post
দূতাবাস খবর

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে, ইউনেস্কো’র ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃত, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদদের রুহের মাগফিরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় অনুষ্ঠানটিতে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটির ভিডিও প্রদর্শন করা হয় অনুষ্ঠানটিতে।অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ও চ্যার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তৌফিক ইসলাম শাতিল। বক্তব্যের শুরুতে তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এর পর তিনি বাংলাদেশের মুক্ত সংগ্রামে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভূমিকা ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন ৭ মার্চের ভাষণেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণকে চূড়ান্ত যুদ্ধের প্রস্তুতির আহ্বান জানান এবং ভাষণের মধ্যেই মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা অন্তর্নিহিত ছিল। ইউনেস্কো কর্তৃক ভাষণটিকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ এর অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিই প্রমাণ করে এটি শুধু বাঙালির মুক্তিসংগ্রামকেই উজ্জীবিত করেনি, বরং পৃথিবীর সব মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস বলে উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ও চ্যার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স উল্লেখ করেন। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ ৭ মার্চের ভাষণের মর্মবাণী ধারণ করে কর্মে ও চিন্তায় এর প্রয়োগের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন: ২০৪১ অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রমনার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতার দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্ত করে।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। সকালে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দূতাবাসের দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।পরে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতার আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।এ উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার (কমার্স) মো. সেলিম রেজা এবং কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল) আরিফা রহমান রুমা। পরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে পরে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তার মহাকাব্যিক ভাষণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন।৭ মার্চকে বাঙালি জাতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু’র এই কালজয়ী ভাষণ মুক্তিকামী জনতাকে ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল।রাষ্ট্রদূত মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু’র ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে দেশে-বিদেশে এর ব্যাপক প্রচারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এ ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।রাষ্ট্রদূত ইমরান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান ।ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আবদুল হাই মিলটনও আলোচনায় অংশ নেন এবং ৭ই মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ইউনেস্কো কর্তৃক এর স্বীকৃতি, ভাষণের কাব্যিক মূল্য এবং  বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকট এর তাৎপর্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে এক বিশেষ  প্রার্থনার মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল আজ যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ২০২৪ উদযাপন করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সূচনা করেন কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা সহ কনস্যুলেটের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭১ ও ১৯৭৫ এর সকল শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি  উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের নির্মিতি একটি ভিডিও  প্রদর্শন করা হয়। এরপর দিবসটির  গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়।কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্যের উপর আলোচনা করেন। তিনি দিবসটির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে ইউনেস্কো কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব-ঐতিহ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন যে, ৭ মার্চের ভাষণ এখন শুধু বাংলাদেশেরই নয়, বরং বিশ্ব সম্পদে পরিণত হয়েছে। তিনি বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনের প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য মানসিক এবং চেতনাগত দিক থেকে প্রস্তুত করেন। তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বেই দীর্ঘ নয় মাসের অতুলনীয় ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সারাবিশ্বের মুক্তিকামী ও শান্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি সকলকে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবন ও কর্ম এবং  বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য  তুলে ধরার আহ্বান জানান। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখার জন্য তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ করেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্য, ১৯৭১ সালের সকল শহিদ ও জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।

post
দূতাবাস খবর

মালয়েশিয়ায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে  ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ উদযাপন করেছে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ১১ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির  শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।ঐতিহাসিক দিনটির প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান তার বক্তৃতায় শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন।  এই ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকেই স্বাধীনতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করেনি, সারা বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত স্বাধীনতাকামী মানুষকে সর্বদা অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃত ৭ই মার্চের ভাষণটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করেই ইউনেসকো ২০১৭ সালে এ ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’- এ অন্তর্ভুক্ত করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণের স্বপ্নকে অনুসরণ করে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। তাঁর কার্যকর পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ একটি গতিশীল অর্থনীতি ও সম্ভাবনার দেশে পরিণত হয়েছে। দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রবাসীবান্ধব এই সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বহুমাত্রিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। হাইকমিশনার  প্রবাসীদের ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর এবং সার্বজনীন পেনশন স্কীমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার  আহ্বান জানিয়ে বলেন, বৈধ পথে টাকা পাঠানো হলে দেশের অর্থনৈতিক  উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।  অনুষ্ঠানে  মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটি এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

