সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় আবারও নাম উঠে এসেছে বাংলাদেশের মুহাম্মদ আজিজ খানের। তিনি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে অন্যতম কম্পানি সামিট পাওয়ার'র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর এই তালিকা প্রকাশ করে।
তালিকায় আজিজ খান রয়েছেন ৪২ নম্বরে। তার সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ৯৫ টাকা ধরে হিসাব করলে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা।
২০১৯ সালের পর থেকে আজিজ খানের সম্পদের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। তাতেই তিনি এ বছর বিলিয়ন ডলারের ধনীর ক্লাবে স্থান করে নিয়েছেন।
ফোর্বসের হিসাবে এবারই প্রথম আজিজ খান সিঙ্গাপুরের বিলিয়ন ডলারের (১ বিলিয়নে ১০০ কোটি) সম্পদশালী ব্যক্তিদের ক্লাবে ঢুকলেন। এরআগে ২০২১ সালে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯৯ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৯ সালের পর থেকে আজিজ খানের সম্পদের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত। এ কারণে বাংলাদেশ ভিত্তিক হলেও এই কম্পানির হিসাব করা হয় সিঙ্গাপুরে।
ফোর্বসের তালিকায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুহাম্মদ আজিজ খানের নাম প্রথম উঠে আসে ২০১৮ সালে। ওই বছর তিনি এ তালিকায় ৩৪ নম্বরে ছিলেন। ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে তার ও তার পরিবারের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯১ কোটি মার্কিন ডলার।
ফোর্বস জানিয়েছে, ২০১৯ সালে মুহাম্মদ আজিজ খান জাপানি প্রতিষ্ঠান জেরার কাছে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার ৩৩ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করে দেন। ফলে সেবছর তার সম্পদের পরিমাণ কমে নেমে আসে ৮৫ কোটি ডলারে। এরপর থেকে আবার তার সম্পদের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে।
সামিটের যাত্রা শুরু হয় ট্রেডিং কোম্পানি হিসেবে। পরে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবসায় এসে ভালো করে প্রতিষ্ঠানটি।
ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬৩ বছর বয়সী আজিজ খান এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিকস, অবকাঠামো খাতের ব্যবসা আছে সামিট গ্রুপের। সামিটের অধীনে দেশে বিদ্যুৎ খাতের যত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর হোল্ডিং কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল।
সামিট গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, ফোর্বস মুহাম্মদ আজিজ খানের যে সম্পদের হিসাব দিয়েছে, সেটি শুধু বিদ্যুৎ খাতের ব্যবসার সম্পদের হিসাব। এর বাইরে সামিটের অন্যান্য খাতের ব্যবসার সম্পদের হিসাব সেখানে যুক্ত হয়নি।