post
এনআরবি সাফল্য

আইসিটি অধিদপ্তরের সাথে পিপলএনটেকের সমঝোতা স্মারক সই

হারুন উর রশিদ : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সাথে বাংলাদেশের স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৩ টায় রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি ভবনে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো: সামসুল আরেফিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির প্রতিষ্ঠাতা ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সামসুল আরেফিন বলেন, আমরা তথ্য প্রযুক্তিতে যত বেশি জনবল তৈরি করতে পারব তত বেশি দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। আমি আশা করছি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে ও দক্ষ জনবল তৈরি করতে আইসিটি বিভাগ ও পিপলএনটেক একসাথে কাজ করবে।এছাড়াও বিদেশের মাটিতে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি গড়ার জন্য চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপকে ধন্যবাদ জানান তিনি।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেন, আইটিকে প্রধানতম স্তম্ভ হিসাবে তৈরি করলে আমাদের গার্মেন্টসের ওপর নির্ভর করতে হবে না, প্রবাসী রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করতে হবে না।তিনি বলেন, আমি আমার ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আইসিটি বিভাগ যেভাবে গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে জনগণের নিকট আইটি শিক্ষা পৌঁছে দিচ্ছে এতে করে আইটি খাতকে বাংলাদেশের প্রধান স্তম্ভ হিসেবে তৈরী করা সম্ভব হবে।চ্যান্সেলর হানিপ বলেন, আমেরিকান অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগেই একাডেমিক দিকটাকে বেশি জোর দেওয়া হয়ে থাকে। ফলে সেখান থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভের পর একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি লেভেলে চাকরি নিতে হয়। কিন্ত আমি ট্রিপল মিশন নিয়ে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি গড়েছি, সেখানে ডিগ্রি, দক্ষতা ও চাকুরী। এই বিশ্ববিদ্যলয় থেকে শিক্ষার্থীরা দক্ষতার সাথে বের হয়ে শতভাগ চাকরি পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।তিনি আরো বলেন, ’শিক্ষার্থীরা আমেরিকার বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, কলোম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে এসে পড়শোনা করছে। শুধু দক্ষ হয়ে চাকরী পাবার আশায়। গত ২০ বছরে আমি পিপলএনটেকের মাধ্যমে আমেরিকার মূল ধারায় ১০ হাজার দক্ষ ব্যক্তিতে চাকরি দিয়েছি যারা ১০০ থেকে ২০০ হাজার ডলার ইনকাম করছে।'ইঞ্জিনিয়ার হানিপ আরো বলেন, সমঝোতা স্মারকের লক্ষ্য আইটি কে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পিপলএনটেক ও আইসিটি অধিদপ্তরের দক্ষ জনবল একসাথে কাজ করবে এমন টায় প্রত্যাশা।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: মোস্তফা কামাল, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসাইন খান লিওন, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক ফাতেমা তুজ জোহরা, পিপলএনটেকের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা, ডেপুটি ব্যবস্থাপক (অপারেশন) শেখ আহমেদ প্রমুখ।উল্লেখ্য, পিপলএনটেক প্রথম ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি স্টেট কাউন্সিল অব হায়ার এডুকেশান ভার্জিনিয়া (SCHEV) থেকে অনুমোদন প্রাপ্ত এবং NYCDCA অথরাইজড রিক্রুটিং এজেন্সি।পিপলএনটেক’র শিক্ষণ-শিখন এবং জব প্লেসমেন্ট পদ্ধতি ইতোমধ্যেই একটি সফল মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।বর্তমানে পিপলএনটেক ইনস্টিটিউটে ৬০টির অধিক বিষয়ে প্রশিক্ষণসহ সফটওয়ার টেস্টিং, ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রাশন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশান টেস্টিং, বিজনেস অ্যানালিস্ট, প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও প্রোফেশনাল ফ্রিল্যান্সিং তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

post
এনআরবি সাফল্য

এফআইআরসির সাথে ডব্লিউইউএসটি ও জিইএন বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক সই

