নতুন ক্যাম্পাসে নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিলো ডব্লিউইউএসটি
নতুন ক্যাম্পাসে নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিলো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি)। ৩ জানুয়ারী বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াস্থ আলেকজান্দ্রেয়ার নিজস্ব নতুন ক্যাম্পাসে অরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে বরণ করে নেয়া হয় উইন্টার কোয়ার্টার শুরু করতে যাওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের। শিক্ষা জীবনের নতুন পাঠ শুরু করতে যাওয়া এসব ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতিসহ নানা বিষয়ে পরামর্শ রাখেন শিক্ষকগণ। বিশ্বের ১২০'টি দেশের ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (ডব্লিউইউএসটি)। ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু থেকে যাওয়া উইন্টার কোয়ার্টারে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এবার ভর্তি হয়েছে আড়াইশোর মত শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরুর আগে তাদের সাথে পরিচয় পর্ব এবং সার্বিক বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্যই করা হয় এই অরিয়েন্টেশনের আয়োজন। নতুন ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে হওয়া যে আয়োজনে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন ৭০জন শিক্ষার্থী। বাকিরা যুক্ত হয়েছিলেন অনলাইনের মাধ্যমে। শুরুতে সকলে স্বাগতম জানান, ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়েদেন ছাত্রছাত্রীদের সাথে।নতুনদের উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট ড. কারাবার্ক বলেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুধু ডিগ্রী অর্জনই নয়, জীবন ও ক্যারিয়ার গঠনে অনেক কিছু নেয়ার আছে এখান থেকে। ছাত্রছাত্রীদের ক্যারিয়ার গঠনে ডব্লিউইউএসটি বদ্ধ পরিকর। শিক্ষক থেকে কর্মকর্তা সকলে প্রস্তুত তাদের অভিজ্ঞতা বিলিয়ে দেয়ার জন্য, ছাত্রছাত্রীদের এগিয়ে আসতে হবে আগ্রহ থাকবে হবে তা গ্রহনের জন্য। তিনি আরও বলেন, অনেক দেশের অনেক সংস্কৃতির মেলবন্ধন এই বিশ্ববিদ্যালয়। একেক দেশের সহপাঠীদের কাছ থেকে যেমন অনেক কিছু নেয়ার আছে শেখার আছে আবার অন্য কারোর অনুভূতিতে যেন আঘাত না লাগে সেই বিষয়েও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন ড. কারাবার্ক। সকলকে নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির ব্যাপারো ফোকাস থাকতে বলেন তিনি। ডব্লিউইউএসটির প্রধান অর্থকর্মকতা ফারহানা হানিপ বলেন, নতুন বছরের শুরুতে নতুন পরিবেশে এতো গুলো নতুন মুখ দেখে তিনি আনন্দিত। তিনি বলেন, 'তোমাদের স্বপ্ন পূরণে যত ইচ্ছে শিখে নাও, যত পারো নিজেকে এগিয়ে নাও, সফলতার দারুণ সব স্মৃতি জমা করো। তবে তোমরা কে কোথা থেকে এসেছো সেটি ভুলে যেও না, নিজের দেশকে ভালোবাসো, দেশকে বুকের মাঝে সবসময় ধারণ করবে। তাহলে তোমার জাতিকে তুমি গর্বিত করতে পারবে।' স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের মানতে হয় বেশ কিছু নিয়ম কানন। জানতে হয় কি কি করা যাবে আর কি করা যাবে না। ডব্লিউইউএসটির অ্যাডমিশন ম্যানেজার কিম্বার্লী সিম্পসন সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেণ নতুন শিক্ষার্থীর সামনে।ডব্লিউইউএসটির লক্ষ্য, স্টুডেন্টদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবনা, কি কি সুযোগ সুবিধা রয়েছে যে সকল তথ্য উপস্থাপন করেন ডব্লিউইউএসটির স্কুল অব বিজনেস এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক এল রবিনসন। জানান, ভালো ফলাফলের উপর ডব্লিউইউএসটি স্কলারশীপ দিয়ে থাকে প্রতি কোয়ার্টারে। সেই স্কলারশীপের নানা ধাপ ও তা পাবার জন্য করনীয় সর্ম্পকে বিস্তারিত তুলে ধরেন ড. মার্ক। শিক্ষার্থীদের সামনে ক্লাসের অংশ গ্রহন, অ্যাসাইনমেন্ট সাবমিশন, ডিসকাশন, প্রেজেন্টেশন, পরীক্ষার মান বন্টনের বিষয়গুলো সর্ম্পকে ধারণা দেন স্কুল অব আইটির ডিরেক্টর অ্যাপোসটোলস ইলিওপোলাস পল।আর শিক্ষার্থীরা কোন কোন প্লাটফর্ম আর টুলস ব্যবহার করে তাদের ক্লাস ও অ্যাসাইনমেন্ট গুলো করবে সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন স্টুডেন্ট সাকসেস ও ক্যারিয়ার সার্ভিস ম্যানেজার রিচেল রোজ। জানান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে পাশে থাকবে। এই আয়োজনে আরও বক্তব্য রাখেন, অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর অব জেনারেল অ্যাডুকেশন ড. হোয়ান লি, মার্কেটিং ডিরেক্টর হোসে ওর্তেগা, আইটি ম্যানেজার কাজী বারী, স্টুডেন্ট গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সেলিন ইয়েগিত।ওরিয়েন্টেশন শেষে নতুন স্টুডেন্টদের সাথে গ্রুপ ফটোসেশন অংশ নেন প্রেসিডেন্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তা। আর মধ্যান্হ ভোজের মধ্য দিয়ে শেষ হয় উন্টার ওরিয়েন্টেশন। খাবার গ্রহনের সময় নতুন সহপাঠীরা একে অপরের সাথে পরিচয় পর্ব সেড়ে গল্পে মেতে উঠেন একেকজন।২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২১ সাল থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকানের হাতে পরিচালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যবসায়িক প্রশাসনের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সে বর্তমানে বিশ্বের ১২১ দেশের সতেরশো শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।