post
দূতাবাস খবর

ভাষা শহীদদের সম্মানে রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজন

ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় "শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২" পালন করেছে। দিবসের বিশেষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং চ্যান্সেরি প্রাঙ্গণে স্থাপিত শহীদ মিনারে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সকাল ১০টায় দূতাবাসের আয়োজনে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দূতাবাসের আমন্ত্রিত দেশি-বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, বন্ধুপ্রতীম বিদেশি নাগরিকবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ ও প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ সংযুক্ত হন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ শামীম আহসান তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে মাতৃভাষার অস্তিত্ব রক্ষা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মত্যাগকারী শহীদদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ভাষা সংগ্রামের পথ ধরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২৯ তম অধিবেশনে জাতির পিতার বাংলায় ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন যে, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষাকে পৃথিবীর সর্বত্র সম্মানজনকভাবে উপস্থাপনের সুযোগ তৈরি হচ্ছে যা ভবিষ্যতে আরো বেগবান হবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে এ দিবস পৃথিবীর সকল দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, ইউনেস্কোর মহাপরিচালকের বাণী পাঠ করা হয়। ইউনেস্কোর আঞ্চলিক পরিচালকের পক্ষে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারী Ms. Megumi Watanabe মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী বাংলাদেশী তরুণদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতির মাধ্যমে পৃথিবীর সকল মাতৃভাষার স্বকীয় গুরুত্ব ও অবস্থান সুসংহত করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। ইতালির ফ্লোরেন্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারী কনসাল Ms. Giorgia Granata বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে শান্তি ও সৌহার্দ্য বিনির্মাণের ক্ষেত্রে দিনটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বলেও মতামত ব্যক্ত করেন। নেপলস্‌ এ নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারী কনসাল Ms. Fiorella Breglia ভাষার জন্য বাংলাদেশের তরুণদের আত্মত্যাগের জন্য তিনি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান এবং গর্ববোধ করেন বলে অনুভূতি ব্যক্ত করেন। বন্ধুপ্রতীম ইতালীয় ও অন্যান্য বিদেশী নাগরিকবৃন্দও মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় আত্মত্যাগকারী শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা মাতৃভাষার অনন্যতা ও স্বকীয়তার বিষয়ে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। Rishilpi International নামীয় সংগঠনের উদ্যোক্তা বাংলাদেশের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু দুই ইতালীয় নাগরিক বাংলাদেশের সাতক্ষীরা থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে, হাইব্রিড মাধ্যমে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গান ও নাচের ধারণকৃত অংশ উপভোগ করেন। মিজ্‌ সুস্মিতা সুলতানার পরিচালনায় এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সঞ্চারী সংগীতায়ন’ এর শিক্ষার্থীদের সপ্রতিভ পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানের এ অংশের বিশেষ আকর্ষণ ছিল মিজ লাওরা নামের একজন ইতালিয়ান ছাত্রীর মনোমুগ্ধকর একক পরিবেশনা। অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে দিবসটি উপলক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমি নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ইতালি, ভারত, থাইল্যাণ্ড ও প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পীদের ধারণকৃত বর্ণিল পরিবেশনা অনুষ্ঠানে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ, ইতালীয় আলোকচিত্রী Mr. Stefano Romano -এর তোলা ছবি নিয়ে তৈরি "আমার চোখে একুশ" শীর্ষক Photo Journey সকলের ব্যাপক প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়। শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ সন্ধ্যা ৭.০১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রাত ১২.০১ মিনিটে) ইতালির রোমে অবস্থিত আইজাক রবিন পার্কে স্থাপিত শহীদ মিনারে বাংলাদেশ দূতাবাস, রোম-এর উদ্যোগে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা/ কর্মচারী ও পরিবারবর্গ পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, ভাষা শহীদদের সম্মানে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে মহিমান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রয়াসে ইতালীয় সরকারের অনুমতিক্রমে রবিন পার্কে ২০১১ সালে শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। ভূতাত্ত্বিক অনুপযোগিতার কারণে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকলেও দূতাবাসের সক্রিয় প্রচেষ্টার ফলে ২০১৪ সালের পর এবারই প্রথম এ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন সম্ভব হলো। দূতাবাসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এবং বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরাও এসময় ফুল দিয়ে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সকলের সামনে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। একই সাথে রবিন পার্কে দর্শনীয় শহীদ মিনার স্থাপনের পেছনে জড়িত দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা এবং ইতালীয় সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।  

post
দূতাবাস খবর

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি, বাংলাদেশের প্রশংসায় বিশ্ব সম্প্রদায়

