post
দূতাবাস খবর

টরন্টোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল টরন্টোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নুরুল আনোয়ার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. খাইরুল কবির মেনন।ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক পরিকল্পনার ধারাবাহিকতার একটি মাইলফলক। দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে পাসপোর্ট কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে উপস্থিত সবাইকে ধারণা দেন মহাপরিচালক। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি কিছু আবেদনকারীকেও পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট স্লিপ হস্তান্তর করেন। এসময় অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা ও ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের কারিগরি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

post
দূতাবাস খবর

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবাসী দিবস উদযাপন

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত হয়ে গেলো জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৩।শনিবার দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং র্যাফেল ড্রয়ের আয়োজন করা হয়। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য 'প্রবাসীর কল্যাণ মর্যাদা আমাদের অঙ্গীকার, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় তারাও অংশীদার'। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। আলোচনায় বক্তব্য রাখেন হাইকমিশনের কাউন্সিলের (শ্রম) সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, মালয়েশিয়ার ফরেন ওয়ার্কার্স ডিভিশনের প্রধান হারিরি বিন হারুন, মালয়েশিয়ার হিরু মার্কেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চ্যাং, এনবিএল মানি ট্রান্সফার, মালয়েশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলী হায়দার মর্তুজা, কমিউনিটি নেতা মকবুল হোসেন মুকুল এবং এসটিজি কোম্পানির কর্মী আব্দুর রহিম। অনুষ্ঠানে এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।এরপর প্রবাসীদের কল্যাণে হাইকমিশনের কার্যক্রমের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনায় মালয়েশিয়ার ফরেন ওয়ার্কার্স ডিভিশনের প্রধান হারিরি বিন হারুন বলেন, বাংলাদেশী কর্মীরা মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। বাংলাদেশী কর্মীদের সুরক্ষায় মালয়েশিয়া কাজ করছে। কর্মীদের বীমা সুবিধা নিশ্চিত করতে হাইকমিশনের সঙ্গে কাজ করছে মালয়েশিয়া ফরেন ওয়ার্কার্স ডিভিশন।

post
দূতাবাস খবর

বাংলাদেশ ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা না

বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে না রাশিয়া। পশ্চিমারা কী করছে বা কী করতে পারে মস্কো কেবল তা তুলে ধরছে।মঙ্গলবার ঢাকার রাশিয়া দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি।বাংলাদেশে আরব বসন্তের মতো বিপ্লব বা অভ্যুত্থান হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার সম্প্রতি দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নৌ-বাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে মাইন অপসারণে সহায়তা করেছিল। সেটা তুলে ধরতেই আমরা এখানে সংবাদ সম্মেলন করছি। তারপরও আপনাদের প্রশ্নের উত্তরে বলতে চাই— বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে নামেনি রাশিয়া। তবে, তারা  কী করেছে, আর কী করতে পারে; সেটা আমরা তুলে ধরেছি।গত ১৫ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ’ বিষয়ে এক বিবৃতি দেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ভোটের ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্তোষজনক মনে না হলে ‘আরব বসন্তের’ মতো করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হতে পারে।বিবৃতিতে বাংলাদেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সঙ্গে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের সরাসরি সম্পর্কের কথা বলেন রুশ মুখপাত্র।রুশ মুখপাত্রের বিবৃতির দুই দিন পর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে মোমেন বাংলাদেশে আরব বসন্তের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, রাশিয়া কী বলেছে, এটা আমাদের ইস্যু নয়। অনেকে অনেক ধরনের কথা বলবে, আমরা এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে, আমার মনে হয় না বাংলাদেশে আরব বসন্তের কোনো সম্ভাবনা আছে।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপসারণে সহায়তা করেছিল রাশিয়ার নৌ-বাহিনী। সে সময়ের রাশিয়ার নৌ-বাহিনীর দুই সদস্য বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে এসেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করেন।রাশিয়ার নৌ-বাহিনীর সাবেক সদস্য ভিটালি গুবেনকো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপসারণের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মাইন অপসারণের জন্য  ১৯৭২ সালে আমি চট্টগ্রাম আসি। সে সময় কাজটি খুব কঠিন ছিল। দুই বছরের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় মাইন অপসারণ করা হয়। পরে বন্দর দিয়ে জাহাজ চলাচল শুরু হয়। তখন স্থানীয় জনগণ খুব সহযোগিতা করেছিল।বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৫০ বছর পর এসে নতুন এক বাংলাদেশ দেখছি। এখানে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এটা দেখে খুব আনন্দ হচ্ছে।