post
দূতাবাস খবর

কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার খলিলুর রহমানকে অব্যাহতি

কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মো. খলিলুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাকে অবিলম্বে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ড. মো. খলিলুর রহমান অটোয়া থেকে ঢাকায় ফিরছেন। এর আগে গত বছরের ২১ আগস্ট আগের চুক্তির ধারাবাহিকতা ও একই শর্তে ৩১ অক্টোবর থেকে ড. মো. খলিলুর রহমানকে ছয় মাসের জন্য একই পদে চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ড. খলিলুর রহমান বিসিএসের ১৯৮৫ ব্যাচের পররাষ্ট্র বিভাগের ক্যাডার। পেশাদার কূটনীতিক হিসেবে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ও নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে কাজ করেছেন।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর খলিলুর রহমান প্যারিসের সরবোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতির ওপর মাস্টার্স ও এমফিল করেন। তিনি জনস্বাস্থ্যের ওপর নতুন দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন।

post
দূতাবাস খবর

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের হঠাৎ ঢাকা ত্যাগ

মার্কিন প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফরের মাঝেই হঠাৎ ঢাকা ত্যাগ করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ঢাকা ছাড়েন তিনি।কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিমানযোগে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন পিটার হাস।এর আগে গত শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তিন দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক আইলিন লাউবাচার; ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক ও ব্যুরো ফর এশিয়ার কর্মকর্তা মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার ঢাকায় আসেন।

post
দূতাবাস খবর

পাসপোর্টের মেয়াদ বৃদ্ধি সেবা বন্ধ করতে যাচ্ছে কুয়েত

করোনা মহামারির সময় কুয়েতের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার কারণে আকামা নবায়ন নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল প্রবাসীদের। ঠিক সেই মুহূর্তে পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়িয়ে আকামা নবায়নের সুযোগ দিয়েছিল দেশটির সরকার। বর্তমানে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হওয়ায় ১ জুন থেকে সেই সুযোগ আর থাকছে না।এক নির্দেশনায় বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, আগামী ১ মে থেকে খারেজিয়ার মাধ্যমে পাসপোর্টের মেয়াদ বৃদ্ধি সেবা বন্ধ করতে যাচ্ছে কুয়েত। এ কারণে আর্থিক ও আইনি ঝামেলা এড়াতে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই পাসপোর্ট নবায়নের অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান। তিনি জানান, কুয়েত সরকার জানিয়েছে ১ জুন থেকে সেই ম্যানুয়াল পদ্ধতি তারা আর গ্রহণ করবে না। তাই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ১ মে থেকে এটা বন্ধ করে দেয়া হবে।

post
দূতাবাস খবর

মালয়েশিয়ায় চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট সেবা

মালয়েশিয়ায় চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অথবা আগমী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি। হাইকমিশনের সভাকক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় হাইকমিশনার জানান, প্রবাসীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ই-পাসপোর্ট সেবার লক্ষ্যে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে হাইকমিশন। ইএসএল নামের একটি আউট সোর্স কোম্পানি এ নিয়ে কাজ করছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে।

post
দূতাবাস খবর

সাভারে দূতাবাসের ১৩ সামরিক উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন, বাংলাদেশে অবস্থিত ১১টি দেশের দূতাবাসের ১৩ জন সামরিক উপদেষ্টা।রবিবার সকালে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর-ডিজিএফআই’এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হকের নেতৃত্বে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তারা। বিদেশি সামরিক উপদেষ্টাগণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। পরে স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন তারা। পরে তারা সাভারের বাইপাইলে পরিবেশ বান্ধব গার্মেন্টস পরিদর্শন করেন ও কর্মপরিবেশ পর্যবেক্ষন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

