post
এনআরবি সাফল্য

বিবি রাসেলের তত্ত্বাবধানে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের প্রশিক্ষণ নিলেন ২০ নারী।

রাজধানীতে প্রথমবারের মতো নারীদের ফ্যাশন ডিজাইনের প্রশিক্ষণ এবং প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন খ্যাতিমান ফ্যাশন আইকন ও মডেল বিবি রাসেল। গত ১২ মার্চ শুরু হওয়া ‘ফ্যাশন ডিজাইন ক্র্যাশ কোর্স উইথ বিবি রাসেল’ শীর্ষক এ প্রশিক্ষণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছে উইমেন ইন ডিজিটাল।এই প্রশিক্ষণ শেষে শুক্র ও শনিবার (৭ ও ৮ জুন) রাজধানীর মতিঝিলের রহমান চেম্বারের বিবি প্রোডাকশনসে অংশগ্রহণকারী ২০ জন নতুন ফ্যাশন ডিজাইনারের পণ্য প্রদর্শনী কর্মসূচির আয়োজন রয়েছে। আয়োজকরা বলছেন, এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে ২০ জন নতুন ফ্যাশন ডিজাইনার দেশীয় কাপড়ের ব্যবহারকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। উদীয়মান ফ্যাশন ডিজাইনার শিখেছেন কীভাবে দেশীয় প্রোডাক্টকে আন্তর্জাতিক রূপ দেওয়া যায়, কতটা সিম্পলিসিটির মাধ্যমে অনেক ভালো কিছু করা যায়। গামছা, জামদানি, টাঙ্গাইল, মনিপুরি ইত্যাদি কাপড়ের সঙ্গে ওয়েস্টার্ন ফ্যাশনের মিশেলে তারা নতুন ডিজাইন তৈরি করেছেন। বিবি রাসেল প্রশিক্ষণার্থী উদ্যোক্তাদের পণ্য নির্বাচন থেকে শুরু করে পণ্যের গুণগত মান যাচাই এবং যেকোনো সমস্যার সমাধানে নিজ উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য ড. নাদিয়া বিনতে আমিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ছিলেন ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী প্রমুখ। অংশগ্রহণকারী নতুন ফ্যাশন ডিজাইনাররা হলেন তানিয়া ওয়াহাব, ফারহানা মুনমুন, মাহজাবীন রহিম মৈত্রী, জান্নাতুল ফেরদৌস হীরা, ফারাহ সিরাজ, রেহেমুমা হোসেন, রাহনুমা সুলতানা, শাহীন আক্তার কণা, মাহমুদা রহমান, মাসহুদা হক ইফা, এভলী চাকমা, নাসিমা আক্তার, রুবাইয়াত চৌধুরী, শাহীন শানীল, অলকা রানী কোচ, মাকসুদা পারভীন ইভা, তৌওহীদা আক্তার সংগীতা, ফারহানা আলম, রাইসা মনিজা আক্তার।

post
এনআরবি সাফল্য

আমিরাতে সফল চট্টগ্রামের নাজিম

২০২১ অর্থবছরে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠিয়ে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন ৩১ জন আমিরাত প্রবাসী। এদের মধ্যে একজন আমিরাতের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. নাজিম সিআইপি। দেশটিতে তার রয়েছে ২১ টি প্রতিষ্ঠান সম্মিলিত আল মাজাল গ্রুপ অব কোম্পানিজ। পাশাপাশি বাংলাদেশেও রয়েছে তার বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আমিরাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন প্রায় পাঁচশত বাংলাদেশীর। জানা যায়,চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের মাওলানা আব্দুল সালামের ছেলে মোঃ নাজিম সিআইপি। ১৯৯৬ সালে বড় ভাই মোঃ মহিউদ্দিন এর হাত ধরে পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দুই ভাই এর অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরি হতে থাকে একের পর একটি প্রতিষ্ঠান। আল মাজাল কারস ওয়াশিং এন্ড সার্ভিস স্টেশন, আল বাদিয়া রিয়েল এস্টেট এলএলসি সহ ২১ টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে গড়ে তুলেন আল মাজাল গ্রুপ অব কোম্পানিজ। বাংলাদেশেও তৈরি করেন বেশ‌ কয়েকটি কোম্পানী। বর্তমানে তিনি এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালক হিসেবেও দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তার এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে প্রায় পাঁচশত বাংলাদেশীর। বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠিয়ে ২০২১ অর্থবছরে অর্জন করেন বাংলাদেশ সরকারের দেয়া সর্বোচ্চ সম্মান সিআইপি অ্যাওয়ার্ড। তিনি বলেন, আমিরাতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে অন্য দেশ থেকে কর্মী আনতে হচ্ছে তাকে। এতে রেমিটেন্স চলে যাচ্ছে অন্য দেশে। ভিসা সমস্যা সমাধান হলে শিগগিরই আরো কয়েকটা প্রতিষ্ঠান তৈরির উদ্যোগ নেবেন বলে জানান সফল এই রেমিটেন্স যোদ্ধা।