post
দূতাবাস খবর

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর্যের সাথে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে গতকাল মঙ্গলবার ‘মহান শহিদ দিবস’ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য ৭১ বছর আগে ঢাকায় জীবন উৎসর্গকারী ভাষাবীরদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের স্মরণে দূতাবাস দিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক রাত ১২.০১ মিনিটে দূতাবাস প্রাঙ্গণে নির্মিত শহিদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।এসময় ‘অমর একুশে’ নিয়ে রচিত বিখ্যাত গান--"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি"-- বাজানো হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।সকালে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করেন। দিবসটি স্মরণে এক প্রভাত ফেরিরও আয়োজন করা হয়।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতার আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান ডেপুটি চীফ অব মিশন ফেরদৌসী শাহরিয়ার, ইকনোমিক মিনিস্টার মোঃ মেহেদী হাসান, প্রেস মিনিস্টার এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন এবং পাবলিক ডিপ্লোমেসি কাউন্সেলর আরিফা রহমান রুমা।পরে মহান ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে নির্মিত দুটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ভাষা আন্দোলনের শহিদের আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দূতাবাস বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। পরে বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরতে বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশের শিল্পীরা একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার বক্তব্যে মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে বাঙালি জাতির জন্য বাতিঘরের মতো আখ্যায়িত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এখন বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত হওয়ার পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে অবদান রাখতে এবং নতুন প্রজন্মকে সমৃদ্ধ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে আরও জানতে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ, ভারত, প্যারাগুয়ে, ঘানা ও নেপালের শিল্পীরা এবং পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত একটি সাংস্কৃতিক দল তাদের নিজস্ব সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে অতিথিদের মুগ্ধ করেন।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকবৃন্দ, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।পলিটিক্যাল-১ কাউন্সেলর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়রে ফার্স্ট সেক্রেটারি মোঃ আব্দুল হাই মিল্টন দিনব্যাপী দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

post
দূতাবাস খবর

আল-আযহারের শিক্ষার্থীদের ভিসা জটিলতা নিয়ে মিশরের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

এলামী মো. কাউসার, কায়রো, মিশর: অবশেষে বাংলাদেশি ছাত্রদের সকল হতাশার অবসান ঘটিয়ে আসতে পারে সমাধান!! গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক ও প্রথম সারির অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলোতে "বাংলাদেশি ছাত্রদের আর আসা হচ্ছে না আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে"এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতালয় প্রধান ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে ছিলেন যতদ্রূত সম্ভব রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে দূতাবাস বিষয়টি সমাধানের পথে এগোবো।এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ নভেম্বর নীলনদের তীর ঘেঁষা মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে, বাংলাদেশি ছাত্রদের ভিসা এবং স্কলারশিপ সংক্রান্ত বিষয়ে, মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী ঈসমাঈল খাইরাতের সাথে সাক্ষাৎ করেন মিশরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম। সে সময় তার সাথে ছিলেন দূতাবাসের কনসুলার, মোহাম্মাদ ঈসমাঈল হোসাইন, রাষ্ট্রদূতের অনুবাদক ফাহিম আহমাদ। ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিশরের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশি ছাত্রদের একমাত্র সংগঠন, বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক, সাইমুম আল-মাহদী। মিশরের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশি ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনে, মিশরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এডমিশনে, ভিসা সহজীকরণের দাবি তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে, আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে, বাংলাদেশ থেকে স্কলারশিপ প্রাপ্ত, গত দুই সেশনের ছাত্রদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জটিলতা ও ভিসা প্রাপ্তিতে বিলম্বের কারণে এখনো তারা মিশরে আসার সুযোগ পায়নি। তাদের স্কলারশিপের ডকুমেন্টসগুলো সরাসরি মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে তুলে ধরা হয়। তিনি অচিরেই এর সমাধানকল্পে কার্যকরী ভূমিকা পালনের আশ্বাস দেন। এবং তৎক্ষণাৎ সিকিউরিটি বিভাগে খোঁজ নেওয়ার জন্য তার ব্যক্তিগত সহকারীকে কে নির্দেশ দেন। ছাত্র প্রতিনিধির পক্ষ থেকে মিশরে পড়তে চাওয়া প্রাইভেট স্ট্যাডির ছাত্রদের ভিসা প্রাপ্তির ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এ সময় রাষ্ট্রদূত মুনিরুল ইসলাম বলেন, মিশরের আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া অথবা বৃত্তি পাওয়া বাংলাদেশি ছাত্রদের একটা স্বপ্নের মতো। এসময় তিনি আল-আযহারের গত সেশনগুলোর পরীক্ষার ফলাফলে বাংলাদেশি ছাত্রদের সাফল্য তুলে ধরেন। সহকারী মন্ত্রী এতে বিস্মিত হন ও আনন্দ প্রকাশ করেন। সেই সাথে সাধারণ নাগরিকদের দ্রুত ভিসা প্রাপ্তির দাবিও জানানো হয়। তিনি দুই সপ্তাহের মাঝে ভিসা প্রস্তুতের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। রাষ্ট্রীদূত মহোদয় , বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ শর্তে অন এরাইভ্যাল ভিসা ও বানিজ্যিক সুবিধা, টুরিজম ইস্যুতে মিশরের কার্যকর ভূমিকার জন্য প্রশংসা করেন। কায়রো টু ঢাকা সরাসরি এয়ারলাইন্স দ্রুত চালুকরনের ব্যাপারেও মন্ত্রী মহোদয় আশ্বাস দেন।

