post
শিক্ষা

ভিকারুননিসায় জাল সনদে ৩৬ ছাত্রী ভর্তি

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ফের অবৈধভাবে শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ ওঠেছে। মিথ্যা তথ্য ও জাল সনদে প্রথম শ্রেণিতে ৩৬ ছাত্রীকে ভর্তির ঘটনা ঘটে। খোদ প্রতিষ্ঠানটির ভর্তি কমিটির একজন সদস্য গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে এ অভিযোগ করেন। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছে।জানা গেছে, অবৈধভাবে ৩৬ ছাত্রী ভর্তির ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির ভর্তি সংশ্লিষ্টদের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। ২৫ মার্চ চিঠি দিয়ে জবাব চাওয়া হয়। চিঠি হাতে পাওয়ার পর চার কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে হবে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভিকারুননিসার প্রথম শ্রেণিতে ১৬৯ জন ছাত্রীকে অবৈধভাবে ভর্তির অভিযোগ ওঠে। পরে তাদের ভর্তি বাতিল করা হয়। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর মূল ক্যাম্পাসের দিবা শাখা (বাংলা ভার্সন) প্রধান মো. শাহ আলম খানকে বরখাস্ত করা হয়। তাকে ঘটনা ফাঁসের জন্য দায়ী করা হয়।নিজে বরখাস্ত হওয়ার পর শাহ আলম খান ভর্তি কমিটির অনিয়মের বিষয়টি লিখিতভাবে গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারকে জানান। ১৮ ফেব্রুয়ারির লিখিত অভিযোগে শাহ আলম জানান, মূল প্রভাতি বাংলা ভার্সনে ৯ জন, মূল দিবা বাংলা ভার্সনে ২ জন, মূল প্রভাতি ইংরেজি ভার্সনে ২ জন, মূল দিবা ইংরেজি ভার্সনে ৪ জন, ধানমন্ডি দিবা শাখায় ৩ জন, বসুন্ধরা প্রভাতি শাখায় ২ জন, বসুন্ধরা দিবা শাখায় ৩ জনসহ মোট ৩৬ জনকে ভর্তি করা হয়।

