post
ক্যাম্পাস লাইফ

ডব্লিউইউএসটির ক্যাম্পাস ঘুরে গেলেন দুই বাংলায় জনপ্রিয় তরুণ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী স্বপ্নীল সজীব

ওয়াশিংটন ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ক্যাম্পাস ঘুরে গেলেন দুই বাংলায় জনপ্রিয় তরুণ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী স্বপ্নীল সজীব। সোমবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াস্থ ডব্লিউইউএসটির ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। দেখা করেন চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ এবং সিএফও ফারহানা হানিপের সাথে। তাদের সাথে কুশল বিনিময়সহ নানাবিধ বিষয়ে আলাপচারিতায় অংশ নেন। পরে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ক্লাসরুম, আইটি ল্যাব, লাইব্রেরিসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন। এসময় তার সাথে ছিলেন চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। শিল্পীর হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্যুভিনিয়র তুলে দেন ডব্লিউইউএসটির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ, প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক ও প্রধান অর্থকর্মকতা ফারহানা হানিপ। আলাপচারিতায় স্বপ্নীল সজীব জানান, একজন প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ যুক্তরাষ্ট্রে মাটিতে যেভাবে একটি পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন তার জন্য প্রতিটি বাঙ্গালীর মতো তিনিও গর্বিত। তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবাধে অনেক বাংলাদেশী মেধাবী ছাত্রছাত্রীর ভাগ্য বদলে যাবে, হাজার মানুষের স্বপ্ন পূরণ হবে। সেই ছাত্রছাত্রীরা একসময় তাদের জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেবেন প্রিয় বাংলাদেশে। এসময় ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেন, সম্প্রতি ভার্জিনিয়ায় হয়ে যাওয়া স্বপ্নীল সজীবের একক সংগীত সন্ধ্যা তিনি দারুন উপভোগ করেছেন। মুগ্ধ হয়েছেন তার গানে ও গায়কীতে। গানের মাধ্যমে মানুষকে নির্মল বিনোদন দেয়াটাও এক ধরণের মানবসেবা, বলেন আবুবকর হানিপ। স্বপ্নীল যেন এভাবে আনন্দ বিলিয়ে যেতে পারেন তার জন্য শুভ কামান জানান। সিএফও ফারহানা হানিপ জানান, স্বপ্নীল সজীব তার প্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। তাদের আলাপচারিতায় বাংলা সংগীতের নানা দিক নিয়ে উঠে আসে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী স্বপ্নীল সজীব। রবীন্দ্র সংগীতের প্রচারণায় ঘুরে বেড়ান দেশ বিদেশ। তরুণ কণ্ঠশিল্পী বর্তমানে রবীন্দ্রসংগীতের পাশাপাশি সব ধরনের গান গেয়ে শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করে চলেছেন। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও স্বপ্নীল সজীব গান গেয়ে বাংলাদেশি শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করছেন প্রতিনিয়ত।  বেশ কিছু অনুষ্ঠানে গাইতে গত দুই মাসের মতো সময় ধরে ছুটে বেড়াচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। কিছুদিন পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলেস শহর কর্তৃক বছরের সেরা রবীন্দ্র শিল্পী মর্যাদাপূর্ণ সার্টিফিকেট অব এক্সিলেন্স -এ ভূষিত হয়েছেন সজীব। সার্টিফিকেট তুলে দেন সিটি কাউন্সিলের সভাপতি পল কুকরিন। গত দেড় মাসে পারফর্ম করেছেন বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। আরও বেশ কিছু প্রোগরামে তার গাইবার কথা রয়েছে। যেমন ১ লা সেপ্টেম্বর ডালাস ফোবানার তিন দিন ব্যাপী সম্মেলনে পারফর্ম করবেন তিনি। তারপর উড়ে যাবেন আটলান্টায়। সেখানেও রয়েছে পরপর দুটি অনুষ্ঠান। তারপর ভার্জিনিয়ায় আবারও ফিরে আসবে ৯ সেপ্টেম্বর একাত্তর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে গাইতে। বাংলাদেশের ফরিদপুরের ছেলে স্বপ্নীল সজীব গানের শুরুটা মাত্র ৫ বছর বয়সে, মঞ্চে। হাতেখড়ি হয়েছিলো খালা উচ্চাঙ্গ সংগীতশিল্পী লুত্ফর নাহার লতার কাছে। এরপর ছায়ানটে করেছেন রবীন্দ্রসংগীতে কোর্স। তালিম নিয়েছেন বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কাছে। স্বপ্নীল সজীব লোকসংগীত গেয়ে ১৯৯৮ ও ২০০০ সালে পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার। ২০১১ ও ২০১৩ সালে রবীন্দ্র সম্মেলনে অর্জন করেন প্রথম স্থান। ২০১২ সালে ‘চ্যানেল আই নব গান নব প্রাণ’ প্রতিযোগিতায় হয়েছিলেন টপ ফাইনালিস্ট। ঐ বছরই প্রকাশ পায় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘টেগোর ট্রেজারি’, আর কলকাতা থেকে রিলিজ হয় তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ভাঙা-গড়ায় রবীন্দ্রনাথ। সম্প্রতি প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সেমিনারে। সেমিনার শেষে কলকাতায় যোগ দিয়েছিলেন ভারতের ২০তম প্রগতি বাঙলা উৎসবে। সেখানে দেওয়া হয় তাকে সম্মাননা। প্রগতি বাঙলা সেরা বাঙালি ও বঙ্গরত্ন সম্মাননা। রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে কাজ করায় তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।  ভারত ও বাংলাদেশের বাংলা ভাষীদের কাছে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী স্বপ্নীল। ইতিমধ্যেই পেয়েছেন অনেক সম্মাননা। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার প্লেব্যাক করা কয়েকটি চলচ্চিত্রের গান যেগুলো শীগ্রই মুক্তি পাবে ভারত এবং বাংলাদেশে।

