post
এনআরবি সাফল্য

মালয়েশিয়ায় সফল গবেষকের স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশি তারিকুল

মালয়েশিয়ায় সফল গবেষকের স্বীকৃতি পেয়েছেন অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম। বুধবার (১৮ মে) ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া (ইউকেএম) এর ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আব্দুল ওয়াহাব মোহাম্মদের হাত থেকে স্বীকৃতি সনদ ও অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন তারিকুল ইসলাম। আরো পড়ুন- যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণার গল্প শোনালেন আবুবকর হানিপএসময় উপস্থিত ছিলেন- রিসার্চ ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের ডিরেক্টর প্রফেসর ড. ইসমানিজান ইসমাইল। তারিকুল ইসলাম এ বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি গবেষকরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। এতে ইউকেএম ও মালয়েশিয়াতেও এর ব্যতিক্রম নয়। তারিকুল একটি গবেষণা গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার অধীনে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা গবেষণার কাজে নিয়োজিত আছেন। ইউকেএম-এ তার গবেষণাগার পৃথিবীর উন্নত দেশের সমতুল্য ও এই গবেষণাগার ইন্ডাস্ট্রি বিভিন্ন মেজারমেন্ট করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তিনি এই স্বীকৃতিতে অনেক আনন্দিত। বাংলাদেশি গবেষকদের সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানান তিনি।তারিকুল ইসলাম ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার (ইউকেএম) ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক ও সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও জাপানের কিউশু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একজন ভিজিটিং প্রফেসর। তিনি অ্যান্টেনা, মেটাম্যাটেরিয়ালস ও মাইক্রোওয়েভ ইমেজিং সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রায় ৫০০টি গবেষণা জার্নাল নিবন্ধের লেখক ও ২২টি ইনভেন্টরি পেটেন্ট দাখিল করেছেন। এরই মধ্যে অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম বেশ কয়েকটি স্বর্ণপদক পেয়েছেন। বহু বছর ধরে ইইকেএমএর-এর শীর্ষ গবেষক হিসেবে রয়েছেন। তিনি প্রায় ৩০ জন পিএইচডি ২০ জন এম এসসি থিসিস তত্ত্বাবধান করেছেন। তিনি ১০টিরও বেশি পোস্টডক্স ও ভিজিটিং গবেষককে পরামর্শ দিয়েছেন।প্রফেসর তারিকুল নটরডেম কলেজ ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি স্তন ও মাথার টিউমারের মতো রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রের জন্য জাপান, সৌদি আরব, কুয়েত এবং কাতারের মতো বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতামূলক গবেষণা পরিচালনা করছেন। তিনি ন্যানো স্যাটেলাইটের জন্য ছোট অ্যান্টেনা উন্নয়নেও সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। ‘মালয়েশিয়া রিসার্চ অ্যাসেসমেন্ট’ যা ২০০৬ সালে প্রথম চালু হয়েছিল মালয়েশিয়ায় গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতির মাধ্যমে গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ক্ষমতায়নের জন্য একটি এজেন্ডা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ইউকেএম ২০০৬ সাল থেকে গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষিত ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি।

post
এনআরবি সাফল্য

সাউথ অ্যালাবামা ভার্সিটির সিনেট প্রেসিডেন্ট হলেন ড. দেলোয়ার

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ অ্যালাব্যামার ফ্যাকাল্টি সিনেটের প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন ড. দেলোয়ার হোসেন আরিফ। ভিনদেশি এবং অশ্বেতাঙ্গ শিক্ষকদের মধ্যে তিনিই প্রথম এ পদে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় অংশিদারিত্ব শাসনের আলোকে ফ্যাকাল্টি সিনেট শিক্ষকদের দাবি দাওয়া এবং সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে কাজ করে। ড. দেলোয়ার এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বিভাগের ডিজিটাল সাংবাদিকতার একজন সহযোগী অধ্যাপক। একই সাথে তিনি সাংবাদিকতার প্রোগ্রাম কোঅরডিনেটোর হিসাবে কাজ করছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে তিনিই প্রথম কোন অশ্বেতাঙ্গ ফ্যাকাল্টি সিনেট প্রেসিডেন্ট। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কালিকচ্ছে জন্মগ্রহণকারী ড. দেলোয়ারের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলিম বাদশা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করে তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা এবং রয়টার্সে কাজ করেন। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর আগে ড. দেলোয়ার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করেছেন।

