post
বাংলাদেশ

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি একদিন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুনাম অর্জন করবে- চ্যান্সেলর হানিপ

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেন, তিনি তাঁর ইউনিভার্সিটি কে মানি মেকিং মেশিন বানাতে চান না, তিনি চান তাঁর এই ইউনিভার্সিটি একদিন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুনাম অর্জন করবে।“বর্তমানে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি তে প্রায় পাঁচশত বাংলাদেশিরা পড়াশোনা করছেন। আমি আশা করছি তারা তাদের গ্রাজুয়েশন শেষ করার পরে একটা উন্নত জীবন শুরু করতে পারবে কারণ আমার ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও ইন্ডাস্ট্রি উভয় জ্ঞানই অর্জন করছে, এর ফলে তারা দক্ষ হয়ে চাকরি জীবনে প্রবেশ করবে,” তিনি বলেন।রবিবার (নভেম্বর ২০) সন্ধায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে পলিটেকনিক স্টুডেন্টদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মানবসম্পদ হচ্ছে সবচেয়ে বড় সম্পদ, আমাদের সেটা আছে, এটা কে কাজে লাগাতে হবে। ‘আমরা প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশিকে আমেরিকার মূলধারায় চাকরি দিয়েছি। কাজে দক্ষতা অর্জন করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই’।তিনি বলেন, ‘আমেরিকাতে যেসব লোক যায় তারা সাধারণত এন্ট্রি লেভেল জব খোঁজে কিন্তু আমরা তাদের মাত্র চার মাসের আইটি ট্রেইনিং দিয়ে আমেরিকার মূল ধারায় প্রায় ১০০ হাজার ডলারের জব দিচ্ছি’। তিনি বলেন, এই গ্লোবাল মার্কেটে যেকোনো জায়গায় থেকে কাজ করা যায়, সেটার জন্য দরকার দক্ষতা ও ইংরেজি ভাষায় পারদর্শিতা। একজন শিক্ষার্থীকে সব বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে না তাকে যে কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলেই হবে। ‘আমরা বাংলাদেশে ২০১৪ সালে পিপলএনটেক প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের এই প্রতিষ্ঠান ট্রেনিং এর মাধ্যমে প্রায় এ পর্যন্ত ৫০০০ শিক্ষার্থীকে দক্ষভাবে করে তুলে তাদের চাকরি দিয়েছি। তারা বাংলাদেশে বসেই বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করে দেশে রেমিট্যান্স নিয়ে আসছে’। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে তিনটি অর্থনৈতিক স্তম্ভের ওপরে। সেগুলো হচ্ছে—কৃষি, তৈরি পোশাক ও রেমিট্যান্স। যদি আইটি চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে দাঁড় করানো যায় তাহলে বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে। গত করোনার মধ্যে অনেকে তাদের চাকরি হারিয়েছে কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা মাসে দুই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করেছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির যুগ্ম সচিব, পরিচালক ফাইন্যান্স ও এডমিন এ এন এম শাফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সিটিও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তপন ক্রান্তি সরকার, প্রিমেসিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাছুদ খান, পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসাইন খান লিওন, নেটওয়ার্কিং হেড অফ ফ্যাকল্টি কাজী মাহমুদুল হক সহ অন্যান্য অতিথি বৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটির ব্যবস্থাপক এইচ আর এডমিন তৌহিদুর রহমান। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে পিপলএনটেকের কর্মকর্তা ও ছাত্র ছাত্রীর অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে।

