post
এনআরবি সাফল্য

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ জয়ী বাংলাদেশি টিমকে অভিনন্দন জানালো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি

বাংলাদেশ থেকে দ্বিতীয়বার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসার আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত নাসার সদরদপ্তরে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন ২০২২ সালে নাসা কর্তৃক আয়োজিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের বাংলাদেশ থেকে বিশ্বজয়ী দল ‘টিম ডায়মন্ডস’। দলটি সম্প্রতি ঘুরে এসেছে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি)। এক বার্তায় দলটিকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানটি।১১ জুন নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের বার্তায় ডব্লিউইউএসটি বলেছে, 'গত ৭ জুন, আমরা বাংলাদেশ থেকে ডায়মন্ডস টিমকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগত জানাই, যারা ২০২২ সালের নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের চ্যাম্পিয়ন। ছাত্রদের সাথে দেখা করার এবং নাসা স্পেস অ্যাপস সম্পর্কে জানার জন্য এটি একটি চমৎকার সুযোগ ছিল। ডব্লিউইউএসটি-এতে আমরা গর্বের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের অংশ হওয়ার সুযোগ অফার করি!' ২০২২ সালে ‘মোস্ট ইন্সপাইরেশনাল’ ক্যাটেগরিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল টিম ডায়মন্ডসের সদস্যরা হলেন তিষা খন্দকার (দলনেতা), মুনিম আহমেদ, ইঞ্জামামুল হক সনেট, আবু নিয়াজ ও জারিন চৌধুরী। টিম ডায়মন্ডসের প্রকল্প ‘ডায়মন্ড ইন দ্য স্কাই’ একটি ইন্টারেক্টিভ লার্নিং গেম, যা বাচ্চাদের জন্য নির্মিত। মূলত গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে বাচ্চারা নক্ষত্রসমূহের পরিবর্তনের (রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা, ভরের পরিবর্তন) পেছনে লুকিয়ে থাকা সব কারণ সম্পর্কে জানতে পারবে। গেমটি খেলার মাধ্যমে বাচ্চারা তাদের নিজস্ব নক্ষত্র তৈরি থেকে শুরু করে নক্ষত্রের প্যাটার্ন, রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা, ভরের পরিবর্তন অনুমান করতে পারবে।

post
শিক্ষা

ভারতের নিমস ইউনিভার্সিটির সঙ্গে অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স বিনিময়ে চুক্তি স্বাক্ষর ডব্লিউইউএসটির

ভারতের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিমস ইউনিভার্সিটির সঙ্গে অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স বিনিময়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। এই চুক্তির ফলে নিমস বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুসরণ করা হবে ডব্লিউইউএসটির কোর্স কারিকুলাম এবং ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা ডব্লিউইউএসটিতে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে তাদের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। উভয় বিশ্ববিালয়ের শিক্ষকরা পড়াতে পারবেন একে অপরের ক্যাম্পাসে। গত ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়ায় ডব্লিউইউএসটি ক্যাম্পাসে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। স্বাক্ষর করেন ডব্লিউইইএসটির চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও নিমস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর প্রফেসর ড: বলভীর এস. তোমর। চুক্তির আওতায় উচ্চমানসম্পন্ন শিক্ষা. গবেষণা উন্নয়ন, সহযোগিতা ও অন্যান্য শিক্ষাবিনিময় কার্যক্রম পরিচালিত হবে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। এছাড়া দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা একে অপরের সাথে বিনিময় করবেন। এর আগে গেলো বছরের ৪ ডিসেম্বর একটি দীর্ঘ মেয়াদী সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে। তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসে ডব্লিউইউএসটির নতুন ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন নিমস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর প্রফেসর ড: বলভীর এস. তোমর। ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নতুন ক্যাম্পাস আর সার্বিক উন্নয়ন দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন ভারতের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এই প্রতিষ্ঠাতা। এসময় ডব্লিউইউএসটি চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন ড. বলবীর এস. তোমর। সেই সাথে প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কের পরিচালনার প্রশাসনিক গুনাবলীর। ড: বলভীর বলেন, "আমার দৃঢ় বিশ্বাস অদূর ভবিষ্যতে এই ডব্লিইউএসটি যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেঙ্কিংয়ে শক্ত অবস্থান তৈরি করে নেবে।" তিনি আরও বলেন, এখন মাত্র সময়ের অপেক্ষা নিমস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডব্লিউইউএসটিতে পড়াশোনা করে যুক্তরাষ্ট্রের মাটি থেকে তাদের উচ্চ শিক্ষার স্বপ পূরণ করতে পারবে।  সাম্প্রতিক সময়ে নিমস ইউনিভার্সিটির নামের পাশে অর্জনের আর বেশ কিছূ পালক যুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, ড. বলভীরের সফরসঙ্গী ড. নিপাক নাথিয়া একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন ডব্লিউইউএসটির প্রফেসরস ও কর্মকর্তাদের সামনে। উপস্থাপনা শেষে তিনি বলেন, তিন বছরের ব্যবধানে ডব্লিউইউএসটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এমন রেকর্ড খুব কম দেখা যায়। আমি খুব আশাবাদী নিমস এবং ডব্লিউইউএসটি একসাথে কাজ করলে আরও অনেক অর্জন সামনে যুক্ত হবে। ডব্লিউইউএসটির চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান দিক এর অ্যাক্রেডিটেশনস। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ সম্প্রতি আগামী চার বছরের জন্য অ্যাক্রেডিটেশন অনুমোদন দেয় ডব্লিউইউএসটিকে। যা আমাদের নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার পথ সুগম করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা নার্সিং পোগ্রাম পরিচালনা জন্য আবেদন করেছি। খুব শীঘ্রই সেই অনুমোদন পেয়ে যাবো আশা করি। তাছাড়া ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পাশের আরেকটি ভবন অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে আমরা নতুন ক্যাম্পাস খোলার কথা ভাবছি।" মতবিনিময় সভায় প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক তুলে ধরেন এতো অল্প সময়ের মধ্যে ডব্লিউইউএসটির কিভাবে এতোটা উন্নতি সাধন করেছে তার নানা দিক। তিনি বলেন, "আমাদের ট্রিপল 'এ' মিশন অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাতিক্রম- অ্যাক্রেডিটেড, অ্যাফোর্ড্যাবল ও অ্যাকসেস্যাবল। আর তার চেয়েও বেশি যেটি কার্যকরী তা হচ্ছে, আমরা শিক্ষার্থীদের শুধু ডিগ্রি নয় তার সাথে স্কিলড করে তুলছি ও কর্মসংস্থানের জন্যও তৈরি করছি। আর এ এজন্যই ডব্লিউইউএসটিকে সবাই উচ্চ শিক্ষার সঠিক প্লাটফর্ম হিসাবে বেছে নিচ্ছে।” সভায় উপস্থিত ছিলেন সিএফও ফারহানা হানিপ। তিনি বলেন, "সকলের প্রচেষ্টায় এগিয়ে চলছে ডব্লিউইউএসটি। আর নিমসের মতো ভারতের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে পারাটা হবে বেশ সম্মানের এবং গর্বের। আমরা মুখিয়ে আছি একসাথে এগিয়ে যাবার জন্য।" ডব্লিউইউএসটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অব এডুকেশন ড. জেফের পিরিম, ভাইস প্রেসিডেন্ট অব অপারেশন ও রেজিস্ট্রার ড. শ্যান চো, স্কুল অব বিজনেসের পরিচালক অধ্যাপক মার্ক এল রবিনসন ও বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কার্যক্রম সম্পর্কে অতিথিদের অবহিত করেন । মতবিনিময় সভা শেষে নিমস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. বলবভীর এস. তোমর ও প্রফেসর ড. নিপাক নাথিয়া নতুন ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। ক্যাম্পাসের বিস্তৃতি এবং ক্যাম্পাস জুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বাধুনিক ক্লাসরুম, ল্যাব, লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, গেমিং জোন, অডিটোরিয়ামসহ সব কিছু ঘুরে দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রফেসর ড: বলভীর। ডব্লিউইউএসটির পক্ষ থেকে দুই অতিথির হাতে শ্যুভেনির তুলে দেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক। ভারতের রাজস্থানের জয়পুরে অবস্থিত নিমস বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের অর্থায়নে পরিচালিত উত্তর ভারতের বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, প্যারামেডিকস, ফিজিও থেরাপি, ফ্যাশন ডিজাইন, আইন, ব্যবস্থাপনা এবং আরও অনেক বিষয়ের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে এটি ভারতের অন্যতম শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। মেডিকেলের ক্যাটাগরিতে ২০১৬ সালে ফিফথ বেস্ট ইমার্জিং বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছিলো নিমস। এর ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে ১৫শ'র বেশি ‌ফ্যাকাল্টি মেম্বার। চারশো একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একশোর বেশি প্রোগ্রামের অধীনে সাড়ে চারশো কোর্স চালু রয়েছে। আইন, ব্যবসায়িক প্রশাসন, লিবারেল আর্টস থেকে শুরু করে প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সকল সাবজেক্টের সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের মতো বিষয়। অন্যদিকে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকানের হাতে পরিচালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যবসায়িক প্রশাসনের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সে বর্তমানে বিশ্বের ১২১ দেশের প্রায় ২০০০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি সাম্প্রতিক সময়ে ভার্জিনিয়ার ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যেমন পরিচিতি পেয়েছে তেমনি স্বীকৃতি পেয়েছে স্টেট সিনেট ও লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির। এমবিএ প্রোগ্রামের জন্য ভার্জিনিয়ার সেরা র্যাংকিংয়ে উঠে এসেছে ডব্লিউইউএসটির নাম।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তার উদ্যোগে ডব্লিউইউএসটি ফাউন্ডেশন

পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে এবং ঈদ উল ফিতর সামনে রেখে নিউইয়র্কের কুইন্সে নিম্নআয়ের তিন শতাধিক পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তার উদ্যোগ নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে ডব্লিউএসটি ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি সংগঠন-প্রতিষ্ঠান।পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের একটি মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে গত রবিবার ৭ এপ্রিল। জীবনযুদ্ধে অব্যহত লড়াই চালিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর দিকে সামান্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে এবং ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই এই উদ্যোগ।ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র উদ্যোগে গড়ে তোলা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএসটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কমিউনিটির সুবিধাবনচিত মানুষের পাশে থাকছে। নিউইয়র্কে সেইভ দ্য পিপল ও মুনা সোশ্যাল সার্ভিসেস নামের দুটি সংগঠনের সাথে যৌথভাবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করলো ডব্লিউইউএসটি।এইদিন সকাল থেকেই কুইন্সের জামাইকায় নিম্নআয়ের মানুষগুলো জড়ো হতে থাকেন। আগেই তাদের এই খাদ্য সহায়তার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে। পরে তা সংগ্রহ করতে তিন শতাধিক মানুষ জড়ো হয়। তাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে একের পর এক তুলে দেওয়া হয় নানা ধরনের খাদ্যপণ্য। আয়োজকরা জানান, বিশ ধরনের খাদ্যপণ্য দিয়ে একেকটি থলে তৈরি করে তা বিতরণ করা হয়। আর সহায়তা যারা পেলেন তাদের একজন জানালেন, পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্য সহায়তা তারা পেয়েছেন। যা দিয়ে একটি ছোট পরিবারের এক মাসের খোড়াক হয়ে যাবে। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সহায়তাপ্রাপ্ত একাধিকজন বলেছেন, তারা খুশি। খুশি ছিলো সহায়তা নিতে আসা ছোট শিশুরাও। কারণ খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে তাদের প্রিয় আইটেমও রয়েছে। নানা বয়সের নারীপুরুষ এসেছিলো খাদ্য সহায়তা নিতে। তারা সকলেই সহায়তা পেয়েছেন। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে এই খাদ্য সহায়তা বিচরণ করা হয়। আর সে কাজে নিয়োজিত ছিলেন এক ডজনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবকের একটি দল। করেমসূচির প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন সেভ দ্য পিপল এর কর্ণধার মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের আয় কম। ফলে এই মানুষগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পান না। এমন অনেকে আছেন যাদের আয়-ব্যয়ের হিসাবেই আটকে থাকে জীবন। ভালো কিছু খাবার খেতে পারেন না। কমিউনিটির এসব অসহায় মানুষ ও নতুন যারা আমেরিকায় আসেন, প্রবাসী বাঙালি সবার কথা চিন্তা করেই এই সহযোগিতার উদ্যোগ।  এই উদ্যোগের পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য ডব্লিউইউএসটি ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সহায়তার কারণে অনেক পরিবারের মুখে ফুটেছে হাসি। জীবন হয়েছে সহজ। রমজানের পরেও প্রতি মাসে এই কর্মসূচি চলবে বলে জানান আয়োজকরা। একই সঙ্গে সামাজিক এই মহৎ উদ্যোগে অবদান রাখায় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ডব্লিউইউএসটি) চ্যান্সেলর ও ডব্লিউইউএসটি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আবুবকর হানিপসহ অন্যান্য দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এর মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কের নিম্ন আয়ের মানুষ, নব্য অধিবাসীরা কিছুটা হলেও খাদ্যচিন্তামুক্ত থাকবে। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন গ্রোসারি আইটেমের ২০টির বেশি খাদ্যপন্ন বিতরণ করা হলে। আর যারা এই সহায়তা পাওয়ার যোগ্য সেই অসহায় মানুষগুলোকেই তালিকাভূক্ত করে এই সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। শুধু কুইন্স নয়, ব্রুকলিন, ম্যানহাটনসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন শতাধিক পরিবার এখানে খাবার নিতে আসে। খাদ্যপণ্যের মধ্যে ছিলো দুধ, তেল, আলু-পেঁয়াজসন অন্যান্য গ্রোসারি আইটেম। ছিলো ফলসহ নানা ধরনের উপাদেয় খাবার। খাবার নিতে আসা মানুষের প্রবাসী বাঙালি পরিবারও ছিলো। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তারা বলেন, এমন সাহায্য পেয়ে তারা খুবই আনন্দিত। বিতরণ করা খাবারের মান ও পরিমাণেও তারা খুশি। খাদ্য বিতরণের এই কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেন শর্শিনার হুজুর শাহ মুহম্মদ শফিউল্লাহ সিদ্দিকী, সেভ দ্য পিপল এর উপদেষ্টা আনিসুল কবির জাসির, পিস সেন্টার অব ইউএসএ’র ভেরোনিকা হোসেইন, কুইনস পাওয়ার এর উম্মা সিদ্দিকা, দারুস সালাম মসজিদের ইমাম আবদুল মুকিত, নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কেনি আর প্লেসিনসিও, নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের উপদেষ্টা ফরহাদ সোলায়নান, সেফেস্ট এর প্রেসিডেন্ট মাজেদা উদ্দিন, ফার্মাসিস্ট কায়সার সজীব, ইউএনও-ইউএসএ’র প্রতিনিধি শারমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুবায়ের আবদুল্লাহ এবং এনওয়াইসি ডিপার্টমেন্ট অব বিল্ডিং এর ফয়সল আহমেদ।