post
শিক্ষা

স্প্রিং কোয়ার্টারের নবীনদের পদচারণে মুখরিত ডব্লিউইউএসটির ক্যাম্পাস

'এসো হে নবীন, বাজিয়ে সুর-লহরী উল্লসিত নব বীণ। আজ সুর মিলিয়ে গাইব জয়যাত্রার গান, আনন্দে আহ্লাদিত নবীন প্রাণ।’ নতুন কোয়ার্টারের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করতে এভাবেই যেন স্বাগতম জানিয়েছেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ।২৭ মার্চ বুধবার ছিল ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির স্প্রিং কোয়ার্টারের ওরিয়েন্টেশন। এদিন সকাল থেকে ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়ার নতুন ক্যাম্পাসে ছিল নবীন শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। নতুনদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। যার মধ্যে বেশিরভাগই ছিল ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট। বাবা-মা, প্রিয়জনদের ছেড়ে বিদেশের মাটিতে স্বপ্ন পূরণের এক নতুন যাত্রা। সবার চোখে ছিল খুশির আমেজ। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ থেকে তাদের উচ্চ শিক্ষা স্বপ্নের পূর্ণতা যেন খুশির আমেজকে বাড়িয়ে তুলে শতগুণ।এই আয়োজনে প্রায় শ'খানেক শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন সশরীরে। আরও দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী যুক্ত হয়েছিলেন অনলাইনে। নতুনদের স্বাগতম জানান, ডব্লিউইউএসটির সকল বিভাগীয় প্রধান, প্রফেসরস ও কর্মকর্তাগণ। সূচনা বক্তব্যে চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ নবাগতদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান সকল সুবিধার সবোর্চ্চটা গ্রহণ করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে প্রস্তুত করে তোলার অঙ্গীকারকে উচ্চে তুলে ধরে ডব্লিউইউএসটি তার মিশন ও ভিশন নির্ধারণ করেছে। জীবনের সকল বাধা পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্পণ মানেই অন্যরকম এক অনুভূতি এবং নতুনত্বের হাতছানি। আর সেটি যদি হয় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মতো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাহলে স্বভাবতই নবীন শিক্ষার্থীদের কাছে ক্যাম্পাসের প্রথম দিনটি একটু উচ্ছ্বাসের, রোমাঞ্চের। তাদের চোখের ভাষা বুঝতে পেরেই যেন বেশ কিছু পরামর্শ রাখেন প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক। বলেন, "অ্যাকাডেমিক কার্যকলাপের পাশাপাশি নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করতে হবে, যা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার পরিবর্তে জীবনে প্রতিটি ধাপে সহযোগিতা করবে।" ১২০টি দেশের শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে ডব্লিউইউএসটিতে। এ তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে আরও নতুন কিছু দেশের নাম। সাউথ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া, বলিভিয়া, আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়া, তানজানিয়া, তিউনেশিয়া এবং নেপাল থেকে এসেছেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী। ইন্টারন্যাশনাল এসব শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস এবং আউট অব দা ক্যাম্পাসে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম কানুন। ওরিয়েন্টেশনে সে সকল বিষয়গুলো বিস্তারিত প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন ডিএসও কির্ম্বালি সিম্পসন। এমনিতেই ডব্লিউইউএসটি এফোর্ডেবল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে। এর বাইরেও প্রতি কোয়ার্টারে ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে রয়েছে মেধাভিত্তিক স্কলারশিপ। তা পেতে কি কি করতে হবে সে সব তুলে ধরেন স্কুল অব বিজনেস এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক এল রবিনসন। তিন ঘণ্টা ব্যাপী এই ওরিয়েন্টশনটি সাজানো হয় বেশ কয়েকটি পর্বে। নিয়মিত ক্লাসে অংশ গ্রহণ, সময়ের মধ্যে সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট ও ডিসকাশন করা, পরীক্ষা ও নাম্বার বন্টন পদ্ধতি,  প্ল্যাগারিজমের জন্য কঠিন নিয়ম, লাইব্রেরি ব্যবহার, আইটি সাপোর্ট, ক্যারিয়ার সার্ভিস, এই সব বিষয়ের উপর চমৎকার প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন বিভাগীয় প্রধানগণ।ওরিয়েন্টেশনের এক অংশে নতুনদের জন্য ছিল একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন। যা পরিচালনা করেন মার্কেটিং ডিরেক্টর হুসে উর্তেগা। পাশাপাশি ডব্লিউইউএসটির সক্রিয় কয়েকটি স্পোর্টস ক্লাবের কথা উল্লেখ করে সে সব ক্লাবে যোগ দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।ছাত্রদের যে কোন প্রয়োজন সর্বদা পাশে থাকে ডব্লিউইউএসটির স্টুডেন্ট গভার্মেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ক্লাব। এসজিএর প্রেসিডেন্ট সেলিন ইয়েগিত সকলকে স্বাগতম জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের যে কোন ধরনের সহযোগিতায় পাশে আছে এসজিএ ক্লাব। এছাড়া তুলে ধরেন এই ক্লাবের অধীনে থাকা শিক্ষামূলক ক্লাবগুলোর কার্যক্রম। জানিয়ে দেন, সারা বছর এসজিএ স্টুডেন্টদের জন্য আয়োজন করে থাকে বিনোদন মূলক নানা আয়োজন।পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন স্টুডেন্ট সাকসেস এন্ড ক্যারিয়ার সার্ভিস ম্যানেজার রিচেল রোজ। জব ফেয়ার, অন ক্যাম্পাস জব এবং সিপিটি- ওপিটিতে পেতে স্টুডেন্টদের তার টিম কীভাবে সহযোগিতা করে, রোজ তুলে ধরেন ওরিয়েন্টশেনর শেষ অংশে।এরপর শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল ক্যাম্পাস পরিদর্শন পর্ব। ক্লাসরুম, ল্যাব, লাইব্রেরি, লাউঞ্জ রুম ঘুরে দেখেন তারা। কুশল বিনিময় করেন চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. কারাবার্কের সাথে। ক্যাফেটেরিয়ায় মধ্যাহ্ন ভোজের পর্বের পর গ্রুপ ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় স্প্রিং-২০২৪ কোয়ার্টারের ওরিয়েন্টেশন। নবীনদের স্বপ্নময়ী চোখে নতুন স্বপ্নে আর উদ্যমে এগিয়ে চলার প্রত্যয় নিয়েই শুরু হলো তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। ২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে তাদের ক্লাসসহ সকল শিক্ষা কার্যক্রম। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকানের হাতে পরিচালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তথ্যপ্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যবসায়িক প্রশাসনের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সে বর্তমানে বিশ্বের ১২০ দেশের সতেরোশ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।