post
দূতাবাস খবর

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল লতিফ বিন রশিদ আল-জায়ানির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন।শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বাহরাইনের মানামায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস, বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. নজরুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে বাহরাইন সফরের জন্য ধন্যবাদ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাহরাইনে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের জন্য বাহরাইন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি পেশার জনবলসহ আরো দক্ষ ও আধা দক্ষ কর্মী নিয়োগের জন্য বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য জমি বিনিময়ের বিষয়েও আলোচনা করেন। এছাড়া মানামায় বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুলের জন্য বাহরাইন সরকারের সহযোগিতার জন্য ড. মোমেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরের প্রার্থীদের পারস্পরিক সমর্থনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন। উভয় মন্ত্রী কোভিড মহামারির কারণে আটকে পড়া প্রবাসী, তাদের পরিবারের সদস্য এবং পর্যটকদের জন্য ভিসা সহজ করাসহ বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও পর্যটনে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাহরাইন সফরকালে ১৮-১৯ নভেম্বর, ২০২২ অনুষ্ঠেয় মানামা সংলাপেও যোগ দেবেন। বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বাহরাইন সফর করছেন।

post
আন্তর্জাতিক

​ভেঙে পড়ার আগে দুলছিল গুজরাটের ঝুলন্ত সেতুটি, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২

ভারতের গুজরাটের মরবিতে একটি ঝুলন্ত সেতু ছিঁড়ে ১৩২ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। ঐতিহাসিক মরবি সেতুটি অনেক বছরের পুরোনো। সেতুটি মেরামতের পর চার দিন আগে (২৬ অক্টোবর) সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু এটি উন্মুক্ত করার আগে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি বা এর ফিটনেস সনদ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় মিনিউসিপ্যাল প্রধান ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভিকে এ কথা বলেন।ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, সেতু ভেঙে পড়ে প্রাথমিক হিসেবে ৯০ জনের বেশি মারা গেছেন। ৮০ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নিখোঁজ ছিলেন ২০০ জনের বেশি। পরে মৃতের সংখ্যা ১৩২ জনে দাঁড়ায়। অরেভা নামের একটি প্রাইভেট ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠান সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে সেতুটি মেরামতের কাজ পায়। সেতুটি মেরামত শুরুর পর থেকে সাত মাস এটি বন্ধ ছিল। গত ২৬ অক্টোবর এটি খুলে দেওয়া হয়। মরবি মিউনিসিপ্যাল এজেন্সি প্রধান সন্দীপন জালা বলেন, অরেভা কোনো ফিটনেস সনদ না নিয়েই সেতুটি চালু করে দিয়েছিল। তিনি বলেন, এটা সরকারি টেন্ডার। অরেভা গ্রুপের সেতুটি উন্মুক্ত করার আগে মেরামতের বিস্তারিত জানিয়ে ফিটনেস সনদ দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা সেটা করেনি। সরকার এটার বিষয়ে অবগত ছিল না। রোববার সন্ধ্যার দিকে ধসে পড়ার সময় সেতুটিতে আনুমানিক ৫০০ মানুষ ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেতুটিতে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছেন। তারা এর ওপর দৌড়াচ্ছেন, লাফাচ্ছেন। তাদের এরকম কর্মকাণ্ডের জন্য সেতুটি দুলছিল।

post
বাংলাদেশ

বাংলাদেশে জানুয়ারি থেকে ডলার-সংকট কমে আসবে আশা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