post
বিনোদন

বিয়ে করলেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ

বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ১৪ আগষ্ট সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী। স্বামীর শেখ রেজওয়ান থাকেন দেশের বাইরে। তবে তিনি কি করেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি এখনো। ফেইসবুকে দেয়া স্বামীর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, 'সাড়ে আট বছরের সম্পর্কের পর ১১ আগস্ট আমরা অফিসিয়ালি একত্রে হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' অভিনেত্রী নিজের স্বামীর উদ্দেশ্যে লিখেছেন, “আমরা কলেজে পড়ার সময় প্রেমে পড়েছিলাম। প্রথম ক্যামেরার সামনে আসার আগে তুমি ছিলে আমার জন্য ছায়ার মতো'। আমার কাজের সাথে সম্পৃক্ত না হওয়া সত্ত্বেও সর্বদা আমাকে অনুপ্রাণিত করে এবং আমাকে সমর্থন জুগিয়েছো। আমাদের কিশোর প্রেম অবশেষে প্রাপ্য সমাপ্তি পেয়েছে। এটা এখনও অবাস্তব মনে হয় যে আমি এমন স্বামী পেয়েছি। আমার মনে হয় আমি বেঁচে থাকা সবচেয়ে ভাগ্যবান মেয়ে। আমাকে বিয়ে করার জন্য ধন্যবাদ। আমি তোমাকে ভালবাসি এবং আমি তোমাকে আমার বাকি জীবন লালন করব।” অভিনেত্রী আরো জানিয়েছেন, ঘনিষ্ঠ পরিবার পরিবেষ্টিত একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাদের আকদ হয়েছে।তার স্বামী বর্তমানে বিদেশে কর্মরত রয়েছেন। তিনি আবার দেশে ফিরে এলে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহকর্মীদের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে উদযাপন করবেন এই জুটি।

