নাঙ্গলকোটে বন্যার ভয়াবহ রূপ, পানিবন্দি ও বিদ্যুৎহীন হাজারো মানুষ
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে উপজেলার অনেক এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার অধিকাংশ এলাকায় লাখ-লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। গ্রামীণ অধিকাংশ সড়ক ও ফসলি মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। উঁচু জমিতে করা আমন ধানের বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। ভেসে গেছে পুকুর ও খামারের মাছ। বিশেষ করে উপজেলার সাতবাড়িয়া, বক্সগঞ্জ, ঢালুয়া, মৌকারা, রায়কোট উত্তর, রায়কোট দক্ষিণ, জোড্ডা পূর্ব, জোড্ডা পশ্চিম, আদ্রা উত্তর, আদ্রা দক্ষিণ, বাঙ্গড্ডা ও পেরিয়া ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা তলিয়ে গিয়েছে। অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় বুধবার সন্ধ্যা ৮টায় উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবনকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডাকাতিয়া নদীর পানি বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি উপচে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। উপজেলার ঢালুয়া-চিওড়া ও বক্সগঞ্জ-গুনবতী আঞ্চলিক সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নৌকায় করে বণ্যার্ত মানুষকে উদ্ধার করে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও বেশির ভাগ মানুষ এখনো পানিবন্দী। বন্যার পাশাপাশি দুর্গত কিছুকিছু এলাকায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই। পানি বন্দি মানুষের রান্না করার অসুবিধার কারণে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।