post
শিক্ষা

স্প্রিং কোয়ার্টারের নবীনদের পদচারণে মুখরিত ডব্লিউইউএসটির ক্যাম্পাস

'এসো হে নবীন, বাজিয়ে সুর-লহরী উল্লসিত নব বীণ। আজ সুর মিলিয়ে গাইব জয়যাত্রার গান, আনন্দে আহ্লাদিত নবীন প্রাণ।’ নতুন কোয়ার্টারের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করতে এভাবেই যেন স্বাগতম জানিয়েছেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ।২৭ মার্চ বুধবার ছিল ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির স্প্রিং কোয়ার্টারের ওরিয়েন্টেশন। এদিন সকাল থেকে ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়ার নতুন ক্যাম্পাসে ছিল নবীন শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। নতুনদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। যার মধ্যে বেশিরভাগই ছিল ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট। বাবা-মা, প্রিয়জনদের ছেড়ে বিদেশের মাটিতে স্বপ্ন পূরণের এক নতুন যাত্রা। সবার চোখে ছিল খুশির আমেজ। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ থেকে তাদের উচ্চ শিক্ষা স্বপ্নের পূর্ণতা যেন খুশির আমেজকে বাড়িয়ে তুলে শতগুণ।এই আয়োজনে প্রায় শ'খানেক শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন সশরীরে। আরও দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী যুক্ত হয়েছিলেন অনলাইনে। নতুনদের স্বাগতম জানান, ডব্লিউইউএসটির সকল বিভাগীয় প্রধান, প্রফেসরস ও কর্মকর্তাগণ। সূচনা বক্তব্যে চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ নবাগতদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান সকল সুবিধার সবোর্চ্চটা গ্রহণ করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে প্রস্তুত করে তোলার অঙ্গীকারকে উচ্চে তুলে ধরে ডব্লিউইউএসটি তার মিশন ও ভিশন নির্ধারণ করেছে। জীবনের সকল বাধা পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্পণ মানেই অন্যরকম এক অনুভূতি এবং নতুনত্বের হাতছানি। আর সেটি যদি হয় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মতো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাহলে স্বভাবতই নবীন শিক্ষার্থীদের কাছে ক্যাম্পাসের প্রথম দিনটি একটু উচ্ছ্বাসের, রোমাঞ্চের। তাদের চোখের ভাষা বুঝতে পেরেই যেন বেশ কিছু পরামর্শ রাখেন প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক। বলেন, "অ্যাকাডেমিক কার্যকলাপের পাশাপাশি নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করতে হবে, যা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার পরিবর্তে জীবনে প্রতিটি ধাপে সহযোগিতা করবে।" ১২০টি দেশের শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে ডব্লিউইউএসটিতে। এ তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে আরও নতুন কিছু দেশের নাম। সাউথ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া, বলিভিয়া, আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়া, তানজানিয়া, তিউনেশিয়া এবং নেপাল থেকে এসেছেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী। ইন্টারন্যাশনাল এসব শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস এবং আউট অব দা ক্যাম্পাসে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম কানুন। ওরিয়েন্টেশনে সে সকল বিষয়গুলো বিস্তারিত প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন ডিএসও কির্ম্বালি সিম্পসন। এমনিতেই ডব্লিউইউএসটি এফোর্ডেবল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে। এর বাইরেও প্রতি কোয়ার্টারে ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে রয়েছে মেধাভিত্তিক স্কলারশিপ। তা পেতে কি কি করতে হবে সে সব তুলে ধরেন স্কুল অব বিজনেস এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক এল রবিনসন। তিন ঘণ্টা ব্যাপী এই ওরিয়েন্টশনটি সাজানো হয় বেশ কয়েকটি পর্বে। নিয়মিত ক্লাসে অংশ গ্রহণ, সময়ের মধ্যে সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট ও ডিসকাশন করা, পরীক্ষা ও নাম্বার বন্টন পদ্ধতি,  প্ল্যাগারিজমের জন্য কঠিন নিয়ম, লাইব্রেরি ব্যবহার, আইটি সাপোর্ট, ক্যারিয়ার সার্ভিস, এই সব বিষয়ের উপর চমৎকার প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন বিভাগীয় প্রধানগণ।ওরিয়েন্টেশনের এক অংশে নতুনদের জন্য ছিল একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন। যা পরিচালনা করেন মার্কেটিং ডিরেক্টর হুসে উর্তেগা। পাশাপাশি ডব্লিউইউএসটির সক্রিয় কয়েকটি স্পোর্টস ক্লাবের কথা উল্লেখ করে সে সব ক্লাবে যোগ দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।ছাত্রদের যে কোন প্রয়োজন সর্বদা পাশে থাকে ডব্লিউইউএসটির স্টুডেন্ট গভার্মেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ক্লাব। এসজিএর প্রেসিডেন্ট সেলিন ইয়েগিত সকলকে স্বাগতম জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের যে কোন ধরনের সহযোগিতায় পাশে আছে এসজিএ ক্লাব। এছাড়া তুলে ধরেন এই ক্লাবের অধীনে থাকা শিক্ষামূলক ক্লাবগুলোর কার্যক্রম। জানিয়ে দেন, সারা বছর এসজিএ স্টুডেন্টদের জন্য আয়োজন করে থাকে বিনোদন মূলক নানা আয়োজন।পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন স্টুডেন্ট সাকসেস এন্ড ক্যারিয়ার সার্ভিস ম্যানেজার রিচেল রোজ। জব ফেয়ার, অন ক্যাম্পাস জব এবং সিপিটি- ওপিটিতে পেতে স্টুডেন্টদের তার টিম কীভাবে সহযোগিতা করে, রোজ তুলে ধরেন ওরিয়েন্টশেনর শেষ অংশে।এরপর শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল ক্যাম্পাস পরিদর্শন পর্ব। ক্লাসরুম, ল্যাব, লাইব্রেরি, লাউঞ্জ রুম ঘুরে দেখেন তারা। কুশল বিনিময় করেন চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. কারাবার্কের সাথে। ক্যাফেটেরিয়ায় মধ্যাহ্ন ভোজের পর্বের পর গ্রুপ ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় স্প্রিং-২০২৪ কোয়ার্টারের ওরিয়েন্টেশন। নবীনদের স্বপ্নময়ী চোখে নতুন স্বপ্নে আর উদ্যমে এগিয়ে চলার প্রত্যয় নিয়েই শুরু হলো তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। ২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে তাদের ক্লাসসহ সকল শিক্ষা কার্যক্রম। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকানের হাতে পরিচালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তথ্যপ্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যবসায়িক প্রশাসনের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সে বর্তমানে বিশ্বের ১২০ দেশের সতেরোশ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।