post
এনআরবি বিশ্ব

ওয়াশিংটন ডিসিতে হয়ে গেলো রাবি এলামনাই'র বনভোজন ও কমিটি গঠন

মতিহারের সবুজ চত্বরে ফেলা আসা স্মৃতি রোমান্থন করতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ছুটে এসেছেন বনভোজনে। প্রবাসে ব্যস্ত জীবনের পিছুটান ঠেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন, ওয়াশিংটন ডিসি'র অনুষ্ঠান, তাইতো এমন প্রাণের উচ্ছাস। টগবগে যৌবনে পেরিয়ে অনেকেই এখন প্রৌঢ় বয়সে পড়েছেন। কিন্তু রাবির প্রতি আন্তরিকতা ও ভালোবাসা যেন এতটুকু ম্লান হয়নি তাঁদের। অনুষ্ঠানে এসে কেউ খুঁজে পায় তাদের শিক্ষক, বন্ধু, বড় ভাই-বোনকে। প্রবাসে যেখানে বাংলাদেশী মানুষ পেলে উচ্ছাসের ঘাটতি থাকে না, সেখানে ক্যাম্পাসের পরিচিত যেনকে পেয়ে যেন আনন্দ- উল্লাসের কমতি ছিল না।'এসো মিলি শেকড়ের টানে, রাবিয়ানরা একসাথে' এই স্লোগানে গেল ২৯ শে জুলাই শনিবার বনভোজন ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন, ওয়াশিংটন ডিসি।একইসাথে সংগঠনের কাজ বড় পরিসরে করতে গঠন করা হয় নতুন কমিটি। কোরআন তোলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। তেলাওয়াত করেন, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এস এম জাহিদুর রহমান এবং ড. ইয়াসমিন এর কন্যা জাফরা রহমান।এরপর শুরু হয় পরিচিতি ও বক্তব্যের পালা। শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি ব্যাক্ত করেন। ব্যক্তব্যের সময় অনেকে আনমনা হয়ে ক্ষণিকের জন্য ফিরে যায় রাবি ক্যাম্পাসে। ক্যাম্পসের প্রিয় মানুষদের সাথে মিলতে নিজ গৃহে তৈরি করা নানা পদের, নানা স্বাদের খাবার নিয়ে হাজির হয় অনেকে। সুস্বাদু এসব খাবার বেশ আনন্দের সাথেই গ্রহণ করে আমন্ত্রিত অতিথিরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে গানে গানে চলতে থাকে আলাপচারিতা এবং পারস্পারিক পরিচিতি। গান পরিবেশন করেন ওয়াশিংটন ডিসির জনপ্রিয় শিল্পী অসিম রানা, ড.সীমা খান, বুলবুলি ইসলাম, মাসুদ রহমান প্রমুখ। পড়ন্ত বেলায় সুরের মূর্ছনায় হঠাৎ বৃষ্টির আগমন সবাইকে উদ্বেলিত করে। বৃষ্টি বিলাসে ফিরে যায় মতিহারের সবুজ আঙ্গিনায়।  বনভোজনে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতারও পূর্বের পরিসংখ্যানের ছাত্র ড. কাশেম। তিনি ওয়াশিংটন ডিসির হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় তিন দশক ধরে অধ্যাপনা করেন; এখন তিনি প্রফেসর ইমিরেটস। স্মরণ করেন ফেলে আসা দিনগুলি, সহপাঠী, সহকর্মীদের কথা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্টার অধ্যাপক এন্তাজুল ইসলাম জানান, ছাত্র জীবন, শিক্ষকতা ও প্রশাসনের দায়িত্ব পালনে তর অভিজ্ঞতা। তিনিই ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাই এসোসিয়েশনের প্রথম সেক্রেটারি। প্রফেসর ড.আতিয়ার রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনের সুন্দর সময় বলে অবহিত করেন।অনুষ্ঠানে বাচ্চাদের জন্য ছিল 'যেমন খুশি তেমন সাজো'। পুরুষরা সুই সুতান মালা গেঁথে ভালোবাসার বন্ধনে স্ত্রীদের গলায় মালা পরিয়ে দেয়। আর ঈদের আমেজকে জাগিয়ে তুলতে মেয়েরা হাতে দেয় মেহেদী। পরে বাচ্চাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সাবেক রেজিস্টার ড. এন্তাজুল ইসলাম।আর র‍্যাফেল ড্রতে ৫০ ইঞ্চি টেলিভিশন জিতে নেন শিল্পী ড. সীমা খান।উল্লেখ্য র‍্যাফেল ড্র স্পনসর করেন রিয়েলেটর মোঃ মজিবুল হক।পিকনিকের আমেজের মধ্যেই এলামনাই-এর সকলের উপস্থিতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন, ওয়াশিংটন ডিসি-এর কমিটি গঠন করা হয়। অ্যালামনাই ও উপস্থিত সকলের সম্মুখে ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জোহুরুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি হন আজিমা আজমল (রক্সি)। নির্বাচন পরিচালনা করেন ড.মোহাম্মদ কাসেম, ড.এন্তাজুল ইসলাম।প্রকাশ্যে কেউ দায়িত্ব নিতে আগ্রহী না থাকায় ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। তাদের হাত ধরে এগিয়ে যাবে রাবির সাবেক শিক্ষার্থীদের আবেগের সংগঠন এমনটাই প্রত্যাশা সবার।অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন, আবু জাফর ও সাংবাদিক জাহিদ রহমান। আর গরম আবহাওয়ার মধ্যে উপস্থিত থাকায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এলামনাই এর প্রতিষ্ঠাতা এস এম জাহিদুর রহমান।প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ২৩ শে অক্টোবর পিকনিক এবং আহবায়ক কমিটির মাধ্যমে পথ চলা শুরু হয় সংগঠনটির। গেল বছর ১০ই ডিসেম্বর পিঠা উৎসবও করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন ওয়াশিংটন ডিসি।