post
এনআরবি সাফল্য

প্রবাসী চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. মনির হোসেনের বই ‘ক্রিয়েট দ্যা ওয়ার্ল্ড উইদাউট ডিজিস’ সাড়া ফেলেছে

প্রবাসী চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. মনির হোসেন খানের ‘ক্রিয়েট দ্যা ওয়ার্ল্ড উইদাউট ডিজিস’ বইটি আমেরিকা ও কানাডায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পৃথিবীকে কীভাবে রোগবিহীন করে তোলা যায়, মানবদেহে ওষুধ প্রয়োগ না করে কীভাবে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায় সেই চিন্তা থেকেই প্রবাসী চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. মনির হোসেন খান তার দীর্ঘদিনের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা ও গবেষণা থেকে বইটি লিখেছেন। আমেরিকার ‘অথর হাউস’ প্রকাশনী থেকে বইটি বের হয়েছে।বইটিতে মানবদেহের অলৌকিক পদ্ধতি সম্পর্কে লেখা হয়েছে যার দ্বারা ‘রোগবিহীন বিশ্ব’ পাওয়ার আশা করেছেন লেখক ডা. মুনির হোসেন খান। বইটি সাধারণ মৌলিক বৈজ্ঞানিক তথ্যের সংমিশ্রণ ও গবেষণালব্ধ জ্ঞান দিয়ে লেখক দেখিয়েছেন- কোনো কারণে আমাদের শরীরে আলফা-২ ম্যাক্রোগ্লোবুনিল-এ২এম-এর পরিমাণ কম থাকলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। শরীরে এ২এম-এর পরিমাণ স্বাভাবিক রাখার জন্য আমাদের করণীয় দিকগুলো তিনি বইটিতে তুলে ধরেছেন। ডা. মুনির হোসেন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমার দীর্ঘ ৩১ বছরের বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখেছি, মানবদেহের রক্তে এই এ২এম প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকলে আমাদের কোনো না কোনো রোগ দেখা দিতে থাকে। কারণ বেশিরভাগ রোগ শুরু হয় প্রায় ৫০০ ধরনের রাসায়নিক পদার্থের (প্রোটিয়াস) কোনো না কোনো একটি বা একাধিক প্রোটিয়াসের (অতিরিক্ত পরিমাণ) বিষক্রিয়ার কারণে। এ২এম পদ্ধতি এসব অতিরিক্ত প্রোটিয়াস আমাদের অজান্তেই সর্বক্ষণ শরীর থেকে প্রতিনিয়ত বের করে দিয়ে সুস্থ রাখে। আশ্চর্যজনকভাবে দেখা যায়, সৃষ্টিকর্তা এই এ২এম দিয়েছেন প্রাণিজগতের সব প্রাণীর মধ্যে একটি জীবনরক্ষাকারী প্রোটিন হিসেবে। তিনি আরও বলেন, আমার উদ্ভাবিত পদ্ধতি কিছু সাধারণ ও সহজলভ্য খাদ্যতালিকা অনুসরণ করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায় ৪৬৫ জন (৩০–৮২ বছর) গত ৬ বছর ধরে সম্পূর্ণ সুস্থভাবে জীবনযাপন করছেন। আশ্চর্যজনকভাবে এদের কারোরই কোনোরকম শারীরিক সমস্যা যেমন- জ্বর, সর্দি অথবা কাশিও হয়নি। এমন কি ৪৬৫ জনের কেউই করোনায় আক্রান্ত হননি। অথচ ৬ বছর আগেও এদের মধ্যে বেশিরভাগেরই কোনো না কোনো শারীরিক অসুস্থতা ছিল। আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডা. মোহাম্মদ মুনির হোসন খান আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভেনিয়া ও চিলড্রেনস হসপিটাল অফ ফিলাডেলফিয়ায় ফ্যাকাল্টি পজিশন নিয়ে কর্মরত ছিলেন।ডা. মুনির স্যার সলিমুললাহ মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে এমবিবিএস পাস করে জাপানের কুমামতো ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন থেকে থেকে ১৯৯৩ সালে পিএইচডি (ইমমিউনোলজি ও মলিকিউলার প্যাথোলজি) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপ নিয়ে ইউনাইটেড স্টেট অফ আমেরিকা ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া এবং টেম্পল ইউনিভার্সিটিতে যৌথ প্রজেক্টে কর্মরত ছিলেন। এ পর্যন্ত তিনি ৪৪টি পিয়ার রিভিউ জার্নালে পাবলিকেশন ও চারটি বই লিখেছেন। ক্রিয়েট দা ওয়ার্ল্ড উইদাউট ডিজিস তার চতুর্থ বই। দুই সন্তানের জনক ডা. মুনির হোসেন খান বর্তমানে আমেরিকায় অবসর জীবনযাপন করে বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। ইতোমধ্যে আমেরিকা ও কানাডার বিভিন্ন শহরে তার তার লিখিত বইটি ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। তার পদ্ধতি গ্রহণ করে অনেকেই দিন দিন উপকৃত হচ্ছেন। বইটির লিংক- https://www.authorhouse.com/en/bookstore/bookdetails/839007-create-the-world-without-disease এ২এম পদ্ধতি দই– ১ কাপ, কুচি করে কাটা কাঁচা রসুনের কোয়া ২টি, কাঁচা আদা- কুচি করে কাটা (১ চামচ), কালোজিরা – ১ চামচ, পুদিনা পাতা – ৬টি কুচি করে কাটা, মধু- আধা চামচ, লবঙ্গের গুড়া- আধা চামচ, হলুদের গুড়া- আধা চামচ, যেকোনো বেরি জাতীয় ফল ৬টি, আঙুর ৬টি, খেজুর ১টি, ডুমুর ১টি কুচি করে কাটা, ২টি লেবুর রস, ডিম ১টি। এসব খেতে হবে কাঁচা, কোনো অবস্থাতেই তাপ ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় তিন লিটার পানি খেতে হবে। কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। ধূমপান ও যেকোনো নেশা জাতীয় পদার্থ বর্জন করতে হবে।

