post
লাইফ স্টাইল

শিশুর রাগ নিয়ন্ত্রণ করবেন যেভাবে

শিশুদের রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করা তাদের মানসিক বিকাশ এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। শিশুরা বেড়ে ওঠার উত্থান-পতন মোকাবিলা করার সময় তাদের হতাশা এবং ক্রোধ সামলে রাখাও শেখাতে হবে। এটি তাদের জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম করবে। এখানে ৫টি সহজ কিন্তু শক্তিশালী দক্ষতা রয়েছে যা শিশুদের রাগ পরিচালনা করতে এবং জটিল আবেগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।আবেগ শনাক্ত করতে দিন আপনার সন্তানকে তার আবেগ শনাক্ত করতে ও নাম দিতে সাহায্য করুন। এতে সে নিজের অনেক বিষয় কেউ বলে না দিলেও বুঝতে পারবে। রহস্য সমাধান করার মতো সে কী অনুভব করছে তা বুঝতে পারাটা হবে প্রথম পদক্ষেপ। সহজ ভাষা এবং উদাহরণ ব্যবহার করুন যা সে সহজে বুঝতে পারে। নিজের রাগ সম্পর্কে বুঝতে পারলে তা নিয়ন্ত্রণ করা তার জন্য সহজ হবে। সরাসরি কথা বলুন খোলামেলা কথা বলার মাধ্যমে আপনার সন্তানকে রাগ নিয়ন্ত্রণে শব্দের শক্তি শেখান। অন্যদের দোষারোপ করার পরিবর্তে নিজের অনুভূতি শান্ত এবং দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে তাকে উৎসাহিত করুন। অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠার জন্য তাকে ভালো ভালো কাজ করতে দিন। নিজের ছাড়াও অন্যকে নিয়ে ভাবতে শেখান। এতে তার রাগ অনেকটাই কমে আসবে। রাগকে সমস্যা সমাধানের সুযোগে পরিণত করুন আপনার সন্তানের রাগের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করার জন্য সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তৈরি করুন। সমস্যাটিকে ছোট অংশে বিভক্ত করে সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে এবং তার কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে তাকে উৎসাহিত করুন। সমস্যার উপর মনোযোগ না দিয়ে সমাধান খোঁজার দিকে মনোযোগ দিন। শিশুরা তাদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাই তাকে এটি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করুন। আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করুন আপনার সন্তানকে আত্মবিশ্বাস এবং দৃঢ়তা তৈরি করতে সহায়তা করুন। এতে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে এবং তাতে অটল থাকতে পারবে। যে কারণে অযথা রাগের পরিস্থিতি তৈরি হবে না। শিশুকে শেখাতে হবে যে আক্রমণাত্মক বা প্যাসিভ না হয়ে তাদের অধিকার এবং পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে। এতে শিশু আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সামাজিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করার দক্ষতা অর্জন করে। সেইসঙ্গে শিশুর অসহায়ত্ব বা হতাশার অনুভূতি থেকে রাগের সম্ভাবনা কমে যাবে।