post
বিনোদন

দর্শকদের আগাম খুশীর বার্তা দিলেন পূজা চেরী

ঢালিউডের চলতি সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পূজা চেরি। ফিল্মের পাশাপাশি কাজ করেছেন ওয়েব ফিল্মেও। ‘জ্বীন’ সিনেমায় তাকে সবশেষ দেখা গিয়েছিল। ছবিটি মুক্তি পায় গত রোজার ঈদে। এবার পূজার ভক্তদের জন্য এলো নতুন খবর; যা তিনি ব্রেকিং নিউজের সঙ্গে তুলনা করেছেন। খবরটি হলো বিয়ের পর তিনি আর সিনেমায় কাজ করবেন না।সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রথমসারির এক গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন এই অভিনেত্রী। সেখানে তিনি জীবন বিষয়ক নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। শেষ কবে প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছেন- উপস্থাপকের এমন প্রশ্নে পূজা বলেন, এটা তো অহরহ পাই। এখনকার প্রেম প্রস্তাবগুলো কেমন হয়- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি তোমাকে ভালোবাসি, আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।বিয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, বিয়ের বিষয়টি আমি ডিল করতে পারব না। এটা সারা জীবনের বিষয়। পূজা হেসে বলেন, যদি কোনো কিছু হয় সারা জীবন আম্মুকে বলতে পারব তুমি কার সঙ্গে বিয়ে দিছ। তোমার দোষ। প্রেমে পড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মানুষ এখন অনেক বেশি ইমোশনাল। ইমোশনাল হয়ে অনেক কিছু দেখছি ও শিখছি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছি আমি বিয়ের ব্যাপারটা কখনো নিজে ডিল করব না। আমার বাবা-মা যেহেতু অভিভাবক সেহেতু তারাই বিয়ের বিষয়টি ডিল করবেন। আমি যখন বিয়ে করব তখন আমাকে আর সিনেমার পর্দায় দেখা যাবে না। তখন আমি সংসার জীবনে মনোযোগী হব, কারণ দুইটা জিনিস একসঙ্গে ম্যানেজ করা যায় না।বিয়ের পর আর সিনেমার পর্দায় দেখা যাবে না- বিষয়টিকে ব্রেকিং নিউজের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, কিন্তু এখন আমি চুটিয়ে কাজ করতে চাই। কারণ এখনই আমি বিয়ে করব না, যখন বিয়ে করার সময় হবে তখন বিয়ে করে সিনেমাকে বিদায় জানাব।আপনার কেমন ছেলে পছন্দ? এমন প্রশ্নে পূজা বলেন, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ছেলে পছন্দ। আমাকে ভালোবাসতে হবে। আমার মা আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন- পূজা তুমি এমন কাউকে বিয়ে করবে না যাকে তুমি ভালোবাস। তুমি তাকে বিয়ে করবে যে তোমাকে ভালোবাসে।