post
শিক্ষা

ডব্লিউইসটি ক্যাম্পাস ঘুরে গেলেন বাংলাদেশর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফরিদ খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি উজ্জ্বল দিন

বাংলাদেশের খ্যাতনামা ব্যবসায়ী, সামিট গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট মি. ফরিদ খান সম্প্রতি ঘুরে গেলেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি) ক্যাম্পাস। গত ১৩ মার্চ ভার্জিনিয়ার আলেক্সান্দ্রিয়ায় ফরিদ খান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনন্দময় দিন কাটান। চ্যান্সেলর ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ এবং সিএফও ফারহানা হানিপ তাকে ক্যাম্পাসে স্বাগত জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্তরিক মত বিনিময়ে অংশ নেন বাংলাদেশের এই স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক এই মত বিনিময়ে নেতৃত্ব দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব এডুকেশন ড. জেফের পিরিম, ভাইস প্রেসিডেন্ট অব অপারেশন ও রেজিস্ট্রার ড. শ্যান চো, স্কুল অব বিজনেসের পরিচালক অধ্যাপক মার্ক এল রবিনসন ও বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান ও ফ্যাকাল্টি সদস্যরা এতে অংশ নেন। চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ এসময় বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে প্রস্তুত করে তোলার অঙ্গীকারকে উচ্চে তুলে ধরে ডব্লিউইউএসটি তারা মিশন ও ভিশন নির্ধারন করেছে। "ট্রিপল মিশন নিয়ে আমরা এগুচ্ছি: শিক্ষার্থীদের জন্য ডিগ্রি নিশ্চিত করা, তাদের দক্ষতা তৈরি করা এবং কর্মসংস্থানে সহায়তা করা। যাতে এর মাধ্যমে রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট অর্থাৎ যে অর্থ ব্যয় করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে তার একটা কার্যকর প্রতিদানও তারা পেতে পারে। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে আমাদের স্কলার-প্র্যাকটিশনার ফ্যাকাল্টিরা তাদের কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা ও পরিবেশকেই নিয়ে আসছেন ক্লাসরুম সেটিংসে," বলেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। ড. হাসান কারাবার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন এবং গুরুত্বারোপ করেন এর প্রধান তিনটি লক্ষ্যের ওপর। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহের অ্যাক্রেডিটেশন কম্প্লায়ান্স নিশ্চিত করা আর শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে অ্যাকসেসেবল ও অ্যাফোর্ডেবল করে রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে শিক্ষার্থীরা যাতে আপন করে নিতে পারে লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে পারে সে প্রচেষ্টা আমাদের সার্বক্ষণিক, বলেন ড. কারাবার্ক। সিএফও ফারহানা হানিপ ক্যাম্পাসে বহুজাতিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিকেই এর অনন্য দিক হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "ডব্লিউইউএসটির প্রতিটি ক্লাসরুম জাতিসংঘের অধিবেশনের আদল পায় কারণ এখানে বিশ্বের অন্তত ১২০টি দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা এখন লেখাপড়া করে।"বিভাগীয় প্রধানরা তাদের বক্তৃতায় নিজ নিজ বিশেষত্বগুলো তুলে ধরেন। অধ্যাপক মার্ক রবিনসন গুরুত্বারোপ করেন কিভাবে ইন্ডাস্ট্রি থেকে অর্জিত জ্ঞান ও ব্যবহারিক দক্ষতা ডব্লিউইউএসটি তার কারিকুলামের অংশ করে নিয়েছে তার ওপর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি ড. সালমান এলবাদর ডব্লিউইউএসটির শিক্ষা মডেলকে ইউনিক হিসেবে উল্লেখ করেন আর ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. পিরিম বিশ্ববিদ্যালয়টির সাম্প্রতিক অগ্রসরতার এবং সে কারণে ভার্জিনিয়া স্টেট অ্যাসেম্বলি থেকে পাওয়া স্বীকৃতির কথা তুলে ধরেন।ড. শ্যান চো বলেন, ক্যাম্পাসের সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা ও দলগতভাবে কাজের মনোভাবই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনায় এসব অনন্য দিকগুলোর প্রশংসা করে ফরিদ খান তার বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও তার এই আত্মনিয়োজিত টিমের সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, একজন বাংলাদেশি আমেরিকান যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে তা এগিয়ে নিচ্ছেন, বিষয়টি তাকে গর্বিত করে। "আমি আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়টি তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাবে এবং এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের টপ র্যাংকড বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি হয়ে উঠবে," বলেন ফরিদ খান। পরে চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট হাসান কারাবার্কের সঙ্গে ফরিদ খান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আইটি ল্যাব, স্টেট-অব-আর্টস ক্লাসরুমসমূহ, কম্প্রিহেনসিভ লাইব্রেরি, স্টুডেন্ট লাউঞ্জ, ক্যাফেটেরিয়া ও অন্যান্য বিভাগগুলো ঘুরে দেখেন। একটি স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আর নতুন বিশ্বাসে পথ চলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দিনটি উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।

post
ক্যাম্পাস লাইফ

সিনেটের পর এবার হাউজ অব ডেলিটগেটসরা ভার্জিনিয়ার জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে সম্মাননা জানালো ডব্লিউইউএসটিকে

