post
শিক্ষা

বর্ণিল আয়োজনে সম্পন্ন ডব্লিউইউএসটির সমাবর্তন ২০২৩, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের শুভেচ্ছা

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের একটি শুভেচ্ছাপত্র পেলেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি'র গ্রাজুয়েটেড শিক্ষার্থীরা। শনিবার ১৭ জুন ছিলো এই গ্রাজুয়েশন সেরিমনি। ক্লাস অব টোয়েন্টি টোয়েন্টিথ্রি। গাউন ও হ্যাট পরে শিক্ষার্থীরা গ্রাজুয়েশন প্যারেডে অংশ নেন। আর গ্রহণ করেন গ্রাজুয়েশন সনদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন এই সমাবর্তন।এক আলোঝলমল বিকেলে ভার্জিনিয়ার জর্জ সি মার্শাল হাইস্কুল প্রাঙ্গণটি ভরে উছেছিলো কালো ও কমলার গাউন পরা নব্য গ্রাজুয়েটদের আনাগোনায়। আর অভ্যাগত অতিথিরা পরে ছিলেন কালোর সঙ্গে আর হরেক রঙ মিশিয়ে- কোনোটি নীল, কোনটি মেজেন্টা কিংবা লাল। সব মিলিয়ে এক বর্ণিল গ্রাজুয়েশন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তা বহন করে এনেছিলেন তারই সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বব জে ন্যাশ। চিঠিতে সাবেক ইউএস প্রেসিডেন্ট ডব্লিউইউএসটির কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। ডব্লিউইউএসটি যেভাবে শিক্ষার সেবা দিয়ে যাচ্ছে এই সেবা যেন অব্যাহত থাকে তার আহ্বান জানান। আর গ্রাজুয়েটড শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "পরিবর্তনশীল পৃথিবীটাকে সঠিক পথ ধরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখন আপনাদের।" সমার্তন শুরু হয় দুপুর ২টায়। তখন গাউনধারী শিক্ষার্থীরা গ্রাজুয়েশন প্যারেড করে নির্ধারিত নিজ নিজ আসনে বসেন। ওদিকে আগে থেকেই মঞ্চ ততক্ষণে ঝলমল গুরুত্বপূর্ণ সকল উপস্থিতিতে। তাদের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ, শিক্ষকরাও। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব। এরপর মঞ্চে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ। তুলে ধরেন তার জীবনের গল্প। সাফল্যের পথটি যে নয় মসৃণ। সেখানে কত থাকে উত্থান-পতনের গল্প তা তুলে ধরেন। আনুষ্ঠানিক সমার্বতন বক্তৃতায় তিনি গ্রাজুয়েটেড শিক্ষার্থীদের উদ্যেশ্যে বলেন, জীবনের প্রকৃত যুদ্ধ এখান থেকেই শুরু, একটা দৃঢ়চেতা মন নিয়ে অব্যহত চেষ্টাই পারবে জীবনের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে। সমাবর্তনে প্রধান অতিথি ও কি-নোট স্পিকার ছিলেন সাবেক ইউএস রিপ্রেজেন্টেটিভ জিম মোরান। তার উপদেশমূলক বক্তব্য মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শোনেন শিক্ষার্থী তথা অভ্যাগত অতিথিরা। নিয়মিত শারিরিক ব্যায়াম করা, প্রতিদিন নতুন কিছু শেখা, এবং নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ রাখেন তিনি। গেস্ট স্পিকার ছিলেন ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্সের স্টেট সিনেটর চ্যাপ পিটারসেন। মাস্টার্স সম্পন্ন করা গ্রাডুয়েটদের তাদের শিক্ষার আলো নানা ভাবে সর্বত্র ছড়িয়ে দেবার আহবান জানান। তিনি বলেন, ডাইভারসিটিই যুক্তরাষ্ট্রের সেরা সৌন্দর্য। একজন প্রথম বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে আবুবকর হানিপ এখানে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছেন যা আমাদের গৌরবান্বিত করে, বলেন চ্যাপ পিটারসেন। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির গ্রাজুয়েটদের এবং কর্তৃপক্ষকে শুভেচ্ছা জানান ইউএস সেনেট মেজোরিটি লিডার চ্যাক শুমার। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সকল সেক্টেরেই রয়েছে শিক্ষার্থীদের সুযোগ, এই সুযোগকে কাজে লাগাতে এগিয়ে যেতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেটা পারবে বলে আশা ব্যক্ত করেন সেনেটর চাক শুমার। ভিডিও বার্তা পাঠান কংগ্রেস ম্যান গ্যারি কন্নলী ও কনগ্রেস উইম্যান গ্রেস মেং। অনুষ্ঠানে অভ্যাগত অতিথি হয়ে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে স্বীয় ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত অন্য আরও অনেক বাংলাদেশি-আমেরিকান। যারা এই গ্রাজুয়েশন-কনভোকেশনে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি-আমেরিকান জর্জিয়ার ডেমোক্র্যাট স্টেট সেনেটর শেখ রহমান তুলে ধরেন তার জীবনে গল্প। একটি বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি তার জীবনটাকে কিভাবে বদলে দিয়েছে তা তুলে ধরেন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে। টেম্পল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে তুলে আনেন কতগুলো ডিগ্রি তাকে নিতে হয়েছে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে, নেতৃত্বের দিকে এগিয়ে নিতে। আইটি বিশেষজ্ঞ ও আইটি উদ্যোক্তা ড. ফয়সাল কাদির নব্য গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন পরবর্তী করণীয় দিকগুলো। প্রকৌশল উদ্যোক্তা ও ফিলানথ্রপিস্ট, মোলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি সৈয়দ জাকি হোসেন বলেন, অসীম সম্ভাবনা দেশ এই যুক্তরাষ্ট্র। শিক্ষার্থীদের সামনে রয়েছে অপার সুযোগ। বক্তব্য রাখেন ডব্লিউইউএসটির উপদেষ্টা মো: মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা মো: সিদ্দীক শেখ। বিশ্ববিদ্য্যলয়ের সিএফও ডব্লিউইউএসটির সিএফও ফারহানা হানিপ শিক্ষাউদ্যোগে তার পারিবারিক ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে বলেন, ওয়াশিংটন ইউনিভর্সিট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবারকেই খুঁজে পাবে এই ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্কুল অব বিজনেসের কেলি ডি আলসেন্টারা এবং ইনফরমেশন টেকনোলজিতে মাস্টার্স সম্পন্ন করে সনদপ্রাপ্ত অফুনি এডা আগাডা। তারা তাদের এগিয়ে যাওয়ার উদ্দীপনার কথা তুলে ধরেন। যা তারা পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টিদের কাছ থেকে। পরে একে একে শিক্ষার্থীদের মাঝে তাদের গ্রাজুয়েশন ডিগ্রির সনদ তুলে দেওয়া হয়। প্রথমেই মঞ্চে আসে স্কুল অব আইটির গ্রাজুয়েটরা। এই স্কুলের পরিচালক অধ্যাপক ড. পল এপোস্টোলস আগাসপোলস শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন। আর স্কুল অব বিজনেসের গ্রাজুয়েটদের সনদ দেন এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক রবিনসন। শিক্ষার্থীরা সনদ নিয়ে ছবি তোলার সুযোগ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবুবহর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কের সঙ্গে।পরে সনদ হাতে শিক্ষার্থীরা নিজ আসনে বসলে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রিপ্রাপ্ত হিসেবে ঘোষণা করেন ড. হাসান কারাবার্ক। শিক্ষার্থীরা তাদের গ্রাজুয়েশন হ্যাটে ট্যাসলটি ডান দিক থেকে বাম দিকে সরিয়ে দিয়ে গ্রাজুয়েশন রিচুয়াল শেষ করে। আর এর পরপরই সেই অনন্য দৃশ্য। শিক্ষার্থীরা তাদের হ্যাট খুলে ছুঁড়ে মারে উপরে আর মেতে ওঠে আনন্দ উদযাপনে। যা শেষ হয় ফটো সেশনের মধ্য দিয়ে। সনদ বিতরণ শেষে অভ্যাগত অতিথিরা যোগ দেন কনভোকেশন ডিনারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. জাফর পিরিম, ড. শ্যান চো, অ্যাসোসিয়েট ডাইরেক্টর ড. হুয়ান লি ছাড়াও শিক্ষকদের অনেকেই অংশ নেন এই কনভোকেশনে। মাস্টার অব দ্য সেরিমনি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা র্যাচেল রোজ। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২১ সাল থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সফল বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ইঞ্জি. আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বাংলাদেশি আমেরিকানের হাতে পরিচালিত প্রথম কোনো পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও এমবিএ- বিবিএ কোর্সে বর্তমানে প্রায় ১৫'শো শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। যার মধ্যে বাংলাদেশী শিক্ষার্থী রয়েছে ৬শর মত। বিশ্বের ১২১ দেশের শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে অধ্যয়নরত রয়েছেন।

post
শিক্ষা

দ্বিতীয় মেয়াদে ইউজিসির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় ড. সাজ্জাদকে পিপলএনটেকের শুভেচ্ছা

