অভিবাসন ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ, আবাসনের সহজলভ্যতা বৃদ্ধি এবং অর্থনীতিতে দক্ষতার ঘাটতি মোকাবিলায় স্টুডেন্ট ভিসা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ লক্ষ্যে নতুন অর্থ বাজেটে, অভিবাসন আইনে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে দেশটির সরকার। ফলে বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা পড়বে বেশি বিড়ম্বনায়।
জানা যায়, অভিবাসন বা উচ্চ শিক্ষার জন্যে বাংলাদেশিদের প্রথম পছন্দের দেশ অস্ট্রেলিয়া। আধুনিক সভ্যতার দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছেন লাখো বাংলাদেশি। অভিবাসন নির্ভর অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে বাংলাদেশিদের সংখ্যাও।
তবে অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এর জন্যে শিক্ষার্থীদের জন্যে বাজেট বরাদ্দ কমাচ্ছে দেশটির সরকার। ফলে সিমিত হচ্ছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা পাওয়ার সুযোগ, জানিয়েছেন স্টাডি অস্ট্রেলিয়া এডুকেশন এন্ড ভিসার সিইও হাজী মোহাম্মদ দেলোয়ার।
এদিকে দেশটিতে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্যেও কমানো হচ্ছে কর্ম দোক্ষতার মেয়াদ। এই সময় আগে দুই বছর থাকলেও এখন করা হচ্ছে এক বছর। ফলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হওয়ার কথা জানাচ্ছেন, এই বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ।
অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশি মুদ্রা উপার্জনের বড় খাত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই খাত থেকে ৩৬ হাজার ৪০০ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার আয় করে ওশেনিয়ার দেশটি।