post
শিক্ষা

শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ

শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বেসরকারি সংস্থা গণস্বাক্ষরতা অভিযান। একই সঙ্গে শিক্ষকরা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন কি না তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য মনিটরিং ব্যবস্থাকে জোরদার করার লক্ষ্যে বাজেটে বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শিক্ষার ন্যায্যতাভিত্তিক বাজেট: আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ সুপারিশ করা হয়। গণস্বাক্ষরতা অভিযানের সুপারিশে বলা হয়েছে, উপবৃত্তি হিসেবে দেওয়া অর্থের পরিমাণ বাড়ানো, প্রান্তিক অঞ্চল ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শতভাগ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করতে হবে। কারিগরি শিক্ষার শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপবৃত্তির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শিক্ষাখাতে বরাদ্দকৃত বাজেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য মনিটরিং ও সমন্বয় জোরদার করা এবং বাজেট বিভাজনের ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের মধ্যে সমন্বয়হীনতা পরিহার করা প্রয়োজন। শিক্ষা বাজেট নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বিশেষ করে স্কুল পর্যায়ে আলোচনা করতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বরাদ্দকৃত বাজেট জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। জেলা পর্যায়ে বাজেটের অব্যয়িত অর্থ সংশ্লিষ্ট জেলার চর, হাওর, উপকূলীয় ও ভৌগোলিকভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যয় করার নির্দেশনা বাজেটে থাকা দরকার।

post
শিক্ষা

আয়ারল্যান্ডের সেরা ১০ স্কলারশিপ

আয়ারল্যান্ডের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ দেওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের। আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট, গ্র‍্যাজুয়েট ও পিএইচডির বিভিন্ন প্রোগ্রামে পড়ালেখা করার সুযোগ দিচ্ছে দেশটির সরকার। আইরিশ বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে টিউশন ফি, জীবনযাত্রার খরচ এবং অন্যান্য খরচ সুবিধা দেওয়া হয় বিধায় শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও পেশাদার জীবনের লক্ষ্য পূরণ করতে পারেন।জেনে নিই আয়ারল্যান্ডের সেরা ১০টি স্কলারশিপ সম্পর্কে। আয়ারল্যান্ড সরকারের ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ আইরিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে নন ইউরোপিয়ান দেশগুলো থেকে আসা ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কৃতিত্ব অর্জনে উৎসাহিত করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করেছে আয়ারল্যান্ড সরকার। স্কলারশিপটি আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট, গ্র‍্যাজুয়েট ও পিএইচডির বিভিন্ন প্রোগ্রামে ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ দেবে। ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপটি টিউশন ফি ও এক বছরের নিবন্ধন ফি মওকুফ করার পাশাপাশি ১০ হাজার ইউরো উপবৃত্তি দেবে। আয়ারল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাডেমিক ও পেশাদার জীবনে দক্ষতা বৃদ্ধির চমৎকার সুযোগ পেতে আবেদন করতে পারেন। ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিন গ্লোবাল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিন আয়ারল্যান্ডের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের কাছেও বেশ পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়টি। শিক্ষায় বৈচিত্র্য ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় গ্লোবাল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ। এটি সম্পূর্ণ বা আংশিক টিউশন ফি মওকুফ করায় শিক্ষার্থীরা আর্থিক সুবিধা পায়। বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদানের জন্য সম্মানিত খ্যাতি ও প্রতিশ্রুতির এই স্কলারশিপটি একাডেমিক স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করবে। এনইউআই গ্যালওয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট স্কলারশিপ ইউনিভার্সিটি অব গ্যালওয়ে সারাবিশ্বের মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ দিচ্ছে। কৌশলগত আন্তর্জাতিক লক্ষ্য অনুসারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের বেশ কয়েকটি দেশের শিক্ষার্থীদের মেধাভিত্তিক বৃত্তি প্রদান করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ ছাড়াও, ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জন সহজ করতে বেশ কয়েকটি স্কলারশিপ অফার করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। মায়নুথ ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ আয়ারল্যান্ডের মায়নুথ ইউনিভার্সিটি দেশটির নেতৃস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা স্থানীয় ও ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের একাডেমিক লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করার জন্য অসংখ্য স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তাসহ নানা সুবিধা দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে রাখতে পারেন তালিকায়। হার্ডিম্যান পিএইচডি স্কলারশিপ হার্ডিম্যান পিএইচডি স্কলারশিপ আয়ারল্যান্ডের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের পোস্টগ্র‍্যাজুয়েট বা পিএইচডি করার জন্য দেওয়া হয়। নীতিমালা প্রণয়ন ও সমাজ উন্নয়ন, সৃজনশীলতা ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধি করে এমন পাঁচটি ক্ষেত্রে গবেষণা করতে চাইলে এটি পাওয়া যাবে। বিশ্বমানের সুযোগ এবং নেতৃস্থানীয় শিক্ষাবিদদের সঙ্গে থেকে দক্ষতা উন্নয়ন, অত্যাধুনিক গবেষণায় নিযুক্ত হওয়া, অগ্রগতিতে অবদান রাখা যাবে এর মাধ্যমে। সেই সঙ্গে একাডেমিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রেও ভবিষ্যতে সুবিধা পাওয়া যাবে। এই স্কলারশিপটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক হয়। গ্র্যাটান স্কলারশিপ আইরিশ রাষ্ট্রনায়ক হেনরি গ্র্যাটানের নামানুসারে স্কলারশিপটি ২০১২ সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য দিয়ে আসছে। মর্যাদাপূর্ণ আয়ারল্যান্ড স্কলারশিপটি আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট, গ্র‍্যাজুয়েট ও পিএইচডি প্রোগ্রামের গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেম; ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট; মার্কেটস, জাস্টিস অ্যান্ড ভ্যালুস; মাইগ্রেশন অ্যান্ড ক্লাস্টারিং; আরবান অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিকক্সসহ বিভিন্ন বিষয়ে দেওয়া হয়। এটি বিশ্বমানের গবেষণা সুবিধা, বিভিন্ন একাডেমিক সুবিধা এবং অত্যাধুনিক গবেষণা প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ দেয়। জেনারেশন স্টাডি অ্যাব্রোড স্কলারশিপ ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিনের সহযোগিতায় স্কলারশিপটি দেওয়া হয়। এটি আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট, গ্র‍্যাজুয়েট ও পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদনকারী ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনন্য সুযোগ হতে পারে। প্রোগ্রামটি ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ইনস্টিটিউট নামক একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়, যা বিদেশে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর দুটি স্কলারশিপ প্রদান করে। একাডেমিক লক্ষ্য অর্জন ও অভিজ্ঞতা পেতে সহায়তা করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে স্কলারশিপগুলো। জেনারেশন স্টাডি অ্যাব্রোড স্কলারশিপ আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও বিস্তৃত সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা সঞ্চারের দ্বার উন্মোচন করে। ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি আয়ারল্যান্ডে একাডেমিক লক্ষ্য অর্জনে ইচ্ছুক ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের নানা সুযোগ দেয়। এখানকার স্কলারশিপগুলো যোগ্য শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মধ্যে রয়েছে আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট ও পোস্টগ্রাজুয়েট স্কলারশিপ, রিসার্চ স্কলারশিপ, স্পোর্টস স্কলারশিপ এবং স্কলারশিপ ফর স্টুডেন্টস উইথ ডিজেবিলিটিস। বিশ্বমানের সুযোগ, একাডেমিক দক্ষতা অর্জনের পথ উন্মুক্ত করবে ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ। ইউনিভার্সিটি অব লিমেরিক স্কলারশিপ আয়ারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব লিমেরিক আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট, পোস্টগ্রাজুয়েট ও রিসার্চ ডিগ্রি প্রোগ্রামে নানা সুবিধা দেয়। একাডেমিক যোগ্যতা এবং আর্থিক প্রয়োজনের ভিত্তিতে টিউশন ফি, বাসস্থান এবং জীবনযাত্রার খরচ সুবিধা পাওয়া যায়। সারাবিশ্বের শিক্ষার্থীদের সমান সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব, বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তি প্রচার করাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য। চমৎকার পরিবেশে গবেষণা করা যাবে এখানে। আরসিএসআই ইন্টারন্যাশনাল ফার্মেসি স্কলারশিপ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট, পোস্টগ্রাজুয়েট ও পিএইচডি করতে আগ্রহী ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ দেয় আরসিএসআই। শিক্ষার্থীদের আর্থিক সাহায্য প্রদান ছাড়াও বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাডেমিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে সুবিধা দেয় এটি। এটি বিশ্বমানের গবেষণা সুবিধা, বিভিন্ন একাডেমিক সুবিধা এবং অত্যাধুনিক গবেষণা প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ দেবে। 