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পাওয়ায় অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির কর্মকর্তারা।৬ জুন (মঙ্গলবার) দুপুর ১টায় রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কার্যালয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসাইন খান লিওন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির চীফ অপারেটিং অফিসার আব্দুল হামিদ, সহকারী ব্যবস্থাপক (অপারেশন) শেখ আহমেদ প্রমুখ। এরআগে, দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য নির্বাচিত হন ড. সাজ্জাদ হোসেন। সোমবার (৫ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১ শাখার উপসচিব ড. মো: ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আদেশ, ১৯৭৩ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর-১০/৭৩)-এর সংশোধিত আইন, ১৯৯৮-এর ২ (বি) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে চার বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।উল্লেখ্য, এর আগে অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইটি প্রতিষ্ঠান ‘পিপল এন টেক’ এর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ছিলেন ।প্রযুক্তিবিদ ড. সাজ্জাদ হোসেন ১৯৬৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন নিজ জেলা চট্টগ্রামে। পড়াশুনা করেছেন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ এবং এর পর চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে রাশিয়ার বিখ্যাত মস্কো টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর লেখা ‘প্রোগ্রামিং ইন সি’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে।

post
শিক্ষা

শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রির সাথে কর্মক্ষেত্রের সামঞ্জস্য থাকা উচিত: ইউজিসি

দেশের সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের অর্জিত পিএইচডি ডিগ্রি তাঁদের শিক্ষাদান বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত বলে মনে করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।‘শিক্ষক কর্তৃক পিএইচডি অভিসন্দর্ভ ও শিক্ষাদান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সামঞ্জস্য নিরূপণ’ শীর্ষক একাডেমিক সেমিনারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।বিভিন্ন সরকারি স্কুল ও কলেজের ১১ জন শিক্ষকের পিএইচডি অভিসন্দর্ভ মূল্যায়নপূর্বক শিক্ষাদান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সাথে অর্জিত ডিগ্রির সামঞ্জস্য নিরূপণে মঙ্গলবার ইউজিসি এই একাডেমিক সেমিনারের আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবদুর রশিদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুল আলম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আব্দুল হালিম, প্রফেসর ড. রুবিনা খান ও প্রফেসর ড. আখতার হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জালাল আহাম্মদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. বশির আহমেদ, প্রফেসর ড. আলমগীর কবির ও প্রফেসর ড. সৈয়দ হাফিজুর রহমান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আশরাফুল আলম এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মিল্টন বিশ্বাস অংশগ্রহণ করেন। ইউজিসি’র গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দেশে গুণগত শিক্ষা ও গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ইউজিসি কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন তাদের কর্মক্ষেত্রের সাথে সামঞ্জস্য কিনা সেটি যৌক্তিকতা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা হয়। আর্থিক বিষয় যুক্ত হওয়ায় এক্ষত্রে স্বচ্চতা নিশ্চিত করা দরকার।তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের কোন বিকল্প নেই। গবেষণা ও উদ্ভাবন দরকার দেশের প্রয়োজনের নিরিখে। শিক্ষকদের অর্জিত পিএইচডি ডিগ্রি জাতির কোন কল্যাণে আসছে কিনা সেটি দেখতে হবে। ইউজিসি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রির সামঞ্জস্য নিরূপণ সুচিন্তিতভাবে করা হবে বলে তিনি জানান।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রত্যেক গবেষকের একাডেমিক প্রোফাইল ও গবেষণার তথ্য ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রকাশ করার প্রয়োজন। ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশন বৃদ্ধির জন্য গবেষকদের উৎসাহ প্রদান করা জরুরি। এছাড়া, দেশি ও বিদেশী প্রতিষ্ঠানসমূহ গবেষণার তথ্য ব্যবহার করে বাংলাদেশে যেন বিনিয়োগে আকৃষ্ট হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।তিনি আরও বলেন, দেশে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা ও গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ইউজিসি কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বৈদেশিক স্কলারশিপের জন্য প্রথম পর্যায়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এছাড়া, গবেষণায় এ বছর বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে যার পরিমান ১৭৪ কোটি টাকা।ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ- এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