উদ্ভাবন-গবেষণায় এক সঙ্গে কাজ করে দেশের বেসরকারি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের (এফআইআরসি) সঙ্গে গ্লোবাল এন্টাপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (জিইএন বাংলাদেশ) এবং ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ডব্লিউইউএসটি) সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। শনিবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর হাটখোলায় এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে (এফআইআরসি) এ বিষয়ে আলাদা দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআই –এর সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এছাড়া গ্লোবাল অন্ট্রাপ্রেনরশিপ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. সবুর খান এবং ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি –এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন। গ্লোবাল এন্টাপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (জিইএন বাংলাদেশ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. সবুর খান বলেন, জিইএন বাংলাদেশ সব সময়ই বাংলাদেশের উদ্ভাবন ও গবেষণার ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এফআইআরসির সঙ্গে আমাদের এই সমঝোতা স্মারক সেই লক্ষ্য আরও এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, উভয় প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশের উদ্ভাবন ও গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে ভর্তির যোগ্যতা সম্পন্ন সকল ছাত্র/ ছাত্রী এফবিসিসিআই ইনোভেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টারের মাধ্যমে আবেদন করলে তাদেরকে ৫০% পর্যন্ত টিউশন ফি মওকুফ করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের চাকুরী বাজারে তাদের উচ্চ বেতনে চাকুরির নিশ্চয়তা বিধান করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ।ইঞ্জিনিয়ার হানিপ বলেন, সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার হবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই -এর পরিচালক মো. নিয়াজ আলী চিশতী, সাবেক পরিচালক আক্কাস মাহমুদ, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ, এফআইআরসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

post
এনআরবি সাফল্য

নিউইয়র্কে সহকারী ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি হলেন বাংলাদেশি চৈতি

নিউইয়র্কে ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট কোর্টে সহকারী ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি (এডিএ) পদে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানিজ ফাহমিদা চৈতি। চৈতির বাবা সুজন মিয়া নিউইয়র্কে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। মা সালেহা রত্মা ডেইজি নিউইয়র্ক সিটির স্বাস্থ্য বিভাগের পরিদর্শক ছিলেন। এখন তিনি পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। তাদের একমাত্র মেয়ে চৈতি। এই দম্পতির একমাত্র ছেলে সাকিব চিকিৎসা বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষে এখন ইন্টার্ন করছেন। সিলেটের সুজন-ডেইজি দম্পতি কুইন্সের এলমহার্স্ট এলাকায় বসবাস করেন। কানিজ ফাহমিদা চৈতির দাদার বাড়ি সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলায়। সিলেট শহরে তাদের বাসা চৌকিদেখি। নানার বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায়। চৈতি নিউইয়র্ক সিটি ইউনিভার্সিটির অধীনে বারুখ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করার পর দুই বছর আগে ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসে কাজ শুরু করেন। সেই অফিসেই সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। আগামী বছরের শুরুতে তিনি সহকারী ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ শুরু করবেন। চৈতির মামা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব রহমান বলেন, চৈতি যে পদে নিয়োগ পেয়েছে তাতে প্রতারণা ও হোয়াইট-কলার অপরাধ বিষয়ে অগাধ আইনি জ্ঞান থাকতে হয়। চৈতি তার সেই দায়িত্ব সফলভাবেই পালন করতে পারবেন বলে আশাবাদী।

post
এনআরবি সাফল্য

আইএওটিপি- ২০২৩ সালের শীর্ষ অ্যাটর্নি হিসেবে টাইম স্কয়ারে ভেসে উঠলো মোহাইমিনা হকের ছবি