post
শিক্ষা

অস্ট্রেলিয়ার স্টুডেন্ট ভিসায় আসছে কঠোর নিয়ম

অস্ট্রেলিয়া এই সপ্তাহে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসার ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম কার্যকর করা শুরু করবে। অস্ট্রেলিয়া সরকার উদ্বিগ্ন যে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অনেকেই পড়াশোনার পরিবর্তে কাজের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে।দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও'নিল জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ভিসা অনুমোদন আগের বছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কম হয়েছে। ফেডারেল সরকার অভিবাসন ব্যবস্থার সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদানকারী সন্দেহজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একটি নতুন ক্র্যাকডাউনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকসের (এবিএস) প্রকাশিত ডেটা দেখায় যে, দেশটির জনসংখ্যা ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে মূলত অভিবাসী শ্রমিক এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কারণে। চলতি সপ্তাহ থেকে বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থাকে নতুন ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা সন্দেহজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করার ক্ষমতা তার মধ্যে অন্যতম। 'ভিসা কারখানা' হিসেবে পরিচিত ওইসব তথাকথিত প্রতিষ্ঠানকে সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হবে এবং তাদের শুধরে নেওয়ার সময় দেওয়া হবে ছয় মাস। সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন পরীক্ষাও চালু করা হবে। শিক্ষার্থীদের তাদের অধ্যয়নের উদ্দেশ্য এবং তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তাদের একটি ঘোষণা দিতে হবে যে, তারা প্রকৃত শিক্ষার্থী হওয়ার অর্থ কী তা বোঝে। গত জুলাই মাসে ফেডারেল সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কত ঘণ্টা কাজ করতে পারবে তার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন শ্রম ঘাটতির কারণে ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাজের সময়সীমা স্থগিত করা হয়েছিল। এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫০৫ জন।