post
আন্তর্জাতিক

ফাগুনের আমেজে নিউইয়র্কে হয়ে গেলো ফাগুন পিঠা উৎসব

৬১ রকমের পিঠার সমাহার নিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ‘ফাগুন ও পিঠা উৎসব’। কুইন্স প্যালেসে ‘শো-টাইম মিউজিক’র বর্ণাঢ্য এ উৎসবে জড়ো হয়েছিলেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রবাসীরা । বিপুল করতালির মধ্য দিয়ে ফিতা কেটে বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন যৌথভাবে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর আবু বকর হানিফ এবং ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার এ্যাট লার্জ এটর্নী মঈন চৌধুরী। হোস্ট সংগঠনের কর্ণধার আলমগীর খান আলমসহ সহযোগিতাকারিরাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে।  এই উৎসবের উপস্থিত ছিলেন খ্যাতনামা এটর্নী ও ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতা মঈন চৌধুরী। দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, কুইন্স কাউন্টিতে ১৯০টি দেশের ৩৬৫টিরও অধিক ভাষার মানুষ বাস করছে। অর্থাৎ বর্ণাঢ্য সংস্কৃতির তীর্থ ভূমি হচ্ছে আমাদের এই কুইন্স। এমন একটি বহুজাতিক সমাজে বাঙালিদের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে শো-টাইম মিউজিকের সকল কর্মকাণ্ডে আমার সহায়তা অব্যাহত থাকবে। পিঠা উৎসবের অন্যতম অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রথম ইউনিভার্সিটি ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি’র চ্যান্সেলর আবু বকর হানিফ বলেন, এ উৎসব বাঙালি সংস্কৃতির ধারা ভিন্ন ভাষার মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে সক্ষম বলে মনে করছি। তিনি উল্লেখ করেন, শো-টাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বাংলা সংস্কৃতি, মূল্যবোধকে আমেরিকার মূলধারায় বিকাশ ঘটাতে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। এজন্যে সকলে যেনে তার জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন সেই অনুরোধ জানান।  সোনিয়ার সঞ্চালনায় এ আয়োজনে স্বাগত বক্তব্যে সর্বস্তরের প্রবাসীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান আলমগীর খান আলম। উৎসবে বিকেল থেকে মধ্যরাত অবধি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা এতে পারফর্ম করেন। গেয়ে শুনান জনপ্রিয় বেশ কিছু গান। এই উৎসব আয়োজিনে ছিল শাড়ি-কাপড়ের স্টলও। অর্থাৎ পিঠার আমেজে গৃহিনীরা কেনাকাটাও করেছেন ভিন্ন এক আমেজে। আয়োজকরা জানিয়েছেন সামনে আরও বড় পরিসরে উৎসব আয়োজন করা হবে।

post
বাংলাদেশ

কার বিরুদ্ধে মামলা করতে চায় শবনম বুবলী ?

ঢাকাই সিনেমার নায়িকা শবনম বুবলীর সঙ্গে অপু বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে এসেছে।বুবলী লিখেছেন—আমার পারিবারিক শিক্ষা আমাকে কখনো দুমুখো সাপের আচরণ করতে শেখায়নি। সুবিধাবাদী হতে শেখায়নি, ধর্ম নিয়ে একেকবার একেক মিথ্যা কথা বলে সাধারণ জনগণের আবেগ নিয়ে খেলা করে বোকা বানাতে শেখায়নি। গিরগিটির মতো রঙ বদলাতে শেখায়নি। কাউকে ছুরি মেরে পরক্ষণেই নিজের কোনো সুবিধা হবে ভেবে সেই ছুরি মারা জায়গায় ব্যান্ডেজ করতে শেখায়নি। বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে নানান টকশোতে অপমান করে কথা বলে নির্লজ্জের মতো হাসতে শেখায়নি। মানুষকে অসম্মান করতে শেখায়নি, হিংসা শেখায়নি, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিতে শেখায়নি। কাউকে নানান অপমান করে আবার নিজের স্বার্থে সময় বুঝে প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুলতে শেখায়নি। বাস্তবজীবনেও অভিনয় করতে শেখায়নি। তাই আমি হয়তো আপনাদের অনেকের সঙ্গে ইনিয়ে-বিনিয়ে নাটক করতে পারি না।’ ‘আমি একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই। কারও নোংরা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে আমাকে নিয়ে বা আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কেউ কোনো বেফাঁস মন্তব্য করলে বা কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার চেষ্টা করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আমি দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কারণ আমি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’ তিনি আরও লেখেন— ‘কিছু দিন পর পর যে ব্যক্তি এসব নোংরা খেলা শুরু করে বা যাদেরকে দিয়ে করায় তাদের সব কিছু সোশ্যাল মিডিয়া, পত্রিকা ও ইউটিউবে রয়েছে, যা ডকুমেন্ট হিসেবে যথেষ্ট এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’ বুবলী লিখেছেন— ‘এসব নোংরামি পাত্তা দেওয়ার রুচি থাকে না বলেই এসব নিয়ে আমার কথা বলা হয় না; কিন্তু চুপ থাকাকে যদি সে বা তারা সুযোগ পাওয়া মনে করে, তা হলে তা হবে তাদের চরম ভুল...।’ সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে বুবলীকে খোঁচা দিয়ে কথা বলেছেন অপু। তার পারিবারিক শিক্ষা নিয়েও কথা বলেছেন। এতেই চটেছেন বুবলী। শুধু মামলা করবেন বলেই ক্ষান্ত হননি। এর উত্তরও পোস্টে দিয়েছেন বুবলী। এর আগে সংবাদমাধ্যমকে অপু বলেছিলেন, ‘পৃথিবীতে আমার কাছে সব সন্তানই পবিত্র। সব বাচ্চাই আমার স্নেহের। সন্তানের মানসিক বিকাশের জন্য পুঁথিগত বিদ্যার চেয়ে পারিবারিক শিক্ষা অতিজরুরি, দরকার। মানুষের সঙ্গে আচার-আচরণ কেমন হবে, আমি আমার বাচ্চাকে সেই শিক্ষা দিচ্ছি। তিন লাইনের বার্তায় সেটিই প্রকাশ করেছি আমি।’ এ ছাড়া বুবলীকে ইঙ্গিত করে সমালোচনা করেন অপু। তার পরই অপুর নাম না নিয়ে নিজের ফেসবুকে উত্তর দেন বুবলী। এজে/