দুর্দান্ত আইনি সাফল্যের জন্য ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব টপ প্রফেশনালস’ (আইএওটিপি) দ্বারা ২০২৩ সালের শীর্ষ অ্যাটর্নি হিসেবে এ বছরের মার্চ মাসে নির্বাচিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশি মোহাইমিনা হক। ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘দ্য ল অফিস অব মোহাইমিনা হক-পিএলএলসি’র প্রতিষ্ঠাতা তিনি। শীর্ষ অ্যার্টনি হিসেবে স্বীকৃতি পাবার পর এবার মিললো আরেক সম্মাননা। ৮ সেপ্টেম্বর টাইম স্কয়ারের বিশাল স্ক্রিনে ভেসে উঠলো মোমাইমিনার ছবি। অসাধারণ এই মুহুর্তুটির সময় মোহাইমিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মোহাইমিনা ছাড়াও আইএওটিপির সেরা প্রফেশনাল নির্বাচিত সবাই এদিনে উপস্থিত হয়েছিলেন টাইম স্কয়ারে। প্রতিবছরই বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য এই সম্মাননা প্রদান করে থাকে আইএওটিপি। পেশাগত, একাডেমিক কৃতিত্ব ও নেতৃত্বের ক্ষমতাসহ অনুষঙ্গ এবং তাদের সম্প্রদায়ের অবদানের ওপর ভিত্তি করে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। মোহাইমিনা হক একজন দক্ষ উকিল এবং একজন প্রতিভাধর সমস্যা সমাধানকারী। তিনি পরামর্শ থেকে শুরু করে আদালতের প্রতিনিধিত্ব করা পর্যন্ত ব্যাপক সহায়তা প্রদান করে থাকেন। করপোরেট আইন, অভিবাসন আইন, টর্ট আইন (ব্যক্তিগত আঘাত এবং পণ্যের দায়সহ) এবং আরও অনেক ক্ষেত্রেই কাজ করেন তিনি। টনি রোমাস নামক একটি গ্লোবাল রেস্তোরাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজির জেনারেল কাউন্সেল হিসেবে কাজ করেন তিনি। সেখানে কোম্পানির আইনগত এবং সম্মতিমূলক কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করেন এবং কৌশল ও করপোরেট বৃদ্ধির বিষয়ে বোর্ডের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে থাকেন। মোহাইমিনা ‘ওয়াশিংটন কলেজ অব ল’ থেকে মর্যাদাপূর্ণ কাম লাউড ডিস্ট্রিঙ্কশনে স্নাতক অর্জন করেছেন। তিনি পূর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির অফিসে নির্বাচকদের জন্য অভিবাসন মামলায় কাজ করেছেন। এছাড়াও ওবামা প্রশাসনের সময় হোয়াইট হাউজে ইন্টার্নশিপের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেসময় মোহাইমিনা হক মার্কিন রাষ্ট্রপতির কার্যনির্বাহী অফিসে ডোমেস্টিক পলিসি কাউন্সিলে দায়িত্ব পালন করেন।