post
শিক্ষা

জার্মানিতে আইইএলটিএস ছাড়াই ভর্তির সুযোগ

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পরেই শিক্ষার দিক দিয়ে সেরা দেশ হিসেবে ধরা হয় জার্মানিকে। সবচেয়ে কম খরচে উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেকেরই অন্যতম পছন্দের দেশ এটি। বর্তমানে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস ছাড়াই ভর্তির সুযোগ রয়েছে। তবে, রয়েছে দেশটির ভাষা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে পরীক্ষা। ২০২৪ সালের ভর্তির জন্য এ সুযোগ পাবেন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা।বিশ্বের ধনী দেশগুলোর অন্যতম জার্মানি। তথ্যপ্রযুক্তিতে অগ্রসর এই দেশ শিক্ষাসহ নানা দিক দিয়ে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয়। বিশেষ করে দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত আধুনিক ও যুগোপযোগী। জার্মানির বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখের মধ্যে ১২ শতাংশের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা করেন। জার্মানির কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস ছাড়াই ভর্তির সুযোগ রয়েছে। তবে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইইএলটিএসের বিকল্প একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। ভাষা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবেই এ পরীক্ষা। এমন কয়েকটি জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় হলো-ইউনিভার্সিটি অব কাইসারস্লটার্ন, ইউনিভার্সিটি অব সিয়েজেন, ফ্রি ইউনিভার্সিটি অব বার্লিন, ইউনিভার্সিটি অব গিজেন, ইউনিভার্সিটি অব কোবলেঞ্জ অ্যান্ড ল্যান্ডউ ও এসলিনজেন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সসহ অনেক। শিক্ষার্থী স্নাতকে সব কোর্স সম্পূর্ণভাবে ইংরেজি মাধ্যমে পড়লে আইইএলটিএস লাগবে না। শিক্ষার্থী যদি পিটিই, টোয়েফল, ডুয়োলিঙ্গো বা সিএই পরীক্ষার সনদ থাকে, তবে আইইএলটিএস পরীক্ষা দিতে হবে না। স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ব মানের শিক্ষাব্যবস্থা, সময়োপযোগী বিষয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্য মিলিয়ে কেবল বাংলাদেশ নয় বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী শিক্ষার্থীদের কাছেই ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে পছন্দের বিবেচনায় সম্ভবত সবচেয়ে এগিয়ে জার্মানি।