post
বিনোদন

শুক্রবার আমেরিকায় মুক্তি পাচ্ছে ‘দামাল’

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে ভারতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিম সেসময়ে জনমত সুসংগঠিত করার পাশাপাশি তহবিল সংগ্রহের অবিস্মরণীয় যে অবদান রেখেছিলো সে চিত্র তুলে ধরতে টিভি ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগরের লেখা গল্প অবলম্বনে রায়হান রাফি পরিচালিত ‘দামাল’ ছবিটি ১৮ নভেম্বর শুক্রবার নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ সিটিতে একযোগে মুক্তি পাবে।এরপর বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৫৫ সিটিতে। ছবিটির প্রিমিয়ার শো হচ্ছে ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় নিউইয়র্ক সিটির বাংলাদেশি অধ্যুষিত কুইন্সে ‘জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা’ হলে। এ উপলক্ষে ১৬ নভেম্বর বুধবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উত্তর আমেরিকাস্থ বায়োস্কোপ ফিল্ম’র কর্ণধার রাজ হামিদ বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। রাজ হামিদ উল্লেখ করেন, আমেরিকা ও কানাডার প্রথম প্রজন্মের বাংলাদেশি ছাড়াও নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি আমেরিকানরাও ছবিটি দারুনভাবে উপভোগ করতে সক্ষম হবেন। কারণ, ছবি চলাকালে স্ক্রিণে ইংরেজি অনুবাদ থাকবে। রাজ হামিদ উল্লেখ করেন, ২০১৭ সাল থেকে আমি উত্তর আমেরিকায় বাংলা চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে আসছি। বেশ কটি ছবি ব্যবসা সফল ছিল। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে। নির্মাতারা জীবন-ঘনিষ্ঠ স্ক্রিপ্ট রচনার পাশাপাশি পরিবারের সকলে একত্রে উপভোগ করা যায়-এমন ছবি নির্মাণে কথা ভাবছেন। অর্থাৎ প্রবাসের দর্শকগণের আবেগ-অনুভূতি গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন ছবি তৈরীর ক্ষেত্রে। গত ৫ বছরে এটাই বড় সাফল্য ‘বায়োস্কোপ ফিল্ম’র। আর এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে আমেরিকা আর কানাডার দর্শকদের। রাজ হামিদ উল্লেখ করেন, এ যাবত আমরা ২৮টি ছবি প্রদর্শন করেছি। দামাল হবে ২৯তম ছবি। সকলকে ছবিটি দেখার অনুরোধ রাখছি। আশা করছি, ভিন্ন মাত্রায় তৈরী ছবিটি সকলের ভালো লাগবে। বাংলা ছবিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরো জনপ্রিয় করার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলগুলো পুনরায় চালুর জন্যে নানা পরিকল্পনার কথা জানালেন রাজ হামিদ। তিনি বলেন, বায়োস্কোপের প্যারেন্ট অর্গানাইজেশন হচ্ছে ‘আমেরিকান’-বায়োস্কোপ এলএলসি ইউএসএ’। আমরা ২০২০ সালে ‘বায়োস্কোপ সাউথ আফ্রিকা’ নিবন্ধন করেছি। কিন্তু আফ্রিকার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এখনও সেটির কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়নি। এ বছর আমরা ‘বায়োস্কোপ-কানাডা’ নিবন্ধন করেছি। এবং ‘পরাণ’ হবে ডিসেম্বরে বায়োস্কোপ কানাডার ব্যানারে প্রদর্শিত প্রথম ছবি। সামনের বছরের প্রথম দিকে আসবে ‘বায়োস্কোপ ডিভাইন’। কারণ আমরা ঐ মার্কেটেও ঢুকতে চাই। রাজ হামিদ উল্লেখ করেন, আমরা প্রথম যখন শুরু করি সে সময় অনেকে হাসাহাসি করেছেন। বলেছেন যে, কেন আমরা বাংলা ছবি নিয়ে এত মাতামাতি করছি। সময়ের পরিক্রমায় এখন ঐসব প্রবাসীরাই জানতে চান যে, পরের ছবি কোনটি আসছে। তারা দুয়েকটি ছবি আনার অনুরোধও জানাচ্ছেন। এখানেই বিরাট একটি প্রাপ্তি বলে মনে করছি। সংবাদ সম্মেলনে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডের পক্ষে উত্তর আমেরিকাস্থ চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধের ছবি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে রিলিজ করার পদক্ষেপ নেয়ায় আমেরিকান বায়োস্কোপ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের উত্তর আমেরিকা সংস্করণের নির্বাহী সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, কম্যুনিটি এ্যাক্টিভিস্ট মিনহাজ সাম্মু, উত্তর আমেরিকাস্থ প্রথম আলোর সম্পাদক ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন প্রমুখ।