post
এনআরবি সাফল্য

সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ করবে পিপলএনটেক

স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার মূল চাবিকাঠি হবে ডিজিটাল সংযোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গঠনই বাংলাদেশের পরবর্তী লক্ষ্য।স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে সাইবার সিকিউরিটি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ করবে পিপলএনটেক বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে সাইবার সিকিউরিটি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সাইবার সিকিউরিটি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মূল ক্যাম্পাস হবে ঢাকার কেরানীগঞ্জে, এমনটি ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির সিএফও ফারহানা হানিপ।সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ভার্চ্যুয়াল বাস্তবতা, উদ্দীপিত বাস্তবতা, রোবোটিকস ও বিগ ডেটার মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছে দেশের স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটি। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের তিনটি দেশে দেড় যুগ যাবত কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করে পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটি। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষণ-শিখন এবং জব প্লেসমেন্ট পদ্ধতি ইতোমধ্যেই একটি সফল মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।ঢাকার কেরানীগঞ্জে বেড়ে উঠা ফারহানা হানিফ বর্তমানে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায়। সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে ফারহানা হানিপ পরিবারের প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রেয়ার ইউনিভার্সিটি থেকে ডাবল ব্যাচেলর ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সাইবার সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে এমবিএ, মাস্টার্স ইন লিডারশীপ ম্যানেজমেন্টে পড়ছেন তিনি।  যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোৎকৃষ্ট আইটি কোম্পানিতে দীর্ঘ ২০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে পিপলএনটেক যুক্তরাষ্ট্র, ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশ অফিসের স্বত্বাধিকারী ও প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন তিনি।এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক সেক্টর ও গভমেন্ট সেক্টর নিয়ে কাজের পাশাপাশি ওয়াশিংটন ডিসিতে উইমেন ইমপ্যাক্ট ইন পাবলিক পলিসি (ডব্লিউআইপিপি) সংগঠনের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ভিজিট করেন পিপলএনটেক প্রেসিডেন্ট ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির সিএফও ফারহানা হানিফ।গত ১৬ আগষ্ট বাংলাদেশে আরটিভির ইয়ং স্টার প্রোগামে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার ও তার স্ত্রী মার্সিয়া শিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পিপলএনটেক প্রেসিডেন্ট ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির সিএফও । উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আরটিভির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোরশেদ আলম।এসময় ফারহানা হানিপ বলেন, 'পিপলএনটেক থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে প্রায় আট হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী আইটিতে জব করছে। যার অধিকাংশ'ই হচ্ছেন নারী। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প, বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরী কমিশন ও হাইটেকপার্কের সাথে পিপলএনটেক ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির কার্যক্রমসহ বিভিন্ন প্রকল্প বিষয়ক আলোচনা করা হয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র,বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার অন্যতম একটি সেরা আইটি ট্রেনিং সেন্টারে পরিনত হয়েছে পিপলএনটেক।পিপলএনটেক ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির কার্যক্রম শুনে এসময় উচ্ছ্বসিত হোন বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মুখপাত্র।ভবিষ্যতে পিপলএনটেক ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি নিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার। বাংলাদেশ সহ তিনটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটি। বাংলাদেশের শিক্ষা জীবন সমাপ্তি করা বেকার যুবক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে আইটি শিক্ষায় শিক্ষিত করে স্মার্ট বাংলাদেশের কর্ণধার হতে নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে পিপলএনটেক।বর্তমানে ফারহানা হানিপের স্বপ্ন ঢাকা জেলা ১ ও ২ এলাকার বেকার যুবকদের আইটি শিক্ষায় শিক্ষিত করে স্বাবলম্বী করে তোলা। তিনি বলেন, আমি চাই আমার সবচেয়ে পছন্দের ঢাকা ১ ও ২ এলাকার যুবকদের যেন বিশ্বের অন্য কোন দেশে গিয়ে অড জব করতে না হয়, তাদের স্কিল ডেভলপমেন্ট করার জন্য পিপলএনটেক সর্বদা তাদের পাশে থাকবে এবং আইটি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলে আমরাই চাকুরির ব্যবস্থা করে দিবো।ঢাকা জেলা জিঞ্জিরা এলাকার যুবকদের পড়াশোনার মান এবং তাদের আইটি শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বাংলাদেশি মালিকানায় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করেন পিপলএনটেকের নির্বাহী প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ। ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন ফারহানা হানিপ।ফারহানা হানিপ বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশীদেরকে উন্নতির চরম শিখরে পৌছানোর জন্য পিপলএনটেক এর পাশাপাশি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজিও বর্তমানে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন চার বছরের ডিগ্রি নিয়ে যাতে করে বসে থাকতে না হয় তার জন্য ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি এবং পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির কর্মকর্তাবৃন্দ কাজ করে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির ছাত্রছাত্রীদের জন্য ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজির বিভিন্ন্ কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করবেন বলেও তিনি জানান'।সম্প্রতি পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটি পরিদর্শনে আসেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন।এসময় পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির কার্যক্রম দেখে উচ্ছ্বসিত হোন তিনি। এছাড়াও ফারহানা হানিপের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জিঞ্জিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাকুর হোসেন সাকু।সাক্ষাতকালে সাকু বলেন, পিপলএনটেক ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির কার্যক্রম দেখে আমি মুগ্ধ।এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার করার প্রস্তাব দেন।

