post
দূতাবাস খবর

ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে ভাঙচুর-বিশৃঙ্খলা খতিয়ে দেখা হবে: দূতাবাস

রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে ভাঙচুর-বিশৃঙ্খলার ঘটনায় রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান বলেছেন, দূতাবাসে ভাঙচুর করা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এই বিশৃঙ্খলায় কারো কোন ইন্ধন আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এর আগে রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্টের বয়স সংশোধন ও ফিঙ্গার প্রিন্টসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধান না পেয়ে বিক্ষুব্ধ কয়েকশ প্রবাসী বাংলাদেশি দূতাবাসে ভাঙচুর করেছেন। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে দূতাবাসে এ ঘটনা ঘটে।বিক্ষুব্ধ প্রবাসীরা সেখানে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অবস্থান করেন। পরে দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাইরে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।এ সময় রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান প্রবাসীদের এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তাদের। এরপর বিক্ষুব্ধ কয়েকজন বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।ওই দিন ১৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পাসপোর্ট সংক্রান্ত বৈঠক করে। বৈঠক শেষে পুলিশ দুজনকে আটক করে। কিন্তু পরে আবার তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে প্রায় ৭ হাজার পাসপোর্ট আটকে আছে দূতাবাসের অধীনে। এ কারণে এসব বাংলাদেশিরা পাসপোর্ট জটিলতার কারণে বিপদে আছেন। এর কোন সমাধান না পেয়ে দূতাবাসে এসে বিক্ষুব্ধ প্রবাসীরা ভাঙচুর করে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, গত তিন বছর ধরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সমস্যার কারণে আমার পাসপোর্টটি আটকে আছে। আমার মতো আরও অনেক বাংলাদেশিদের একই সমস্যা। খুবই বিপদে আছি। রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ ও সুদৃষ্টি কামনা করছি। আমাদের মত অসহায় প্রবাসীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য।তিনি বলেন, ইতালিতে আমরা বৈধ হলেও পাসপোর্টের কারণে চরম বিপদে আছি। যেকোনো মুহূর্তে অবৈধ হয়ে যেতে পারি। এরমধ্যে আমার বাবা মারা গেছেন পাসপোর্টের কারণে দেশে যেতে পারিনি।এ ব্যাপারে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান বলেন, দূতাবাসে পাসপোর্টের বয়স সংশোধনসহ অন্যান্য চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এরপরেও দূতাবাসের এরকম একটি সুশৃঙ্খল কাজে বিশৃঙ্খলা করার কোন কারণ দেখছি না। বিষয়টি সমাধান করতে ঢাকা অফিসে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারপরেও দূতাবাসে ভাঙচুর এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।তিনি আরও বলেন, এই বিশৃঙ্খলায় কারো কোন ইন্ধন আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে যদি এরকম কিছু পাওয়া যায় তবে এদেশের নিয়ম মেনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ যেমন সবার, দূতাবাসও তেমন সবার।প্রসঙ্গত, গতকাল পাসপোর্টের বয়স সংশোধনসহ অন্যান্য সমাধান না পেয়ে দূতাবাসের ভিতরে বিক্ষুব্ধ কয়েকশ প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভাঙচুর করে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