post
দূতাবাস খবর

কুয়ালালামপুরে নতুন ঠিকানায় বাংলাদেশের ভিসা পরিষেবা

কুয়ালালামপুরে নতুন ঠিকানায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের ভিসা পরিষেবা। সহজে ও স্বল্প সময়ে ভিসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন এ উদ্যোগ নিয়েছে। বুধবার হাইকমিশনের কাউন্সিলর জিএম রাসেল রানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, পাসপোর্ট ও ভিসা প্রসেসিং পরিষেবা বাড়ানোর জন্য এক্সপ্যাট সার্ভিসেস (কুয়ালালামপুর) এসডি এন বিএইডি-এর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। ৬ ফেব্রুয়ারি ভিসা প্রক্রিয়াকরণ পরিষেবা শুরু হবে।সেখানে মালয়েশিয়ার নাগরিকদের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টার লেভেল ২, ব্লক ই, নং ২, জালান দুয়া অফ জালান চ্যান সো লিন, ৫৫২০০ উইলায়াহ পারসেকুতুয়ান, কুয়ালালামপুর +৬০৩-৯২১২০২৬৭ , [email protected] ঠিকানা থেকে তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে এবং সংগ্রহ করার জন্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি কুয়ালালামপুরে সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি কল সেন্টারটির উদ্বোধন করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। মন্ত্রীর পক্ষে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান ফিতা কাটেন।

post
দূতাবাস খবর

কাতারে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন ভিসানীতি চালু

কাতারে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন ভিসানীতি চালু হয়েছে। নতুন এ পদ্ধতিতে দূতাবাসের স্বাক্ষর নিয়ে ভিসা দিবে কাতার। কমিউনিটি নেতারা বলছেন,নতুন এ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামী কর্মীদের মাঝে দক্ষ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়বে।বাংলাদেশের অন্যতম বড় শ্রমবাজার কাতার। দেশটিতে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি। সম্প্রতি কাতারগামী নতুন বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন ভিসা প্রদানের নীতিমালা চালু করেছে দেশটির সরকার। আগে বাংলাদেশ থেকে কর্মীরা শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভূল তথ্য দিয়ে কাতারের ভিসা পেতো। তবে, এখন থেকে দূতাবাসের স্বাক্ষর ছাড়া ভিসা পাবে না কোন বাংলাদেশি। কমিউনিটি নেতারা বলছেন,শৃঙ্খলা ফেরাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার সরকার। তারা বলেন, এ পদ্ধতিতে বাংলাদেশিদের মধ্যে দক্ষ হয়ে বিদেশ যাবার প্রবণতা বাড়বে। বর্তমানে যেসব বাংলাদেশিরা বিদেশ যেতে ইচ্ছুক, তাদেরকে দক্ষ হওয়ার পরামর্শ বিশিষ্টজনদের।

post
দূতাবাস খবর

মানিট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানকে উদ্যোগী হওয়ার আহবান ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের

প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ বৈধ পথে দেশে পাঠাতে মানিট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: মনিরুল ইসলাম। ইতালিতে অবস্থিত জনতা এক্সচেঞ্জ কোম্পানী পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন। এসময় রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছাতে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানান।বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়। যা সচল রেখেছে দেশের অর্থনীতিকে। আর সেই রেমিটেন্স প্রেরণকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে অন্যতম ইতালি প্রবাসীরা। বৈধপথে টাকা পাঠিয়ে দেশের রেমিটেন্স প্রবাহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন তারা। ইতালিতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থপ্রেরণকারী প্রতিষ্ঠান জনতা এক্সচেঞ্জ কোম্পানী বর্তমানে রোম এবং মিলানের দুইটি ব্রাঞ্চ দিয়েই সেবা দিয়ে চলেছে ইতালি প্রবাসীদের। সম্প্রতি এ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: মনিরুল ইসলাম। এসময় তিনি বৈধ পথে দেশে পাঠাতে মানিট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান। প্রবাসীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছাতে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলেন রাষ্ট্রদূত। নিরাপদে দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে জনতা এক্সচেঞ্জের সেবার মান তুলে ধরেন সাধারণ প্রবাসীরা। মূল শহরে ব্রাঞ্চের পাশাপাশি এজেন্টদের মাধ্যমে প্রবাসীদের সেবা দিলে বৈধ পথে রেমিটেন্সের হার আরও বাড়বে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.