post
দূতাবাস খবর

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল লতিফ বিন রশিদ আল-জায়ানির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন।শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বাহরাইনের মানামায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস, বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. নজরুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে বাহরাইন সফরের জন্য ধন্যবাদ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাহরাইনে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের জন্য বাহরাইন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি পেশার জনবলসহ আরো দক্ষ ও আধা দক্ষ কর্মী নিয়োগের জন্য বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য জমি বিনিময়ের বিষয়েও আলোচনা করেন। এছাড়া মানামায় বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুলের জন্য বাহরাইন সরকারের সহযোগিতার জন্য ড. মোমেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরের প্রার্থীদের পারস্পরিক সমর্থনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন। উভয় মন্ত্রী কোভিড মহামারির কারণে আটকে পড়া প্রবাসী, তাদের পরিবারের সদস্য এবং পর্যটকদের জন্য ভিসা সহজ করাসহ বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও পর্যটনে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাহরাইন সফরকালে ১৮-১৯ নভেম্বর, ২০২২ অনুষ্ঠেয় মানামা সংলাপেও যোগ দেবেন। বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বাহরাইন সফর করছেন।

post
দূতাবাস খবর

ইউক্রেনে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য জরুরী নির্দেশনা

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্রুত পোল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) নাগরিকদের প্রতি এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ’র বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বর্তমানে ইউক্রেনে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পোল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। গত প্রায় আট মাস ধরে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত চলছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বিশাল এলাকা দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী। হারানো এলাকাগুলো পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে ইউক্রেন। এই মুহূর্তে অধিকৃত অঞ্চলগুলোর সীমান্তে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে।এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে নিজ নাগরিকদের সতর্ক করেছে বিভিন্ন দেশ। যেমন নিজ নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (২১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ইউক্রেনে বসবাসরত সকল ইরানি নাগরিককে ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানায়। নতুন করে কাউকে ইউক্রেনে না যাওয়ার অনুরোধও করেছে কর্তৃপক্ষ।ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সামরিক দ্বন্দ্ব ও অস্থিরতা বৃদ্ধির কারণে নাগরিকদেরকে যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানানো হলো।বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনে সামরিক দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি এবং অস্থিরতা বাড়ায়, ইরানি নাগরিকদের ইউক্রেন ভ্রমণে না যেতে দৃঢ়ভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে, জীবন রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য ইউক্রেনে বসবাসরত সকল ইরানি নাগরিককে ইউক্রেন ছাড়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।ইরানের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র দেয়ার পশ্চিমা অভিযোগের মধ্যে ইরান তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানালো। গত কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের পাশাপাশি সেগুলো চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইরানের কর্মকর্তারা।

post
দূতাবাস খবর

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সান্ধ্যভোজ, উন্নয়ন সহযোগিতার সম্পর্ক দৃঢ়তর করায় গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রদূতের