post
শিক্ষা

কোন কফির কী নাম জানেন কি

আজ জানব বিভিন্ন ধরনের কফির নাম এবং বিস্তারিত, যেন পরেরবার কোনো দ্বিধা ছাড়াই নিজের জন্য সঠিক কফিটি বেছে নিতে পারেন।এসপ্রেসো কফিকফিভক্তদের মধ্যে অনেক জনপ্রিয় এই কফিটি মূলত সামান্য গরম পানিতে গাঢ় কফির মিশ্রণ। যেহেতু এতে কফির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে তাই এটি অল্প পরিমাণে পরিবেশন করা হয়। অনেক কড়া ও এই তেতো স্বাদযুক্ত কফিটি আপনাকে অনেকক্ষণ চাঙা রাখতে সাহায্য করবে। বেশিরভাগ মানুষ এটি স্বাদের জন্য নয়, কাজের জন্য পুরোপুরি উদ্যম নিয়ে আসতে খেয়ে থাকেন। আপনি যদি আয়েশ করে কফি খেতে চান উপভোগের জন্য, তাহলে এটি আপনার জন্য নয়। ক্যাপুচিনোআপনি কফিভক্ত হোন বা না হোন, ক্যাপুচিনোর নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। মূলত এসপ্রেসোভিত্তিক এই কফিটির নাম এসেছে অস্ট্রিয়ার কাপুজিনার থেকে। সবার পছন্দের এই কফি বানানোর জন্য প্রথমে সমপরিমাণ দুধ এবং ফোম মেশানো হয়। এরপর তা এক তৃতীয়াংশ এসপ্রেসোর মধ্যে ঢেলে দিতে হয়। অন্যান্য দুধসহ কফির তুলনায় এটি একটু কড়া হয়ে থাকে। যারা একটু কড়া দুধ কফি পছন্দ করেন তাদের জন্য সঠিক পছন্দ হতে পারে এটি। লাতে ইতালিয়ান শব্দ লাতের অর্থ 'মিল্ক কফি'। যারা দুধসহ কফি চান কিন্তু বেশি কড়া কফি খেতে চান না,তারা ক্যাপুচিনোর বদলে লাতে বেছে নিতে পারেন। লাতেএই কফিতে বেশি পরিমাণে দুধ এবং ফোম থাকে। আপনার পছন্দ অনুযায়ী গরম বা ঠান্ডা লাতে বেছে নিতে পারেন। ফ্র্যাপুচিনো অত্যন্ত জনপ্রিয় কফি ফ্র্যাপুচিনোর ইতিহাস বেশ মজার। কারণ এটি প্রখ্যাত কফি চেইন স্টারবাকস একবার ভুল করে বানিয়ে ফেলেছিল। তারপর এটি পায় তুমুল জনপ্রিয়তা। এটিও একটি এসপ্রেসোভিত্তিক কফি, যার সঙ্গে আরও থাকে ক্রিম এবং আইসড কফি। ক্যাফেইন ছাড়াও ফ্র্যাপুচিনো পাওয়া যায়। এর স্বাদ নিতে চাইলে কফিশপে আপনার বারিস্তাকে ডিক্যাফ ফ্র্যাপুচিনো বানিয়ে দিতে অনুরোধ করতে পারেন।মোকা বিভিন্ন রকম কফির মধ্যে মোকা অন্যতম মজাদার একটি কফি। মোকা বানানো হয় এসপ্রেসো, দুধ এবং চকলেটের সমন্বয়ে, যা গরম বা ঠান্ডা দুভাবেই খাওয়া যেতে পারে। এই কফির উৎপত্তিস্থল ইয়েমেনের মোকা বিন থেকে হলেও এটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠে ইতালিয়ান কফি হাউজগুলোর কল্যাণে। যদি আপনি একইসঙ্গে একজন চকলেট এবং কফিপ্রেমী হয়ে থাকেন, তবে এই কফিটি আপনার জন্যই। অ্যামেরিকানো এই কফি দুধ ছাড়া। এক শট এসপ্রেসোর সঙ্গে গরম পানি যোগ করলেই তৈরি হয়ে যায় কড়া এক কাপ অ্যামেরিকানো। অ্যামেরিকানোযারা সারাদিন সতেজ থাকার জন্য কোনো পানীয় খুঁজছেন তারা নিশ্চিন্তে বেছে নিতে পারেন এক কাপ অ্যামেরিকানো, যা আপনাকে সারাদিন কাজ করার শক্তি দিয়ে চনমনে রাখবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈনিকরা এই কফি খেতেন। ইতালিয়ান ব্ল্যাক কফির মতো এই কফিটি বেশ কড়া। আফোগাতো গরম এসপ্রেসো আর এক স্কুপ ভ্যানিলা আইসক্রিমের সমন্বয়ে পরিবেশন করা এই কফিটিকে এক প্রকার ডেজার্টই বলা যায়। যারা মিষ্টি খাবার খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এটি খুবই মজাদার একটি কফি। যেকোনো ধরনের এসপ্রেসো দিয়ে বানানো এই কফির ওপর গুঁড়ো চকোলেট বা ক্যারামেল ছড়ানো থাকে।