post
দূতাবাস খবর

ঢাবির মাধ্যমে হবে পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষা

বাংলাদেশে পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষা ও পর্তুগিজ ভাষা-সংস্কৃতির প্রসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একাডেমিক সংযোগ স্থাপনে সহযোগিতা চুক্তি সই করেছে পর্তুগালের ক্যামোয়েস ইনস্টিটিউট অব কোঅপারেশন অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ। চুক্তির আওতায় ক্যামোয়েস ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে (আইএমএল) পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষা কোর্স চালু করা হবে।পাশাপাশি, পর্তুগিজ ভাষার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সহযোগিতা করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও ক্যামোয়েসের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জোয়াও রিবেইরো ডি আলমেদা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।অনুষ্ঠানে লিসবনপ্রান্তে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান, ক্যামোয়েস ইনস্টিটিউটের প্রোগ্রামিং, ট্রেনিং ও সার্টিফিকেশন বিভাগের প্রধান রুই ভিসেন্তে দে আজেভেদো ও বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব আব্দুল্লাহ আল রাজি এবং ঢাকাপ্রান্তে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ বি এম রাজাউল করিম ফকির ও বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব আশিক বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। ক্যামোয়েসের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জোয়াও রিবেইরো ডি আলমেদা চুক্তি সইয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আশা করছেন, উভয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে পর্তুগিজ ভাষা-সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রসারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। একে সূচনা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠান এই চুক্তির অধীনে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে পেতে সচেষ্ট থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষায় শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি সইয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, 'চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠানই উপকৃত হবে।' বর্তমানে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট ১৪টি ভাষার শিক্ষা কোর্স পরিচালনা করছে উল্লেখ করে তিনি আশা করেন, এই প্রটোকল চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে ক্যামোয়েস ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় শিগগির পর্তুগিজ ভাষা কোর্স চালু হবে। রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান ২ দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক যোগসূত্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, '১৬ শতাব্দী থেকে বাংলাদেশ ও পর্তুগালের মানুষের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে উভয় দেশকে এই সহযোগিতা চুক্তি কাজে লাগাতে হবে।' তিনি আশ্বাস দেন লিসবন দূতাবাস চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত থাকবে।

post
দূতাবাস খবর

ওয়াশিংটনে শহীদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত

ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে শুক্রবার (৫ আগস্ট) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়।সমাজ ও জাতির উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে শহীদ শেখ কামালের অসামান্য অবদানের স্মরণে দূতাবাস বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক এ উপলক্ষে প্রদত্ত বাণী পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মিনিস্টার (ইকোনোমিক) মোঃ মেহেদি হাসান এবং মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) দেওয়ান আলী আশরাফ এই বাণী পাঠ করেন। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহীদুল ইসলাম মহান মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন এবং দেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে শহীদ শেখ কামালের অসামান্য অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ কামাল ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী এবং একজন তারুণ্যের রোল মডেল। তিনি বলেন, খেলাধুলা, সঙ্গীত, নাটকসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে শহীদ শেখ কামালের অবদান দেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম আশা প্রকাশ করেন, শহীদ শেখ কামালের আদর্শ অনুসরণ করে দেশের তরুণ প্রজন্ম ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাবে। আলোচনায় আরো অংশ নেন ডেপুটি চিফ অব মিশন ফেরদৌসি শাহরিয়ার, মিনিস্টার (ইকোনোমিক) মো. মেহেদি হাসান ও মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন। কাউন্সেলর এবং হেড অফ চ্যান্সেরি মোঃ মাহমুদুল ইসলাম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। আলোচনা শেষে শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে শহীদ শেখ কামাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তাদের পরিবারের শহীদ সদস্যদের এবং অন্যান্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এর আগে রাষ্ট্রদূত শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