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সান্ধ্যকালীন ভোজে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বলেছেন, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ তার সহযোগিতার সম্পর্ক দৃঢ়তর করতে সব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। একটি অগ্রসরমান বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংক আইএমএফ-এর মতো সংস্থাগুলোর অব্যহত সহযোগিতাও প্রত্যাশা করেছেন তিনি। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ'র বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে আসা উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এই ভোজসভায় অংশ নেন। দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার মো. মেহেদী হাসানের নিমন্ত্রণে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থমন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের চিফ ইকোনমিস্ট ড. মো. হাবিবুর রহমান, আইএমএফ-এর এশিয়া প্রশান্তমহাসাগরীয় বিভাগে বাংলাদেশ মিশন চিফ রাহুল আনন্দ।বিশেষ নিমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে এই কর্মসূচিতে যোগ দেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি'র চ্যান্সেলর ও বোর্ড চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, আমেরিকান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. টমাজ মরোস্কোবস্কি। এছাড়াও দূতাবাসের কর্মকর্তারা এই ভোজসভায় যোগ দেন। অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বিশ্বব্যাংক আইএফএর সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সফল আলোচনা হচ্ছে এমনটা উল্লেখ করে জানান, বিষয়গুলো বাংলাদেশে ফিরে ফলোআপ করা হবে। মেহেদি হাসান তার বক্তৃতায় বাংলাদেশের আগামী ৫০ বছরের অভিযাত্রায় এই দুই উন্নয়ন সহযোগীর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্ব রাখবে বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশকে উন্নয়নযাত্রায় অনন্য উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন ড. টমাজ আর উন্নয়ন সহযোগিতার সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেন রাহুল আনন্দ।

post
দূতাবাস খবর

ফ্রান্সে প্রবাসীদের পাসপোর্ট জটিলতা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে তুলে ধরবে দূতাবাস

ফ্রান্সে প্রবাসীদের পাসপোর্ট প্রাপ্তিসংক্রান্ত জটিলতা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে তুলে ধরবে দূতাবাস, এমনটাই বলেছেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকালে ফ্রান্সে পাসপোর্ট জটিলতায় ভুক্তভোগী প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রদূত এই মন্তব্য করেন। এ সময় দূতাবাসের সব কর্মকর্তার পাশাপাশি ফ্রান্সের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেনইউরোপের বিভিন্ন দেশে বয়স সংশোধনকে কেন্দ্র করে ঘনীভূত হতে থাকা সমস্যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভুক্তভোগী প্রবাসীরা রাষ্ট্রদূতকে ফুল দিয়ে দূতাবাসের ইতিবাচক উদ্যোগকে স্বাগত জানান। এ সময় তথ্য সংশোধন জটিলতায় পাসপোর্ট না পাওয়ার বিষয়টি তারা রাষ্ট্রদূতের নিকট ব্যক্ত করেন এবং পাসপোর্ট না পাওয়ায় সৃষ্ট অভিবাসন জটিলতা তুলে ধরেন। পাসপোর্ট প্রদানকে কেন্দ্র করে দেশে একটি দালালচক্রের প্রতারণার কথাও ভুক্তভোগী প্রবাসীরা রাষ্ট্রদূতকে জানান এবং তা প্রতিকারের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। রাষ্ট্রদূত তালহা উপস্থিত প্রত্যেক ভুক্তভোগীর কথা মনোযোগসহকারে শোনেন এবং পাসপোর্ট প্রদান প্রক্রিয়ায় দূতাবাসের আইনী সীমাবদ্ধতা পুনর্ব্যক্ত করেন।রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা বলেন, প্রবাসীদের পাসপোর্ট সমস্যার কথা দূতাবাস নিয়মিতভাবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে অবহিত করে। রাষ্ট্রদূত তাদের ভোগান্তির কথা সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পুনরায় তুলে ধরবেন মর্মে আশ্বাস দেন। এ সময় ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ কাশেম, সাধারণ সম্পাদক দিলওয়ার হোসেন কয়েছ, কমিউনিটি নেতা সাত্তার আলী সুমনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সমাজকর্মী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং এ সমস্যা নিরসনে দূতাবাসের স্বপ্রণোদিত প্রবাসীবান্ধব উদ্যোগে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।উল্লেখ্য, আগামী ২৯ আগস্ট ২০২২ তারিখে পাসপোর্ট জটিলতায় বৈধতার জন্য অপেক্ষমাণ একদল বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে আন্দোলনের ডাক দেন, যা পরে বাতিল ঘোষণা করা হয়।