post
এনআরবি সাফল্য

আমিরাতে সফল কুমিল্লার মিজানুর রহমান

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ক্রমেই বাড়ছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সংখ্যা। দেশটিতে ব্যবসা করে সুনামও বাড়ছে তাদের। তাদেরই একজন পরিচিত নাম মিজানুর রহমান মজুমদার। করছেন রেন্ট-এ-কারের ব্যবসা। পাশাপাশি আমিরাতে অবস্থানরত ১০০ জন যুবক নিয়ে তৈরি করেছেন বাংলাদেশ প্রবাসী যুব ফাউন্ডেশন ইউএই নামের একটি সঞ্চয়ী সমবায় সমিতি। জানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন মজুমদার এর ছেলে মিজানুর রহমান মজুমদার। ২০১০ সালে পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ২০১৪ সালে তৈরি করেন নিজস্ব প্রতিষ্ঠান আল ওয়াদি আল আবিয়াদ ইলেকট্রিক্যাল এন্ড সেনেটারি ওয়্যার ট্রেডিং এল এল সি। এরপর একে একে তৈরি করেন আল মাদান আল ফাতি ইলেকট্রিক্যাল এন্ড হার্ডওয়ার ট্রেডিং, নাসামত আল সাবাহ রেন্ট এ কারসহ সাতটি প্রতিষ্ঠান সম্মিলিত এম আর গ্রুপ অব কোম্পানিজ। বর্তমানে তার রেন্ট এ কার প্রতিষ্ঠানে রয়েছে একশ'টিরও বেশি গাড়ি। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন প্রায় অর্ধশত বাংলাদেশির। আমিরাতে অবস্থানরত ১০০ জন যুবক নিয়ে তৈরি করেছেন বাংলাদেশ প্রবাসী যুব ফাউন্ডেশন ইউএই নামের একটি সঞ্চয়ী সমবায় সমিতি। বর্তমানে এই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এছাড়াও নিজ গ্রামের ৩৮০ জন প্রবাসীর সাথে সম্মিলিত ভাবে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজেও অংশ নেন এই ব্যবসায়ী। ভবিষ্যতে তার প্রতিষ্ঠানকে মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশে প্রতিষ্ঠিত করবেন বলে জানান সফল এই রেমিটেন্স যোদ্ধা।

post
এনআরবি সাফল্য

যা কিছু জেনেছো, যা-কিছু শিখেছো তা উজাড় করে দাও : চ্যান্সেলর হানিপ

হারুন উর রশিদ : ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেছেন, 'যা কিছু জেনেছো,যা-কিছু শিখেছো তা উজার করে দাও। আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি যে, আপনি যেটুকু জানেন তার সবকিছু অন্যের সাথে শেয়ার করা উচিত'।বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর মিরপুর প্রাইম ইউনিভার্সিটির আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেন, বর্তমান শিক্ষাক্ষেত্রে সারাবিশ্ব যে সমস্যা টা মোকাবিলা করছে সেটা আমরা সমাধান করার চেষ্টা করছি। আমি একাডেমি শিক্ষার সাথে দক্ষতা সমন্বিত করেছি অর্থাৎ ডিগ্রি, স্কিল ও জব এটাই আমার সমাধান। এটাই আমি বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে শেয়ার করতে চাই।সেমিনার শেষে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ও প্রাইম ইউনিভার্সিটির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।প্রাইম  ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ুন কবির  এবং ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ডব্লিউইউএসটি) চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুর রহমান সিআইপি, বিশেষ অতিথি ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, প্রাইম ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ুন কবির, আইসিটি অধিদপ্তরের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হকসহ অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তারা। 