post
শিক্ষা

রোজা রাখার ৫ উপকারিতা

রোজা রাখার রয়েছে অনেকগুলো উপকারিতা। ধর্মীও কিংবা আত্ম-প্রশান্তির দিক ছাড়াও রোজার রয়েছে কিছু শারীরিক উপকারিতাও। এই নিয়ে অনেকগুলো গবেষণা হয়েছে এবং আরও অনেক গবেষণা চলছে। কিছু বিষয়ে এখনও পুরোপুরি সিদ্ধান্তে আসা না গেলেও বেশ সন্তুষ্টিজনক ফলাফল মিলেছে। এমনিতে বছরের অন্যান্য সময়ে একবেলার খাবার বাদ দিলেই তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে একটি নির্দিষ্ট রুটিনে সেহরি ও ইফতার খেয়ে রোজা রাখলে তা শরীরের জন্য উপকারিতা নিয়ে আসে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-১. প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ রোজা রাখলে তা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরের ক্ষমতা উন্নত করে বলে মনে করা হয়। যেমন হৃদরোগ, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যার ঝুঁকি কমে রোজা রাখার ফলে এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ২. তারুণ্য ধরে রাখে রোজা রাখা এবং বিশেষ করে কম প্রোটিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার অভ্যাস শরীরে তারুণ্য ধরে রাখতে কাজ করে। রোজা মানুষের বৃদ্ধির হরমোনের স্তরকে উন্নীত করে বলে মনে করা হয়। এই হরমোন শরীরের বৃদ্ধি, বিপাক, ওজন হ্রাস, পেশী শক্তি এবং ব্যায়ামের কর্মক্ষমতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সম্পর্কিত বর্তমান গবেষণা মূলত প্রাণিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ, তাই এটি কীভাবে মানুষের তারুণ্যকে প্রভাবিত করে তা সম্পূর্ণরূপে বোঝার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। ৩. সার্কাডিয়ান রিদম ঠিক রাখে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা রাখলে তা সরাসরি অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে বিপাক নামক রাসায়নিকের স্তরে পরিবর্তন ঘটে। যা আমাদের কেন্দ্রীয় শরীরের ঘড়িতে সংকেত অণু হিসাবে কাজ করে। এভাবে রোজা আমাদের সার্কাডিয়ান রিদমকে পুনরায় সেট করতে সাহায্য করে। এর ফলে স্থূলত্বের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করাও সহজ হয়। ৪. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে প্রাণিদের ওপর করা গবেষণায় দেখা গেছে যে, রোজা রাখলে তা পার্কিনসন এবং আলঝাইমারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং ফলাফল উন্নত করে। সেইসঙ্গে স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের প্রক্রিয়াকরণকে বাড়িয়ে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও উন্নত করে। প্রানিজ গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, রোজা রাখলে তা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং স্নায়ু কোষের উৎপাদন বাড়ায়। তবে মানুষের জন্য প্রাসঙ্গিকতা নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন। ৫. উদ্বেগ কমায় মানব গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোজা উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতার লক্ষণ কমায় এবং সামাজিক সংযোগ উন্নত করতে পারে। এই প্রভাবগুলো মূল্যায়ন করার জন্য আরও অধ্যয়ন প্রয়োজন তবে এখনও পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলগুলো সন্তুষ্টিজনক।

post
শিক্ষা

গাধা কি আসলেই বোকা?

যাদের একটু বুদ্ধি কম তাদের হরহামেশায় অনেকে গাধা বলে থাকেন। বোকা অথবা কেউ কোনো কাজ না পারলে আমরা তাকে গাধা বলে থাকি! বোকা অর্থেও গাধা শব্দটি ব্যবহার করা হয়। মোট কথা ‘গাধা’ শব্দটা আমরা বেশি ব্যবহার করি নেতিবাচক অর্থে। কিন্তু গবেষণা বলছে, গাধা কিন্তু মোটেও বোকা নয়! আর পাঁচটা প্রাণীর চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান। গাধার রয়েছে অবিশ্বাস্য স্মৃতিশক্তি। ২৫ বছর আগে দেখা এলাকা, এমনকি বহু বছর আগে দেখা গাধাদের তারা সহজেই চিনতে পারে। পাশাপাশি, গাধা প্রচণ্ড জেদি, আত্মরক্ষা করার প্রবল ক্ষমতা রাখে। গাধাকে ভয় দেখিয়ে বা জোর করে কোনো কাজ করিয়ে নেয়া খুব কঠিন একটা ব্যাপার। কোনো ঘটনায় গাধা সহজে চমকে ওঠে না। এরা প্রখর কৌতূহলী। গাধার চিন্তাধারা ঘোড়ার থেকে স্বাধীন। একটি গাধা মরু পরিবেশে ৬০ মাইল দূরে থেকে অন্য গাধার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে। ঘোড়ার থেকে তাদের আছে অনেক বড় কান, যা তাদের শরীর শীতল রাখে। গাধা নেকড়ে, বাঘ বা অন্য বন্য জন্তুদের হাত থেকে বাকি পশুদের রক্ষা করে বিশেষ সংকেত দিয়ে। গাধা গবাদি পশু, ভেড়া এবং ছাগলকে পাহারা দেয়। মিশরে ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যগুলির অধিকাংশ ধাতু বহন করা হয়েছিল গাধার মাধ্যমে। গ্রিসে সংকীর্ণ পথের ওপর কাজ করার জন্যও গাধা ব্যবহার করা হয়। রোমান আর্মিরা গাধাকে কৃষিপালিত ও পণ্য বহনকারী প্রাণী হিসেবে ব্যবহার করতো। ভারতের রাজস্থান ও জয়পুরের অন্যতম বাহন গাধা। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় জিনিসপত্র নিয়ে এরা সহজে চলাফেরা করতে পারে।

post
শিক্ষা

ডব্লিউইসটি ক্যাম্পাস ঘুরে গেলেন বাংলাদেশর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফরিদ খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি উজ্জ্বল দিন