post
দূতাবাস খবর

আনন্দময় আয়োজনে বাংলাদেশ হাউজে সম্পন্ন ঈদ পুণর্মিলনী

আয়োজনটি ছিলো পরিপাটি ও বেশ গোছানো। অভ্যাগত অতিথিরা ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ হাউজে এসেছিলেন ঈদ পুণর্মিলনীতে অংশ নিতে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বাসভবন। মেরিল্যান্ডের একটি মনোরম নেইবারহুডে এই বাড়িটি বাংলাদেশ সরকার কিনে নিয়েছে। সুপ্রশস্ত বাড়ির ভেতর ও বাইরের বারান্দা মিলিয়ে শতাধিক মানুষের আয়োজন সহজেই করে ফেলা যায়। তাই অতিথিদের বাড়িতেই নিমন্ত্রণ করেছিলেন রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী জেসমিন ইসলাম বীথি। বিকেল থেকে আসতে শুরু করেন অতিথিরা। সাজ পোশাকে কারও বাঙালিয়ানা, কেউ আবার ফরমাল পোশাকে। সব মিলিয়ে এক আনন্দ আমেজ। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, স্টেট ডিপার্টমেন্টের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দায়িত্বশীল অনেকেই। আর ছিলেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা। তাদের কেউ শিক্ষক কেউ সাংবাদিক কেউবা সফল উদ্যোক্তা।  তারা কেউ ফুল হাতে কেউ অন্য কোনো উপহার হাতে পৌঁছান বাড়িটিতে। আর ধীরে ধীরে তা জমে ওঠে আড্ডায় আর অ্যাপেটাইজারে। এই আয়োজনে অংশ নিতে এসেছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে একটি কর্মসুচিতে যোগ দেওয়ার পর ব্রাজিল সফরে যাওয়ার পথে ওয়াশিংটনে আসেন এই নিমন্ত্রণে যোগ দিতে। আয়োজনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শাহরিয়ার আলম বলছিলেন সে কথাই। এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন এবং আগামী দিনগুলোতে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে সহায়তা পেয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট এসেছিলেন বিশেষ অতিথি হয়ে। বাংলাদেশে তার চমৎকার সময়ের কথা স্মরণ করেন এবং আশাপ্রকাশ করেন দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক সবসময় বজায় থাকবে।আর সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনায় অভ্যগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে ধর্মীয় উৎসব মিশে থাকার বিভিন্ন দিক নিয়ে দু-চার কথা বলেন রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম। সবশেষে বলেন, এই যা কিছু তার চেয়েও বড় কারণ এই উৎসব গ্রিট অ্যান্ড ইট-এর আর তা বলে সকলে খাবার গ্রহণের আহ্বান জানান। ততক্ষণে সারিবদ্ধ করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নানা পদের উপাদেয় খাবার, মাংস পোলাও, রুটি, ডাল, সব্জি সালাদ আর সাথে হালুয়া পায়েশ। টেবিলে টেবিলে তখন খাওয়া আর আড্ডার ধুম পড়ে। সকলেই উপভোগ করে খেলেন উপাদেয় সব খাবার। কি দেশি কি বিদেশি অতিথি... সকলেই। খাওয়া শেষে এবার দেখা যায় ছবি তোলার ধুম। আনন্দময় দিনটিকে তারা চাইছেন ফ্রেমবন্দি করে রাখতে। করলেনও তাই। কেউ ঘরে কেউ বাইরে, এ ওর সাথে ছবি তুলে কাটলো সময় তাদের। অনেকেই সেখানে খুঁজে পেয়েছিলেন মার্শা বার্নিকাটকে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তার সঙ্গে ছবি তুললেন কেউ দল বেধে কেউ একা। ওদিকে টেবিলে টেবিলে আড্ডা তখনও চলছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে দেখা গেলো অন্যান্য দেশের কূটনীতিক আর এদেশীয় সরকারের উচ্চপদস্থদের সঙ্গে বসে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। যাদের মধ্যে কংগ্রেসম্যানও ছিলেন। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে সফল আইটি উদ্যোক্তা বর্তমানে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ ও সিএফও ফারহানা হানিপ। আবুবকর হানিপ এই আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এমন আয়োজন বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে এদেশীয়দের কাছে তুলে ধরারই সুযোগ করে দেয়। তিনি নিজেও ঘুরে ঘুরে সকলের সঙ্গে কথা বলছিলেন ও ছবি তুলছিলেন। জাতির জনকের প্রতিকৃতি সাজিয়ে রাখা রয়েছে বাড়িটির একদিকে। এছাড়াও বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে তুলে ধরে এমন বেশকিছু ছবি টাঙ্গানো দেয়ালে দেয়ালে। সেসবও অতিথিদের মুগ্ধ করে। এভাবেই আড্ডায় আড্ডায় সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামে। আর ধীরে ধীরে অতিথিরা বিদায় নিতে থাকেন। তখন অনেককেই দেখা যায় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছবি তুলতে। ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি সস্ত্রিক সকলকে বিদায় জানান। আর তার মধ্য দিয়ে শেষ হয় আনন্দঘন আয়োজনের একটি ঈদ পুণর্মিলনী। 