post
শিক্ষা

দ্বিতীয় মেয়াদে ইউজিসির পূর্ণকালীন সদস্য হলেন ড. সাজ্জাদ হোসেন

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন। সোমবার (৫ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১ শাখার উপসচিব ড. মো: ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আদেশ, ১৯৭৩ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর-১০/৭৩)-এর সংশোধিত আইন, ১৯৯৮-এর ২ (বি) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে চার বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইটি প্রতিষ্ঠান ‘পিপল এন টেক’ এর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ছিলেন । প্রযুক্তিবিদ ড. সাজ্জাদ হোসেন ১৯৬৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন নিজ জেলা চট্টগ্রামে। পড়াশুনা করেছেন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ এবং এর পর চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে রাশিয়ার বিখ্যাত মস্কো টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর লেখা ‘প্রোগ্রামিং ইন সি’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে।

post
শিক্ষা

বাংলাদেশে কাল থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা

আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের এসএসসি (মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট) ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছর সব বিষয়েই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা দেবে শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলবে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত।প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সৃজনশীল ও নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন থাকবে আগের মতোই। গত ২০ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করে।

post
শিক্ষা

চ্যাটজিপিটি মানুষের বিকল্প নাকি সহায়ক, কি থাকছে চ্যাটজিপিটিতে

চ্যাট জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার সংক্ষেপে যাকে বলে চ্যাটজিপিটি। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। প্রযুক্তির নতুন বিস্ময়। এই চ্যাটজিপিটির কারণে সবাই নড়েচড়ে বসেছে। নতুন করা ভাবতে হচ্ছে অনেক কিছু।চ্যাটজিপিটি হলো একটি শক্তিশালী মেশিন লার্নিং মডেল অর্থাৎ। ওপেন এআই নামের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এটি তৈরি করেছে। চ্যাটজিপিটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো মানুষের মতো লেখা বা টেক্সট তৈরি করার ক্ষমতা। এর মানে হলো, কোনে একটি বিষয়ে একজন মানুষ যেমন প্রত্যুত্তর দিতে পারে, চ্যাটজিপিটি সে রকমই জবাব লিখে জানাতে পারে। ২০১৫ সালে ইলন মাস্ক ও স্যাম অল্টম্যান শুরু করেছিলেন এই চ্যাটবট তৈরি করার কাজ। কিন্তু ২০১৮ সালে ইলন মাস তার স্পেসসেক্স এবং টেসলায় বেশি সময় দেবার জন্য ওপেন এ আই এর কাজ থেকে সরে আসে। ওপেন এ আই এর কাজে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও বিনিয়োগকারী এবং পরামর্শ কার হিসেবে রয়ে যায় কোম্পানিটির সাথে। ২০২০ সালের শেষের দিকে এআইটি স্বরূপে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। গত বছরের ২০২২ নভেম্বরে এটি চালু করা হয়। চ্যাটজিপিটি যে কোনো প্রশ্নের উত্তর গুগলের চেয়ে ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। সেদিক থেকে বলা যায়, গুগলের ঘুম কেড়ে নিয়েছে এই এআইটি। নতুন এ প্রবর্তন চ্যাট জিপিটি যা মানুষের ভেতরে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। উন্মোচনের দুই মাসের মধ্যেই গ্রাহক অ্যাপ্লিকেশনের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে ব্যবহারকারী বৃদ্ধির রেকর্ড করেছে চ্যাটজিপিটি। জানুয়ারি মাসের মধ্যে এটি ১০ কোটি গ্রাহকের মাইলফলকে পৌঁছিয়েছে। ১লা জানুয়ারি বুধবার বিশ্লেষক সংস্থা ‘ইউবিএস’-এর এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারিতেই ১০ কোটি মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর মাইলফলক ছুঁয়েছে জনপ্রিয় এই চ্যাটবট। যে মাইলফলক ছুঁতে ইনস্টাগ্রামের লেগেছিল আড়াই বছর। আর টিকটকের লেগেছিল নয় মাস। জানুয়ারিতে দৈনিক প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ ব্যবহারকারী চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছেন, যা ডিসেম্বরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। এতে বিস্ময় প্রকাশ করে ইউবিএস বিশ্লেষকরা বলেছেন, ‘ইন্টারনেটের গত ২০ বছরের ইতিহাসে আমরা কোনো গ্রাহক ইন্টারনেট অ্যাপকে এতটা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে দেখিনি।’ চ্যাটজিপিটির রয়েছে আকর্ষণীয় কিছু ফিচার। চ্যাটজিপিট প্রযুক্তি নতুন এমন এক আবিস্কার কেউ যদি ভুল ইনফরমেশন দিলেও আপনাকে সঠিক করে দিতে পারে। এমনকি প্রগরামিংয়ের যে কোন কোড ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে লিখে দিতে পারে। রচনা লেখা থেকে শুরু করে গানের লিরিক্স লেখা, গল্প লেখা, গবেষণা পত্র এমনকি কবিতা লিখতেও নির্দেশ দেওয়া যাবে এই চ্যাটবটকে। চ্যাট জিপিটির প্রবর্তনে মানুষ অবাক বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে কি ঘটতে যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে, কতটা সহজ হয়ে যাচ্ছে সব কিছু। এই ফলে কর্মজগতে মানুষের অবস্থান কোথায় গিয়ে দাড়াবে। মানুষের স্থলে কিছুদিন পর কি এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই বাজার দখল করে নিবে কিনা সেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে মানুষের মনে।