ডলার-সংকটের কারণে আমদানি তদারকি জোরদার করা হয়েছে। ফলে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ কমেছে। এরপরও আরও দুই মাস ডলার-সংকট চলবে। আগামী জানুয়ারির শুরু থেকে ডলার-সংকট কমে আসবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের এক আলোচনায় এমন মতামত উঠে এসেছে।দেশের বর্তমান সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার গতকাল রোববার সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও নির্বাহী পরিচালকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় এমন মতামত তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। সভায় আলোচনার বড় অংশজুড়েই ছিল ডলার-সংকট ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতি। মূল্যস্ফীতি ও সুদহার নিয়ে আলোচনা উঠলেও তা এগোতে দেননি ডেপুটি গভর্নররা। আজ ব্যাংক পরিদর্শনের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার সূচি রয়েছে গভর্নরের। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশের আর্থিক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গভর্নর কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। জানা যায়, আব্দুর রউফ তালুকদার গত ১২ জুলাই গভর্নর হিসেবে যোগ দেন। তাঁর যোগদানের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিস্থিতি কেমন হয়েছে, তা নির্বাহী পরিচালকদের কাছে জানতে চান। এ সময় দেশের আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও নির্বাহী পরিচালকদের কাছে মতামত জানতে চান তিনি। সভায় নির্বাহী পরিচালকেরা বিচ্ছিন্নভাবে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। নির্বাহী পরিচালকদের বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে ঢালাও সমর্থন দিয়ে আলোচনা করেন। একজন নির্বাহী পরিচালক মূল্যস্ফীতির চেয়ে আমানতের সুদহার কমে গেছে, এ জন্য সুদহারের সীমা প্রত্যাহারের আলোচনা তুললে একজন ডেপুটি গভর্নর তাঁকে থামিয়ে দেন। এ সময় একজন বলেন, ব্যাংকে টাকা রাখলে অনেক দেশে খরচ দিতে হয়। মুনাফার জন্য শেয়ারবাজার আছে, অন্য বিনিয়োগের জায়গা আছে। ব্যাংক তো সুদ আয়ের মাধ্যম হতে পারে না। ডলার বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সভায় বলা হয়, ৩০ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের আমদানি ঋণপত্র তদারকি করা হচ্ছে। এতে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ কমে গেছে। ফলে সামনের দিনে সংকট কেটে যাবে। গত মার্চ থেকে দেশে ডলারের সংকট তৈরি হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক দীর্ঘদিন ডলারের দাম আটকে রেখে সংকটকে ত্বরান্বিত করে। পরে বাধ্য হয়ে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব ব্যাংকগুলোর ওপর ছেড়ে দেয়। মতবিনিময় সভা হলেও সভার আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। এদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলেও এ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি সভায়।

post
সংবাদ

২০২০ সালের পর ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বনিম্ন

২১ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮০ কোটি ডলার কমে ৫২ হাজার ৪৫২ কোটিতে এসে ঠেকেছে, যা ২০২০ সালের জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন।গত বছরের অক্টোবরে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ৬৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এরপর থেকে রিজার্ভের পরিমাণ প্রতিনিয়ত কমছে। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) এ তথ্য প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপি যাতে শক্তি না হারায় তা নিশ্চিত করতে মার্কিন মুদ্রা বিক্রি করছে শীর্ষ ব্যাংক। যে কারণে রিজার্ভ কমছে। আরবিআই জানিয়েছে, শেষ হওয়া সপ্তাহে স্বর্ণের রিজার্ভ ২৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার কমে ৩ হাজার ৭২০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমেরিকায় সুদ বৃদ্ধি এবং ভারতে আমদানি বাড়ায় ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। ফলে টাকাকে সহায়তা দিতে শীর্ষ ব্যাংককে বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়াতে হচ্ছে। যে কারণে বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডারও কমছে। প্রসঙ্গত, ক্রমশ দর কমছে ভারতীয় মুদ্রা। এরইমধ্যে ডলার প্রতি টাকার দাম ৮৩ টাকার ঘরে নেমেছিল। গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) টাকার দাম কিছুটা বাড়লেও ডলার ৮২ টাকার উপরেই আছে। এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে এ নিয়ে জবাব চেয়েছেন নবনির্বাচিত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সূত্র : এনডিটিভি, আনন্দবাজার

post
এনআরবি বিশ্ব

সৌদি আরবে রিক্রুটিং এজেন্সিতে আটকে থাকা ২৪ বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মী উদ্ধার

