রাগী মানুষকে সবাই যেন একটু এড়িয়েই চলতে চায়। যার রাগ বেশি, তার বদনামও বেশি। কিন্তু রাগও যে একটি আবেগ, তা আমরা বেশিরভাগ সময়েই ভুলে যাই। অন্যসব আবেগের মতো এটি নিয়ন্ত্রণ করাও বেশ কষ্টকর। তাই কখনো কখনো রাগ প্রকাশ হয়ে গেলেই যে তা খারাপ, এমনটা মনে করার কারণ নেই। রাগ কি শরীরের জন্য ভালো? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
অনেক সময় আমরা অনেককিছু সহ্য করে নিই। নিজের সঙ্গে নিজের লড়াই চলতে থাকে ভেতরে ভেতরে। কিন্তু আমরা বাইরে তা প্রকাশ করতে পারি না। এতে আমাদের মন ধীরে ধীরে বিমর্ষ হয়ে যেতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে শরীরেও।
আমাদের ছোটবেলা থেকেই শেখানো হয় যে রাগ এবং অন্যান্য নেতিবাচক আবেগগুলো খারাপ এবং অন্যের কাছে কখনোই প্রকাশ করা উচিত নয়। কিন্তু অন্যান্য নেতিবাচক আবেগের মতো রাগ ক্ষতিকর নয়। বরং এটি পুষে রাখাই ক্ষতিকর।
রাগ ধরে রাখলে তা ধীরে ধীরে অস্বস্তিও বাড়িয়ে তোলে। অন্য কারও ওপর জমতে থাকে বিতৃষ্ণা। এরপর একদিন না একদিন তা বিস্ফোরিত হয়ই। তাই রাগ ধরে না রেখে যে কারণে বা যার ওপর রাগ জমেছে তাকে বলে দেওয়াই ভালো।
রাগ করলেই যে ভীষণ ঝগড়া করতে হবে কিংবা মুখ দেখাদেখি বন্ধ করতে হবে বিষয়টি কিন্তু এমন নয়। বরং রাগ মানে হলো যে বিষয়টি আপনার পছন্দ নয় তা বুঝিয়ে দেওয়া। সেটি ভদ্রভাবেই করা যেতে পারে। এমনটাই স্বাস্থ্যকর।