post
শিক্ষা

বিদেশি শিক্ষার্থীদের সুবিধা কমানোর পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের

বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আবারও নিয়ম পরিবর্তন করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে যান তারা পড়াশোনা শেষে দেশটিতে চাকরি খোঁজার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পান। তাদের দেওয়া হয় নতুন ভিসা। এ ভিসার মাধ্যমে ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের ২ বছর এবং পিএইচডি করতে আসা শিক্ষার্থীদের ৩ বছরের সময় দেওয়া হয়।তবে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান এই সময়টি কমিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। আর এ নিয়ে এখন দেশটির শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে সুয়েলার কিছুটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস বুধবার (২৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। দ্য টাইমস জানিয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান প্রস্তাব দিয়েছেন, পড়াশোনা শেষে যারা যুক্তরাজ্যে থাকতে চান তাদের দক্ষতাসম্পন্ন চাকরি খুঁজে নিতে হবে। আর নয় ছয় মাস পর নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, মূলত অখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্ট কোর্স করতে আসা শিক্ষার্থীরা এ ভিসা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছেন। এ কারণে এখন নিজেদের নীতি পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এছাড়া এটি অভিবাসনে ‘পেছনের পথ’ হিসেবে অনেকে ব্যবহার করছেন বলেও জানিয়েছেন এক সরকারি কর্মকর্তা।তবে যুক্তরাজ্যের শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, পড়াশোনা শেষে কাজ পাওয়ার জন্য যে দুই বছরের ভিসা দেওয়া হয় সেটি ব্রিটেনের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বি দেশেও রয়েছে। তাদের দাবি, সরকার যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যে আসার আগ্রহ হারাবেন। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল পরিসংখ্যান অফিসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতীয় শিক্ষার্থীরা এ ভিসার সুবিধা সবচেয়ে বেশি গ্রহণ করেন। এখন পর্যন্ত যত জনকে এ ভিসা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ৪১ শতাংশই ভারতীয়। এদিকে প্রায় এক মাস আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দেশটির শিক্ষা বিভাগকে নির্দেশনা দেন, তারা যেন যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমানোর ব্যবস্থা করেন।

post
শিক্ষা

ভার্জিনিয়ায় ৩৫ বিলিয়ন ডলারে ড্যাটা সেন্টার বসাবে অ্যামাজন, প্রতিবাদও আসছে!

অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস এই পরিকল্পনা করেছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় ৩৫ বিলিয়ন ডলার খরচে একটি ড্যাটা সেন্টার বসাবে। স্টেটের সঙ্গে এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি হচ্ছে, এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন গভর্নর গ্লেন ইয়াংকিন।কয়েক মিলিয়ন ডলারের প্রণোদনায় এই চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এখনো অবশ্য আইনপ্রণেতাদের অনুমোদন বাকি। তবে সবশেষ অধিবেশনে দুই দলের নেতারাই ইয়াংকিনের কার্যালয় থেকে জারি করা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়ে দিয়েছেন। ড্যাটা সেন্টার প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিতর্ক চলমান। বিশেষ করে উত্তর ভার্জিনিয়ায় অব্যহতভাবে অবকাঠামো নির্মাণে প্রতিবেশিরা সোচ্চার রয়েছেন। পরিবেশ নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ্য। আধুনিক ইন্টারনেটের ব্যবহারে প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার ও কম্পিউটার সার্ভারের জন্য এই ড্যাটাসেন্টারগুলো ব্যবহার করা হয়। আর এ চাহিদা ক্রমশঃই বাড়ছে। এ ধরনের ড্যাটা সেন্টারে প্রয়োজন হয় উচ্চক্ষমতার ইলেক্ট্রিক ফ্যান এবং কক্ষগুলো শীতল রাখতে অতিরিক্তি কুলিং ব্যবস্থা। এসব থেকে বিকট শব্দ তৈরি হয়। আর সেখানেই প্রতিবেশিদের আপত্তি। এছাড়া এমন ড্যাটা সেন্টারে বিপুল পরিমান বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। যার জন্য দরকার উচ্চ ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। বিলে অবশ্য বলা হয়েছে, কোথায় এমন সেন্টার বসানো যাবে, কোথায় যাবে না সে বিষয়ে সংসদীয় সিদ্ধান্ত প্রয়োজন হবে। গভর্নরের কার্যালয় জানিয়েছে, ২০৪০ সাল পর্যন্ত কোথায় কোন ড্যাটা সেন্টার বসানো যাবে তার সিদ্ধান্ত পরে কোনো এক সময় নেওয়া হবে। তবে কোম্পানিগুলোর পছন্দ উত্তর ভার্জিনিয়াই। কারণ এখানটাতেই ইন্টারনেটের মূল কাঠামো গড়ে ওঠার ঐতিহাসিক ভিত্তি। আর এখানটা ইন্টারনেটের সংযোগ পয়েন্টগুলোর কাছাকাছি। বিশেষ করে আর্থিক লেনদেন, গেমিং টেকনোলজির জন্য ন্যানো সেকেন্ডই সার্ভার সাপোর্ট প্রয়োজন হয়, আর তা নিশ্চিত করতেই সার্ভারগুলো কাছাকাছি বসানো প্রয়োজন। প্রিন্স উইলিয়াম কাউন্টির একজন বাসিন্দা বিল রাইট দীর্ঘদিন ধরে বিপুলাকায় এসব ড্যাটা সেন্টারের বিরোধীতা করে আসছিলেন। তার এই দাবির প্রতি সম্প্রতি সমর্থন জানায় কাউন্টির বোর্ড অব সুপারভাইজরস। গভর্নর কার্যালয়ের নতুন ঘোষণার পর বিল রাইট বলেছেন, এটা এ-ই প্রমাণ করে যে, বড় টেক কোম্পানিগুলো থেকে আসা অর্থ আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনকে কলুসিত করছে। তিনি বলেন, ড্যাটা সেন্টারে তার নিজেরও আপত্তি নেই। তবে স্টেট সরকার যেনো তা এমন কোনো স্থানে বসানোর অনুমতি দেয় যেখান থেকে পরিবেশগত কোনো আপত্তি উঠবে না। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের দিকেই এগুলো বসানো উচিত। আর সেখানে মানুষের কাজেরও প্রয়োজন রয়েছে, মত বিল রাইটের। তবে তার ধারণা, সরকার এসবে কর্ণপাত করবে না। কারণ টেক কোম্পানিগুলো চায় উত্তর ভার্জিনিয়ার কেন্দ্রস্থলেই এমন ড্যাটাসেন্টার বসাতে। বিল রাইট বলেন, উত্তর ভার্জিনিয়াতো এখন এসবেই ভরে গেছে। আমরা এখানটাকে এখন 'অ্যামজনের কমনওয়েলথ' নামেই ডাকতে পারি। ভার্জিনিয়া ইকনমিক ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশীপ এর মুখপাত্র সুজান ক্লার্ক জানিয়েছেন অ্যামাজন এরই মধ্যে সাইট দেখতে শুরু করেছে। তবে এখনো চূড়ান্ত করেনি। উত্তরা ভার্জিনিয়া সেই ইন্টারনেট শুরুর দিনগুলো থেকেই টেক-হাব হিসেবে গড়ে উঠতে শুরু করে। এখন এখানে যতগুলো ড্যাটা সেন্টারের স্থাপনা রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্য বৃহৎ ৫টি কোম্পানি মিলেও এতগুলো স্থাপনা নেই। এ তথ্য নর্দার্ন ভার্জিনিয়া টেকনোলজি কাউন্সিলের। এই টেক-কোম্পানিগুলো স্থানীয় সরকারের জন্য এখন সবচেয়ে বড় অংকের অর্থ-সংস্থানকারি প্রতিষ্ঠান। লাউডাউন কাউন্টির একটি হিসাব দেখাচ্ছে, এখানকার বার্ষিক বাজেটের ৩০ শতাংশের বেশিই আসে এসব টেক-কোম্পানি থেকে। এই কাউন্টির বাসিন্দা ৪ লাখ। ড্যাটা সেন্টার বিরোধীতাকারীদের আরেকজন এলেনা স্কোলসবার্গ। প্রিন্স উইলিয়াম কাউন্টির বাসিন্দা। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, নির্বাচিত হওয়ার এক বছরের মধ্যেই ইয়াংকিন এসব ড্যাটাসেন্টারের পক্ষ নিলেন। অথচ কমিউনিটিতে ড্যাটা সেন্টার বিরোধী উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। "তার বোধ কাজ করছে না, তিনি দেখতে পাচ্ছেন না যে কমিউনিটিগুলো আরও বেশি একজোট হচ্ছে এর বিরুদ্ধে," গভর্নর ইয়াংকিনকে নির্দেশ করে বলেন এলেনা। এদিকে একটি টুইটে ইয়াংকিনের মুখপাত্র ম্যাকাউলে পোর্টার বলেন, ৩৫ বিলিয়ন ডলারের এই বিনিয়োগ ভার্জিনিয়ার ইতিহাসে সবচেয় বড় অংকের একক বিনিয়োগ। এর মধ্য দিয়ে স্টেটে নতুন ১০০০ টি কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এর আগে ২০১৮ সালে ভার্জিনিয়ার আর্লিংটন কাউন্টিতে অ্যামাজন যখন তার দ্বিতীয় হেড কোয়ার্টার্স স্থাপন করে সেবার এখানে ২৫ হাজার নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। নতুন চুক্তিতে অ্যামাজনের পক্ষ থেকে যে মেগা ড্যাটা সেন্টার ইনটেনসিভ প্রোগ্রাম নেওয়া হচ্ছে তার আওতায় ১৪০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে কর্মশক্তি উন্নয়ন ও সাইটের সৌন্দর্যবৃদ্ধিতে। স্টেট সরকারের জন্য এটাই বড় প্রণোদনা। এসবের জন্য সংসদীয় অনুমোদন প্রয়োজন হবে। তবে ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টির ডেমোক্র্যাট স্টেট সেনেটর চ্যাপ পিটারসেন রয়েছেন বিরোধী অবস্থানে। এরই মধ্যে তিনি একটি বিল এনেছেন যাতে বলা হয়েছে কোনো প্রাকৃতিক কিংবা ঐতিহাসিক সম্পদের কাছাকাছি ড্যাটা সেন্টার বসানো যাবে না। পিটারসেনের মতে, ভার্জিনিয়া এখন ড্যাটা সেন্টারেই ছেয়ে যাচ্ছে, এর থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। চ্যাপম্যান বলেন, স্বল্প-মেয়াদি আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে পরিবেশ-প্রতিবেশের দীর্ঘ-মেয়াদী ক্ষতি আমরা হতে দিতে পারিনা। বাস্তব কর্মীহীন বৃহদাকার এই শিল্পভবনগুলো কোনোভাবেই ভবিষ্যতের অর্থনীতি হতে পারে না। কয়েক দশকের মধ্যেই এগুলো অকেজো হয়ে পড়বে। তবে এরই মধ্যে আমরা আমাদের মূল্যবান কৃষিজমি আর ঐতিহাসিক স্থানগুলো হারিয়ে ফেলবো, বলেন চ্যাপ পিটারসেন। অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস এর মুখপাত্র অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