সৌদি আরবে এক রিক্রুটিং এজেন্সিতে আটকে রাখা ২৪ জন বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মীকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। দেশটির রাজধানী রিয়াদ হতে প্রায় এক হাজার ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আরআর শহর থেকে সম্প্রতি তাদের উদ্ধার করা হয়।মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, এক সৌদি রিক্রুটিং এজেন্সি ২৪ জন বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মীকে অবৈধভাবে আটকে রেখেছে এমন খবর পাওয়া যায়। এরপর সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার) তাদের দ্রুত উদ্ধার করে দেশে পাঠাতে দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইংকে নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইংয়ের কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।পরিদর্শনে জানা যায়, সৌদি রিক্রুটিং এজেন্সি মাকতাব তাওয়াসুল আলসারি বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স এস. আনোয়ার ওভারসিজের মাধ্যমে এসব নারী কর্মীদের সৌদি আরবে নিয়ে যান। তবে সৌদি আরবে নেওয়ার পর তাদের নিয়োগ কর্তাদের বাসায় কাজে না পাঠিয়ে বেআইনিভাবে দীর্ঘদিন আটকে রাখে। এমনকি পরিবারের সঙ্গে তাদের সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয়ের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাদেরকে কোনো চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়নি। দূতাবাসের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে নারী কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট সৌদি এজেন্সি বাধা দেয়এ অবস্থায় সৌদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় ওই ২৪ জন নারী গৃহকর্মীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের সৌদি ফিমেল ডিপোর্টেশন সেন্টারে হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধার করা নারী গৃহকর্মীদের পর্যাপ্ত খাবার, পানীয় ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত সৌদি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।সৌদি কর্তৃপক্ষের সহায়তায় উদ্ধার করা নারী গৃহকর্মীদের দ্রুত বাংলাদেশে পাঠানোর কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস।