post
এনআরবি সাফল্য

ফজলুল কবির ম্যারিল্যান্ডের কলেজ পার্ক সিটির নির্বাচিত মেয়র

ম্যারিল্যান্ডের কলেজ পার্ক সিটির মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ফজলুল কবির। তিনি এই সিটির প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এবং প্রথম মুসলিম নির্বাচিত মেয়র ।তিনি ঢাকায় পড়াশুনা শেষ করে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনীয়ারিংয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।এরপর তিনি কানাডাতে চলে যান। সেখান থেকে তিনি ২০০৩ সালে আমেরিকাতে এসে ম্যারিল্যান্ডের কলেজ পার্কে বসবাস করতে থাকেন।এখানে মেয়র হওয়ার আগে তিনি মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটিতে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। ডঃ কবির দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে কলেজ পার্কে বসবাস করছেন। তিনি ২০১১ সাল থেকে সিটি কাউন্সিলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন:”আমি বাংলাদেশে বেড়ে উঠেছি। আমার মা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক এবং আমার বাবা ছিলেন রেলওয়ে একজন সাধারণ কেরানি। তারা দুজনেই আমাকে এবং আমার ভাইবোনদের একটি ছোট বাড়িতে বড় করার জন্য অনেক সংগ্রাম করেছেন।সেখানে মৌলিক সুবিধার অনেক অভাব ছিল। এই অভিজ্ঞতা আমাকে কঠোর পরিশ্রমের মূল্য উপলব্ধি করতে এবং কৃতজ্ঞ হতে শিখিয়েছে।এবং এই অভিজ্ঞতা আমার জীবনে উচ্চতর সাফল্য অর্জনের জন্য, আমার ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের জন্য এবং তারপর আমেরিকান স্বপ্নের সন্ধানে আটলান্টিক অতিক্রম করতে অনুপ্রাণিত করেছে।আমি এই দেশ এবং আমার প্রতিবেশীদের কাছে তাদের ভালবাসা, আমাকে গ্রহণ করা এবং সমর্থনের জন্য আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ।তাছাড়া আপনাদেরকে সেবা করার যে অনুমতি আমাকে দিয়েছেন তার জন্যও আমি কৃতজ্ঞ। আমি এই দেশে জন্মগ্রহণ করিনি, আমি এই দেশে বড় হইনি। আমি একজন অভিবাসী, আমি একজন কালো বর্ণের মানুষ এবং আমি একজন মুসলিম। তবুও আপনারা সবাই আমাকে আপনাদের সেবা করার সবচেয়ে বড় সুযোগ দিয়েছেন।