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৪০ জন সিনেটরের পক্ষ থেকে রিকগনিশন পাবার পর এবার জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে ভার্জিনিয়ার ১০০জন হাউজ অব ডেলিগেটস বিশেষ সম্মানা জানালো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ডব্লিউইউএসটিকে। ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট সেভেনের ডেলিগেটস ডেমোক্রেট দলের ক্যারেন কিইস গামাররা তার উপস্থাপনায় তুলে আনেন এই বিশ্ববিদ্যালের কথা। জানান, চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কে নেতৃত্বে অসাধারণ গতিতে এগিয়ে চলছে ডব্লিউইউএসটি। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার বিস্তার এবং ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগানিয়া অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডেলিগেটস ক্যারেন কিইস গামাররা। তার উপস্থাপনা শেষ হতে স্পিকার ডন স্কটের নেতৃত্বে ১শ ডেলিগেটস ও গ্যালারিতে উপস্থিত সকল অতিথিগণ তুমুল করতালির মাধ্যমে সম্মননা জানান ডব্লিউইউএসটির প্রতিনিধি দলকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কের নেতৃত্বে ১৩সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএফও ফারহানা হানিপ, আবুবকর হানিপ ও ফারহানা হানিপের জৈষ্ঠ্য কন্যা সাইবার সিকিউরিটি শিক্ষার্থী নাফিসা নওশিন, বিজনেস অব স্কুলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক রবিনসন, স্কুল অব বিজনেস ফ্যাকাল্টি প্রফেসর সালমান ইলবাদর, জেনারেল এডুকেশন অ্যান্ড সেন্টার ফর স্টুডেন্ট সাকসেস এর অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর ড. হুয়ান লি, মার্কেটিং ডিরেক্টর হোসে উর্তেগা, স্টুডেন্ট সাকসেস ও ক্যারিয়ার সার্ভিস ম্যানেজার রিচেল রোজ, ক্যারিয়ার সার্ভিস ও আইটি ম্যানেজার আমিত গুপ্তা, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টুডেন্ট গর্ভামেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সেলিন ইগিত এবং ইনফরমেশন টেকনলজির মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো: নাঈম হাসান। ডব্লিউইউএসটির উচ্চ শিক্ষা বিস্তার ও এগিয়ে চলার কথা অবগত আছেন ভার্জিনিয়ার ৪৮তম অ্যাটর্নি জেনারেল জেসন মিয়ারেস। তার ব্যাস্ত সময় থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের জন্য সময় তুলে রেখেছিলেন আলাদা করে। দুপুর আড়াইটায় কমনওয়েলথ অব ভার্জিনিয়ার বারবারা জনস বিল্ডিংয়ে তার অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে আমন্ত্রণ জানান ডব্লিউএসটি টিমকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরে উৎসাহ প্রদান করেন এবং ধন্যবাদ জানান তিনি। ডব্লিউইউএসটির প্রতিনিধি দল রিপাবলিকান দলের এই অ্যাটর্নি জেনারেলের হাতে একটি সুভেনির তুলে দেয়। ফটোসেশনের মাধ্যমে শেষ হয় এই বৈঠক। এদিকে এশিয়ান কমিউনিটি নিয়ে বহুবছর ধরে সফলতার সাথে ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে কাজ করে আসছে এমন চারটি সংগঠনের আয়োজনে একটি মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠান ছিলো সন্ধ্যায়। যেখানে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভার্জিনিয়ার ৭৪তম গর্ভণর রিপাবলিকান দলের গ্লেন ইয়ংকিন। সেই সাথে উপস্থিত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন সিনেটর ও হাউজ অব ডেলিগেটস। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ১৩ সদস্যের দলটিও আমন্ত্রিত ছিলো বিশেষভাবে। ভার্জিনিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নানা কথা উঠে আসে গর্ভণর গ্লেন ইয়ংকিনের বক্তৃতায়। বিশ্ববিদ্যালয় গুলো নতুন নতুন প্রোগরামের মাধ্যমে ইন্ড্রাস্টিতে কিভাবে দারুণ ভূমিকা রাখছে সেসব উঠে আসে তার কথায়। গর্ভণের কথা ধরে উদাহরণ হিসেবে ডব্লিউইউএসটির সফলতার কথা উঠে আসে ডিস্ট্রিক সেভেনের ডেলিগেটস ক্যারেন কিইসের কথায়। ডব্লিউইউএসটির কার্যক্রম নিয়ে অবগত আছেন এবং তার স্টেটে শিক্ষা সেবায় অসাধারণ ভূমিকা রাখায় ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কে সাধুবাদ জানান গভর্ণর গ্লেন ইয়ংকিন। সাধরে গ্রহন করেন ডব্লিউইএসটির সুভেনির। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতা কামনা করেন গভর্ণর। ডিনারের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই আয়োজন। তবে এমন সম্মাননা পাবার দিনটিকে সঠিক পথে চলার স্বৃকীতি হিসেবে ধরে নিয়ে নতুন উদ্যোমে পথচলার উৎসাহ উদ্দীপনা হিসেবে নিয়ে রিচমন্ড থেকে ভার্জিনিয়ায় ফিরে আসে ডব্লিউইএসটি টিম। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। নতুন দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতিতে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। যার মধ্য দিয়ে ঘটেছে দ্রুত প্রসার, শিক্ষার্থীদের কাছে হয়ে উঠে জনপ্রিয়। তিনবছরের ব্যবধানে তিনশো ছাত্রছাত্রী থেকে বর্তমানে সে সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৭শ। এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যবসায়িক প্রশাসনের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সে বর্তমানে বিশ্বের ১২১ দেশের শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। আর এসব কিছুর বিবেচনায় জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে টানা দ্বিতীয় বছরে মিলেছে এমন সম্মাননা।

post
ক্যাম্পাস লাইফ

ওয়েলকাম পার্টির মাধ্যমে নতুন ক্যাম্পাসে নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানালো এসজিএ