post
নারী ও শিশু

বিশ্বকে গৃহহীনতার অভিশাপ মুক্ত করার আহ্বান শেখ হাসিনার

শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষকে ‘গৃহহীনতার অভিশাপ’ মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বুধবার (সেপ্টেম্বর ২১) স্থানীয় সময় সকালে নিউইয়র্কে হোটেল লোটে প্যালেসে ‘টেকসই গৃহায়ন’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর‌্যায়ের সাইড ইভেন্টে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রকৃতপক্ষে গৃহহীনতা একটা অভিশাপ। এটি উন্নয়নশীল এবং উন্নত দেশের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় মানুষকে এই অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে কিছু করার বিষয়টি আমাদের সক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে। এক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী অংশদারিত্ব গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা বলেন, এটি করতে (গৃহহীনতার অভিশাপ দূর করতে) এখানে জড়ো হওয়া আমাদের সকল বন্ধু এবং অংশীজনরা একটি শক্তিশালী অংশদারিত্ব গড়ে তুলতে পারে। তিনি বলেন, আসুন আমরা সারা বিশ্বের জন্য এক সঙ্গে কাজ করি, যেখানে গৃহহীনতা অতিতের কোন বিষয়ে পরিণত হবে। গৃহহীনদের প্রতি নিজের মমত্ববোধের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি এমন একটি ইস্যু যা আমি আমার হৃদয়ের গভীরে ধরে রেখেছি। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি যে একটি নিরাপদ ও উপযুক্ত আশ্রয় প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। শেখ হাসিনা বলেন, সারা বিশ্বের মানুষকে গৃহহীনতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার পথে এগিয়ে যেতে ‘নিউ আর এজেন্‌ডা’ একটি দরকার ‘ব্লু প্রিন্ট’ হিসেবে আমাদের সহায়তা করতে পারে। এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তাকারী দেশগুলোতে আমাদের অবশ্যই ইউএন-এইচএবিআইটিএটি এর কাজকে সমর্থন করতে হবে। এই ইস্যুটিকে সামনে নিউইয়র্কের বন্ধুদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ঘর দেশের প্রতিটি নাগরিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা, এটি অন্যান্য চাহিদা পূরনের সুযোগ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশে আমরা একটি বাড়িতে শুধু থাকার জায়গা মনে করি না। আবাসনের নিরাপত্তা ব্যক্তির মর‌্যাদার সঙ্গে বসবাসের সঙ্গে অর্থনৈতিক মুক্তিকে ত্বরান্বিত করে। আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভুমিহীন-গৃহহীনদের বিনামূল্যে জমি ও ঘর দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৬৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ সফলভাবে গৃহহীনতার সমস্যাটি সামলাতে পারে। তিনি বলেন, আমরা গৃহহীন-ভূমিহীনদের বিনামূল্যে জমির সঙ্গে বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি। সারা দেশে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য টেকসই ঘর নির্মাণে আমাদের সাফল্যের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে আমি এখানে এসেছি। শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রথম ভূমিহীন, গৃহহীন এবং ছিন্নমূল মানুষদের পুর্নবাসনের উদ্যোগ নেন। জাতির পিতার লক্ষ্যকে ধারণ করে ১৯৯৭ সালে আমরা ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের পুর্নবাসনে আশ্রায়ণ প্রকল্প চালু করি। গত দুই দশকে আমাদের সরকার সবার জন্য বিনামূল্যে আবাসন নিশ্চিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু গত ২ বছরে আমরা ২ লাখ বাড়ি নির্মাণ করেছি, যেখানে ১ মিলিয়নের বেশি মানুষের আবাসন নিশ্চিত হয়েছে। আমার প্রধানমন্ত্রীত্বের ১৮ বছরে ৫ লাখেরও বেশি বাড়ি নির্মাণের মাধ্যমে আমরা সাড়ে তিন মিলিয়নেরও বেশি মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা করেছি। বর্তমানে আরও ৪০ হাজার বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে। আশ্রায়ণ প্রকল্পের বাড়ি গুলোর বৈশিষ্ট তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক পরিবার দুটি বেড রুম, একটি লম্বা বারান্দা, একটি রান্নাঘর, একটি স্যানিটারি ল্যাট্রিনসহ ৪০০ স্কয়ার ফুটের একটি পাকা বাড়ির মালিকানা পাচ্ছে। আমরা প্রতিটি বাড়িতে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি সরবরাহ করছি। পর‌্যাপ্ত বাড়ির আঙ্গিনাসহ আমরা বিনামূল্যে বাড়ি এবং জমি দিচ্ছি, এটি পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যন্য। প্রধানমন্ত্রী জানান, এসব বাড়ির সুবিধাভোগীরা হলেন- ভূমিহীন-গৃহহীন, ভিক্ষুক, দিনমজুর, নিঃস্ব নারী, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বয়স্ক-জন, পারিবারিক সহিংসতার শিকার, জাতিগত সংখ্যালঘু, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, কুষ্ঠ রোগী, ঝাড়ুদার এবং হরিজন সম্প্রদায়। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকেও একই ভাবে পুর্নবাসন করছি। ইতিমধ্যে কক্সবাজারে ১৩৯টি বহুতল ভবনে ৫ হাজার জলবায়ু-শরণার্থী পরিবারকে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রায়ণ প্রকল্পের কারণে গৃহহীনদের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা কমেছে জানিযে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গৃহহীন মানুষ কর্মসংস্থান এবং বাসস্থানের সন্ধানে শহরে ছুটে আসতো, আগে বাংলাদেশে এটি সাধারণ দৃশ্য ছিল। কিন্তু আশ্রায়ণ প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এই প্রবণতা প্রায় বন্ধ হযে গেছে। শেখ হাসিনা বলেন, এসব মানুষ এখন তাদের নিজেদের এলাকা স্ব-কর্মসংস্থান করছে। আমরা ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন’ মডেলটি অনুসরণ করছি। এই মডেলটি একজন পুর্নবাসিত ব্যক্তিকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নের সঙ্গে সঙ্গে আত্মনির্ভরশীল এবং আত্মমর‌্যাদা সম্পন্ন করে গড়ে তোলে। এই প্রকল্পে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের জন্য জমি এবং বাড়ির মালিকানার সমান অংশদারিত্ব নিশ্চিত করে।

post
এনআরবি বিশ্ব

কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশি যুবকের আত্মহত্যা, ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত যুবক