post
এনআরবি সাফল্য

মালদ্বীপে কৃষি শিক্ষা স্কুল উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশি

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আহমেদ মোত্তাকি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরের মিয়াবাড়িতে বেড়ে ওঠা আহমেদ মোত্তাকী তরুণ বয়সে পারিবারিক সূত্রে পাড়ি জমান মালদ্বীপে। প্রথমে তার প্রবাস জীবন শুরু হয় মালদ্বীপের আমিনিয়া স্কুলের ব্যবসায়িক সাবজেক্টের প্রধান হিসেবে। ১৯৯৪-২০১০ সাল পর্যন্ত সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করলেও নিজের মধ্যে একটি অস্থিরতা কাজ করতো সবসময়। কারণ শিক্ষকতার পাশাপাশি সময় থেকেই নিজে কিছু করতে চাইতেন। তিনি জানতেন সফলতার জন্য প্রয়োজন দৃঢ় মনোবল এবং কঠোর পরিশ্রম। আর এসবের মাধ্যমেই একজন মানুষ হয়ে ওঠে সেরাদের সেরা। তিনি একজন মালদ্বীপ-বাংলাদেশি উদ্যোক্তা। গত ৩০টি বছর ধরে অবস্থান করছেন মালদ্বীপে। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। ২০০৬ সালে মালদ্বীপে নিজ মালিকানায় প্রতিষ্ঠা করেন মিয়াঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ। তার বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কোম্পানি মিয়াঞ্জ ফুডস, স্কয়ার, বেঙ্গল মিট, এসিআই এবং আকিজ বেভারেজের (স্পিড কার্বনেটেড ড্রিংক) একমাত্র পরিবেশক ছিলেন মিট স্টিট রেস্টুরেন্ট মিয়াঞ্জ ইনভেস্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের অধীনে। শুরুর দিকে খুব একটা ভালো করে উঠতে না পারলেও সেই সময় অনেকটা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন তিনি। ২০০৬ সলের শেষের দিকে এমআই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন, তার বছর খানেক বাদে ঘুরে দাঁড়ায় তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি আহমেদ মোত্তাকিকে। বর্তমানে মালদ্বীপের বিভিন্ন দ্বীপে তার এমআই কলেজের ১৭টি শাখা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ মে মালদ্বীপের ঐতিহাসিক আড্ডু শহরে বাংলাদেশী শিক্ষা উদ্যোক্তা আহমেদ মুত্তাকির উদ্যোগে এমআই কলেজের স্কুল অব এগ্রিকালচারের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। এ আন্তর্জাতিক কলেজের কৃষি ফ্যাকাল্টি হিসেবে আড্ডু শহরে এমআই কলেজ স্কুল অফ এগ্রিকালচার আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেন|  