post
লাইফ স্টাইল

গরমে সুস্থ রাখবে এই ৫ খাবার

গরমের সময় শুরু হয়েছে। এখন সময় এসেছে আমাদের খাবারের তালিকা ও জীবনযাপনের ধরনে পরিবর্তন আনার। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এমন খাবার খাওয়া উচিত যেগুলো শরীরকে ঠান্ডা এবং হাইড্রেটেড রাখে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসময় আমাদের ঘাম এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে অনেকটা পানি বের হয়ে যায়। যে কারণে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হতে পারে। গরমের সময়ে আমরা অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত থাকি। তাই এসময় এমন খাবার খেতে হবে যাতে পানির পরিমাণ থাকে বেশি। এই গরমে আপনাকে নিজের প্রতি আরেকটু বেশি যত্নশীল হতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে খাবারের তালিকার প্রতি। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন খাবার সম্পর্কে যেগুলো আমাদের এই গরমেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। ১. শশা গরমের সময়ে একটি উপকারী খাবার হলো শশা। এতে ক্যালোরি থাকে কম এবং এটি হাইড্রেটিং একটি খাবার। আপনার প্রতিদিনের সালাদ, স্মুদি কিংবা অন্যান্য ডিশ তৈরিতে রাখতে পারেন শশা। এতে পানির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে তা আপনাকে গরমেও হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করবে। তাই গরমের সময়ে শশা থাকুক আপনার খাবারের তালিকায়। ২. তরমুজ গ্রীষ্মকালীন একটি সুস্বাদু ফল হলো তরমুজ। মিষ্টি স্বাদের এই ফল সবার কাছেই একটি পছন্দের খাবার। এটি গরমের সময়ের জন্য বেশ উপযুক্ত। কারণ এই ফলের প্রায় নব্বই শতাংশই পানি। এতে থাকে ইলেক্ট্রোলাইট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ। যে কারণে তরমুজ খেলে তা শরীরের অনেক ঘাটতি পূরণে কাজ করে। তাই খাবারের তালিকায় প্রতিদিন তরমুজ রাখুন। ৩. ফুটি গরমের আরেকটি সুস্বাদু ফল হলো ফুটি। এটে যেমন মিষ্টি তেমনই হাইড্রেটিং। ফুটি খেলে তা আপনাকে দিনভর সতেজ রাখতে কাজ করবে। সেইসঙ্গে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। হার্ট ভালো রাখতে, দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে, ওজন কমাতে এবং পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ফুটির জুড়ি মেলা ভার। তাই গরমের সময়ে খাবারের তালিকায় যোগ করে নিন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর ফুটি। ৪. টমেটো গরমের সময়ে একটি উপকারী সবজি হলো টমেটো। লাল টুকটুকে টমটো দিয়ে তৈরি করা যায় নানা পদের খাবার। এটি লাইকোপেন সমৃদ্ধ। লাইকোপেন হলো একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। টমেটোতে প্রচুর পানি থাকে। সেইসঙ্গে থাকে ভিটামিন এ এবং সি। তাই গরমের সময়ে নিয়মিত টমেটো খেতে হবে। ৫. দই গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত পাতে রাখুন দই। এটি এক ধরনের প্রয়োবায়োটিক যা এই গরমে আপনাকে সতেজ রাখতে কাজ করবে। সেইসঙ্গে পেটের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও কাজ করবে এটি। দই খেলে তা শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমের সময়ে প্রতিদিন এক বাটি দই খাওয়ার অভ্যাস করুন।

post
লাইফ স্টাইল

ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে

ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবেআমাদের ত্বকের নানা দাগছোপ দূর করার এবং উজ্জ্বলতা বাড়ানোর রয়েছে প্রাকৃতিক উপায়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপদান ব্যবহার করে ত্বকের দাগ দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়ানো সম্ভব। সেজন্য বাইরে থেকে একগাদা পয়সা খরচ করে বিভিন্ন উপকরণ কিনে আনার প্রয়োজন নেই। বরং ঘরে থাকা বিভিন্ন উপাদান দিয়ে খুব সহজেই ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক ত্বকের দাগছোপ দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়নোর ঘরোয়া উপায়- বেসন বেসন দিয়ে কেবল মজার মজার খাবারই তৈরি করা যায় না, সেইসঙ্গে এটি আমাদের ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও কাজ করে। আমাদের মুখে জমে থাকা মৃত কোষের স্তর পরিষ্কার করতে এবং ত্বকের আসল উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করে বেসন। ত্বকে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতেও কাজ করে এটি। তাই ত্বকের যত্নে বেসনের ব্যবহার করতে পারেন। সেজন্য একটি পাত্রে পরিমাণমতো বেসন ও দুধ নিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে ফেলতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। টক দই টক দই আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এটি আমাদের ত্বকের যত্নেও বেশ কার্যকরী। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। টক দইয়ে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা ত্বকে স্ক্রাবিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি আমাদের ত্বকের আর্দ্রতার মাত্রা ধরে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে মুখে সরাসরি টক দই ব্যবহার করতে পারেন অথবা আপনার ফেসপ্যাকের সঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের যত্নে নিয়মিত টক দই ব্যবহার করলে পরিবর্তনটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতার কথা শুনেছেন নিশ্চয়ই? এটি ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতেও কাজ করে। অ্যালোভেরা জেল আমাদের ত্বকের ভেতরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করে দিতে কাজ করে। তাই আপনার রূপচর্চার উপাদানের তালিকায় এটি যোগ করে নিন। সেজন্য আপনাকে তেমন কিছুই করতে হবে না। কেবল প্রতিদিন দুইবেলা অ্যালোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহার করলেই উপকার পাবেন।