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুয়েতে এক বাংলাদেশি যুবকের আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে দেশটির অফরা অঞ্চলে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।নিহতের নাম মোহাম্মদ রাফি ইসলাম। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে।খবর পেয়ে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা-বাহিনী তার মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ কুয়েতের ফরওয়ানিয়ার সরকারি হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে।তার সহকর্মীরা এই খবর নিশ্চিত করে জানান, চলতি বছরের মার্চ মাসে কুয়েতের কৃষি অঞ্চল অফরায় যান রাফি। তিনি তার ফেসবুকে ‘মুক্তির পথে যাত্রী হলাম, মানসিক শান্তির খুব অভাব’ লিখে একটি পোস্ট করেন। এরপর তার ফাঁস দেওয়ার ঘটনা ঘটে।ওদিকে, ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। দেশটির রুয়ি হামিরিয়া এলাকায় গত রবিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতের নাম মোহাম্মদ মোরশেদ (২২)। তিনি হাটহাজারীর ধলই ইউনিয়নের পশ্চিম এনায়েতপুর গ্রামের সিকদার পাড়ার হাদু গাজীর বাড়ির মোহাম্মদ মুছার ছেলে। তার পারিবারিক সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, মোরশেদ গত ছয় বছর আগে ওমান গিয়েছিলেন। এই সময়ের মধ্যে একবারও বাড়িতে আসেননি। সামনের বছর তার বাড়িতে আসার কথা ছিল।পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে মোহাম্মদ মোরশেদ ছিলেন দ্বিতীয়। তার মরদেহ রুয়ি হামিরিয়া এলাকায় একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দেশে পাঠানো হবে।

post
এনআরবি বিশ্ব

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা

আন্তর্জাতিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে স্মরণীয় করে রাখতে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসে ভিন্নধর্মী আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে যোগ দেন দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসীরা। দিনটিকে বাংলাদেশের জন্য এক গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক দিন বলে অভিহিত করেন দূতাবাস কর্মকর্তারা। সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের মর্যাদা ও সক্ষমতার প্রতীক। এদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্পেনের বাংলাদেশ দূতাবাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারোয়ার মাহমুদ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পদ্মা বহুমুখী সেতুর অবদানের চিত্র তুলে ধরে এর সুফল বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ পাবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতুর ওপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। পরে কেক কাটার মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসব উদ্‌যাপন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ। স্থানীয় সময় বিকেল থেকেই একটি কমিউনিটি সেন্টারে কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনার সঙ্গে কেক কেটে ও মিষ্টি বিতরণ করে এ উৎসব উদ্‌যাপন করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনাসভা ও পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসব উদ্‌যাপন করা হয়। উন্নয়ন, অগ্রতি আর সাফল্যের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেতারা।বাংলাদেশের সক্ষমতা এবং বাস্তবতায় স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাছরুল্লা নাছরু। মু, নাজমুল হোসাইনের উপস্থাপনয় প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি মোক্তার মাদবর। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সভাপতি রুবেল মাদবর, সেক্রেটারি জামাল হোসাইনসহ অনেকে। সভায় বক্তরা রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ কে এগিয়ে নিতে সব প্রবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়েছে ভারতের দিল্লি, কলকাতাসহ স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

post
শিক্ষা

মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ

মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালয়া’র নতুন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২১ সেশনের শিক্ষার্থীদের জন্য মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন নবীনবরণের আয়োজন করে। রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি পাঁচতারকা হোটেল নতুন-পুরাতন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়।মুশফিকুর রহমান আনোয়ার ও ফারহান সিদ্দিকের সঞ্চালনায় নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ও ইকোনোমিকস ফ্যাকাল্টি’র অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর ড. মুহম্মাদ মেহেদি মাসুদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন একই ফ্যাকাল্টির সিনিয়র লেকচারার ড. মো. মাহফুজুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সিনিয়র লেকচারার মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী চুয়েটের অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ন কবির। অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছাড়াও মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় পরিচিতি পর্ব ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন ডক্টর মেহেদি মাসুদ, ডক্টর মাহফুজ, ডক্টর মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কমিউনিটি নেতা রাশেদ বাদল, নাজমুল ইসলাম বাবুল, নুর মোহাম্মদ ভূঁইয়া, আব্দুল মজিদ, শফিকুর রহমান চৌধুরী ও হুমায়ন কবিরসহ অনেকে। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য এবাদুল্লাহ খান, মুশফিকুর রহমান আনোয়ার, রেজাউল করিম, ফারহা সিদ্দিক, কানিজ ফাতেমা ও তাসনিম বিনটি জাহিদ (সাইকি)।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.