post
এনআরবি সাফল্য

আবুধাবিতে তিন বন্ধুর উদ্যোগে ব্যবসা শুরু

আবুধাবিতে প্রবাসী তিন বন্ধুর যৌথ উদ্যোগে, ভিশন বিডি টাইপিং সার্ভিস এলএলসির যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রবাসীদের আইডি,ভিসা,টিকেটিং, দামান,ড্রাইভিং লাইসেন্স,বিজনেস সেটাপ,মোয়াকিফ,জন্ম নিবন্ধন এবং ই পাসপোর্টসহ সবরকমের ডকুমেন্টস টাইপিং সেবা দেয়ার কাজ করবে এই প্রতিষ্ঠান। আবুধাবির প্রাণকেন্দ্র খেজুর তলার ওমর বিন ইউসুফ জামে মসজিদের প্রধান প্রবেশদ্বার সংলগ্ন ভবনে, তিন উদ্যোক্তা সৈয়দ মোহাম্মদ মনজু, মাহফুজ বিল্লাহ ও আব্দুল্লাহ আল মাসুম ফিতা কেটে, প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহমুদ আজম,ব্যবসায়ী সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক,ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম আনসারি, মোহাম্মদ জাফর, মোহাম্মদ বেলাল এবং মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনসহ অনেকে।

post
এনআরবি সাফল্য

আমিরাতে সফল সিলেটের চিকিৎসক

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমকুনা গ্রামের মোঃ শামসুল ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইউনানী মেডিসিনে, বিইউএমএস ডিগ্রি অর্জনের পর, ঢাকার মিরপুরে খোলেন নিজস্ব চেম্বার। পাশাপাশি আমেরিকা-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে সিনিয়র লেকচারার হিসেবেও যোগ দেন তিনি। বেশ কয়েক বছর চাকুরী এবং নিজস্ব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পর, ২০০৮ সালে পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ডিএইচএ রেজিস্ট্রেশন এবং এমসিএইচ লাইসেন্স প্রাপ্ত চিকিৎসক শামসুল ইসলাম,বর্তমানে দুবাইয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানে কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি নিজের প্রতিষ্ঠান ‘গ্রীন মেডিসিন হারবাল’ ও ‘ঢাকা হারবাল’ থেকেও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। মরুর দেশটির অসহনীয় গরমে, বহিরাঙ্গনে কর্মরতদের কিডনি স্টোন,হাইপার এসিডিটি,লিভার ফাংশন-ডিসঅর্ডারসহ, বেশ কিছু রোগের ঝুঁকি থাকে। এলোপ্যাথির অস্ত্রপাচার এড়িয়ে, ভারত-পাকিস্তানসহ বেশ কিছু দেশ থেকে, প্রাকৃতিক ঔষধ এনে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন এই চিকিৎসক। চিকিৎসা সেবা ছাড়াও, আমিরাতের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন, সফল এই রেমিটেন্স যোদ্ধা। মূলত দেশটিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম। চলমান তাপদাহে তরল ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের পরামর্শ দিয়েছেন,এই প্রবাসী চিকিৎসক।