post
লাইফ স্টাইল

প্রেমিকা স্বার্থপর কি না জানুন

কিছু প্রেমের সম্পর্কে মিশে থাকে স্বার্থপরতা। শুরুতে হয়তো বুঝতে পারা যায় না। কিন্তু দিন যত যায়, সেই স্বার্থপরতার রূপ প্রকাশ হতে থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রেমিকা স্বার্থপর আচরণ করতে পারে। কীভাবে বুঝবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক- প্রেম করলে একসঙ্গে খেতে যাওয়া হবেই। রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার অর্ডার করে দু’জনেই খেলেন। কিন্তু বিল দেওয়ার সময় কেবল আপনাকেই মানিব্যাগ খুলতে হয়? আপনার প্রেমিকা কি কখনো বিল দেওয়ার কথা বলেন কিংবা দেন? যদি একদমই বিল না দেয় তাহলে বুঝে নিন তার আচরণ অনেকটাই স্বার্থপরের মতো। প্রেমের সম্পর্কে থাকে উপহারের আদান-প্রদানও। আপনি তাকে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে কিংবা মাঝে মাঝেই বিভিন্ন উপহার দেন কিন্তু সে কেবলই নেওয়ার বেলায় উপস্থিত! আপনারও বিভিন্ন উপলক্ষ্য আসে কিন্তু সে কোনো ধরনের উপহার দেয় না? তাহলে বুঝে নিন আপনার প্রেমিকা একজন স্বার্থপর নারী। প্রেমিকা মানে সুখ এবং দুঃখের সঙ্গী। কিন্তু আপনার সুখের সময়ে আশেপাশে থাকলেও দুঃসময়ে তার খোঁজ পাওয়া যায় না? আপনার কোনো কষ্টের কথা বলতে গেলে ব্যস্ততা দেখায়? আপনার দুর্দিনে যে পাশে থাকে না সে তো আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী নয়। নিজের জন্য ভালোবাসা সবারই থাকা জরুরি। কিন্তু আপনার প্রেমিকা যদি সারাক্ষণ কেবল নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে এবং আপনার দিকে একদমই খেয়াল না করে তবে সতর্ক হোন।

post
লাইফ স্টাইল

তরমুজ ফ্রিজে রাখলে কী হয়?

তরমুজ খেলে তা আমাদের ডিটক্স করতে এবং শরীরের প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এছাড়াও, এই ফলে ক্যালোরি থাকে অনেক কম, তাই মিষ্টি এই ফল খেলেও ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে না। আমাদের মধ্যে অনেকেই ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা তরমুজ খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু কি জানেন, ফ্রিজে রাখলে তা তরমুজের পুষ্টিগুণ নষ্ট করতে পারে? USDA দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণা বলছে ফ্রিজে তরমুজ সংরক্ষণ করলে তা পুষ্টিগুণ কমিয়ে দিতে পারে। জার্নাল অফ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত, ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা তরমুজ রেফ্রিজারেটেড তরমুজের চেয়ে বেশি পুষ্টি সরবরাহ করে। ওকলাহোমার লেনে ইউএসডিএর দক্ষিণ কেন্দ্রীয় কৃষি গবেষণা ল্যাবরেটরির গবেষকরা ১৪ দিন ধরে বিভিন্ন জনপ্রিয় জাতের তরমুজ পরীক্ষা করেছেন। তারা এই তরমুজগুলো ৭০-, ৫৫- এবং ৪১- ডিগ্রি ফারেনহাইটে সংরক্ষণ করে। তারা দেখেছে যে ৭০- ডিগ্রি ফারেনহাইটে সঞ্চয় করা তরমুজে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করাগুলোর তুলনায় যথেষ্ট পরিমাণে বেশি পুষ্টি রয়েছে। এছাড়াও, তারা ব্যাখ্যা করে যে তরমুজ তোলার পরেও কিছু পুষ্টি তৈরি করে। এটি রেফ্রিজারেটরে রাখলে ধীর হয়ে যায় বা পুরো প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়।

