াদ্রাভা বায়ারাসসাইখান এবং মনিটারি পলিসি কমিটির সদস্য মুনখবায়ার সেদেভাসুরেন গভর্নরের সঙ্গে ছিলেন। এসময় তারা মঙ্গোলীয় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খোঁজ-খবর নেন। এবং শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের পক্ষ থেকে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন। আবুবকর হানিপ এসময় মঙ্গোলীয় প্রতিনিধি দলকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সেরা শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে তাদের ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি পাচ্ছেন। এছাড়া তাদের লেখাপড়া শেষে যাতে কর্মজগতে সরাসরি প্রবেশ করতে পারে সে লক্ষে দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট হাসান কারাবার্ক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাইভার্সিফায়েড কালচার থেকে আসা শিক্ষার্থীরা রয়েছে। এটা আরও সংহত করতে হবে। আমরা চাই মঙ্গোলিয়া থেকে এখানে আরও শিক্ষার্থী আসুক, কারণ এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অ্যাফোর্ডেবল, বলেন হাসান কারাবার্ক। ব্যাংক অব মঙ্গোলিয়ার গভর্নর এ সময় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। এবং ভবিষ্যতে আরও শিক্ষার্থী মঙ্গোলিয়া থেকে এখানে পড়তে আসবে বলে আসাবাদ ব্যক্ত করেন।

post
শিক্ষা

ডব্লিউইউএসটি চেয়ারম্যান, প্রেসিডেন্ট ও সিএফও'র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ড. শাহজাহান মাহমুদের

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-ডব্লিউইউএসটি'র চেয়ারম্যান ও সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লি. এর চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসে ডব্লিউইউএসটি'র ভার্জিনিয়াস্থ ক্যাম্পাসে এই সাক্ষাৎ করেন তিনি। এসময় ড. শাহজাহান মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক ও সিএফও ফারহানা হানিপের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়ে ড. শাহজাহান যুক্তরাষ্ট্রে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের জন্য আবুবকর হানিপকে ধন্যবাদ জানান এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ গর্বিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশিসহ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি দুয়ার খুলে দিয়েছে, আইটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে যা সময়োপযোগী। আবুবকর হানিপ জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শিগগিরই তার নতুন ক্যাম্পাস পেতে যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান হারে শিক্ষার্থী বেড়ে যাওয়ার কারণেই নতুন ও বড় ক্যাম্পাস প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থার ইউনিক দিকগুলো তুলে ধরে তিনি জানান, এখানে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষায়ও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আইটি ইন্ডাস্ট্রি থেকে লব্দ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে শিক্ষকরা এখানে ক্লাস নেন। ফলে শিক্ষার্থীরা কর্মজগতের প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করছে তাদের শ্রেণিকক্ষে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুইশন ফি শিক্ষার্থীরা সামর্থ্যের মধ্যে। ফলে এখানে ড্রপআউটের সংখ্যা খুবই সামান্য। প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক জানান, এই বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সকল দফতর থেকে অনুমোদন ও সনদপ্রাপ্ত। বিশেষ করে এমবিএতে টপ র্যাংকড এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে শিক্ষার্থীরা এখানে আস্থা খুঁজে পায়। বিশ্বের ১২১টি দেশের শিক্ষার্থী এরই মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছে জানিয়ে ফারহানা হানিপ বলেন, এটি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ডাইভার্সিফায়েড ক্যাম্পাসে পরিণত করেছে। শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সম্পদ, উল্লেখ করেন তিনি। পরে ড. শাহজাহান মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতনদের সঙ্গে ফটোশেশনে অংশ নেন। 

post
শিক্ষা

কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যা ও সমাধান ( পর্ব-২ )

কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যা ও সমাধান:সমস্যা ০৬: Monitor Screen ঝাপসা। কারণ: ১. Driver Install করা না থাকলে। ২. Setting এ সমস্যা হলে। ৩. Monitor এর ক্যাবলের সমস্যা থাকলে। ১. Driver Install করতে হবে। ২. রেজুলেশন ও এ্যাডভান্স ডিসপ্লে থেকে রিফ্রেস রেট (৬০ হার্টস) ও কালার মোড (৩২ বিট) চেক করুন। ৩. Monitor এর ক্যাবল পরিবর্তন করতে হবে। সমস্যা ০৭: Monitor লেখা / ছবি উল্টে গেছে। কারণ: ১. Setting এ সমস্যা আছে। ২. Ctrl + Alt + arrow key ২. সেটিংস এ গিয়ে রোটেশন অফ করে।  সমস্যা ০৮: Windows 10/11 Hard disk পাচ্ছে না। কারণ: ১. নতুন মডেলের হার্ডডিস্ক। ২. কানেকশনের সমস্যা ৩. হার্ডডিস্ক কন্ট্রোলারের সমস্যা। ১. নতুন মডেল বা ব্রান্ড এর হার্ডডিস্ক এর ড্রাইভার ব্যাবহার করতে হবে। ২. হার্ডডিস্কের সাথে মাদারবোর্ড কানেকশন ঠিক করুন। ৩. বায়োসের সেটিংস এ হার্ডডিস্ক কন্ট্রোল করুন। সমস্যা ০৯: User Account এর Password ভুলে যাওয়া।১. সেফ মুডে কম্পিউটার অন করে পাসওয়ার্ড মুছে দেওয়া। ২. Ctrl + Alt চেপে ধরে দুইবার Delete চেপে Administrator দিয়ে Open করা। সমস্যা ১০: Hard disk Bad sector / দ্রুত নষ্ট হওয়া। কারণ: ১. ঘন ঘন বিদ্যুত চলে যাওয়া। ২. সঠিকভাবে Computer বন্ধ না করা। ১. UPS / IPS ব্যাবহার করতে হবে। ২. যথাযথভাবে Computer বন্ধ করতে হবে। ৩. Logical Bad sector দূর করতে Utility Software use করা। যেমন- Norton utility disk doctor. মো: আলিউল ইসলাম ফ্যাকাল্টি, পিপলএনটেক। কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যা ও সমাধান ( পর্ব-১ )

post
শিক্ষা

কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যা ও সমাধান ( পর্ব-১ )

কম্পিউটারের সমস্যা ও সমাধানসমস্যা ও কারণ সমাধানসমস্যা: ০১: Computer / Laptop চালু হচ্ছে না। কারণ: ১. পাওয়ার সাপ্লাইয়ের সমস্যা। ২. পাওয়ার বাটনে সমস্যা। ৩. র‌্যামের সমস্যা। ৪. প্রসেসরে সমস্যা। ৫. Charging পোর্ট সমস্যা।১. পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ক্যাবল ভালভাবে চেক করতে হবে। ২. পাওয়ার বাটন চেক করতে হবে। ৩. বার বার বিপ দিলে র‌্যাম বদলাতে হবে। ৪. প্রসেসর ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা চেক করা ও কুলিং ফ্যান চেক করা। ৫. Charging পোর্ট ঠিক আচে কিনা তা দেখা। ৬. Charging Adapter Cheek করা। সমস্যা: ০২: Computer বারবার Restart হচ্ছে।কারণ:১. ভাইরাসের / এন্টিভাইরাসের কারণে।২. Unexpected Software Install করায়।১. Antivirus দিয়ে পুরো PC Scan করুণ।২. একাধিক Antivirus Delate করুন।৩. কোন Software Install করার পর এমন হলে সেই Software Uninstall করুন।সমস্যা: ০৩: উইন্ডোজ চালু হতে বেশি সময় নিচ্ছে।কারণ:১. স্টার্টআপে প্রোগ্রামের সংখ্যা বেশি।২. C Drive জায়গা কম।৩. C Drive অনন্ত ২০% ফাঁকা না থাকলে।১. Start Menu / Run গিয়ে MSCONFIG লিখে Enter দিন। অথবা২. Task Bur গিয়ে Task Manager ক্লিক করে Startup Click করে অপ্রয়োজনীয় Software Delete করুন।সমস্যা: ০৪: Computer Slow হয়ে গেছে।কারণ:১. C Drive জায়গা কম।২. অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম বেশি।৩. Virus এর কারণে।১. C Drive অনন্ত ২০% ফাঁকা রাখুন।২. অপ্রয়োজনীয় Delete প্রোগ্রাম করতে হবে।৩. Antivirus দিয়ে পুরো PC Scan করুন।৪. Run গিয়ে tree, temp, %temp%, prefetch, recent, Recycle Bin লিখে Delete করুন।সমস্যা: ০৫: Computer এ ঘরির সময় ঠিক থাকে না।কারণ: ১. বায়োসের ব্যাটারী ডাউন হলে।১. বায়োসের ব্যাটারীটি পরিবর্তন করে দিন।২. সময় ঠিক করে দিন।মো: আলিউল ইসলামফ্যাকাল্টি, পিপলএনটেক।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.