post
এনআরবি সাফল্য

প্যাটারসন সিটি কাউন্সিলের নির্বাচনে জয়ী বাংলাদেশি ফরিদউদ্দিন

নিউজার্সি স্টেটের প্যাটারসন সিটি কাউন্সিলের নির্বাচনে ‘সিটি কাউন্সিল এ্যাট লার্জ’ পদে জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি আমেরিকান মো. ফরিদউদ্দিন। ১০ মে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে গিলমান চৌধুরী নামক আরেক বাংলাদেশি লড়েন কিন্তু জয়ী হতে পারেননি। উল্লেখ্য, উভয়েই সিলেটের গোলাপগঞ্জের সন্তান এবং কম্যুনিটি ঐক্যবদ্ধ হলে দু’জনই জয়ী হতে পারতেন বলে এলাকার অভিজ্ঞজনরা মনে করছেন। কারণ, ‘সিটি কাউন্সিল এ্যাট লার্জ’র ৩ আসনের জন্য ভোট হয়েছে। চার বছর মেয়াদি এ নির্বাচনে প্যাটারসন সিটির মেয়র পদে পুনরায় জয়ী হয়েছেন আন্দ্রে সায়েঘ। সিরিয়ান বংশোদ্ভূত আন্দ্রে তার সকল প্রতিদ্বন্দ্বীর মোট ভোটেরও অধিক পেয়েছেন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে। অপরদিকে, প্যাটারসনের হাই স্কুল শিক্ষক মো. ফরিদ বিজয় ছিনিয়ে নিতে নিজের সঞ্চিত ৫০ হাজার ডলার ব্যয় করেন। এটি হচ্ছে সিটি মেয়রের সমান্তরাল একটি পদ অর্থাৎ পুরো সিটির উন্নয়ন-কল্যাণে মেয়রকে পরামর্শ দেবেন এবং নিজের পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়িত করার সক্ষমতা রাখবেন। এই সিটির একটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলম্যান হিসেবে আগেই নির্বাচিত হয়ে আছেন শাহীন খালিক। তিনিও সিলেটের সন্তান। নিউইয়র্ক সিটি সংলগ্ন প্যাটারসনে বসবাসরত প্রবাসীদের ৮০% হলেন সিলেটি। রাজনীতির পাশাপাশি তারা সকলেই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত। পেশাগতভাবে নতুন প্রজন্মের অবস্থানও সংহত। এখন তারা রাজনীতিও প্রশাসনে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত হচ্ছেন। ফরিদউদ্দিন নিজের অনুভূতি ব্যক্তকালে এ সংবাদদাতাকে বলেন, এ বিজয় বাঙালিদের এবং এই সিটিতে বাংলাদেশিদের সামগ্রিক উন্নয়নকে আমি অবশ্যই প্রাধান্য দেব। বিরাজমান সমস্যার সমাধানে সাধ্যমত চেষ্টা করবো। নতুন প্রজন্মের এই উত্থানকে স্বাগত জানিয়ে ‘আমেরিকা-বাংলাদেশ এলায়েন্স’র প্রেসিডেন্ট এম এ সালাম বলেন, ‘জাতিগতভাবে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারি তাহলে প্যাটারসনের মেয়র পদটিও দখলে সক্ষম হবো। আশা করছি ব্যাপারটি সকলে বিশেষ দৃষ্টিতে নিয়ে এখন থেকেই কাজ শুরু করবেন।’

