post
দূতাবাস খবর

গ্লিমসেস অব বাংলাদেশ, মানামায় শুরু হয়েছে বাংলাদেশের ছবি প্রদর্শণী

গত ২৬ মে ২০২২ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মু. নজরুল ইসলাম ‘Colours of the East’ আর্ট গ্যালারির সহযোগিতায় বাংলাদেশ দূতাবাস, মানামা কর্তৃক “Glimpses of Bangladesh” শিরোনামে Seef Mall-এ আয়োজিত ০৭ দিনব্যাপী ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদেশী কূটনীতিক, বাহরাইনের সরকারী উর্ধত্বন কর্মকর্তাবৃন্দ, লেখক, ট্যুর অপারেটরস, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গসহ,ব্যবসায়ী, সাংবাদিক এবং বাহরাইনে বসবাসকরত বাংলাদেশী প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বনামধন্য দু’জন আলোক চিত্রশিল্পী মোস্তাফিজ মামুন এবং আব্দুল মমিন এর বিখ্যাত ছবিসমূহ নিয়ে এ ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।রাষ্ট্রদূত ইসলাম উদ্বোধনী শেষে আগত অতিথিদের সাথে নিয়ে ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, এ ধরনের বাংলাদেশের ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর আয়োজন, বাহরাইনে এই প্রথম। বাহরাইনের মাটিতে বাংলাদেশের অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে এ আয়জন করা হয়। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মাঝে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। পরবর্তীতে বাহরাইনকেও বাংলাদেশের মাটিতে ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর মাধ্যমে উপস্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে। এতে দু’দেশের মধ্যকার পর্যটন খাতসহ ব্যবসা-বাণিজ্যর অধিকতর প্রাসার ঘটবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীতে আলোক চিত্রশিল্পী মোস্তাফিজ মামুন এবং আব্দুল মমিন -এর ৭০টি ছবি প্রদর্শিত হয়। এসকল ছবির মাধ্যমে কৃষি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন এবং অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি সহ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিত্র ফুটে উঠে। দর্শনার্থীদের আপ্যয়ায়নের জন্য দেশীয় খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়। প্রদর্শনীতে এত সুন্দর বাংলাদেশের ছবি দেখে দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হন এবং এ ধরনের চমৎকার আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের ভূয়সী প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত ইসলাম এ ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর আয়োজনে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ট্রাভেলস রাইটার্স এসোসিয়েশন, কালারস অব দ্য ইস্ট আর্ট গ্যালারী, সিফ মল, বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম বাহরাইন, বিয়ন মানি সহ আগত সকল অতিথি ও দর্শনার্থীদের ধন্যবাদ জানান। এ প্রদর্শনী আগামী ০১ জুন ২০২২ তারিখ পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

post
এনআরবি লাইফ

চলে গেলেন মাস্টার মেরিনার ক্যাপ্টেন আজিজুল হক

মাস্টার মেরিনার ক্যাপ্টেন আজিজুল হক চুন্নু আর নেই। জাপানের কোবে শহরে সোমবার (২৩ মে) ইন্তেকাল করেন এক সময়ের এই স্বনামধন্য মেরিনার (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর।তিনি ছিলেন ফরিদপুরের ভাঙ্গার সুপরিচিত নূরুল হক উকিলের ছেলে। ক্যাপ্টেন আজিজুল ছিলেন প্রথম বাংলাদেশি মেরিনার যিনি ১৯৭১ সালে একটি পাকিস্তানি জাহািজ নিয়ে সিঙ্গাপুর চলে গিয়েছিলেন। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সঙ্গে ছিলো তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধুর ফুপাতোভাই মোমিনুল হকের একটি লেখায় উল্লেখ রয়েছে এই ক্যাপ্টেন আজিজুল হকের কথা। ক্যাপ্টেন আজিজুল তখন প্রবেশিকা পরীক্ষার্থী। সেই তারুণ্যেই তিনি বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করতেন ও তার সংগ্রামের সারথী ছিলেন, যা উল্লেখ রয়েছে মোমিনুল হকের ওই লেখায়। মার্চেন্ট নেভির ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর আজিজুল হক চুন্নুর দীর্ঘ অবসর জীবন কাটছিলো যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল ও জাপানের কোবেতে। মৃত্যুর আগে শেষ দিনগুলো তার কোবেতেই কাটছিলো বলে জানান মরহুমের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একজন।