post
এনআরবি সাফল্য

বাংলাদেশিদের পাঠানো বৃহত্তম ত্রাণবহর ফিলিস্তিনের পথে , সাথে দোয়া ও ভালোবাসা

এলামি মোঃ কাউসার, কায়রো মিশরলাল সবুজের পতাকা ও মিশরে বাংলাদেশি চ্যারাটি ফান্ড ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন’ এবং ‘বাংলাদেশ ফিলিস্তিন মৈত্রী সংস্থা’র ব্যানার‌ টানানো ৩৫টি লরিতে ৫ কোটি টাকার‌ও অধিক, অন্তত ৭০০ টন জরুরি ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১১৫টি লরি ভর্তি একটি ত্রাণবহর মিশর থেকে ফিলিস্তিনের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে মিশর-ফিলিস্তিন সীমান্ত রাফার উদ্দেশে বহরটি কায়রো‌ ত্যাগ করে।‌ বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুদানে ভর্তি এসব লরির মধ্যে রয়েছে জরুরি ওষুধ, খাবার ও বিশুদ্ধ পানি, তাবুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যাবহারিক জিনিসপত্র। এটি ফিলিস্তিনে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের পাঠানো এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ ত্রাণবহর। এ সব অনুদান আল আজহারে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রদের ব্যক্তিগত উদ্যোগ, স্বেচ্ছাশ্রম এবং তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের একাধিক বেসরকারি সেবা সংস্থা, মিশরস্থ বাংলাদেশি ছাত্র সংগঠনগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হুজাইফা খান জানান, এবারের সপ্তম‌ দফায় ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ২২টি লরি গাজার‌ উদ্দেশে র‌ওনা‌ হয়েছে। এর মধ্যে ফাউন্ডেশনটির নিজস্ব ৯টি লরির সঙ্গে আরও ১১টি সংস্থার‌ ১৩টি‌ লরি‌ গাজার‌ উদ্দেশে র‌ওনা‌ হয়েছে‌। সেগুলো হলো, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশের চিকিৎসক দম্পতির একটি ওষুধের লরি, মাকতাবাতুল আশরাফ, ইলমান নাফিয়া, হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশন, আস সিরাজ ফাউন্ডেশন, আহলে হাদীস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, অঙ্গিকার ফাউন্ডেশন, ক্রিয়েটিভ ইনস্টিটিউট, উত্তরা গাউসুল আজম জামে মসজিদ, সিম্পল রিজন (ব্রিটেন), দারুল জান্নাহ জামে মসজিদ (ব্রিটেন)। বাংলাদেশ ফিলিস্তিন-মৈত্রী সংস্থার সভাপতি, বাংলাদেশি ছাত্র আব্দুল আজিজ তরফদার বলেন, ‘ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর থেকে মিশরের গ্রান্ড ইমাম শাইখুল আযহার ড. আহমাদ আল তাইয়িবের তত্ত্বাবধানে এ পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার ৮৪০ টন ত্রাণসামগ্রী গাজায় পৌঁছেছে। সেইসঙ্গে প্রথম থেকেই আমরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে নিয়মিত আজহারের মাধ্যমে সরাসরি গাজায় সহায়তা পাঠিয়ে আসছি।’ যাদের অক্লান্ত শ্রম ও ভালবাসায় আজকের লাল সবুজের এ বিশাল লরির বহর প্রস্তুত হয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্যাতিত মানুষদের পাশে ছিলাম এবং যুদ্ধ পরবর্তী গাজা পুর্ননির্মাণেও তাদের পাশে থাকব। দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ এই নীরব আন্দোলনে আমাদের পাশে থাকবে বলে মনে করি।’ আল আজহার বাইতুয যাকাত অ্যান্ড সাদাকাত হাউস জানায়, নির্যাতিত অসহায় গাজাবাসীর জন্য আজ কায়রো থেকে ১ হাজার ৮৪০ টন জরুরি খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ নিয়ে ১১৫ টি লরি গাজার‌ উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়েছে। যার সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ৩৫টি লরি ভর্তি জরুরি খাদ্য ও ওষুধসমগ্রী যুক্ত রয়েছে। সংস্থাটির সেক্রেটারি মেজর জেনারেল (অব.) আমর লুতফি সংস্থাটির এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশি ছাত্রদের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রসংশা করেন।

post
এনআরবি সাফল্য

রেমিট্যান্স যোদ্ধা আজাদের সফলতার গল্প

২০২২ সালের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি মর্যদা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৯ জনই আমিরাত প্রবাসী ব্যবসায়ী। তাদেরই একজন দুবাইয়ের সর্ববৃহৎ গাড়ির শোরুম "নেফলেক্স গ্রুপের" চেয়ারম্যান এ কে আজাদ। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন প্রায় ৩৫০ জন বাংলাদেশি। নিজ এলাকার উন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছেন এই রেমিট্যান্স যোদ্ধা। দুবাই প্রবাসী এ কে আজাদ সিআইপি ফেনী জেলার দাগনভূইঞা থানার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী ইসরাফিল মিয়ার ছেলে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হওয়ার সুবাদে ছাত্রজীবন থেকেই জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটির কার্যনির্বাহী সদস্যর। যুক্তরাজ্যে উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের পর ১৯৯৮ সালে কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেন সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। তৈরি করেন ‘কার কেয়ার সেন্টার এলএলসি’ এবং ‘মুন অটো মোবাইল এলএলসি’সহ দশটি প্রতিষ্ঠান সম্মিলিত "নেফলেক্স গ্রুপ অফ কোম্পানিস"। দেশ ও প্রবাসের বেশকিছু সামাজিক সংগঠনের সাথেও জড়িত রয়েছেন ব্যবসায়ী এ কে আজাদ। এছাড়াও, তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরতসহ প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠানোয় উদ্বুদ্ধ করছেন এই বাংলাদেশি।

post
এনআরবি সাফল্য

পর্তুগালে বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমের স্থাপত্য প্রদর্শনী

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে দেশটির শীর্ষ সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কালচারাল সেন্টার বেলেই-এর মিউজিয়াম অব কনটেম্পোরারি আর্ট সেন্টারে বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম-এর ‘উপকরণ, পরিবর্তন এবং বাংলাদেশের স্থাপত্য’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘন ঘন বন্যা সৃষ্টি হওয়া অঞ্চলগুলোতে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে টিকিয়ে রাখার জন্য খুদি বাড়ি নামক একটি ঘরের নকশা তৈরি করেন মেরিনা তাবাসসুম। স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে এই ঘর তৈরি করা যায়, ঘরগুলো সহজে স্থানান্তরও করা যায়। তার এই নকশায় পরীক্ষামূলকভাবে কিছু ঘর তৈরি করা হয়েছিল চাঁদপুরের চর হিজলায় এবং এতে মৌসুমী বন্যা থেকে সেখানে বসবাসকারী পরিবারগুলো পরিত্রাণ পেয়েছিল।

post
এনআরবি সাফল্য

দুবাইতে সফল প্রবাসী মোজাম্মেল হক

কুমিল্লা চান্দিনার মহিচাইল ইউনিয়নের হারলদা গ্রামের হাজী মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের ছেলে মোঃ মোজাম্মেল হক। প্রায় ১০ বছর সৌদি আরবে ব্যবসা করে সফলতা অর্জনের পর,২০২১ সালে আমিরাতে শুরু করেন নতুন ব্যবসা। দুবাইতে তিনি একে একে তৈরি করেন "ইয়ামিন টেকনিক্যাল সার্ভিস এলএলসি ও এমডি নাহিদ মোবাইল ফোন এন্ড ইলেকট্রনিক্সসহ চারটি প্রতিষ্ঠান। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন প্রায় একশো বাংলাদেশীর। মোজাম্মেল হকের প্রতিষ্ঠান "ইয়ামিন টেকনিক্যাল সার্ভিস" থেকে সকল প্রকার মেনটেনেন্স এর কাজ করা হয়। এছাড়াও "এমএস ট্রাভেল এন্ড টুরিজম" থেকে সব ধরনের টিকেটিং, দুবাইয়ের এমপ্লয়মেন্ট ভিসা, পার্টনার ভিসা, মাল্টিপল ভিসা ও ওমরা ভিসাসহ সকল ধরনের ভিসা প্রসেসিং করা হয়। চান্দিনা প্রবাসী কল্যাণ সংগঠন সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোজাম্মেল। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের সাথেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন, সফল এই রেমিটেন্স যোদ্ধা।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.