post
দূতাবাস খবর

গ্লিমসেস অব বাংলাদেশ, মানামায় শুরু হয়েছে বাংলাদেশের ছবি প্রদর্শণী

গত ২৬ মে ২০২২ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মু. নজরুল ইসলাম ‘Colours of the East’ আর্ট গ্যালারির সহযোগিতায় বাংলাদেশ দূতাবাস, মানামা কর্তৃক “Glimpses of Bangladesh” শিরোনামে Seef Mall-এ আয়োজিত ০৭ দিনব্যাপী ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদেশী কূটনীতিক, বাহরাইনের সরকারী উর্ধত্বন কর্মকর্তাবৃন্দ, লেখক, ট্যুর অপারেটরস, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গসহ,ব্যবসায়ী, সাংবাদিক এবং বাহরাইনে বসবাসকরত বাংলাদেশী প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বনামধন্য দু’জন আলোক চিত্রশিল্পী মোস্তাফিজ মামুন এবং আব্দুল মমিন এর বিখ্যাত ছবিসমূহ নিয়ে এ ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।রাষ্ট্রদূত ইসলাম উদ্বোধনী শেষে আগত অতিথিদের সাথে নিয়ে ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, এ ধরনের বাংলাদেশের ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর আয়োজন, বাহরাইনে এই প্রথম। বাহরাইনের মাটিতে বাংলাদেশের অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে এ আয়জন করা হয়। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মাঝে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। পরবর্তীতে বাহরাইনকেও বাংলাদেশের মাটিতে ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর মাধ্যমে উপস্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে। এতে দু’দেশের মধ্যকার পর্যটন খাতসহ ব্যবসা-বাণিজ্যর অধিকতর প্রাসার ঘটবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীতে আলোক চিত্রশিল্পী মোস্তাফিজ মামুন এবং আব্দুল মমিন -এর ৭০টি ছবি প্রদর্শিত হয়। এসকল ছবির মাধ্যমে কৃষি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন এবং অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি সহ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিত্র ফুটে উঠে। দর্শনার্থীদের আপ্যয়ায়নের জন্য দেশীয় খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়। প্রদর্শনীতে এত সুন্দর বাংলাদেশের ছবি দেখে দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হন এবং এ ধরনের চমৎকার আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের ভূয়সী প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত ইসলাম এ ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর আয়োজনে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ট্রাভেলস রাইটার্স এসোসিয়েশন, কালারস অব দ্য ইস্ট আর্ট গ্যালারী, সিফ মল, বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম বাহরাইন, বিয়ন মানি সহ আগত সকল অতিথি ও দর্শনার্থীদের ধন্যবাদ জানান। এ প্রদর্শনী আগামী ০১ জুন ২০২২ তারিখ পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