post
লাইফ স্টাইল

প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহার করেন

নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের অভ্যাস আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কীভাবে? লিপস্টিকে বেশ কিছু বিপজ্জনক উপাদান রয়েছে যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। কেউ লিপস্টিক ব্যবহার করে ভুলবশত তা গিলে ফেললে অ্যালুমিনিয়াম, ক্রোমিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো বিপজ্জনক পদার্থও পেটে চলে যায়। নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন- লিপস্টিক ঠোঁট শুকিয়ে ফেলতে পারে এবং ঠোঁট ফাটার কারণ হতে পারে। এটি উদ্বেগের বিষয়। এক্সফোলিয়েশন এবং ময়েশ্চারাইজেশনের মতো নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নেওয়া জরুরি। এগুলো লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে তৈরি শুষ্কতা রোধ করতে সাহায্য করে। কোনো কোনো লিপস্টিক হতে পারে ব্যবহারকারীর অ্যালার্জির কারণ। বিশেষ করে সস্তা এবং নন ব্র্যান্ডেড লিপস্টিক ব্যবহার করলে এ ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। স্বনামধন্য প্রসাধনী সংস্থাগুলি কঠোর নিরাপত্তা অনুসরণ করে তাদের পণ্যগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার পর বাজারে আনে। লিপস্টিক পরলে কারও কারও ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ পরিবর্তন হতে পারে। তবে জেনেটিক্স এবং ইউভি এক্সপোজার ঠোঁটের পিগমেন্টেশন নির্ধারণে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। লিপস্টিক ব্যবহার করার পাশাপাশি ভালো মানের সানস্ক্রিন ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে।

post
লাইফ স্টাইল

গরমে সুস্থ থাকতে যা করবেন

গরমের তীব্রতাকে পাশ কাটিয়ে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য আপনাকে করতে হবে কিছু কাজ। প্রতিদিনের সেসব ছোট ছোট কাজের দিকে খেয়াল রাখলেই সুস্থ থাকা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক গরমে সুস্থ থাকতে কী করবেন- তাপপ্রবাহ আমাদের শরীরে একটি শুষ্ক প্রভাব ফেলে, যা শরীরের তাপমাত্রায় ডিহাইড্রেশন এবং ব্যাঘাত ঘটায়। তাই পানির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে আপনার প্রতিদিনের তালিকায় আরও পানি যোগ করুন। সাধারণত বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্যকর শরীর বজায় রাখতে ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ফাইবার যোগ করার পরামর্শ দেন। তবে বছরের এই সময়ে এই জাতীয় খাবার পরিহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এগুলো হজম হতে সময় নেয়। গ্রীষ্মের অসহনীয় তাপেও কিন্তু কাজের জন্য বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। তাই সারাদিন সতেজ থাকার জন্য বাইরে যাওয়ার সময় ঠান্ডা খাবার ও পানীয় সঙ্গে রাখুন। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর মতে, বাতাসে তাপ ব্যাকটেরিয়ার দ্রুত বৃদ্ধি করে, যা খাদ্য দূষণ এবং খাদ্যজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়। গ্রীষ্মের মৌসুমে খাদ্য দূষণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই খাদ্যজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি এড়াতে প্রতিদিন তাটকা রান্না করা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কোনো খাবার প্যাক করার আগে তা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে তবেই করুন।

