ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের নতুন ক্যাম্পাসে স্বাগত জানালো স্টুডেন্ট গভার্মেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এসজিএ)। ২৭ জানুয়ারি শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসে ক্যাফেটেরিয়ায় দু'শোর বেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায় সংগঠনটি। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউইউএসটির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক এবং এসজিএ'র নেত্ববিন্দু। কেক কাটার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উইন্টার কোয়ার্টারে ভর্তি হওয়া সকলকে স্বাগত জানায় এসজিএ।
ডব্লিউইউএসটির স্টুডেন্ট গর্ভামেন্ট অ্যাসোসিয়েশন শিক্ষার্থীদের হয়ে কথা বলার একটি সংগঠন। নতুন পরিচয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা শুরু করার প্রথম দিন থেকে সক্রিয় এই সংগঠনটি। কাজ করে স্টুডেন্টদের স্বার্থে। কথা বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিকার, প্রয়োজনীয় সহযোগীতা নিয়ে। বছর ব্যাপী আয়োজন করে থাকে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, ও খেলাধূলা বিষয়ক নানা কার্যক্রম।
সবাইকে স্বাগত জানিয়ে এসজিএ'র সাথে শিক্ষার্থীদের যুক্ত হবার পরামর্শ দেন চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। তিনি বলেন, "পড়াশোনার পাশাপাশি সহপাঠী, অন্যান্য দেশের ক্রিস্টি-কালচার সর্ম্পকে জানার এবং নিজেকে প্রকাশ করার অন্যতম একটি মাধ্যম এই সংগঠন। সেই সাথে তিনি আরও বলেন, "সকল সুযোগ ও সম্ভাবনা দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তবে সবার আগে সকলের প্রাথমিক লক্ষই হওয়া উচিত যোগ্যতা ও মেধার প্রকাশ ঘটিয়ে ডিগ্রি সম্পন্ন করা। "
এসজিএ'র নেত্বতে ডব্লিউইউএসটিতে পরিচালিত হচ্ছে বেশ কয়েকটি ক্লাব। শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক পরিবেশ দিতে সংগঠনটি বছরব্যাপী আয়োজন করে থাকে নানা রকম সাংস্কৃতিক, আন্তর্জাতিক, ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের।
তাইতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "ডব্লিউইউএসটির সবচেয়ে বড় শক্তিটিই হচ্ছে এর বহু সংস্কৃতি থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। আর এই সকল শক্তি এক হবার প্লাটফর্মের নাম স্টুডেন্ট গভার্মেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। এর সাথে সবাই যুক্ত হলে, জানা ও শেখার পরিধি কয়েকগুন বেড়ে যাবে। তৈরি হবে ক্যারিয়ার গড়ার অসাধারণ নেটওয়ার্ক।"
ক্যাম্পাসে কোন ছাত্রছাত্রী বুলিং, বর্ণবাদ, কালচারাল শক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হলেও সে সকল অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কাজ করে এসজিএ। শুধু তাই নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভলান্টারি কাজও করে থাকে সংগঠনটি। ২০২৩ সালের ফেব্রয়ারিতে তুরস্কে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পে ত্রান তহবিল সংগ্রহ করে তা ক্ষতিগ্রস্থ দেশটি পাঠিয়েছিলো এসজিএ।
প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ফারহানা হানিপ বলেন, "আমরা যদি সকলে একটি লক্ষ্য সামনে নিয়ে একসঙ্গে পথ চলতে পারি, সাফল্য আসবেই। যুক্তরাষ্ট্রে একটি সুযোগের দেশ, তবে এখানে মূল লক্ষ্য ভিন্ন পথে প্রবাহিত হওয়ার সুযোগও কম নেই। সুতারাং কারে কথায় মিসগাইডেড না হয়ে, শিক্ষার্থীরা যেনো তাদের শিক্ষা অর্জনের প্রতি মনোনিবেশ করে এই আহ্বান জানান ফারহানা হানিপ। পরামর্শ রাখেন এসজিএর সাথে যুক্ত হবার।"
এসজিএ'র কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন উপস্থিত শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ। বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য একটি কার্যকরী, আনন্দদায়ক পরিবেশ প্রদান করার চেষ্টা করে থাকে এসজিএ। এছাড়া স্টুডেন্টদের নেতৃত্বের গুনাবলী বৃদ্ধি এবং ক্লাব অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমে নিজের স্কিলকে প্রকাশ করার জন্য এসজিএ ও অন্যান্য ক্লাবে যুক্ত হবার প্রয়োজন সকলের।
এসজিএ'র প্রেসিডেন্ট সেলিন ইজিত বলেন, "একাধিক ক্লাব গঠনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম বহির্ভূত কাজগুলো এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সকলের সহযোগিতা পেলে এসজিএ আরও সুদৃঢ়ভাবে এগিয়ে যেতে পারবে।"
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া সকল শিক্ষার্থীকে ধন্যবাদ জানান, এসজিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মুস্তাফিজুর রহমান। জানান, "এবারও পিকনিক, নৌ ভ্রমন, হাইকিং, স্পোর্টসের মত আকর্ষনীয় কিছু ইভেন্টের পরিকল্পনা রয়েছে এসজিএর।"
ডব্লিউইএসটিতে এসজিএর অনুষ্ঠান মানেই আকর্ষনীয় ভোজের আয়োজন। এদিনও ব্যাতিক্রম ছিলো না। মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্য দিয়ে শেষ হয় তাদের ওয়েলকাম পার্টির আয়োজন।