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের নতুন ক্যাম্পাসে স্বাগত জানালো স্টুডেন্ট গভার্মেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এসজিএ)। ২৭ জানুয়ারি শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসে ক্যাফেটেরিয়ায় দু'শোর বেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায় সংগঠনটি। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউইউএসটির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক এবং এসজিএ'র নেত্ববিন্দু। কেক কাটার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উইন্টার কোয়ার্টারে ভর্তি হওয়া সকলকে স্বাগত জানায় এসজিএ। ডব্লিউইউএসটির স্টুডেন্ট গর্ভামেন্ট অ্যাসোসিয়েশন শিক্ষার্থীদের হয়ে কথা বলার একটি সংগঠন। নতুন পরিচয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা শুরু করার প্রথম দিন থেকে সক্রিয় এই সংগঠনটি। কাজ করে স্টুডেন্টদের স্বার্থে। কথা বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিকার, প্রয়োজনীয় সহযোগীতা নিয়ে। বছর ব্যাপী আয়োজন করে থাকে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, ও খেলাধূলা বিষয়ক নানা কার্যক্রম। সবাইকে স্বাগত জানিয়ে এসজিএ'র সাথে শিক্ষার্থীদের যুক্ত হবার পরামর্শ দেন চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। তিনি বলেন, "পড়াশোনার পাশাপাশি সহপাঠী, অন্যান্য দেশের ক্রিস্টি-কালচার সর্ম্পকে জানার এবং নিজেকে প্রকাশ করার অন্যতম একটি মাধ্যম এই সংগঠন। সেই সাথে তিনি আরও বলেন, "সকল সুযোগ ও সম্ভাবনা দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তবে সবার আগে সকলের প্রাথমিক লক্ষই হওয়া উচিত যোগ্যতা ও মেধার প্রকাশ ঘটিয়ে ডিগ্রি সম্পন্ন করা। " এসজিএ'র নেত্বতে ডব্লিউইউএসটিতে পরিচালিত হচ্ছে বেশ কয়েকটি ক্লাব। শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক পরিবেশ দিতে সংগঠনটি বছরব্যাপী আয়োজন করে থাকে নানা রকম সাংস্কৃতিক, আন্তর্জাতিক, ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের। তাইতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "ডব্লিউইউএসটির সবচেয়ে বড় শক্তিটিই হচ্ছে এর বহু সংস্কৃতি থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। আর এই সকল শক্তি এক হবার প্লাটফর্মের নাম স্টুডেন্ট গভার্মেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। এর সাথে সবাই যুক্ত হলে, জানা ও শেখার পরিধি কয়েকগুন বেড়ে যাবে। তৈরি হবে ক্যারিয়ার গড়ার অসাধারণ নেটওয়ার্ক।" ক্যাম্পাসে কোন ছাত্রছাত্রী বুলিং, বর্ণবাদ, কালচারাল শক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হলেও সে সকল অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কাজ করে এসজিএ। শুধু তাই নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভলান্টারি কাজও করে থাকে সংগঠনটি। ২০২৩ সালের ফেব্রয়ারিতে তুরস্কে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পে ত্রান তহবিল সংগ্রহ করে তা ক্ষতিগ্রস্থ দেশটি পাঠিয়েছিলো এসজিএ। প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ফারহানা হানিপ বলেন, "আমরা যদি সকলে একটি লক্ষ্য সামনে নিয়ে একসঙ্গে পথ চলতে পারি, সাফল্য আসবেই। যুক্তরাষ্ট্রে একটি সুযোগের দেশ, তবে এখানে মূল লক্ষ্য ভিন্ন পথে প্রবাহিত হওয়ার সুযোগও কম নেই। সুতারাং কারে কথায় মিসগাইডেড না হয়ে, শিক্ষার্থীরা যেনো তাদের শিক্ষা অর্জনের প্রতি মনোনিবেশ করে এই আহ্বান জানান ফারহানা হানিপ। পরামর্শ রাখেন এসজিএর সাথে যুক্ত হবার।" এসজিএ'র কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন উপস্থিত শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ। বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য একটি কার্যকরী, আনন্দদায়ক পরিবেশ প্রদান করার চেষ্টা করে থাকে এসজিএ। এছাড়া স্টুডেন্টদের নেতৃত্বের গুনাবলী বৃদ্ধি এবং ক্লাব অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমে নিজের স্কিলকে প্রকাশ করার জন্য এসজিএ ও অন্যান্য ক্লাবে যুক্ত হবার প্রয়োজন সকলের। এসজিএ'র প্রেসিডেন্ট সেলিন ইজিত বলেন, "একাধিক ক্লাব গঠনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম বহির্ভূত কাজগুলো এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সকলের সহযোগিতা পেলে এসজিএ আরও সুদৃঢ়ভাবে এগিয়ে যেতে পারবে।" এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া সকল শিক্ষার্থীকে ধন্যবাদ জানান, এসজিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মুস্তাফিজুর রহমান। জানান, "এবারও পিকনিক, নৌ ভ্রমন, হাইকিং, স্পোর্টসের মত আকর্ষনীয় কিছু ইভেন্টের পরিকল্পনা রয়েছে এসজিএর।" ডব্লিউইএসটিতে এসজিএর অনুষ্ঠান মানেই আকর্ষনীয় ভোজের আয়োজন। এদিনও ব্যাতিক্রম ছিলো না। মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্য দিয়ে শেষ হয় তাদের ওয়েলকাম পার্টির আয়োজন।  

post
শিক্ষা

নতুন ক্যাম্পাসে নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিলো ডব্লিউইউএসটি