বাংলাদেশের খ্যাতনামা ব্যবসায়ী, সামিট গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট মি. ফরিদ খান সম্প্রতি ঘুরে গেলেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি) ক্যাম্পাস। গত ১৩ মার্চ ভার্জিনিয়ার আলেক্সান্দ্রিয়ায় ফরিদ খান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনন্দময় দিন কাটান। চ্যান্সেলর ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ এবং সিএফও ফারহানা হানিপ তাকে ক্যাম্পাসে স্বাগত জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্তরিক মত বিনিময়ে অংশ নেন বাংলাদেশের এই স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক এই মত বিনিময়ে নেতৃত্ব দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব এডুকেশন ড. জেফের পিরিম, ভাইস প্রেসিডেন্ট অব অপারেশন ও রেজিস্ট্রার ড. শ্যান চো, স্কুল অব বিজনেসের পরিচালক অধ্যাপক মার্ক এল রবিনসন ও বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান ও ফ্যাকাল্টি সদস্যরা এতে অংশ নেন। চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ এসময় বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে প্রস্তুত করে তোলার অঙ্গীকারকে উচ্চে তুলে ধরে ডব্লিউইউএসটি তারা মিশন ও ভিশন নির্ধারন করেছে। "ট্রিপল মিশন নিয়ে আমরা এগুচ্ছি: শিক্ষার্থীদের জন্য ডিগ্রি নিশ্চিত করা, তাদের দক্ষতা তৈরি করা এবং কর্মসংস্থানে সহায়তা করা। যাতে এর মাধ্যমে রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট অর্থাৎ যে অর্থ ব্যয় করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে তার একটা কার্যকর প্রতিদানও তারা পেতে পারে। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে আমাদের স্কলার-প্র্যাকটিশনার ফ্যাকাল্টিরা তাদের কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা ও পরিবেশকেই নিয়ে আসছেন ক্লাসরুম সেটিংসে," বলেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। ড. হাসান কারাবার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন এবং গুরুত্বারোপ করেন এর প্রধান তিনটি লক্ষ্যের ওপর। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহের অ্যাক্রেডিটেশন কম্প্লায়ান্স নিশ্চিত করা আর শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে অ্যাকসেসেবল ও অ্যাফোর্ডেবল করে রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে শিক্ষার্থীরা যাতে আপন করে নিতে পারে লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে পারে সে প্রচেষ্টা আমাদের সার্বক্ষণিক, বলেন ড. কারাবার্ক। সিএফও ফারহানা হানিপ ক্যাম্পাসে বহুজাতিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিকেই এর অনন্য দিক হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "ডব্লিউইউএসটির প্রতিটি ক্লাসরুম জাতিসংঘের অধিবেশনের আদল পায় কারণ এখানে বিশ্বের অন্তত ১২০টি দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা এখন লেখাপড়া করে।"বিভাগীয় প্রধানরা তাদের বক্তৃতায় নিজ নিজ বিশেষত্বগুলো তুলে ধরেন। অধ্যাপক মার্ক রবিনসন গুরুত্বারোপ করেন কিভাবে ইন্ডাস্ট্রি থেকে অর্জিত জ্ঞান ও ব্যবহারিক দক্ষতা ডব্লিউইউএসটি তার কারিকুলামের অংশ করে নিয়েছে তার ওপর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি ড. সালমান এলবাদর ডব্লিউইউএসটির শিক্ষা মডেলকে ইউনিক হিসেবে উল্লেখ করেন আর ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. পিরিম বিশ্ববিদ্যালয়টির সাম্প্রতিক অগ্রসরতার এবং সে কারণে ভার্জিনিয়া স্টেট অ্যাসেম্বলি থেকে পাওয়া স্বীকৃতির কথা তুলে ধরেন।ড. শ্যান চো বলেন, ক্যাম্পাসের সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা ও দলগতভাবে কাজের মনোভাবই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনায় এসব অনন্য দিকগুলোর প্রশংসা করে ফরিদ খান তার বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও তার এই আত্মনিয়োজিত টিমের সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, একজন বাংলাদেশি আমেরিকান যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে তা এগিয়ে নিচ্ছেন, বিষয়টি তাকে গর্বিত করে। "আমি আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়টি তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাবে এবং এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের টপ র্যাংকড বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি হয়ে উঠবে," বলেন ফরিদ খান। পরে চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট হাসান কারাবার্কের সঙ্গে ফরিদ খান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আইটি ল্যাব, স্টেট-অব-আর্টস ক্লাসরুমসমূহ, কম্প্রিহেনসিভ লাইব্রেরি, স্টুডেন্ট লাউঞ্জ, ক্যাফেটেরিয়া ও অন্যান্য বিভাগগুলো ঘুরে দেখেন। একটি স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আর নতুন বিশ্বাসে পথ চলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দিনটি উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.