ট্রেন্ডিং
শীর্ষ খবর
সর্বশেষ খবর
সাম্প্রতিক খবর
এনআরবি লাইফ
ওজন কমাতে চাইলে যে ভুল নয়
- ০৯ মে ২০২৪
আমিরাতে সফল চট্টগ্রামের খোরশেদ
- ০৯ মে ২০২৪
দই খাওয়ার উপকারিতা
- ০৭ মে ২০২৪
ক্যান্সার থেকে বাঁচতে সচেতন হওয়ার তাগিদ
- ০৩ মে ২০২৪
এনআরবি সাফল্য
এনআরবিসি টিভির আলোচনায় যা বললেন স্কটিশ পার্লামেন্টের শ্যাডো মিনিস্টার ফয়সল চৌধুরী!
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪১৭ অক্টোবর থেকে পিপলএনটেকের সেলেনিয়ামের নতুন ব্যাচের ক্লাস শুরু
১৩ অক্টোবর ২০২৩নাটকের পর তামিমকে ছাড়াই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল
০৫ অক্টোবর ২০২৩একাত্তর ফাউন্ডেশনের লাইভ কনসার্টে ভার্জিনিয়ার দর্শকদের মাতিয় গেলেন ইমরান-কনা ও মিতালী মুখার্জী
০৫ অক্টোবর ২০২৩একাত্তর ফাউন্ডেশনের লাইভ কনসার্টে ভার্জিনিয়ার দর্শকদের মাতিয় গেলেন ইমরান-কনা ও মিতালী মুখার্জী
০৫ অক্টোবর ২০২৩সফলতার নতুন রেকর্ড গড়লো ডালাস ফোবানা-২০২৩ II FOBANA-2023
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ধ্রুপদের আয়োজনে চমৎকার এক সঙ্গীত সন্ধ্যা উপভোগ করলো ডিএমভিবাসী!
২২ আগস্ট ২০২৩যুক্তরাষ্ট্রে ট্যাক্সফাইল কিভাবে করবেন? এনআরবিসি বিজনেস অনুষ্ঠানে কাজী ইসলাম দিয়েছেন সব উত্তর!
২২ আগস্ট ২০২৩আনুষ্ঠানকিভাবে নেইমার এখন আল হিলালের
২২ আগস্ট ২০২৩ডব্লিউইউএসটির সমাবর্তনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের শুভেচ্ছা বার্তা
২২ জুন ২০২৩পা দিয়ে লিখেই পরিবারের দুঃখ ঘোচাতে চায় দুখু মিয়া
২২ জুন ২০২৩পিকনিক করে উৎসবমুখর এক দিন কাটালো ডব্লিউইউএসটির ছাত্রছাত্রীরা
২২ জুন ২০২৩আরো খবর
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে-মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত তিন মাসে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। তারা অনেকগুলো কাজ করেছে।’ আজ বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সবাই যদি তাদেরকে (অন্তর্বর্তী সরকার) সহযোগিতা করি এবং উপযুক্ত ও যৌক্তিক সময়ে তারা একটি নির্বাচন দিতে সক্ষম হলে জাতির সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে, তা পূরণে সক্ষম হবে।’ তিনি বলেন, ‘আজকে শপথ নিয়েছি-জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দিয়ে স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখব, সংগ্রাম ও আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম-খুন করেছে। ৬০ লাখের বেশি মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে তারা।’ বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চেয়েছিল, কিন্তু আল্লাহর রহমতে ৫ আগস্ট তৃতীয়বারের মতো এই ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের আধিপত্যবাদকে পরাজিত করতে পেরেছি।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।
- ০৭ নভেম্বর ২০২৪
আবার কীভাবে জিতলেন ট্রাম্প
আট বছর আগে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন ট্রাম্পের বিজয়কে ‘সংকীর্ণ’ হিসেবে বর্ণনা করাটা সহজ ছিল। এমনকি সেই বিজয়কে ‘অপ্রত্যাশিত’ সাফল্য হিসেবে অভিহিত করারও সুযোগ ছিল। কিন্তু এবার আর ট্রাম্পের বিজয়ের ক্ষেত্রে এসব কথা প্রযোজ্য নয়। ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের কাছ পরাজিত হয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তিনি নির্বাচনে জালিয়াতির ভুয়া অভিযোগ তোলেন। ট্রাম্পের উসকানিতে তাঁর উগ্র সমর্থকেরা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেস ভবনে (ক্যাপিটল হিল) রক্তক্ষয়ী হামলা চালিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা হয়। এমনকি একটি ফৌজদারি মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত পর্যন্ত হন। এত কিছু সত্ত্বেও ট্রাম্প এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্পষ্ট বিজয় অর্জন করেছেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি দোদুল্যমান হিসেবে পরিচিত সাতটির মধ্যে পাঁচটি অঙ্গরাজ্যেই জয়ী হয়েছেন। ফলাফল এখনো ঘোষণা না হওয়া বাকি দুটিতেও তিনি জয়ের পথে।এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি প্রান্তে তাঁর সমর্থন বাড়িয়েছেন। এমনকি প্রায় প্রতিটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে তাঁর সমর্থন এবার বাড়তে দেখা গেছে। ২০২০ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফলের মধ্যে যদি তুলনা করা হয়, তাহলে নির্বাচনী মানচিত্র ‘লাল’ রঙের (রিপাবলিকান) ছেয়ে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়বে। নিউইয়র্ক টাইমসের অনুমিত হিসাব অনুযায়ী, ট্রাম্প গত ২০ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, যিনি জাতীয় সাধারণ ভোটেও (পপুলার ভোট) জয়ী হতে যাচ্ছেন। তবে একই সময়ে এ কথাও বলতে হয়, ট্রাম্পের এই জয়ের মাত্রাকে অতিরঞ্জিত করে দেখা উচিত নয়। কারণ, এটি কোনো ভূমিধস জয় নয়।যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় পপুলার ভোটের ক্ষেত্রে কোনো প্রার্থীর এক বা দুই শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে বিজয় অর্জন অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। আবার প্রায় ৩১২টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে কোনো প্রার্থীর জয়ী হওয়াটাও বিরল কিছু নয়। ট্রাম্পের এবারের জয় ২০১২ সালে ডেমোক্র্যাটপ্রার্থী বারাক ওবামার ‘পরিমিত’ বিজয়ের মতো অতটা বড় কিছু নয়। পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ওবামা ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রথমবার জয়ী হন। একইভাবে আরেক ডেমোক্র্যাটপ্রার্থী বিল ক্লিনটন পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ১৯৯২ সালের নির্বাচনী জয়ী হয়েছিলেন। এই দুই নির্বাচনে জয়ী দুই প্রার্থীর (ওবামা ও ক্লিনটন) চেয়েও ভালো করতে পারেননি ট্রাম্প। বরং এ ক্ষেত্রে তিনি অনেকটা পিছিয়ে আছেন।তবে যে বিষয়টি উল্লেখযোগ্য, তা হলো ট্রাম্প কোনো সাধারণ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নন। ফলে তাঁর সাদামাটা জয়ও নিয়ে অনেক চর্চা হচ্ছে। ট্রাম্প আদালত ঘোষিত রায় অনুযায়ী একজন অপরাধী। তিনি ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ফলাফল উল্টে দিতে চেয়েছিলেন। সে জন্য তিনি নানান অপতৎপরতা চালিয়েছিলেন। এসব দিক বিবেচনায় ট্রাম্পকে সাধারণভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘কার্যকর’ প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল না। তবে বাস্তবিক ক্ষেত্রে দেখা গেল, ট্রাম্প কেবল কার্যকর প্রার্থীই ছিলেন না, তিনি সন্তোষজনকভাবে জিতে গেছেন। ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও বেশির ভাগ ভোটার তাঁকে একজন ‘অপ্রীতিকর’ প্রার্থী হিসেবে দেখছেন।সিএনএনের বুথফেরত জরিপে (এক্সিট পোল) দেখা গেছে, ট্রাম্পের প্রতি অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা ভোটারের হার মাত্র ৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে, ট্রাম্পের প্রতি প্রতিকূল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা ভোটারের হার ৫৪ শতাংশ। বেশির ভাগ ভোটার (৫৫ শতাংশ) বলেছেন, ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই চরম। তবে এই ব্যাপারটি স্পষ্ট যে ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের বিষয়ে আবেদন থাকার ক্ষেত্রে এমন অনেক দিক আছে, যা জরিপের সহজ প্রশ্নে উঠে আসে না। কিন্তু ট্রাম্পের এই বিজয় ডেমোক্র্যাটদের অবস্থা সম্পর্কে অনেক বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে পারে। আবার মার্কিন জনসাধারণের মধ্যে পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা, সে বিষয় সম্পর্কেও ধারণা দিতে পারে। সেই প্রেক্ষাপটে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তি ট্রাম্পের ভূমিকা মুখ্য নয়। সর্বোপরি কাগজে-কলমে ডেমোক্র্যাটরা এই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য উপযুক্ত অবস্থানে ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্রেসিডেন্টের জনসমর্থন যখন তলানিতে চলে যায়, তখন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর নির্বাচনে জয়ী হয়ে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার ইতিহাস নেই। আবার অনেক আমেরিকান যখন মনে করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বে দেশ ভুল পথে রয়েছে, তখনো সেই দলের প্রার্থীর জয়ী হওয়ার নজির নেই।
- ০৭ নভেম্বর ২০২৪
শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারে কমলা ও ট্রাম্প কী বললেন
ভোটের আগের দিন গতকাল সোমবার পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপালিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। উভয়ই নিজের জয় নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এবারের মার্কিন নির্বাচনের প্রচারণায় মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালে রিপালিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের ওপর দুবার গুলি চলেছে। গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারের মাঝপথে হঠাৎ করেই সামনে চলে আসেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা। নিজ দলের ভেতর থেকে চাপের মুখে ৮১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবারের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। বাইডেন সরে দাঁড়ালে তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট সামনে চলে আসেন।অ্যানালিটিকস ফার্ম অ্যাডইমপ্যাক্টের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মার্চ থেকে নির্বাচনী প্রচারে ২৬০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে। অধিকাংশ জনমত জরিপে কমলা (৬০) ও ট্রাম্পের (৭৮) মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার ভোটের দিনই তাই ভোটের ফলাফল পাওয়া না–ও যেতে পারে। যদিও ট্রাম্প এরই মধ্যে আভাস দিয়েছেন, তিনি নিজের পরাজয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত। উভয় প্রার্থী গতকাল পেনসিলভানিয়ায় সমাবেশে ভোটের দিন সমর্থকদের ভোট দিতে যেতে বলেছেন। মঙ্গলবার ভোট হলেও কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে গেছে। তবে যাঁরা এখনো ভোট দিতে যাননি, তাঁদের ভোট দিতে যেতে বলেছেন কমলা ও ট্রাম্প।যে সাত অঙ্গরাজ্যকে নির্বাচনী যুদ্ধক্ষেত্র বলা হয়, তার একটি পেনসিলভানিয়া। এই সাত রাজ্যের মধ্যে পেনসিলভানিয়ায় ইলেকটোরাল কলেজ ভোট সবচেয়ে বেশি। ভোট শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে পিটসবার্গে বিশাল এক নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা চার বছর ধরে এর জন্য অপেক্ষা করছি।’ প্রতিদ্বন্দ্বী কমলাকে আক্রমণ করতে গিয়ে এদিন তিনি আরও বলেন, কমলা জিতলে সঙ্গে করে অর্থনৈতিক দুর্দশা নিয়ে আসবেন। ট্রাম্প বলেন, ‘ট্রাম্পকে একটি ভোট দেওয়ার অর্থ আপনাদের নিত্যপণ্যের দাম কমবে, আপনাদের বেতন বাড়বে, আপনাদের সড়ক অধিক নিরাপদ হবে, জাতি হিসেবে আপনারা আরও সমৃদ্ধ হবেন এবং আগের তুলনায় আপনার ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে।’ অ্যালেনটাউনে সমাবেশে কমলা নিজের জয় নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি ‘সব আমেরিকানের’ প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
- ০৫ নভেম্বর ২০২৪
মার্কিন নির্বাচন কেন নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার হয়
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওই দিন মঙ্গলবার। ১৮৪৫ সাল থেকে নভেম্বরের প্রথম সোমবারের পরদিন মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু এই ভোট গ্রহণ কেন নভেম্বর মাসে, আর কেনই–বা প্রথম সোমবারের পরদিন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়! এর পেছনে রয়েছে ইতিহাস। যে কারণে নভেম্বরে ভোট ১৮৪০ সালের আগে যুক্তরাষ্ট্রে ভোটের জন্য কোনো আলাদা দিন নির্ধারিত ছিল না। এ সময় নির্বাচনের তারিখ অঙ্গরাজ্যগুলো ঠিক করত। এতে একেক অঙ্গরাজ্যে একেক দিন ভোট হতো। তবে বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যই ভোট গ্রহণের জন্য নভেম্বর মাসকে বেছে নিত। এতে নানা ধরনের সংকটের সৃষ্টি হতো। এসব সংকট কাটাতে ১৮৪৫ সালে দেশে একটি নির্দিষ্ট দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইন পাস হয়। শুরুর দিকে শুধু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ মেনে চললেও পরে সব ধরনের নির্বাচনেই এই আইনের প্রয়োগ শুরু হয়। নভেম্বরে ভোট দেওয়ার কারণ বেশ সহজ। শুরুতে ফেডারেল আইনের অধীনে ইলেকটোরাল কলেজের নির্বাচকদের ডিসেম্বরের প্রথম বুধবার পৃথক রাজ্যে মিলিত হওয়ার রীতি ছিল। ১৭৯২ সালের ফেডারেল আইন অনুসারে, রাজ্যগুলোর নির্বাচন (যাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন, এমন নির্বাচকদের ভোট) সেই দিনের আগে ৩৪ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার নিয়ম চালু হয়। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার তথ্য অনুযায়ী, ১৮৪৫ সালে যখন নতুন এ আইন পাস হয়, তখন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষিভিত্তিক সমাজ ছিল। এ কারণে দেশটির শ্রমশক্তির সবচেয়ে বড় অংশ কৃষকদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণে বড় ভূমিকা রেখেছে। বছরের অধিকাংশ সময় কৃষকেরা কৃষিকাজে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু নভেম্বরের শুরুতে কৃষকের ঘরে ফসল উঠে যায়। সময়টা কৃষকদের জন্য অবসর থাকে। আর আবহাওয়াও বেশ অনুকূল থাকে। এ কারণে কৃষকের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নভেম্বরকে বেছে নেওয়া হয়। নতুন এই আইনের আগে রাজ্যে বিভিন্ন দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো। তখন যোগাযোগব্যবস্থা এত উন্নত ছিল না। নির্বাচনের ফলাফলের জন্য কয়েক দিন বা সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হতো। নিউ জার্সিতে ভোটদানকারী লোকেরা মেইন বা জর্জিয়ার ভোটে কে জিতেছেন, তা জেনে প্রভাবিত হতে পারতেন না। কিন্তু ১৮৪০ সালের দিকে সবকিছু বদলে যেতে লাগল। রেলপথ নির্মাণের কারণে ডাক ও সংবাদপত্র পরিবহন অনেক দ্রুততর হয়ে ওঠে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে যেটা সমাজকে বদলে দিয়েছে, তা হলো টেলিগ্রাফ। কয়েক মিনিটের মধ্যে শহরের যেকোনো খবর পাওয়া সম্ভব হয়ে উঠল। এর ফলে একটি রাজ্যের নির্বাচনের ফল অন্য রাজ্যের ভোটকে প্রভাবিত করতে শুরু করল। এতে একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়। ভোটাররা রাজ্য থেকে রাজ্যে ভ্রমণ করে একাধিক নির্বাচনে অংশ নিতে শুরু করেন। নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই ১৮৪০ দশকের শুরুর দিকে কংগ্রেস সারা দেশে নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য একটি একক দিন নির্ধারণ করে। কেন প্রথম সোমবারের পরের মঙ্গলবার? ১৮৪৫ সালে কংগ্রেস আইন পাস করে যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রতি চার বছর পর নভেম্বরের প্রথম সোমবারের পর প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম সোমবারের পর প্রথম মঙ্গলবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া মানে ভোট কখনোই ১ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে না। কারণ, ১ নভেম্বর খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা ‘অল সেইন্টস ডে’ পালন করে। এটি ক্যাথলিক অনুসারীদের একটি পবিত্র দিন। এ ছাড়া ওই দিন ব্যবসায়ীরা আগের মাসের হিসাব মেলানোর কাজ করেন। দিনটি ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক কর্মচঞ্চল ও গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে ভোট গ্রহণ হলে ব্যবসার ক্ষতি হবে ভেবে তা বাদ দেওয়া হয়। নতুন এই আইনে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৪৮ সালের ৭ নভেম্বর। মঙ্গলবার যে কারণে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার তথ্য বলছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য দুই দিন বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু শুরুতেই তা বাতিল করা হয়। কারণ, অধিকাংশ আমেরিকানই রোববারকে উপাসনার দিন হিসেবে আলাদা করে রাখেন। অনেক স্থানে বুধবার ছিল বাজারের দিন। এদিন কৃষকেরা তাঁদের ফসল নিয়ে শহরে বিক্রি করতে যান। এ ছাড়া গ্রামীণ এলাকায় নিকটতম ভোটকেন্দ্র কয়েক মাইল দূরে থাকত। সেখানে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যেত। তাই, ভ্রমণের জন্য রোববার ও বুধবার এড়িয়ে সোমবার করা হয়। যাতে তাঁরা নির্বিঘ্নে মঙ্গলবারে ভোট দিতে পারেন। এর পর থেকেই চার বছর পরপর নভেম্বরের প্রথম সোমবারের পর মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জন্য ভোট দেওয়ার দিনের ঐতিহ্য ১৮৪৮ সাল থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রয়েছে। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, থট কো, হিস্টোরি ডটকম ও সিএনবিসি অবলম্বনে সুজন সুপান্থ
- ০৩ নভেম্বর ২০২৪