post
এনআরবি বিশ্ব

চীনে কেমন কাটলো প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদ

যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুনমিংয়ে আজ মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। করোনা ঝুঁকির কারণে মসজিদে ঈদের নামাজের জামাত বন্ধ থাকায় কনসাল জেনারেলের বাসভবনে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের নিয়ে সেখানেই ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়। কনসাল জেনারেল এ এফ এম আমিনুল ইসলাম ঈদের জামাতে ইমামতি করেন। নামাজ শেষে কনসাল জেনারেল প্রবাসী বাংলাদেশি, মিশনের কর্মকর্তা কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করা হয়।আগত অতিথিদের মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়ন করা হয়। এরপর কুনমিংয়ের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীরা ঈদ আনন্দে 'ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ' গানটিসহ বিভিন্ন গান-নাচে মেতে ওঠেন।ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মো. নাসিরউদ্দীন ও মিশনের প্রথম সচিব (উপসচিব) মো. বজলুর রশীদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

post
এনআরবি বিশ্ব

কাতারে কোরআন পাঠ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী বাংলাদেশিদের সংবর্ধনা

কাতারে অনুষ্ঠিত শেখ জাসিম বিন মোহাম্মদ বিন থানী আন্তর্জাতিক কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা ২০২২- এ বিজয়ী বাংলাদেশিদের সংবর্ধনা দিয়েছেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন এনডিসি।সোমবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ দূতাবাসে এ সংবর্ধনা জানানো হয়। কাতারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশটির কেন্দ্রীয় মসজিদে আয়োজিত বিদেশি প্রতিযোগিদের জন্য হিফজ ও তাজবীদ এবং হিফজ, তাফসীর ও তাজবীদ এ দুটি গ্রুপে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ২৫টি দেশের মোট ৭৯৮ জন প্রতিযোগী।মোট দশজন বিজয়ীর মধ্যে ছয় জনই বাংলাদেশি। আর উভয় গ্রুপেই প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশি প্রতিযোগী। বাংলাদেশি বিজয়ীরা হলেন উসামা মাওলানা চৌধুরী (১ম, গ্রুপ-ক), আজিজা উমর ফারুক (৫ম, গ্রুপ-ক), আয়েশা উমর ফারুক (১ম, গ্রুপ-খ), আবুল হাসান (৩য়, গ্রুপ-খ), মোহাম্মদ হুজ্জাতুল্লাহ (৪র্থ, গ্রুপ-খ) এবং সালমা হাফিজা (৫ম, গ্রুপ-খ)।অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও অভিনন্দনপত্র তুলে দেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দিন। বিজয়ীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, এ সাফল্য কাতারের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাসে এই সাফল্য কাতারের সরকার ও জনগণের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দৃঢ়করণে জোরালো ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে প্রবাসীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখারও আহ্বান জানান।