post
এনআরবি সাফল্য

পিপলএনটেকে শুরু হতে যাচ্ছে পাইথন ও জ্যাঙ্গো'র বিশেষ ব্যাচ

বাংলাদেশের স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেকে শুরু হচ্ছে ওয়েব এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ইন পাইথন এন্ড জ্যাঙ্গ'র বিশেষ ব্যাচশুরুতে জেনে নেই পাইথন কি! কম্পিউটার দিয়ে কাজ করাতে গেলে কম্পিউটার বুঝতে পারে, এমন ভাষায় তাকে নির্দেশ দিতে হয়। এটাই প্রোগ্রামিং ভাষা। প্রোগ্রামিং ভাষা অনেক রয়েছে এবং নিত্যনতুন তৈরি হচ্ছে। তবে অল্প কয়েকটি ভাষাই প্রোগ্রামারদের কাছে জনপ্রিয় হতে পেরেছে। তেমন একটি প্রোগ্রামিং ভাষা হচ্ছে পাইথন। এর জনক গুইডো ভন রুযাম। ১৯৮৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বড়দিনের ছুটিতে তিনি পাইথন তৈরি করা শুরু করেন। তবে পাইথন বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ২০০০ সালে, ২.০ সংস্করণ চালু হওয়ার পরে। বর্তমানে পাইথনের ২.৭ এবং ৩.৪ সংস্করণ চালু রয়েছে।বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় Web Language হচ্ছে Python.অনেকেই ধারনা করছেন যে ভবিষ্যতে Laravel এর পরে Python হতে যাচ্ছে ভবিষ্যতের ওয়েব ডেভেলপারদের পছন্দের জায়গা। এমনকি Instagram এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া কিন্তু বর্তমানে Python নির্ভর। আর তাই তো ভবিষ্যতের এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে PeopleNTech Institute of IT নিয়ে এসেছে Web Application Development in Python and Django এর বিশেষ ব্যাচ। ভর্তির জন্য এখনই Registration করে ফেলুন- https://forms.gle/Z5jSKYEihBV2t1zt9যোগাযোগ করুনঃ 01799 446655,01885 981250, 01611 446699 ১৫১/৭, গুডলাক সেন্টার(৭ম ও ৮ম তলা), পান্থপথ সিগন্যাল, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২০৫ভিজিট করুনঃ https://www.peoplentech.com.bdনিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুনঃ- YouTube: youtube.com/channel/UCFsCGU6vp4LApX1wzf0dpUQ- Facebook Page: https://facebook.com/peoplentech/- Facebook Group:https://facebook.com/groups/peoplentechbd/