post
দূতাবাস খবর

বাংলাদেশের ওয়াশিংটন দূতাবাসে বর্ষবরণ ও ঈদ পুণর্মিলনী

এক টুকরো বাংলাদেশ... এমনটাই বলা হয়। আর ঠিক তেমনই হয়ে উঠছিলো যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি'র বাংলাদেশ দূতাবাস... শুক্রবার সন্ধ্যায়। অভ্যগতরা এসেছিলেন বাঙালি সাজে। অনুষ্ঠান স্থলের সাজ-সজ্জ্বায়ও বাঙালিয়ানা। আর অনুষ্ঠান জুড়েও বাঙালি সব আয়োজন। খাবার পরিবেশনায় পুরোদস্তুর বাঙালি পদ- ভর্তা, পান্তা, শুটকি, শুক্তো, চিতই, পাটিশাপটা, সেমাই মিষ্টি। সাথে মাংস পোলাও তো রয়েছেই। বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়- আয়োজন ছিলো বৈশাখ বরণের। সাথে ঈদ পুণর্মিলনী। বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান দুটি উৎসব অবশ্য হয়ে গেছে আগেই। কিন্তু পহেলা বৈশাখে রমজান থাকায় এই উৎসবের আয়োজন বাংলাদেশ দূতাবাস তুলে রেখেছিলো ঈদের পরের জন্য। তাই এক সঙ্গে দুটি উৎসব হয়ে গেলো দূতাবাসে। সে কথাই বলছিলেন রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অভ্যাগতদের মধ্যে ছিলেন অন্যান্য দেশের কূটনীতিকরাও। এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা। তারা যেমন ভূয়সী প্রশংসা করছিলেন আয়োজনের, তেমনি বাংলাদেশেরও। এসেছিলেন- দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কেলি কিডারলিন। তিনি বলেন, সংস্কৃতিতে সম্মৃদ্ধ একটি দেশ বাংলাদেশ। এই দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অনুস্বীকার্য। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন কেলি কিডারলিন।  সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা পর্বের পরপরই শুরু হয় মঙ্গলশোভাযাত্রা। বাঙালির সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা নানা ধরনের প্লাকার্ড হাতে দেশি-বিদেশি অতিথিরা দুতাবাসের সামনের চত্ত্বরে ঘুরে এলেন সেই শোভাযাত্রা নিয়ে। আর সঙ্গে সেই প্রিয় গান--- এসো হে বৈশাখ এসো এসোমঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে অতিথিরা আবার চলে আসে অনুষ্ঠান স্থলে। সেখানে মঞ্চ সাজানো হয়েছে বাঙালি সংস্কৃতির নানা বিষয়কে তুলে ধরে। অতিথিরা আসন নিলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মঞ্চে উঠে পরপর দুটি গান গেয়ে শোনান। প্রথমে এসো হে বৈশাখ এসো এসো আর পরে ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম বলছিলেন এই দুটো উৎসব মানেই হচ্ছে পেটপুরে খাওয়া। সেই খাবারের আয়োজন ততক্ষণে শুরু হয়েছে। মুড়ি-মুরকি চটপটি ফুচকা কিংবা চানাচুর ভাজা। অন্যদিকে অনুষ্ঠানস্থলে চলছিলো একের পর এক গান... আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম। তবে অনুষ্ঠানে সকলের মন ছুঁয়ে যায় চারটি বাংলা কবিতা শুনে। যারা এসব কবিতা পড়ে শোনান তারা কেউ বাংলাদেশি নন। গান- কবিতার পরে নাচ। এখানকার বাংলাদেশি নতনু প্রজন্মের মেয়েরা নাচে বাংলা গানের তালে। ততক্ষণে খাবারের মূল আয়োজন শুরু হয়ে যায়। চমৎকার সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার পর, বাঙালি সব খাবারে তৃপ্তি মিটিয়ে খান বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষগুলো। মজা করে খান বিদেশি অতিথিরাও। এমন আয়োজন করতে পের খুশি রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এটা দূতাবাসের একটি দায়িত্ব বাংলাদেশের উৎসবের দিনগুলোতে এখানকার বাংলাদেশিদের জন্য কিছু আয়োজন করা।

post
দূতাবাস খবর

ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মা দিবস উদযাপন

বিশ্বের সকল মা বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সমাজ ও জাতির প্রতি তাদের মহান অবদান ও আত্মত্যাগের জন্য গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ওয়াশিংটন ডিসি-তে বাংলাদেশ দূতাবাস রবিবার (৮ মে) মা দিবস উদযাপন করেছে।এ উপলক্ষে বিকেলে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ সহিদুল ইসলাম বলেন, মায়েরা তাদের সকল দুঃখ-বেদনা ভুলে পরিবারের পাশাপাশি একটি আলোকিত সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। রাষ্ট্রদূত ইসলাম বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং সমাজ ও জাতির জন্য তাঁর অসামান্য অবদান ও ত্যাগের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গমাতা। মিনিস্টার (কনস্যুলেট) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সহধর্মিণী রোকেয়া আক্তার কাকলীও আলোচনায় অংশ নেন। পরে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

post
দূতাবাস খবর

নয়াদিল্লিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন

নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে দিবসটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মুহাম্মদ ইমরান। এ সময়ে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।পরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, এমপি’র পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।দূতাবাসের উপ হাই কমিশনার মো. নুরল ইসলাম রাষ্ট্রপতির বাণী ও মিনিষ্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। হাই কমিশনার মুহাম্মদ ইমরান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে মুজিবনগরে গঠিত অস্থায়ী সরকার যে ঐতিহাসিক ও বীরত্বগাঁথা ভূমিকা রেখেছে তা ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের একটি স্বাধীন মানচিত্র, স্বাধীন পতাকা এবং সংবিধান উপহার দিয়েছেন। স্বাধীনতা একদিনে আসেনি। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী অস্থায়ী সরকারের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ শহীদ ও যে সকল মা-বোনেরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের সবার কাছে জাতি কৃতজ্ঞ।তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে।আলোচনা অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব তুলে ধরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যবর্গ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা এবং দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠান হয়।

post
দূতাবাস খবর

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করে বাংলাদেশ দূতাবাস, ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে রোববার যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়।যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্ণারে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি করেন। এ সময় দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত বানী পাঠ, দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা এবং ‘মুজিবনগর সরকার’ শীর্ষক একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন।আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং ত্রিশ লক্ষ শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন এবং মুজিবনগর বাঙালি জাতির বীরত্বের প্রতীক।রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামকরণ করা হয়।তিনি আরো বলেন, প্রথম সরকার মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক মতামতকে সুসংহত করেছে।ডেপুটি চীফ অফ দি মিশন ফেরদৌসি শাহরিয়ার, মিনিস্টার (ইকোনোমিক) মেহেদি হাসান এবং কাউন্সিলর (পাবলিক ডিপ্লোমেসি) আরিফা রহমান রুমা আলোচনায় অংশ নেন।এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চারনেতা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে একটি বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়।

post
দূতাবাস খবর

ফ্লোরিডার মায়ামীতে বাংলাদেশ কন্স্যুলেট অফিস উদ্বোধন

ফ্লোরিডার মায়ামীতে বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হলো বাংলাদেশে নতুন কন্স্যুলেট অফিস। যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) এই কার্যালয় উদ্বোধন করেন। দীর্ঘদিন ধরেই ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেলের অফিসের দাবি ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানকার প্রবাসীদের ২৭ বছর আগে প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন সেই দাবি পূরণের। তারই বাস্তবায়ন ঘটলো এই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে।এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বেশ কটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিজস্ব ভবনে আমাদের দূতাবাস, কন্স্যুলেট স্থাপিত হয়েছে। এ ধারা সূচিত হয় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর আমলে। এরপর আবারো শুরু হয়েছে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার পর। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপূর্ব পরিবেশ বিরাজ করছে, তা এই ফ্লোরিডার ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরাও লুফে নেবেন।তিনি বলেন, প্রবাসীরা হচ্ছেন একেকজন মাতৃভূমির রাষ্ট্রদূত। এছাড়া, করোনাকালেও তাদের প্রেরিত অর্থে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। এজন্য আমরা প্রবাসীদেরকে অভিবাদন জানাচ্ছি। "শেখ হাসিনা যা বলেন তা করেন। প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা তার বাবা বঙ্গবন্ধুর মতোই সাহসী একজন ব্যক্তিত্ব। এভাবেই তিনি নানা সীমাবদ্ধতা সত্বেও বাংলাদেশকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিণত করেছেন," বলেন ড. এ কে আবদুল মোমেন।কমিউনিটির পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এ অঞ্চলের প্রবাসীদের বিশেষ এক টান রয়েছে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। তাঁরই পুরস্কার পেলাম আমরা। এরপর টেক্সাস, মিশিগান, জর্জিয়াতেও কন্স্যুলেট অফিস স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম ছাড়াও মায়ামীর আশপাশের কয়েকটি সিটির মেয়র শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এই উদ্বোধনী কর্মসূচিতে। আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ৭৬০ নর্থওয়েস্ট, ১০৭ এভিনিউতে অবস্থিত এপার্টমেন্ট ভবনের ৩২০ নম্বর স্যুইটে ফিতা কাটার মধ্যদিয়ে। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই বাংলাদেশ থেকে ফ্লোরিডার কনসাল জেনারেল হিসেবে ইকবাল আহমেদকে নিয়োগ দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি সামগ্রিক অবস্থার আলোকে মায়ামীকে বেছে নেন অফিস স্থাপনের জন্যে। এর আগে মায়ামীতে পৌঁছলে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রবাসীরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুর রহমান, মুজিবউদ্দিন, এডভোকেট জহীর, নান্নু আহমেদ, নাফিজ জুয়েল, আনোয়ার খান দিপু, লেবু চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের নেতা ইফজাল চৌধুরী, জামাল হোসেন প্রমুখ। বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরো ছিলেন সমাজ-সংগঠক ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতা জুনায়েদ আকতার।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.