post
এনআরবি লাইফ

যাকাত কাকে দিবেন এবং কাকে দিতে পারবেন না

যাকাত ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। এ বিধান পালনে প্রয়োজন সঠিক পথ ও পন্থা। যাকাতের বণ্টন সঠিক না হলে যাকাত আদায় হবে না। পবিত্র কোরআনে আট খাতে যাকাতের অর্থ ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ পাক কোরআনে বলেন, যাকাত কেবল ফকির মিসকিন ও তৎসংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের জন্য, যাদের চিত্ত আকর্ষণ করা উদ্দেশ্য তাদের জন্য, দাস মুক্তির জন্য, ঋণে জর্জরিত ব্যক্তিদের জন্য, আল্লাহর পথে সংগ্রামকারী এবং মুসাফিরদের জন্য। এটা আল্লাহর নির্ধারিত বিধান এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়। ১. ফকির : যে ব্যক্তি মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভিক্ষা চায়, যারা সর্বদা অভাব অনটনে জীবন কাটায়, নিজ জীবিকার জন্য অন্যের মুখাপেক্ষী এরাই ফকির।২. মিসকিন : একজন দরিদ্র ভদ্রলোককে বুঝায়, যার বাহ্যিক অবস্থা দেখেও অভাবগ্রস্ত মনে হয় না, স্বীয় আত্মসম্মান বোধের জন্য অপরের নিকট সাহায্য চাইতে পারে না অথচ কঠোর শ্রম ও প্রাণান্তর চেষ্টার পরও সংসারের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে না। সমাজে তথা নিজ আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে এরকম কেউ থাকলে তারাই হকদার বেশি।৩. যাকাত আদায়কারী কর্মচারী : সরকারিভাবে নিযুক্ত যাকাত আদায় ও বিতরণের কর্মচারী। বর্তমানে এই খাত বাংলাদেশে প্রযোজ্য নয়।৪. মন জয় করার জন্য/নওমুসলিম : যাদের অন্তর ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট তবে সামাজিক বা আর্থিক ভয়ে ইসলাম ধর্মে আসছে না তাদের সাহায্য করে প্রকাশ্যে দলভুক্তি করা অথবা যারা নওমুসলিম হয়েছে অন্য ধর্ম ছাড়ার কারণে পারিবারিক সামাজিক ও আর্থিকভাবে বঞ্চিত হয়েছে তাদের সাহায্য করে ইসলামে সুদৃঢ় করা। যেমন, সফওয়া ইবনু উমাইয়াকে হুনাইন যুদ্ধের গনিমত দিয়েছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু সুফিয়ান ইবনু হারবকে, আক্বা ইবনু হাবেসক এবং উয়াইনাহ ইবনু মিহসানকে যাকাত দিয়েছিলেন। ৫. ঋণমুক্তির জন্য : জীবনের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য সঙ্গত কারণে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিদের ঋণমুক্তির জন্য যাকাত প্রদান করা যায়। সেসব গরিব যারা ঋণ করেছে এবং শোধ করার সামর্থ্য নেই তাদের যাকাতের টাকা দিয়ে সাহায্য করা যাবে। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ ঋণ খেলাফি ধনী এর আওতায় আসবে না যারা ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে শোধ করতে পারছে না। তাদের ওই ঋণ জীবন বাঁচানোর তাগিদে নেওয়া হয়নি। বরং তা নেওয়া হয়েছিল নিজেদের বিলাসিতাকে পরিপূর্ণ করার মানসে।৬. দাসমুক্তি : কৃতদাস মুক্তির জন্য—এ-প্রথা এখন প্রযোজ্য নয়।