post
এনআরবি সাফল্য

লন্ডনে টানা চতুর্থবারের কাউন্সিলর হবিগঞ্জের মেয়ে সমতা

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের মেয়ে সমতা খাতুন টানা চারবারের মতো লন্ডন সেন্ট প্যানক্রাস ও সামার্স টাউনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। গত ৫ মে বিপুল-উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাজ্যের স্থানীয় নির্বাচন। এ নির্বাচনে চুনারুঘাটের গর্ব সমতা খাতুন টানা চতুর্থবারের মতো লন্ডন কেমডেন বারার সেন্ট প্যানক্রাস ও সামার্স টাউন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। লন্ডনের দ্বিতীয় বাঙালি অধ্যুষিত শহর কেমডেনের এই ওয়ার্ড থেকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট তিনজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এদের মধ্যে সমতা খাতুন লেবার পার্টি থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৭৪ পেয়ে নির্বাচিত হন। এছাড়া এডমাউন্ড ফ্রন্ডিগাউন (লেবার) ১ হাজার ৮৪৫ ও শাহ মিয়া (লেবার) ১ হাজার ৭৯৯ ভোটে জয়লাভ করেন। সমতা খাতুন চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের মরহুম হাজি আলী আসকর জমাদারের মেয়ে এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও চুনারুঘাট অ্যাসোসিয়েশন ইউকের সভাপতি মো. গাজীউর রহমান গাজীর ছোট বোন। তার শশুরবাড়ি বানিয়াচং উপজেলার সাগরদীঘি পশ্চিমপাড় গ্রামের খানবাড়িতে। তার স্বামী সাজ্জাদ হোসেন খান টিপু সাবেক মন্ত্রী সিরাজুল হোসেন খানের ভাতিজা। তিনিও একজন সফল ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও কমিউনিটির প্রিয়মুখ। বর্তমানে সমতা খাতুন লন্ডনের কেমডেনে স্বামীসহ দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। সমতা খাতুন সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন যেন তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেন। 

post
এনআরবি সাফল্য

লিসবনে প্রবাসী বাংলাদেশির উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে সেগুনদা ভিদা (Segunda Vida) নামক পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। রবিবার লিসবনের সেন্টারে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ক্যাম্পাস আরোইশ উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার বাইতুল মোকাররম জামে মসজিদের সভাপতি রানা তাসলিম উদ্দিন, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জসিম, বরিশাল কমিউনিটির সভাপতি শাহীন সাঈদ, লিসবনের বাইতুল মোকাররম জামে মসজিদের খতিব অধ্যাপক আবু সাঈদ, পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী, সাবেক সভাপতি রনি মোহাম্মদ, সহ-সভাপতি এফ আই রনি ও তারিকুল হাসান আশিক, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার এইচ খান ফাহিম, অর্থ সম্পাদক জাহিদ কায়সার সহ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীবৃন্দ। পর্তুগাল প্রবাসী মারিয়া আলীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কাজী মাহমুদ আনিস উক্ত প্রতিষ্ঠান নিয়ে তার স্বপ্ন পরিকল্পনার কথা সকলের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন এবং প্রতিষ্ঠানটি পর্যায়ক্রমে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষা কোর্স ছাড়াও ধর্মীয় শিক্ষা এবং প্রবাসী শিশুদের বাংলা শিক্ষা কার্যক্রম স্বল্প সময়ের মধ্যে চালু করার বিষয়ে সকলকে অবহিত করেন তিনি। অতিথিদের মধ্যে রানা তসলিম উদ্দিন বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবস্থানকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে। একই সাথে তিনি ধর্মীয় শিক্ষা এবং বাংলা শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং এ বিষয়ে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জহুরুল ইসলাম জসিম বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি মহতী উদ্যোগ। বাংলাদেশিরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনের সাথে সাথে ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে প্রবাসে দেশের আলো ছড়াচ্ছে যা আমাদের জন্য গৌরবের। স্থানীয় ভাষা শিক্ষার প্রতি তিনি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। অনুষ্ঠান শেষে মাওলানা অধ্যাপক আবু সাঈদ দোয়া ও মোনাজাত করেন এবং আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