post
দূতাবাস খবর

ডিএফসি'র অর্থায়নের মাধ্যমে আরও মার্কিন বিনিয়োগ কামনা বাংলাদেশের

মার্কিন সরকারের প্রতি তাদের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (ডিএফসি) মাধ্যমে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফর ইকোনমিক গ্রোথ, এনার্জি অ্যান্ড দ্য এনভায়রনমেন্ট জোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজের কাছে এই অনুরোধ করেন। ড. চৌধুরী এবং আন্ডার সেক্রেটারি ফার্নান্দেজ বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন এবং এটিকে আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জ্বালানি উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে স্বনির্ভর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের গৃহীত নীতির বিষয়ে আন্ডার সেক্রেটারিকে অবহিত করেন। বাংলাদেশ সরকার কিভাবে গ্যাস, তেল ও কয়লা, পারমাণবিক এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো বিভিন্ন উৎস থেকে জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনছে এই বিষয়টিও তিনি তুলে ধরেন । রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বর্তমান বৈশ্বিক জ্বালানি ঘাটতি বাংলাদেশসহ অনেক দেশকে তাদের জ্বালানি নিরাপত্তা টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা পরিস্থিতির উন্নতিতে ভূমিকা রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। ড. চৌধুরী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ডিএফসি’র অর্থায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মতো দেশে আরও বিনিয়োগে এগিয়ে আসা উচিত। তিনি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য এবং বাংলাদেশে পারমাণবিক শক্তি মডুলার চুল্লির সম্ভাবনা দেখার জন্য মার্কিন কোম্পানিগুলিকে উৎসাহিত করেন। আন্ডার সেক্রেটারি বাংলাদেশের চমৎকার আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য নিরসনে অগ্রগতির প্রশংসা করেন। ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের দেশগুলিকে প্রভাবিত করছে তা স্বীকার করে জনাব ফার্নান্দেজ উপদেষ্টাকে বলেন যে যুক্তরাষ্ট্র খাদ্য, জ্বালানি বা সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। আন্ডার সেক্রেটারি নতুন নতুন সুযোগ ও সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্মুক্ত করার জন্য শ্রম অধিকার এবং কারখানার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেন। তিনি ‘ক্লিন এনার্জিকে’ একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে অভিহিত করেন এবং বাংলাদেশ এ ধরনের সম্ভাবনা উন্মোচন করতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। আন্ডার সেক্রেটারি ফার্নান্দেজ 2021 সালের নভেম্বরে COP-26 এ চালু হওয়া ‘গ্লোবাল মিথেন প্লেজে’ যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে আহ্বান জানান। উপদেষ্টা ড. চৌধুরী এবং আন্ডার সেক্রেটারি ফার্নান্দেজ বলেন যে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত ও গভীর হচ্ছে এবং উভয় সরকারের উচিত তাদের অভিন্ন স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এদিকে উপদেষ্টা বিকেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি শিল্পের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে একটি উচ্চ-পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল “Current State of Play: U.S.-Bangladesh Energy Cooperation” থিমের অধীনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্বোধন করা কাউন্সিলের ইউএস-বাংলাদেশ এনার্জি টাস্কফোর্স, এলএনজি আমদানি ক্ষমতা সম্প্রসারণ, দেশের উচ্চাভিলাষী গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশন এবং অভ্যন্তরীণ জ্বালানি অনুসন্ধান বিষয়ে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সুপারিশের অগ্রগতির সর্ম্পকে জ্বালানি উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। ড. চৌধুরী বর্তমান জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় এবং বাংলাদেশের মতো দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জ্বালানি চাহিদা মেটাতে স্বল্প থেকে দীর্ঘমেয়াদী টেকসই সমাধানের জন্য সরকার যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা তুলে ধরেন। এছাড়া মার্কিন জ্বালানি শিল্প জ্বালানি স্থানান্তরের ব্যাপারে বিশেষ দৃষ্টি প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও বাড়াতে কি সহায়তা করতে পারে এই বিষয়টি আলোচনায় স্থান পায়। ভাসমান সৌরবিদ্যুৎসহ স্টোরেজ সমস্যার সমাধান, বায়ু এবং সৌরশক্তি কিভাবে জ্বালানি মিশ্রনে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে সে বিষয়টিও গোলটেবিল বৈঠকে আলোচিত হয়।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.