৭. ফি সাবিলিল্লাহ বা আল্লাহর পথে : সাবিলিল্লাহ শব্দের অর্থ ব্যাপক। যেসব কাজ দ্বারা আল্লাহর সন্তোষ ও নৈকট্য লাভ করা যায় তাকেই ফি-সাবিলিল্লাহ্ বুঝায়। অন্যকথায় মুসলিম জনগণের কল্যাণকর যাবতীয় কাজ যার ফলে দীন ও রাষ্ট্রের স্থিতি আসে এমন কাজ। যারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে। বর্তমানে জিহাদের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। কাজেই এটি একটি বিতর্কিত বিষয়। এতিমখানায় দেওয়া যেতে পারে যেখানে গরিব বাচ্চারা লেখাপড়া করে। তবে প্রাপ্ত যাকাত বা ফিতরার টাকা থেকে শিক্ষকদের বেতনভাতা দেওয়া যাবে না। ৮. মুসাফির/প্রবাসী : পথে বা প্রবাসে মুসাফির অবস্থায় কোনো ব্যক্তি বিশেষ কারণে অভাবগ্রস্ত হলে ওই ব্যক্তির বাড়িতে যতই ধন-সম্পদ থাকুক না কেন তাকে যাকাত প্রদান করা যাবে। যাকাত কাকে দেওয়া যাবে না ১. নেসাব পরিমাণ মালের অধিকারী বা ধনীকে যাকাত দেওয়া যাবে না (মুসাফির ব্যতীত)। যে ব্যক্তির কাছে যাকাতযোগ্য সম্পদ নেসাব পরিমাণ নেই কিন্তু অন্য ধরনের সম্পদ, যাতে যাকাত আসে না। যেমন ঘরের আসবাবপত্র, পরিধেয় বস্ত্র, জুতা ইত্যাদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ও নিসাবের সমমূল্য পরিমাণ আছে, তাকে যাকাত দেওয়া যাবে না। ২. যাকাতের টাকা কোনো জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা যাবে না। ব্যয় করা হলে যাকাত আদায় হবে না। যেমন, রাস্তাঘাট, পুল নির্মাণ করা, কূপ খনন করা, বিদ্যুৎ-পানি ইত্যাদির ব্যবস্থা করা। কেননা শরীয়তে যাকাতের বিধান দেওয়া হয়েছে ব্যক্তির প্রয়োজন পূরণের জন্য; সামাজিক প্রয়োজন পূরণের জন্য নয়। যাকাতের টাকা দ্বারা মসজিদ-মাদরাসার বিল্ডিং নির্মাণ করা, ইসলাম প্রচারের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যয় করা, ইমাম-মুয়াজ্জিনের বেতন-ভাতা দেওয়া, ওয়াজ-মাহফিলের জন্য ব্যয় করা বা এগুলোতে সহায়তা দেওয়া, মিডিয়া তথা রেডিও, টিভি চ্যানেল করা জায়েয নয়; বরং যাকাতের টাকা তার হকদারকেই মালিক বানিয়ে দিতে হবে। অন্য কোনো ভালো খাতে ব্যয় করলেও যাকাত আদায় হবে না। ৩. নিজের বাবা-মা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, পরদাদা প্রমুখ ব্যক্তিÑ যারা তার জন্মের উৎস তাদের নিজের যাকাত দেওয়া জায়েয নয়। এভাবে নিজের ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনী এবং তাদের অধস্তনকে নিজ সম্পদের যাকাত দেওয়া জায়েয নয়। স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে যাকাত দেওয়া জায়েয নয়। ৪. সম্পদশালীর নাবালক পুত্র-কন্যাকে যাকাত দেওয়া যাবে না। ৫. কুরাইশ গোত্রের বনু-হাশেমের অন্তর্গত আব্বাস, জাফর, আকীল (রাযি.)-এর বংশধরের জন্য যাকাত গ্রহণ বৈধ নয়। ৬. অমুসলিম ব্যক্তিকে যাকাত দেওয়া যাবে না। ৭. যেসব প্রতিষ্ঠানে ধনী-গরিব সবাই সেবা পায় সেখানে যাকাত দেওয়া যাবে না। যেমন : মসজিদ, মাদরাসা (এতিম ফান্ড বা লিল্লাহ বোডিং ব্যতীত), শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আশ্রয়কেন্দ্র, সেতু, টিউবয়েল, কূপ, পুকুর, রাস্তাঘাট ইত্যাদি।৮. দরিদ্র পিতামাতা, সন্তান, দাদা, নানা, স্বামী বা স্ত্রীকে যাকাত দেওয়া যাবে না।  ৯. প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের এতিমখানা/লিল্লাহ বোডিং এর জন্য যাকাত আদায়কারী নিযুক্ত হলে তাকে ব্যক্তিগতভাবে কিছু হাদিয়া/উপঢৌকন হিসাবে দেওয়া যাবে না।  ১০. নিজ চাকর চাকরাণীকে যাকাতের টাকায় বেতন-ভাতা দেওয়া যাবে না। 