post
এনআরবি সাফল্য

রত্নগর্ভা সম্মাননা পেলেন প্রবাসী সোহাগের মা

বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ক্যালগেরি প্রবাসী সোহাগ হাসানের মা এ বছর রত্নগর্ভা সম্মাননা পেয়েছেন। মা দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানে যে ২৫ জন রত্নগর্ভা মাদের সম্মাননা দেওয়া হয় তারমধ্যে সোহাগ হাসানের মা ফয়েজুন্নেছা বেগম অন্যতম।আট সন্তানের জননী ফয়েজুন্নেছার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আব্দুল সাত্তার। তিনি বর্তমানে চাঁদপুরে বসবাস করেন। এই দম্পতির আট সন্তানের প্রত্যেকেই দেশে বিদেশের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষিত হয়ে স্ব-স্ব স্থানে দেশে-বিদেশে মর্যাদা সম্পন্ন চাকরিতে নিয়োজিত রয়েছেন। ভাই বোনের মধ্যে সোহাগ হাসান পঞ্চম।প্রবাসী সোহাগ হাসানের বড় ভাই ইসমে আজম পনির আমেরিকা থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বিএসসি এবং এমবিএ সম্পন্ন করে দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকার এটিএন টির প্রিন্সিপাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। অন্যদিকে সোহাগ হাসান বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে আলবার্টার সাউদার্ন আলবার্টা ইনস্টিউট অফ টেকনোলজি থেকে পিপিডি ডিগ্রি সম্পন্ন করে বর্তমানে আগাড ওয়েল এন্ড গ্যাস ল্যাবে কর্মরত রয়েছেন।ফয়েজুন্নেছার বাকি ছয় সন্তানের মধ্যে জান্নাতুল মাওয়া চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বর্তমানে একটি বেসরকারি এনজিও তে কর্মরত। এ এস এম মঈন ডুয়েট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) সম্পন্ন করে বর্তমানে ঢাকা আনোয়ার গ্রুপে ডিরেক্টর (অপারেশন) কর্মরত। গাউছুল আজম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএসএস সম্পন্ন করে বর্তমানে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। আহসান হাবীব জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এম এ ও পরবর্তীতে ডিপ্লোমা ইন মাল্টিমিডিয়া সম্পন্ন করে বর্তমানে ক্লিক অন মার্কেটিং কমিউনিকেশনস লিমিটেডে ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন। জান্নাতুল নাঈম ইডেন মহিলা কলেজ থেকে (সমাজ বিজ্ঞান) এএমএ সম্পন্ন করে সামাজিক সেবা কার্যক্রমে নিয়োজিত। রত্নগর্ভা ফয়জুন্নেসার সর্বকনিষ্ঠ সন্তান জান্নাতুল ফেরদাউস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে (উদ্ভিদবিজ্ঞান) এমএসসি এবং পিএইচডি সম্পন্ন করে বর্তমানে রাজশাহী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।মা রত্নগর্ভা সম্মানে ভূষিত হওয়ার পর ফয়েজুন্নেছার বড় সন্তান ইসমে আজম পনির গণমাধ্যমকে বলেন, সন্তানরা মাকে ঘিরেই ভালোবাসার পৃথিবী রচনা করে। মাকে খুশি করাই সব সন্তানের ব্রত হওয়া উচিত। ছোট বেলা থেকেই দেখেছি কিভাবে মা তার শাসন আর ভালোবাসা দিয়ে আমাদের আগলে রেখেছেন।আবেগে আপ্লুত হয়ে কন্ঠশিল্পী সোহাগ হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রবাসে প্রতিটা ক্ষণ যাকে খুব মিস করি, যার কল্যাণে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখা সেই মা আজ রত্নগর্ভা সম্মাননা নিচ্ছে এর চাইতে বড় আনন্দ সন্তানের আর কিছুই হতে পারে না। নৈতিক চরিত্র ও মূল্যবোধের শিক্ষা সন্তানকে মাই দিয়ে থাকেন। একজন আদর্শ মা সন্তানের পাশে থাকেন বিপদে বন্ধু হিসেবে। হতাশায় আশার আলোকবর্তিকা হয়ে। অসহায় অবস্থায় অভিভাবক হয়ে। সর্বোপরি সকল পরিস্থিতিতে স্নেহ-দয়া ও ভালোবাসার অপার ভাণ্ডার হলেন মা। সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।রত্নগর্ভা সম্মাননা পাওয়ায় আবেগে আপ্লুত ফয়েজুন্নেছা বলেন, আমিও কোন মায়ের সন্তান। এই আনন্দ সব সন্তানদের আনন্দ। পৃথিবীর সব মায়েদের আনন্দ। আমাদের মনে রাখা উচিত, আজ যিনি সন্তান, তিনিই আগামী দিনের বাবা কিংবা মা। বৃদ্ধ বয়সে এসে মা-বাবারা যেহেতু শিশুদের মতো হয়ে যায়, তাই তাদের জন্য সুন্দর জীবনযাত্রার পরিবেশ তৈরি করাই সন্তানের কর্তব্য। এ সময় তিনি রত্নগর্ভা সম্মাননা দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