post
বিনোদন

নিউইয়র্কে ‘ঢালিউড ফিল্ম অ্যান্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’ ১৬ অক্টোবর

বাংলাদেশের সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রীর অংশগ্রহণে ‘ঢালিউড ফিল্ম এ্যান্ড মিউজিক এওয়ার্ড’র ২০তম আসর বসবে নিউইয়র্কে আগামী ১৬ অক্টোবর। ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে শো টাইম মিউজিক’র কর্ণধার আলমগীর খান আলম জানান, বলিউড অভিনেত্রী নারগিস ফাকরিসহ ১৯ অভিনেতা অভিনেত্রী এই আয়োজনে যোগ দিচ্ছেন। আলমগীর খান বলেন, এটি হতে যাচ্ছে এই আয়োজনের ২০তম আসর। যা জমজমাট করতে সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। আয়োজন সফল করতে গণমাধ্যমের সর্বাত্মক সহায়তা প্রত্যাশা করেন আলমগীর খান। মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে অংশ নেন গোল্ডেন এজ হোমকেয়ারের সিইও শাহনেওয়াজ এবং মেগা হোম রিয়েল্টির মইনুল ইসলাম। তারাও প্রবাসীদের অঅন্তরিক সহায়তা চেয়েছেন বহুজাতিক এ সমাজে বাঙালি সংস্কৃতি জাগ্রত রাখার অভিপ্রায়ে আসন্ন মিউজিক এওয়ার্ডকে সফল করতে।  আলমগীর খান আলম আরও বলেন, সামনের বছর থেকে সিনেমা, টিভি এবং মঞ্চের অভিনেতা-অভিনেত্রীর পাশাপাশি চলচ্চিত্র-বিনোদন সাংবাদিকতার জন্যেও অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে। ১৬ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কুইন্সে আমাজুরা অডিটরিয়ামে মিউজিক অ্যাওয়ার্ড শুরু হবে বলে জানান আলমগীর খান। টিকিটের মূল্য থাকবে ৫০, ১০০ এবং ১৫০ ডলার করে। আয়োজনের টাইটেল স্পন্সর হচ্ছে ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি’।

post
বিনোদন

নিপুণ হলেন সাধারণ সম্পাদক, জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল

নানা বিতর্কের পর অবশেষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এ পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে।শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এফডিসিতে সংবাদ সম্মেলন করে শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান এই ঘোষণা দেন।সোহানুর বলেন, ‘নিপুণের করা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হলো।’তিনি জানান, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয়ী চুন্নুর প্রার্থিতাও বাতিল করা হয়েছে। তার জায়গায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে নাদির খানকে।সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ মিটিংয়ে বসেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। এতে অভিযোগকারী নিপুণ উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না জায়েদ খান।এর আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচিত চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থী নিপুণ আক্তার।প্রার্থিতা বাতিলের অভিযোগের দিকনির্দেশনা চেয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান।আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলে মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এফডিসিতে যান নিপুণ, আপিল বোর্ডের সদস্য সোহানুর রহমান সোহানসহ অনেকে।অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সোহানুর রহমান সোহান এবং মোহাম্মদ হোসেনসহ পাঁচজনের নামে উকিল নোটিশ পাঠান জায়েদ খান। সেখানে বলা হয়েছে, ২৯ জানুয়ারি আপিল বোর্ড এবং ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত হয়েছে। এরপর তারা আর কোনো অভিযোগ বা রায় দেয়ার এখতিয়ার রাখেন না।গত ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এর পরদিন ভোরে ফল ঘোষণা করা হয়।২০২২-২৪ কার্যকরী পরিষদের এ নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মিশা সওদাগরকে হারান ৪৩ ভোটে। সভপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন পান ১৯১ ভোট। আর মিশা সওদাগর পান ১৪৮ ভোট।সাধারণ সম্পাদক পদে দুটি প্যানেল থেকে লড়াই করেন জায়েদ খান ও নিপুণ। জায়েদ খান ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।। আর নিপুণের পক্ষে ভোট পড়ে ১৬৩টি।ভোটে সভাপতি পদ নিয়ে বিতর্ক না থাকলেও জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। ভোটের সময় নিপুণ তার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ আনেন। পরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে একই অভিযোগ আনেন তিনি।

post
বিনোদন

ক্ষমা চাইলেন নোবেল

‘সারেগামাপা-২০১৯’ এর দ্বিতীয় রানার্সআপ মাঈনুল আহসান নোবেল। গত কয়েকদিন থেকে ফেসবুকে একের পর এক বিতর্কিত পোস্ট করে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। যেখানে অশালীন শব্দেরও প্রয়োগ ঘটে। এসব চোখ এড়ায়নি পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের। এরপর নোবেলের টনক নড়ে। নোবেল ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে একটি পোস্ট করেন।নোবেলের দেয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘আমি মাঈনুল আহসান নোবেল! আমি আপনাদের নোবেল! আজ আমি নোবেল হতে পেরেছি আপনাদের ভালবাসা, সমর্থন ও দোয়ায়। দুই বাংলার অসংখ্য বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য গান গাইতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। আমি আমার দেশ বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের বাংলা গানের ভক্তদের জন্য মৌলিক গান নিয়ে ফিরে আসতে চাই আপনাদের মাঝে।' 'আমি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে আমার পেজে সমসাময়িক রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্ট্যাটাস দেই বা কথা বলি। মানসিক ও শারীরিক বিচ্যুতি অনেক সময় ফেসবুকসহ আমাদের মিথষ্ক্রিয়ার বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব ফেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আমার অনেক পোস্ট এই বিচ্যুতির ফল। আমি বিশ্বাস করি আমার পোস্ট অনেককেই ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং সমষ্টিগত ভাবে সম্মানিত নেটিজেনদের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলেছে।' 'আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিখ্যাত লেজেন্ড শ্রদ্ধেয় জেমস ভাই, শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় তাপস ভাই, প্রিয় গীতিকার-সুরকার ইথুন বাবু ভাই, সুপ্রিয় সংগীত পরিচালক আহমেদ হুমায়ন ভাই, সময় টিভির সাংবাদিক আল কাছির ভাইসহ সকল সাংবাদিক ভাইবোনদের কাছে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে ক্ষমা চাই ও আমার পোস্টের মাধ্যম যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে দুঃক্ষ প্রকাশ করি।' 'আমি এই মুহূর্তে আমার মানসিক ও শারীরিক বিচ্যুতি নিয়ে কন্সার্নড। আমার পরিবারের সমর্থনে আমি চিকিৎসা গ্রহন করছি ও আল্লাহর রহমতে শীঘ্রই সুস্থ হয়ে নতুন গান নিয়ে ফিরে আসবো।' 'আমি যেহেতু বাংলাদেশের সাইবার আইন ও পুলিশের সাইবার ইউনিটের কার্যক্রম বিষয়ে সচেতন, আমি সচেতনভাবে দেশের আইন বা নৈতিকতার বাইরে কিছু করতে চাই না বা আর করবো না, তারপরও আমার অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মের জন্য যে কোন আইনি ব্যবস্হা নেয়া হলে তা মাথা পেতে নেব। আমিও আশা করবো আপনারা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিবেন।' 'ভাল থাকুক নোবেল, ভাল থাকুক বাংলাদেশের সাইবার স্পেস, ভাল থাকুক বাংলাদেশের সংস্কৃতি। ভাল থাকুন আপনারা সবাই। আল্লাহ সহায়!!’

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.