post
এনআরবি বিশ্ব

বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত

বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত হলো কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে। সোমবার দিবসটি পালন করা হয়।  ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা তোলা হয়। তৎকালীন উপহাইকমিশনার হোসেন আলী দূতাবাসে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে তুলেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। সেই দিনটিকে স্মরণ করে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস’ পালিত হলো। সোমবার সকালে এই উপহাইকমিশনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তোলেন বর্তমান উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। এ সময় পরিবেশিত হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। এর আগে উপহাইকমিশনের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে দূতাবাসের চারদিক প্রদক্ষিণ করেন। পতাকার চার কোনা ধরেন উপহাইকমিশনের চার কর্মকর্তা। তাঁরা হলেন কাউন্সিলর (কনস্যুলার) মো. বসিরউদ্দিন, কাউন্সিলর রিয়াজুল ইসলাম (শিক্ষা ও ক্রীড়া), প্রথম সচিব (বাণিজ্য) মোহাম্মদ শামসুল আরিফ ও প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন। মধ্যে ছিলেন উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সারি শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতিসহ দূতাবাসের অন্য কর্মীরা। উপহাইকমিশনের চারপাশ প্রদক্ষিণ শেষে নিয়ম মেনে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দূতাবাসের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। পতাকা উত্তোলনের পর উপহাইকমিশনার বলেন, ‘সেদিন এই দূতাবাসই প্রথম পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিল।আজ ছিল সেই ঐতিহাসিক দিনটি। আমরা ওই দিনের স্মরণে আজ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পেরে গর্বিত।’ একাত্তর সালে যে মিশনে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল আজ সেই মিশনেই পতাকা তুলতে পেরে গর্ববোধ করছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

post
দূতাবাস খবর

নয়াদিল্লিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন

নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে দিবসটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মুহাম্মদ ইমরান। এ সময়ে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।পরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, এমপি’র পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।দূতাবাসের উপ হাই কমিশনার মো. নুরল ইসলাম রাষ্ট্রপতির বাণী ও মিনিষ্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। হাই কমিশনার মুহাম্মদ ইমরান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে মুজিবনগরে গঠিত অস্থায়ী সরকার যে ঐতিহাসিক ও বীরত্বগাঁথা ভূমিকা রেখেছে তা ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের একটি স্বাধীন মানচিত্র, স্বাধীন পতাকা এবং সংবিধান উপহার দিয়েছেন। স্বাধীনতা একদিনে আসেনি। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী অস্থায়ী সরকারের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ শহীদ ও যে সকল মা-বোনেরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের সবার কাছে জাতি কৃতজ্ঞ।তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে।আলোচনা অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব তুলে ধরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যবর্গ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা এবং দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠান হয়।