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ও মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস অবিচ্ছেদ্য বলে এক ওয়েবিনার আলোচনায় মন্তব্য করেন জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান।ওয়ার্ল্ড সামিট অব ইনফরমেশন সোসাইটি-ডব্লিউএসআইএস এর পৃষ্ঠপোষকতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে যুগ্মভাবে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা- আইটিইউ, জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা- ইউনেস্কো, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি- ইউএনডিপি ও জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন- আনকটাড-এর সাথে যৌথভাবে এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করে জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির কার্যালয়। এসময় স্থায়ী প্রতিনিধি আরো বলেন, "বাংলাদেশের স্বাধীনতার দীর্ঘ আন্দোলেনের মূল সূতিকাগার হলো ভাষা আন্দোলন। তাই শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজও বাংলাদেশের মানুষের সামাজিক সম্প্রীতি ও রাজনৈতিক ঐক্যের অনুপ্রেরণার উ ৎস।" এছাড়াও, মাতৃভাষার সংরক্ষণ ও উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট, ভাষা জাদুঘর ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য তাদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষার প্রচলন বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার সংরক্ষণ ও দেশের অংশগ্রহণমূলক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ওয়েবিনারটিতে আলোচক হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন জেনেভায় নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ইন্দ্র মনি পান্ডে, আইটিইউ-এর উপ-মহাসচিব ম্যালকম জনসন, ইউনেস্কোর সহকারি মহাপরিচালক ড. তৌফিক জেলাসি, আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপর্টিয়ার ফ্রান্সিস্কো ক্যালি য্যায়, মরক্কোর শিক্ষাবিদ ড. ফাতিমা সাদিকি ও উগান্ডার সুশীল সমাজের সদস্য মার্গারেটা লোকাউয়া। মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ে ১৯৫২ সালে বাংলাদেশের মানুষের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বক্তারা ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি প্রদানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রসংশা করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কনফারেন্স হলে আরেকটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আলোচনা সভায় অংশ নেন। 

post
দূতাবাস খবর

কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস। এ উপলক্ষে সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরণিতে অবস্থিত মিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। এরপর পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট ক্রসিং সংলগ্ন বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্যকেন্দ্রের সামনে থেকে সুদৃশ্য প্রভাতফেরি বের করা হয়। সেটি এ জে সি বোস রোডের ফ্লাইওভারের নিচে রাস্তা ঘুরে শেষ হয় মিশন প্রাঙ্গণে এসে। এরপর শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেনসহ মিশনের কর্মকর্তারা। তৌফিক হাসান বলেন, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমরা খুবই আনন্দিত যে, ১৯৯৯ সালে এটি ইউনেস্কো থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পেয়েছিল এবং সারা বিশ্বে দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে আজকের দিনের সূচনা হলো। এরপর সুদৃশ্য প্রভাতফেরি শুরু হয়েছে। পরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হবে। এছাড়াও দিনভর নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শান্তি নিকেতনে অবস্থিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাস, বাংলাদেশ-ভারত পেট্রাপোল সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে নানা সংগঠন-ক্লাবের পক্ষ থেকেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। বিকেলে দেশপ্রিয় পার্কে ভাষা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

post
দূতাবাস খবর

খুনি রাশেদের বিষয়ে নিজ দেশে কথা বলব: কানাডিয়ান হাইকমিশনার

কানাডায় অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নুর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কানাডার সরকারকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির নতুন হাইকমিশনার লিলি নিকোলস। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন নতুন এই হাইকমিশনার। কানাডার হাইকমিশনার বলেন, “নুর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বুঝতে পারি, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে আমার সরকারকে বিষয়টি জানাবো।” খুনি নুর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কানাডা সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে লিলি বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা দেবেন। তবে আমি বলতে চাই যে বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। খুনি নুর চৌধুরী ইস্যুতে হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, “বঙ্গবন্ধুর খুনি নুর চৌধুরীকে আশ্রয় দিয়েছে কানাডা। কানাডা পৃথিবীর সব খুনিকে আশ্রয় দেওয়ার জায়গা হওয়া উচিত নয়। আমি কানাডিয়ানদের বললাম, পৃথিবীর সব খুনিকে আশ্রয় দেওয়ার স্থান কানাডা হওয়া উচিত নয়। এই লোকটাকে ফেরত দিয়ে বদনাম থেকে তোমরা মুক্ত হও।” বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে পাঁচ জনকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা খুনি রাশেদ চৌধুরী ও কানাডায় অবস্থান করা নুর চৌধুরীর বিষয়ে তথ্য জানা থাকলেও বাকি তিন জনের সঠিক অবস্থান জানা নেই সরকারের। খুনিদের ফেরানোর অগ্রগতি জানতে চাইলে মোমেন বলেন, “দুজনের একজন কানাডায় এবং আরেকজন যুক্তরাষ্ট্রে আছে। তাদের আনার জন্য যা যা প্রচেষ্টা, আমরা সেটি চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা যখনই তাদের (রাষ্ট্রদূত) সঙ্গে আলাপ করি, এ বিষয়টি উত্থাপন করি।” আগামী ৮ মার্চ আমিরাত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে সম্প্রতি দেশটি সফর করে দেশে ফিরেছেন ড. মোমেন। তার সেই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, “তাদের সঙ্গে অনেক ইতিবাচক আলাপ হয়েছে। আমরা চাইছি তাদের সঙ্গে সরাসরি শিপিং যোগাযোগ। তারাও বলেছে, ডাইরেক্ট শিপিং হলে ভালো। আমরা ওই দেশ থেকে আমদানি করি প্রায় ১৮০ কোটি ডলারের পণ্য এবং গত বছর আমরা প্রায় ৫০ কোটি ডলারের মতো পণ্য পাঠিয়েছি। আমাদের যথেষ্ট সবজি আছে, কৃষিজাত পণ্য আছে এবং সেগুলো আমরা আরও বেশি করে পাঠাতে চাই।” র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। চিঠির কোনো জবাব আছে কি না— জানতে চাইলে মোমেন বলেন, “ওটার ওপরে আমরা কাজ করছি।”

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.