post
শিক্ষা

লিটল বাংলাদেশে ডব্লিউইউএসটি ও পিপলএনটেকের সেমিনার অনুষ্ঠিত

'কেউ তার সন্তানকে শত টুকরো স্বর্ণ তুলে দেওয়ার চেয়ে স্কুলে পাঠানো শ্রেয়,' আফ্রিকান এই প্রবাদটি উল্লেখ করে তার বক্তব্য শুরু করেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর চ্যালেঞ্জ, সংগ্রাম ও সুযোগ, দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে পাবেন ছয় অঙ্ক আয়ের চাকরি এমন প্রতিপাদ্যে আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। ড. হাসান জানান, ডব্লিউইউএসটি'র দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা সহজেই কর্মজগতে ঢুকতে পারে এবং নিজের ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারে। গত ৩০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় এই আলোচনা সভা যৌথভাবে আয়োজন করে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও পিপলএনটেক। লসএন্জেলসে লিটল বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনায় কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করা হয়। এতে ভার্জিনিয়া থেকে অনলাইনে অংশ নিয়ে ড. হাসান কারাবার্ক বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম তিনটি দিক হচ্ছে এটি অ্যাফোর্ড্যাবল, অ্যাকসেসেবল ও অ্যাক্রেডিটেড। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে যুক্ত হয়ে অনলাইনে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ এই আলোচনা সভায় কি-নোট উপস্থাপন করেন। তিনি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার পথে কিভাবে পাশে থেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় তথা পিপলএনটেক। পিপলএনটেক এর গ্রাজুয়েটদের সাফল্যের একটি চিত্রও তুলে ধরেন আবুবকর হানিপ। অনুষ্ঠানে অনলাইনে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের সংসদসদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা নিয়ে লেখাপড়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির তথা এর চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কোলাবেরেশনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা বাংলাদেশে যাতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়, সে ব্যাপারেও জোর দেন এই সংসদ সদস্য। বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেলের কার্যালয়ের কমার্সিয়াল কাউন্সেলর এসএম খুরশিদ আলম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির দক্ষতাভিত্তিক পাঠদান পদ্ধতির বিশেষ প্রশংসা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএফও এবং পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ বলেন, ডব্লিউইউএসটি ও পিপলএনটেক পাশাপাশি থেকে কাজ করছে। শিক্ষার্থীরা পিপলএনটেক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে উন্নত জীবনের পথ খুঁজে পাচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ কর্মসূচিতে অনলাইন ও অফলাইনে অংশগ্রহণকারীদের সামনে তার জীবনের গল্পটি সংক্ষেপে তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি তুলে ধরেন পিপলএনটেকের অর্জিত সাফল্যের গল্প ও উদাহরণ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ক্যালিফোর্নিয়ার স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত মুখ ইঞ্জিনিয়ার জলিল খান, ড. ইউনুস রহিম, সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট আহিদুল আলম, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট মইনুল হক বাচ্চু প্রমুখ। বক্তারা সকলেই লসএঞ্জেলসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ক্যাম্পাস স্থাপন তথা পিপলএনটেকের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের আহ্বান জানান। পরে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। পরে সুস্বাদু নৈশভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। 

post
শিক্ষা

মঙ্গোলীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের সঙ্গে ডব্লিউইউএসটির এমওইউ স্বাক্ষর

মঙ্গোলিয়ার গ্লোবাল লিডারশিপ ইউনিভার্সিটি-জিএলইউ এবং উলানবাটোর সিটির সুখবাতার ডিস্ট্রিক্টের সঙ্গে মঙ্গলবার দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি- ডব্লিউইউএসটি। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দীর্ঘ-মেয়াদী সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরির লক্ষ্যে গৃহীত সমঝোতায় স্বাক্ষর করেন ডব্লিউইউএসটি চ্যান্সেলর ও সিইও আবুবকর হানিপ এবং জিএলইউ'র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মি. ওতগনবাত বারখু। অপর সমঝোতায় স্বাক্ষর করেন আবুবকর হানিপ ও সুখবাতার ডিস্ট্রিক্টের চেয়ারম্যান এনখোবোল্ড বুখচুলুন। মি. বারখু ও মি. বুখচুলুন মঙ্গোলিয়ার ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। সকালে প্রতিনিধিদলটি ক্যাম্পাসে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক। নিজ কক্ষে প্রতিনিধি দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। পরে প্রতিনিধি দলের সদস্যদের উদ্দেশ্যে লিডারশিপ বিষয়ক একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মার্ক রবিনসন। নেতৃত্বের গুনাবলী ও তাদের করণীয় বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন পরে ডব্লিউইউএসটি চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ তার বক্তৃতায় সহযোগিতার সম্পর্কে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। ডব্লিউএসটি ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে কিভাবে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে কর্মজগতে পাঠাচ্ছে তা তুলে ধরেন। ড. হাসান কারবার্ক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার বিশেষ দিকগুলো তুলে ধরে বলেন, যে কোনো শিক্ষার্থীর জন্য এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যাশিত। জিএলইউ'র প্রেসিডেন্ট মি. ওতগনবাত বারখু ও সুখবাতার ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারম্যান এনখোবোল্ড বুখচুলুন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। এবং তাদের মঙ্গোলিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান। ডব্লিউএসটি'র সিএফও ফারহানা হানিপ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যতের সহযোগিতার সম্পর্ক দৃঢ় করতে এই সমঝোতা স্বাক্ষর বড় ভূমিকা রাখবে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.