post
বাংলাদেশ

জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতেই সরকার প্রধান দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। মোবারকবাদ জানান মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজানের।ভাষণে তিনি বলেন সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে স্বস্তি নিয়ে আসতে সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে চালসহ কোনও পণ্যের ঘাটতি নেই। সাশ্রয়ী দামে পণ্য কেনার জন্য টিসিবি’র দোকানে মানুষ ভিড় করবে—এটাই স্বাভাবিক। এটাকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরার কী কারণ থাকতে পারে?বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।‌শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এই যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যের দামে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য পরিবহণের ভাড়া ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে আমাদের দেশেও কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। আমরা কিন্তু চুপচাপ বসে নেই। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে স্বস্তি নিয়ে আসতে। তিনি বলেন, চলতি পবিত্র রমজান মাসে আমরা টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে প্রায় ১ কোটি পরিবারকে কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাশ্রয়ী দামে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি। ঢাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৫টি ফ্রিজার ভ্যানে করে সাশ্রয়ী দামে মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে, অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ইতোমধ্যে কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে। এছাড়া, সরকার আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ১ কোটি ৩৩ হাজার ৫৪টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে ১ লাখ ৩৩০ মেট্রিক টনের বেশি চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে।করোনার মধ্যেও উন্নয়নের চাকা থেমে নেইকরোনার মধ্যেও উন্নয়নের চাকা থেমে নেই এমনটি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারিতেও আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬.৯৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত অর্থবছর রেকর্ড ২৪.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। এ বছরও আশানুরূপ রেমিটেন্স আসছে। গত বছর রফতানি আয় হয়েছে ৪৪ দশমিক দুই দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮ দশমিক ছয় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে এ বছর রফতানি আয়ে বাংলাদেশ নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে, ইনশাআল্লাহ।বোরোতে বাম্পার ফলনকৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল শক্তি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে চাল, শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ উৎপাদনে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি বোরো মওসুমে ধানের বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে।ঋণ যাতে বোঝা না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টিআমাদের মেগাপ্রকল্পগুলো নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে- কোনও ঋণ নেওয়া হয়নি। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দ্বারা অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে আমরা অন্যান্য মেগাপ্রকল্পগুলো গ্রহণ করেছি। আর শুধু ঋণ নয়, বিদেশি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আমাদের অর্থনীতির চেহারা বদলে যাবে। আমরা দেশি-বিদেশি ঋণ নিচ্ছি। তবে তা যাতে বোঝা হয়ে না উঠে সে দিকে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সম্পদ বৃদ্ধি এবং মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করা।দুই বছর হবে অবকাঠামো উন্নয়নের মাইলফলক২০২২ এবং ২০২৩ হবে বাংলাদেশের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের এক মাইলফলক বছর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর কয়েক মাস পরেই চালু হতে যাচ্ছে বহুল আকাঙ্খিত পদ্মা সেতু। এই সেতু জিডিপিতে ১.২ শতাংশ হারে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ বছরের শেষ নাগাদ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার অংশে মেট্রো রেল চালু হবে। মেট্রো রেল রাজধানী ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। আগামী অক্টোবর মাসে চট্টগ্রামে কর্ণফুলীর নদীর তলদেশ দিয়ে চালু হবে দেশের প্রথম টানেল। এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট আগামী বছরের শেষ নাগাদ চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। গত মাসে পায়রায় ১,৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্ধারিত সময়ের আগেই উদ্বোধন করা হয়েছে। অন্যান্য মেগাপ্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ভাবনায় অর্থনৈতিক অর্জনপ্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বিগত ১৩ বছরে যে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে তা অর্থনীতির সামষ্টিক সূচকগুলো বিবেচনা করলেই স্পষ্ট হয়। ২০০৯ সালে জিডিপি’র আকার ছিল মাত্র ১০২ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে তা ৪১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় ৭০২ মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ২,৫৯১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ভাবনা এবং দূরদৃষ্টি-সম্পন্ন অর্থনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে। গণতান্ত্রিক ধারা সমুন্নত রেখে মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার ফলেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে।দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করা সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা যে সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন তা বাস্তবায়ন করতে অবদান রাখতে পারছি বলে আমরা গর্বিত। যতদিন বেঁচে আছি, মহান রাব্বুল আলামিন আমাকে কাজ করার সামর্থ্য দিবেন, ততদিন মানুষের জন্য কাজ করে যাব, জনগণের সেবা করে যাব।বাঙালির মুখের ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি এবং ঐতিহ্যকে উপজীব্য করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে একদিন এদেশে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটেছিল। যার উপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। কাজেই আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি এবং ঐতিহ্যকে অস্বীকার করা মানে আমাদের স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করা।দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দের শুভ মুহূর্তে বাঙালি জাতীয়তাবাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় স্নাত হয়ে আসুন বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলি—যেখানে বৈষম্য থাকবে না, মানুষে মানুষে থাকবে না কোন ভেদাভেদ, থাকবে না ধর্মে-ধর্মে কোন বিভেদ। পারস্পরিক সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আসুন বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করি।এ সময় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলা নতুন বছরের আনন্দ উপভোগ করার আহ্বান জানান।

post
এনআরবি সাফল্য

মালয়েশিয়ার কুইসে ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হাসিবুর

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সেলাঙ্গর, মালয়েশিয়ার (কুইস) ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক ওয়েবিনারে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।হাসিবুর পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের খতবাড়ী গ্রামের শাহাদত হোসেন ও মরিয়ম খাতুনের ছেলে হাসিবুর রহমান, জগতলা দাখিল মাদরাসা থেকে জিপিএ ৫ ও চাটমোহর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ২০১৫ সালে উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সেলাঙ্গর, মালয়েশিয়ায় ব্যাচেলর অব হিউম্যান রিসোর্সের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুর। এছাড়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয় ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষার্থী ফারাজিল্লাহকে। কমিটিতে পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, ইউএসএ, ব্রুনাই, কানাডার প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হয়েছেন।মালয়েশিয়ার এপিটমি কলেজ থেকে ডিপ্লোমা ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। হাসিবুর রহমান বাংলাদেশ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মালয়েশিয়ার (বিএসইউএম) কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.