নতুন ক্যাম্পাসে নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিলো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি)। ৩ জানুয়ারী বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াস্থ আলেকজান্দ্রেয়ার নিজস্ব নতুন ক্যাম্পাসে অরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে বরণ করে নেয়া হয় উইন্টার কোয়ার্টার শুরু করতে যাওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের। শিক্ষা জীবনের নতুন পাঠ শুরু করতে যাওয়া এসব ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতিসহ নানা বিষয়ে পরামর্শ রাখেন শিক্ষকগণ। বিশ্বের ১২০'টি দেশের ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (ডব্লিউইউএসটি)। ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু থেকে যাওয়া উইন্টার কোয়ার্টারে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এবার ভর্তি হয়েছে আড়াইশোর মত শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরুর আগে তাদের সাথে পরিচয় পর্ব এবং সার্বিক বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্যই করা হয় এই অরিয়েন্টেশনের আয়োজন। নতুন ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে হওয়া যে আয়োজনে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন ৭০জন শিক্ষার্থী। বাকিরা যুক্ত হয়েছিলেন অনলাইনের মাধ্যমে। শুরুতে সকলে স্বাগতম জানান, ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়েদেন ছাত্রছাত্রীদের সাথে।নতুনদের উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট ড. কারাবার্ক বলেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুধু ডিগ্রী অর্জনই নয়, জীবন ও ক্যারিয়ার গঠনে অনেক কিছু নেয়ার আছে এখান থেকে। ছাত্রছাত্রীদের ক্যারিয়ার গঠনে ডব্লিউইউএসটি বদ্ধ পরিকর। শিক্ষক থেকে কর্মকর্তা সকলে প্রস্তুত তাদের অভিজ্ঞতা বিলিয়ে দেয়ার জন্য, ছাত্রছাত্রীদের এগিয়ে আসতে হবে আগ্রহ থাকবে হবে তা গ্রহনের জন্য। তিনি আরও বলেন, অনেক দেশের অনেক সংস্কৃতির মেলবন্ধন এই বিশ্ববিদ্যালয়। একেক দেশের সহপাঠীদের কাছ থেকে যেমন অনেক কিছু নেয়ার আছে শেখার আছে আবার অন্য কারোর অনুভূতিতে যেন আঘাত না লাগে সেই বিষয়েও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন ড. কারাবার্ক। সকলকে নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির ব্যাপারো ফোকাস থাকতে বলেন তিনি। ডব্লিউইউএসটির প্রধান অর্থকর্মকতা ফারহানা হানিপ বলেন, নতুন বছরের শুরুতে নতুন পরিবেশে এতো গুলো নতুন মুখ দেখে তিনি আনন্দিত। তিনি বলেন, 'তোমাদের স্বপ্ন পূরণে যত ইচ্ছে শিখে নাও, যত পারো নিজেকে এগিয়ে নাও, সফলতার দারুণ সব স্মৃতি জমা করো। তবে তোমরা কে কোথা থেকে এসেছো সেটি ভুলে যেও না, নিজের দেশকে ভালোবাসো, দেশকে বুকের মাঝে সবসময় ধারণ করবে। তাহলে তোমার জাতিকে তুমি গর্বিত করতে পারবে।' স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের মানতে হয় বেশ কিছু নিয়ম কানন। জানতে হয় কি কি করা যাবে আর কি করা যাবে না। ডব্লিউইউএসটির অ্যাডমিশন ম্যানেজার কিম্বার্লী সিম্পসন সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেণ নতুন শিক্ষার্থীর সামনে।ডব্লিউইউএসটির লক্ষ্য, স্টুডেন্টদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবনা, কি কি সুযোগ সুবিধা রয়েছে যে সকল তথ্য উপস্থাপন করেন ডব্লিউইউএসটির স্কুল অব বিজনেস এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক এল রবিনসন। জানান, ভালো ফলাফলের উপর ডব্লিউইউএসটি স্কলারশীপ দিয়ে থাকে প্রতি কোয়ার্টারে। সেই স্কলারশীপের নানা ধাপ ও তা পাবার জন্য করনীয় সর্ম্পকে বিস্তারিত তুলে ধরেন ড. মার্ক। শিক্ষার্থীদের সামনে ক্লাসের অংশ গ্রহন, অ্যাসাইনমেন্ট সাবমিশন, ডিসকাশন, প্রেজেন্টেশন, পরীক্ষার মান বন্টনের বিষয়গুলো সর্ম্পকে ধারণা দেন স্কুল অব আইটির ডিরেক্টর অ্যাপোসটোলস ইলিওপোলাস পল।আর শিক্ষার্থীরা কোন কোন প্লাটফর্ম আর টুলস ব্যবহার করে তাদের ক্লাস ও অ্যাসাইনমেন্ট গুলো করবে সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন  স্টুডেন্ট সাকসেস ও ক্যারিয়ার সার্ভিস ম্যানেজার রিচেল রোজ। জানান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে পাশে থাকবে।  এই আয়োজনে আরও বক্তব্য রাখেন, অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর অব জেনারেল অ্যাডুকেশন ড. হোয়ান লি, মার্কেটিং ডিরেক্টর হোসে ওর্তেগা,  আইটি ম্যানেজার কাজী বারী, স্টুডেন্ট গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সেলিন ইয়েগিত।ওরিয়েন্টেশন শেষে নতুন স্টুডেন্টদের সাথে গ্রুপ ফটোসেশন অংশ নেন প্রেসিডেন্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তা। আর মধ্যান্হ ভোজের মধ্য দিয়ে শেষ হয় উন্টার ওরিয়েন্টেশন। খাবার গ্রহনের সময় নতুন সহপাঠীরা একে অপরের সাথে পরিচয় পর্ব সেড়ে গল্পে মেতে উঠেন একেকজন।২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২১ সাল থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকানের হাতে পরিচালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যবসায়িক প্রশাসনের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সে বর্তমানে বিশ্বের ১২১ দেশের সতেরশো শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।

post
শিক্ষা

দুবাইয়ে 'আউটস্ট্যান্ডিং এডুকেটর অব দ্যা ইয়ার' অ্যাওয়ার্ড পেলেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ

'আউটস্ট্যান্ডিং এডুকেটর অব দ্যা ইয়ার' সম্মানে ভূষিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। ২২-২৪ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে হওয়া দু'দিন ব্যাপী গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্সে তাকে এই বিশেষ সম্মাণনা অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশী প্রবাসীদের সবচেয়ে বৃহৎ সংগঠন এনআরবি ওয়ার্ল্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ম্যাগাজিন বিজনেস আমেরিকা যৌথভাবে দুবাইয়ের বিখ্যাত হোটেল মিলেনিয়াম প্লাজা ডাউনে আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠান। যেখানে অংশ নিয়েছিলেন ২৫টি দেশের প্রায় ৫০০ বিশ্বখ্যাত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, তাদের কর্ণধার ও প্রফেশনালসগণ। দু'দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে বৈধে পথে রেমিট্যান্সের প্রেরণ, উদ্ভাবন, ব্র্যান্ডিং, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন ও সরকারের ২০৪১ সালের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, বাংলাদেশের শিক্ষা খাত, তথ্যপ্রযুক্তি ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে হয়েছে একাধিক মতবিনিময় সভা। তার মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব ছিলো 'স্কিল ডেভেলপমেন্ট'র উপর কনফারেন্সটিতে। যেখানে ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন এবং গতিশীল পেশাদার মাইলফলক এর সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। কনফারেন্সে কি-নোট স্পিকার হিসেবে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন ডব্লিউইউএসটির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। তিনি বলেন, বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত শুধু ডিগ্রীর উপর মূল ফোকাস করা হয়ে থাকে।  এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে শিক্ষার্থীরা যখন চাকরির বাজারে প্রবেশ করে তখন পড়ে বিপাকে। কারণ জব ইন্ড্রাস্টিতে খোঁজা হয় স্কিলড পার্সন। বিশেষ কোন স্কিল না থাকা শিক্ষার্থীরা তখন পরে কঠিন বাস্তবতার মুখে।  আবুবকর হানিপ বলেন, বিশ্বের যে কোন প্রান্তে বর্তমান চাকরির বাজারে শীক্ষার পাশাপাশি স্কিলের কোন বিকল্প নেই। যেই বিষয়টিকে তিনি শুরু থেকে যথাযথভাবে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন তার পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় ডব্লিউইউএসটিতে। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, তার বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়ে আসছে ট্রিপল মিশনকে সামনে রেখে। যা হলো ডিগ্রী, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও শিক্ষার্থীদের চাকরি পেতে সহায়তা প্রদান করা।   শিক্ষার্থীরা মেধার পাশাপাশি যে অর্থ ব্যায় করছে সেই রিটোনাল ইনভেস্টমেন্ট যেন নিশ্চিত হয় সেই দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয় ডব্লিউইউএসটিতে। আর এই মডেলটি যে শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠেছে তার কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি, হার্ভাড ইউনিভার্সিটি, কলম্বিয়া ইউনির্ভাসিটি, জর্জ মেশন এবং জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির মত বিশ্বখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ে আসা স্টুডেন্টরা এখন পড়াশোনা করছে ডব্লিউইউএসটিতে। আবুবকর হানিপ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এই স্কিল বেসড মডেল অনুসরণ করার পরামর্শ রাখেন তার কি-নোট স্পীচে। শিক্ষার্থী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এই মডেল অসাধারণ এক সমাধান হয়ে দাঁড়াবে বলে জানান, এই শিক্ষাবীদ।এর সাথে তিনি আরও যোগ করেন, যথেষ্ট পরিমাণ স্কিলড জনবল নেই বলে এইচওয়ানবি ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর বাইরে থেকে ৮৫ হাজার মানুষ নিয়ে আসে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হাজার হাজার নাগরিক ও গ্রিনকার্ড হোল্ডার রয়েছেন যারা কিনা একটি এ্যান্ট্রি লেবেল জবের জন্য বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা যদি শুরুতে এই স্কিলড বেসড মডেলের আওতায় শিক্ষা সেবা পেতো তাহলে দৃশ্যপট অন্যরকম হতে পারতো। ইঞ্জিনিয়ার হানিপ বাংলাদেশের ভার্সিটিসমূহেও এমন ব্যবস্থা চালুর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, 'প্রয়োজনে আমার ইউনিভার্সিটি সর্বাত্মক সহায়তা দেবে।' এই স্কিলড ডেভোলপমেন্ট গ্লোবাল কনফারেন্সে ডিজিটাল ইন্টেলের প্রতিষ্ঠাতা লিটন বাউলের নেতৃত্বে একটি প্যানেলও ছিলো। প্যানেলিস্টদের মধ্যে ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান সবুর খান; বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এলএন.এম.কে. বাশার, ডব্লিউইউএসটির সিএফও এবং পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ, এইচবিডি গ্রুপ পিটিই লিমিটেড চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আবু শাহাদাত সরকার, ডিজিটাল এন্ট্রাপ্র্রেনার হাবের সিইও হেমি হোসেন, ইনারওয়েস্ট প্রপার্টি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাহিন আবেদীন, স্টাডি পিটিই লিমিটেডের ফাউন্ডার অ্যান্ড ডিরেক্টর মো: মাসুদুর রহমান,এবং ইএসআই গ্লোবাল সার্ভিস পিটিই লিমিটেডের কর্ণধার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ কাজী আব্দুল কাদের।গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সহবিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশী উদ্যোক্তা ব্যাবসায়ীদের সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রায় শতাধিক প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্বকে ‘ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ প্রদান করা হয়। সেখানে প্রথম বাংলাদেশী-আমেরিকান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে একটি পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সফলতার সাথে পরিচালিত করার জন্য 'আউটস্ট্যান্ডিং এডুকেটর অব দ্যা ইয়ার' সম্মানে ভূষিত করা হয়। অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন গ্লোবাল কনফারেন্সের সম্মানিত অতিথীগণ। এসময় তার সাথে এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহন করেন ডব্লিউইউএসটির সিএফও ও পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২১ সাল থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকানের হাতে পরিচালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যবসায়িক প্রশাসনের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সে বর্তমানে বিশ্বের ১২১ দেশের সতেরশো শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।আসছে বছরের প্রথম দিন থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সকল কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়ার অত্যাধুনিক নতুন ক্যাম্পাসে।

post
ক্যাম্পাস লাইফ

নতুন ক্যাম্পাসে গেট টুগেদার করলো ডব্লিউইউএসটির নবগঠিত 'ব্রাজিলিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন'

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির নতুন ক্যাম্পাসে গেট টুগেদার ও মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠান করলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নব গঠিত ব্রাজিলিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। ডব্লিউইউএসটির অ্যালেকজান্দ্রিয়ার নতুন ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়ায় হওয়া এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেডিসেন্ট ড. হাসান কারাবার্কসহ বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির প্রফেসরগণ। নতুন এই ক্যাম্পাসে ব্রাজিলিয়ান শিক্ষার্থীদের নতুন এই সংগঠনকে স্বাগতম জানান প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক ও সিএফও ফারহানা হানিপ।এছাড়া শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক নানা পরামর্শ রেখে শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান, স্কুল অব বিজনেসের পরিচালক ড. মার্ক এল রবিনসন, স্কুল অব আইটির ডিরেক্টর অ্যাপোসটোলস ইলিওপোলাস পল, অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর অব জেনারেল অ্যাডুকেশন ড. হোয়ান লি, মার্কেটিং ডিরেক্টর হোসে উর্তেগা এবং স্টুডেন্ট সাকসেস ও ক্যারিয়ার সার্ভিস ম্যানেজার রিচেল রোজ। করোনা মহামারির পরিবর্তী সতর্কতা  অনুযায়ী বিগত দু'বছর ডব্লিউইউএসটির ক্লাস হয়েছে অনলাাইন ও ইনপার্সন মিলিয়ে হাইব্রিড উপায়ে।  ফলে এই গেট টুগেদার উপলক্ষ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকেরই সরাসরি দেখা হয়েছে প্রথমবার।  তাও আবার সুবিশাল অত্যাধুনিক নতুন ক্যাম্পাসে। এমন পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে স্বদেশী সবাইকে এক সাথে পেয়ে ব্রাজিলিয়ান শিক্ষার্থীদের উচ্ছাস ছিলো চোখে পড়ার মত। এরপর শুরু গল্প আর মধ্যান্হ ভোজ পর্ব। আর এর মাঝে চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের উপস্থিতিতে আয়োজন পায় বাড়তি মাত্রা। শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন চ্যান্সেলরের সাথে কুশল বিনিময় আর ছবি তোলাতে। আয়োাজনে ছিলো সারপ্রাইজ বার্থডে উইশ। কেক কেটে ডব্লিউইউএসটির ব্রাজিলিয়ান শিক্ষার্থী জুবানার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান সকলে মিলে। আমন্ত্রিত শিক্ষার্থীরা ডব্লিউইউএসটির চ্যন্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেডিসেন্ট ড. হাসান কারাবার্ককে উচ্ছাসের সাথে ধন্যবাদ জানান এমন সুন্দর নতুন ক্যাম্পাসে তাদের শিক্ষাসহ নতুন কার্যক্রমের জন্য। আসছে বছরের প্রথম দিন থেকে ভার্জিনিয়ার আলেকজেন্দ্রিয়ার নতুন ক্যাম্পাসে শুরু হতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সকল কার্যক্রম। নতুন ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর আগে জন্য চলছে শেষ মুহূর্তের নানা রকম প্রস্তুতি।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.