post
এনআরবি সাফল্য

বাংলাদেশি শামস আহমেদের ‘এমি অ্যাওয়ার্ড’ জয়

গত বছর সুপার বৌলে (আমেরিকান ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর) ‘র‌্যাগড ওল্ড ফ্ল্যাগ : অ্যান আমেরিকান কোরাস’টি অসম্ভব জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কোটি আমেরিকানের হৃদয়ে কাঁপুনি সৃষ্টি করা এই সংগীত পরিচালনা করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান শামস আহমেদ। অসাধারণ শৈল্পিক চিন্তার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য গত এপ্রিলে পরিচালক শামস আহমেদকে ‘এমি এওয়ার্ড’র জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। সে সূত্রেই গত ২২ মে নিউইয়র্ক সিটির লিঙ্কস সেন্টারে ‘৪৪তম স্পোর্টস এমি অ্যাওয়ার্ড’র আসরে শামস আহমেদকে প্রদান করা হয়েছে অ্যাওয়ার্ড। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমেদের নাতি (নিউজার্সিতে বসবাসরত সালাহউদ্দিন আহমেদের পুত্র) শামস এই অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির মাধ্যমে মার্কিন মুল্লুকে বাঙালি প্রজন্মের জন্য আরেকটি ইতিহাসের সাক্ষী হলেন। এর আগে কোনো বাংলাদেশি এই মর্যাদাসম্পন্ন অ্যাওয়ার্ড পাননি। ‘ন্যাশনাল একাডেমি অব টেলিভিশন আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স’ এই অ্যাওয়ার্ড বিতরণ করেছে। বিরল এই সম্মান লাভের প্রতিক্রিয়ায় শামস বলেন, ‘সত্যিই আমি আনন্দিত যে, আমরা সুপার বৌল অংশে সেরা সংগীত পরিচালনার জন্য এমি পুরস্কার জিতেছি। যে আশ্চর্যজনক দলটি এটি ঘটিয়েছে তার জন্য আমি আবেগ ও গর্ব অনুভব করছি। আপনাদের মতো সহকর্মীদের দুর্দান্ত সহযোগিতা এবং বন্ধু হওয়ার জন্য -আমি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করছি। আমি এমন সম্মানের অধিকারী হবো বুঝতে পারিনি। আমি সবসময় অনুভব করতাম যে, সত্যিকারের বিজয় লক্ষ লক্ষ আমেরিকানের সামনে প্রতিভাবান তরুণদের একটি বৈচিত্রময় দলকে তোলে ধরার চেষ্ঠা করবো - এবং তাই হলো আজ। এখন, এই পুরস্কারটি হলো আমাদের সকলের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি। বাচ্চাদের এবং তাদের বাবা-মা, ক্রু, প্রত্যেকের কঠোর পরিশ্রমের ফল। এ জন্য আমি দলের সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ কিছুদিন আগেও শামস ব্যতিক্রমী রচনা ও অসাধারণ সংগীত প্রযোজনার জন্য পাশ্চাত্য সংগীতের বিশ্বে শিরোনাম হয়েছিলেন। একটি গার্ল গ্রুপ, সিটিজেন কুইন, একটি বাচ্চাদের মিউজিক ব্র্যান্ড, অ্যাকাপপসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের বৈচিত্রমণ্ডিত সুর লহড়ি প্রতিষ্ঠার জন্য। শাসসের এই সম্মানে প্রবাসীরাও উল্লাস করছেন। উত্তর আমেরিকায় খ্যাতনামা সমাজকর্মী শাসসের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাঙালি প্রজন্মের অসাধারণ এ কৃতিত্বের খবর আজ রবিবার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়ে বলেন, ‘সিলেটের পারিবারিক ঐতিহ্যের রক্ত শামসকে বহুজাতিক এ সমাজেও উজ্জীবিত রেখেছে। এর মধ্য দিয়ে প্রকারান্তরে বাঙালি সংস্কৃতির ধারা আবারো বিশ্বময় উদ্ভাসিত হলো।’

