লাইফ স্টাইল

যে ৩ অভ্যাস ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দেয়

post-img

বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যাই শুধু বাড়ছে না, সেইসঙ্গে বাড়ছে অল্প বয়সে আক্রান্ত হওয়ার হারও। ফলস্বরূপ হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কিডনি ফেইলরের আশঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে। ডায়াবেটিস হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি না করলেশরীর কার্যকরভাবে উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহার করতে না পারলে এর সৃষ্টি হয়। ইনসুলিন হলো এমন একটি হরমোন যা রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে।

যদিও বয়স এবং জেনেটিক্স ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তবে জীবনযাপনের ধরনও এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের ঘাটতি এবং প্রচণ্ড মানসিক চাপ, নিষ্ক্রিয় জীবনযাপনের ফলে বেড়ে চলেছে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা। ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দেওয়া এই অভ্যাসগুলো আপনারও নেই তো? মিলিয়ে নিন-

১. নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন

নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে একটি। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই এমন চাকরিতে নিযুক্ত হন যেগুলোতে কাজের সময়সূচী অনিয়মিত থাকে এবং দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকতে হয়। নিয়মিত ব্যায়াম না করলে অতিরিক্ত চিনি শক্তির জন্য পেশীতে পাঠানোর পরিবর্তে রক্তের প্রবাহে থেকে যায়, ইনসুলিনের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া ব্যাহত করে এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। শরীরের চর্বি কমানো, রক্তচাপ কমানো এবং রক্তে শর্করা কমানো সহ ডায়াবেটিস পরিচালনার জন্য ব্যায়ামের বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার পেশী, লিভার এবং চর্বি কোষে চিনির (গ্লুকোজ) শোষণ বাড়ায়। এটি ইনসুলিনের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া উন্নত করে, ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১৫০ মিনিট ব্যায়াম এবং শারীরিক কার্যকলাপ করতে হবে। প্রতিদিন হাঁটা, সিঁড়ি ভাঙা এবং একটানা বসে না থেকে বিরতি নেওয়ার মতো ছোট পরিবর্তনগুলো আপনার শারীরিক কার্যকলাপের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

২. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

বিশ্বব্যাপী টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির একটি কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। অপর্যাপ্ত দানা শস্য খাওয়া, পরিশোধিত চাল এবং গমের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের অতিরিক্ত ব্যবহার এর মধ্যে অন্যতম। জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস প্রায় সবারই রয়েছে। এ ধরনের খাবারে ক্যালোরি বেশি থাকে কিন্তু পুষ্টির মান থাকে কম। এই খাবারগুলোতে থাকে অতিরিক্ত চিনি এবং চর্বি যা ওজন বৃদ্ধি করে। এই অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পর্কিত। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি হলো সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা।

৩. কম ঘুমানো এবং মানসিক চাপ

স্ট্রেস সরাসরি ডায়াবেটিসের সঙ্গে যুক্ত নয়, তবে এটি একটি অবদানকারী কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়। স্ট্রেসের সময়, শরীর কর্টিসোল নামে একটি স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ করে, যা ইনসুলিন কার্যকলাপের বিরোধী। স্ট্রেস হরমোন রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে ইনসুলিন বা ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। অপরদিকে ঘুমের সময় না ঘুমিয়ে জেগে থাকার মতো অভ্যাস আছে অনেকেরই। রাত জাগার এই বদ অভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে ফেলে। ঘুমের স্বল্পতা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রিত হরমোনগুলোতে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে, যে কারণে আপনি ক্ষুধার্ত বোধ করেন এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যায়।


সম্পর্কিত খবর

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.