post
এনআরবি সাফল্য

টাওয়ার হ্যামলেটসে মেয়র হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত লুৎফুর রহমান

বাঙালি অধ্যুষিত লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসে আবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত লুৎফুর রহমান।শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে নতুন মেয়র নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ভোটে তিনি বর্তমান মেয়র লেবার পার্টির জন বিগসকে প্রায় সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান।জন বিগস গত সাত বছর ধরে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।এর আগে ২০১৪ সালে টাওয়ার হ্যামলেটসে দ্বিতীয়বারের মত মেয়র পুনর্নির্বাচিত হয়েছিলেন লুৎফর। তবে পরের বছর ভোট জালিয়াতি করে মেয়র হয়েছিলেন বলে প্রমাণিত হওয়ায় তখন নতুন করে ভোট হয়; যাতে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।২০১০ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশি অধ্যুষিত বারা কাউন্সিলে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।২০১৪ সালের ভোটে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ আদালত পর্যন্ত গড়ায় এবং তাকে মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়। এ কারণে গত পাঁচ বছর তিনি নিবা‍র্চনে অংশ নিতে পারেননি।বির্তকিত লুৎফুরের বিরুদ্ধে উগ্র ইসলামি গোষ্ঠীকে মদদ দেওয়ার পাশাপাশি লন্ডনে থাকা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও রয়েছে।এবার বৃহস্পতিবারের ভোটে আসপায়ার দলের প্রার্থী লুত্‌ফুর পেয়েছেন ৪০ হাজার ৮৮৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিগস পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৮৭ ভোট। নির্বাচনে মোট ভোট পরে ৮৬ হাজার ৯টি।বিজয়ী হওয়ার পর লুৎফুর বলেন, “জনগণ আমাকে ও আমার দলকে আরেকবার সুযোগ দিয়েছেন টাওয়ার হ্যামলেটসকে এবং আমাদের ভবিষ্যতকে রিবিল্ড করতে। আমি সকল কমিউনিটর প্রত্যেককে সেবা দিতে চাই। আমি বাঙালি, অবাঙালি, সাদা-কালো সকল কমিউনিটির মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ তারা দলে দলে এসে ভোট দিয়েছেন।“বারার মানুষের উপর আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে। তারা কোনটি সঠিক কোনটি ভুল তা বুঝতে পারেন। আমার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডার পরেও তারা আমাকে বিশ্বাস করেছেন। আমার উপর বিশ্বাস রেখেছেন।“প্রথম দফা প্রথম পছন্দের ভোট গণনায় লুত্‌ফুর ভোট পান ৩৯ হাজার ৫৩৩ এবং বিগস পান ২৭ হাজার ৮৯৪ ভোট। দুই প্রাথী‍র্র কেউ মোট ভোটের ৫০ শতাংশের ভোট পাননি তাই আবার দ্বিতীয় পছন্দের ভোট গণনা হয়।এতে দ্বিতীয় পছন্দের ভোটেও লুৎফুর এগিয়ে যান, যা মোট ভোটের ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ। পরে তাকে নিবা‍র্চিত ঘোষণা করা হয়। তৃতীয় প্রার্থী লিবডেমের রাবিনা খান পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৩০ ভোট।শনিবার টাওয়ার হ্যামলেটসের কাউন্সিলরদের নিবা‍র্চনের ভোট গণনা করা হবে। ৪৫টি কাউন্সিলার পদে লেবার ও লুৎফুররে আসপায়ার দলসহ অন্যান্য দলের প্রাথী‍ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.