post
এনআরবি সাফল্য

জাতিসংঘের ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ পেলেন পাঁচ বাংলাদেশি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি রক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পাঁচ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে মর্যাদাপূর্ণ ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ দিয়েছে জাতিসংঘ।নিউইয়র্কে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছ থেকে বাংলাদেশের পক্ষে এ মেডেল গ্রহণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত।এই অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় ৩৯টি দেশের জীবন উৎসর্গকারী ১০৩ জন শান্তিরক্ষীকে এ মেডেল দেওয়া হয়।বাংলাদেশের পাঁচজন জীবন উৎসর্গকারী শান্তিরক্ষী হলেন সার্জেন্ট মোহাম্মদ মনজুর রহমান আবেইতে (সুদান ও দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত এলাকা) ইউনিসফা মিশনে, ল্যান্স করপোরাল কফিল মজুমদার দক্ষিণ সুদানের আনমিস মিশনে, সৈনিক মোহাম্মদ শরিফ হোসেন, সৈনিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও সৈনিক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের মিনুসকা মিশনে কর্তব্যরত ছিলেন।আত্মোৎসর্গকারী শান্তিরক্ষীদের পক্ষে মেডেল গ্রহণের পর এই অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সাধারণ পরিষদ হলে রক্ষিত শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত। শোকবার্তায় তিনি শান্তি রক্ষায় জীবন দানকারী সব শান্তিরক্ষীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়া অপূরণীয় এই ক্ষতির জন্য শান্তিরক্ষীদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন তিনি।বাংলাদেশ বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে সাত হাজার শান্তিরক্ষী বিশ্বের নয়টি মিশনে কর্তব্যরত আছেন। দায়িত্বরত অবস্থায় এ পর্যন্ত ১৬৬ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী জীবন উৎসর্গ করেছেন।উল্লেখ্য, ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসচিব দ্যাগ হ্যামারশোল্ডের নামে প্রবর্তিত হয়।

post
এনআরবি সাফল্য

ঈদে প্রবাসী আয় এসেছে ১২৭ কোটি ডলার

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৈধ পথে প্রবাসী আয় এসেছে ১২৭ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এপ্রিলের প্রথম ২১ দিনে এই অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এপ্রিলের প্রথম তিন সপ্তাহে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০৫ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয় এসেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ১৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংক ৩ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলো ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় এনেছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে বৈধ পথে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে, যা আগের মাস ফেব্রুয়ারির চেয়ে ৪৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার বেশি। ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার। সেটি আবার জানুয়ারি মাসের তুলনায় ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার বা প্রায় ২০ শতাংশ কম ছিল। জানুয়ারিতে প্রায় ১৯৬ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আনতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরপরও ব্যাংকের মাধ্যমে আশানুরূপ হারে তা বাড়ছে না। এক মাসে বাড়ছে তো আরেক মাসে কমছে। এ বছরে জানুয়ারিতে প্রবাসী আয়ে কিছুটা গতি এলেও ফেব্রুয়ারিতে কমে যায়। পরের মাসেই অর্থাৎ মার্চে আবার ভালো অবস্থা দেখা গেছে। চলতি এপ্রিলে এসেছে ১২৭ কোটি ডলার। ব্যাংকাররা মনে করেন, ঈদ শেষ হওয়ায় মাসের বাকি ৯ দিনে খুব বেশি প্রবাসী আয় আসার সম্ভাবনা কম। তবু এপ্রিলে কী পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে, তা জানতে আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে।

post
এনআরবি সাফল্য

আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় আবারো শ্রেষ্ঠ তাকরিম

আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় আবারো বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম। এবার ২৬তম দুবাই আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম হলেন তাকরিম। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছেন ইথিওপিয়ার আব্বাস হাদি ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন সৌদি আরবের খালিদ সুলাইমান।মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে তাকরিমের প্রথম স্থান অর্জনের খবরটি নিশ্চিত করেছে রাজধানীর মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামী ঢাকার অফিস সংশ্লিষ্ট সূত্র। এছাড়াও খবরটি নিশ্চিত করেছেন তাকরিমের শিক্ষক ও মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামীর প্রিন্সিপাল মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম।কোরআন প্রতিযোগিতার মূল পর্বে নিয়ম অনুযায়ী, তিলাওয়াতের সময় একাধারে পাঁচটি প্রশ্নের নির্ভুল উত্তর দেন তাকরিম। কোনো প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে তার ভুল হয়নি। উপহার দিয়েছেন স্বভাবধর্মী মুগ্ধকর তিলাওয়াত। এর আগে, সৌদি আরব ও ইরানে আয়োজিত দুটি আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে তাকরিম। তাকরিম মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকার কিতাব বিভাগের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ভাদ্রা গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আবদুর রহমান একজন মাদরাসা শিক্ষক ও মা গৃহিণী।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.