post
লাইফ স্টাইল

পেট ভালো রাখবে যে অভ্যাস

পেটের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ভয় পাবেন না, এমন সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাস আছে যেগুলো আপনার রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করলে পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখা একেবারেই সহজ হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কী সেই অভ্যাসগুলো- রাতে পরিষ্কার পানিতে কয়েকটি কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সকালে সেই পানি পান করুন। কিশমিশগুলো ফেলে দেবেন না, সেগুলোও চিবিয়ে খেয়ে নিন। কিশমিশ ফাইবার এবং প্রাকৃতিক শর্করা দিয়ে পরিপূর্ণ যা হজম এবং অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। নিয়মিত বিরতিতে খাবার খাওয়ার অভ্যাস একটি সুস্থ পাচনতন্ত্র বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। আপনার অন্ত্রকে খুশি রাখতে এবং মসৃণভাবে কাজ করতে প্রতিদিন একই সময়ে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার খাওয়ার লক্ষ্য রাখুন। এক গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ চিয়া বীজ ভিজিয়ে আপনার হাইড্রেশন এবং ফাইবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়ান এবং বেলা ১১-১২ টার দিকে পান করুন। চিয়া বীজ হলো পুষ্টি এবং ফাইবারের একটি পাওয়ার হাউস, যা পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। আপনার পরিপাকতন্ত্রকে সচল রাখতে সারাদিনে অন্তত ৩ লিটার পানি পান করুন। মল নরম করার জন্য এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের জন্য সঠিক হাইড্রেশন অপরিহার্য। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কমপক্ষে ২টি ফল এবং প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি রাখুন। ফল এবং শাক-সবজি ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, যা স্বাস্থ্যকর হজম এবং নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করে।

post
এনআরবি সাফল্য

যুক্তরাজ্যে বয়স্কদের সেবা দিতে জনপ্রিয় হচ্ছে হোমকেয়ার সার্ভিস

যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হোম কেয়ার সার্ভিস সিস্টেম।বৃদ্ধ পিতা-মাতার যত্নের ঘাটতি পূরণের জন্যে এ পথ বেঁছে নিচ্ছেন  ব্যস্ত সন্তানেরা। তবে কৃত্রিম এ সেবার প্রতি আগ্রহ কম প্রবাসী বাংলাদেশীদের। মূলত পিতা-মাতার প্রতি ভালোবাসা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণেই এ অনিহা তাদের। যুক্তরাজ্যে প্রতিনিয়ত কাজের পিছনে ছুঁটছেন নারী-পুরুষেরা। যার কারণে ব্যস্ততম এ দেশটিতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধদের। বিশেষত বৃদ্ধ পিতা-মাতা যেন গলার কাঁটা হয়ে পড়ছেন অনেক সন্তানদের কাছে।এমন পেক্ষাপটে দেশটিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হোম কেয়ার সার্ভিস সিস্টেম।  সরকারের তত্বাবধানে এ  প্রতিষ্ঠানগুলো দিচ্ছে নানান ধরনের সেবা।এদিকে অভিভাবকদের জন্যে ভালোবাসার নিদর্শন রাখা বাংলাদেশীদের বৃদ্ধাশ্রমের প্রতি অনাগ্রতা রয়েছে এই ভিনদেশেও। তবে তাদের উপযুক্ত সেবার জন্যে কেয়ার সার্ভিসকে গুরুত্ব দিচ্ছেন কমিউনিটি নেতারা।অভিভাবকের প্রতি দায়িত্ব ও ভালোবাসার উজ্জল  দৃষ্টান্ত রয়েছে বাংলাদেশীদের । তবে কোন কোন ক্ষেত্রে তার বিপরীত দৃশ্যপটও ভেসে আসে হরহামেশাই।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.