ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি একদিন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুনাম অর্জন করবে- চ্যান্সেলর হানিপ
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেন, তিনি তাঁর ইউনিভার্সিটি কে মানি মেকিং মেশিন বানাতে চান না, তিনি চান তাঁর এই ইউনিভার্সিটি একদিন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুনাম অর্জন করবে।“বর্তমানে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি তে প্রায় পাঁচশত বাংলাদেশিরা পড়াশোনা করছেন। আমি আশা করছি তারা তাদের গ্রাজুয়েশন শেষ করার পরে একটা উন্নত জীবন শুরু করতে পারবে কারণ আমার ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও ইন্ডাস্ট্রি উভয় জ্ঞানই অর্জন করছে, এর ফলে তারা দক্ষ হয়ে চাকরি জীবনে প্রবেশ করবে,” তিনি বলেন।রবিবার (নভেম্বর ২০) সন্ধায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে পলিটেকনিক স্টুডেন্টদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মানবসম্পদ হচ্ছে সবচেয়ে বড় সম্পদ, আমাদের সেটা আছে, এটা কে কাজে লাগাতে হবে। ‘আমরা প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশিকে আমেরিকার মূলধারায় চাকরি দিয়েছি। কাজে দক্ষতা অর্জন করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই’।তিনি বলেন, ‘আমেরিকাতে যেসব লোক যায় তারা সাধারণত এন্ট্রি লেভেল জব খোঁজে কিন্তু আমরা তাদের মাত্র চার মাসের আইটি ট্রেইনিং দিয়ে আমেরিকার মূল ধারায় প্রায় ১০০ হাজার ডলারের জব দিচ্ছি’। তিনি বলেন, এই গ্লোবাল মার্কেটে যেকোনো জায়গায় থেকে কাজ করা যায়, সেটার জন্য দরকার দক্ষতা ও ইংরেজি ভাষায় পারদর্শিতা। একজন শিক্ষার্থীকে সব বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে না তাকে যে কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলেই হবে। ‘আমরা বাংলাদেশে ২০১৪ সালে পিপলএনটেক প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের এই প্রতিষ্ঠান ট্রেনিং এর মাধ্যমে প্রায় এ পর্যন্ত ৫০০০ শিক্ষার্থীকে দক্ষভাবে করে তুলে তাদের চাকরি দিয়েছি। তারা বাংলাদেশে বসেই বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করে দেশে রেমিট্যান্স নিয়ে আসছে’। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে তিনটি অর্থনৈতিক স্তম্ভের ওপরে। সেগুলো হচ্ছে—কৃষি, তৈরি পোশাক ও রেমিট্যান্স। যদি আইটি চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে দাঁড় করানো যায় তাহলে বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে। গত করোনার মধ্যে অনেকে তাদের চাকরি হারিয়েছে কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা মাসে দুই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করেছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির যুগ্ম সচিব, পরিচালক ফাইন্যান্স ও এডমিন এ এন এম শাফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সিটিও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তপন ক্রান্তি সরকার, প্রিমেসিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাছুদ খান, পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসাইন খান লিওন, নেটওয়ার্কিং হেড অফ ফ্যাকল্টি কাজী মাহমুদুল হক সহ অন্যান্য অতিথি বৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটির ব্যবস্থাপক এইচ আর এডমিন তৌহিদুর রহমান। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে পিপলএনটেকের কর্মকর্তা ও ছাত্র ছাত্রীর অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে।