প্রাণের আমেজ এবং হৃদয়ের উষ্ণতায় ২৫ জুন অনুষ্ঠিত হলো এবিপিসির (আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব) বনভোজন। নিউইয়র্কের ক্রটন পয়েন্ট পার্কের মনোরম পরিবেশে একটি দিন কাটালেন ক্লাবের সদস্যরা ও তাদের পরিবার-পরিজন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাগানিয়া গানের সাথে বাঙালির আরেক বিজয়ের পদ্মা সেতুর সম্পৃক্ততায় ভিন্ন এক আমেজ তৈরি করেন একুশের পদকপ্রাপ্ত কন্ঠযোদ্ধা রথন্দ্রিনাথ রায় এবং শহীদ হাসান।
প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুবের গানে আপ্লুত হন অংশগ্রহণকারি সকলে। মেহজাবিনও গেয়েছেন তার প্রিয় গানগুলো। সবিতা দাস, উইলি নন্দীও অংশ নেন তাদের গান নিয়ে।
এভাবেই গান আর জমপেশ আড্ডায় পাশে নীলাভ সমুদ্রের উত্তাপ একেবারেই গা সওয়া হয়ে গিয়েছিল। প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ গ্রীষ্মের তাপদাহকে অগ্রাহ্য করে বারবিকিউ চিকেন রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন ক্লাবের নির্বাহী সদস্য এবং বিশ্ববাংলা টোয়েন্টিফোর টিভির সিইও আলিম খান আকাশ। নতুন প্রজন্মের সকলেই তা পরম তৃপ্তির সাথে খেয়েছে। ক্লাবের সদস্য-কর্মকর্তা এবং অতিথিরাও প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন চিকেন এবং ল্যাম্ব বারবিকিউ পেয়ে।
নির্মল পরিবেশকে আরো মধুময় করে ছোট্টমণিদের বিচরণ। বনভোজনের অন্যতম পৃষ্টপোষক খ্যাতনামা এটর্নী মঈন চৌধুরীর পক্ষে সর্বজিৎ পোদ্দারও মেতে উঠেন তরমুজ কাটায়। ক্লাবেরই একজন হয়ে উঠেছিলেন সর্বজিৎ।
খামার বাড়ির হারুন ভূইয়ার দেওয়া কাঁঠাল ছিল দিবসের আরেক অধ্যায়-যা খেয়ে সকলে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।
মধ্যাহ্নভোজনের সময় বাসা থেকে আনা ফ্রুট সালাদ বিতরণ করেন ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ জামান তপন। খেলাধূলা পরিচালনায় ছিলেন শাহ ফারুক, আজিমউদ্দিন অভি, শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ। ছোট্টমণিদের দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম-নাভিনা আলম, দ্বিতীয়-সাইফা নেহান, তৃতীয়-আলিশা খান এবং চতুর্থ হয়েছে আল আরাফ অভি। মিউজিকের তালে মহিলাদের বালিশ নিক্ষেপ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলেন প্রথম-নাভিনা, আকতার বেগম এবং নিশা খান। বয়স্কদের বল নিক্ষেপ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন কন্ঠযোদ্ধা রথন্দ্রিনাথ রায়, দ্বিতীয়-আজিমউদ্দিন অভি এবং তৃতীয় হয়েছেন তপন চৌধুরী।
বনভোজনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব ছিল র্যাফেল ড্র। ৫ ডলারের টিকিটে স্বর্ণালংকার, নগদ এক হাজার ডলার, ৫৬ ইঞ্চি টিভি, ল্যাপটপ, আইফোন ইত্যাদি পুরস্কার ছিল। এগুলোর স্পন্সরের মধ্যে ছিলেন মার্কস হোমকেয়ারের সিইও প্রকৌশলী মাহফুজুল হক, তরঙ্গ কেয়ার ইউএসএর কর্ণধার নিলুফা শিরিন, খামার বাড়ির হারুন ভূইয়া, কাওরান বাজার চেইন স্টোরের সিইও ইলিয়াস খান প্রমুখ। অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ সংবাদদাতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শামীম আল আমিন, নবযুগের সম্পাদক সাহাবউদ্দিন সাগর, বিশিষ্ট উপস্থাপিকা শামসুন্নাহার নিম্মি, শেরপুর জেলা সমিতির সভাপতি মামুন রাশেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রশীদ বাবু, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বনভোজনে অংশগ্রহণকারি বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সরব উপস্থিতিতে বিভিন্ন পর্বে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন কুইন্স সোসাল এডাল্ট ডে-কেয়ার সেন্টারের সিইও ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল হক, এটর্নী মঈন চৌধুরীর প্রতিনিধি সর্বজিৎ পোদ্দার, খ্যাতনামা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী নুরুল আজিম, জেবিবিএর প্রেসিডেন্ট হারুন ভ’ইয়া এবং সেক্রেটারি ফাহাদ সোলায়মান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলম নমী, লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আহসান হাবিব প্রমুখ।
বনভোজনে অংশগ্রহণকারি বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের মধ্যে ছিলেন রেজাউল বারি, আবুল বাশার চুন্নু, আমির আলী, নাজিমউদ্দিন, মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, আব্দুর রহমান প্রমুখ। নির্বাচন কমিশনার পপি চৌধুরী, ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ এবং সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবুল কাশেমের সার্বিক নির্দেশনায় বিভিন্ন পর্বে সহায়তা করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক শাহ ফারুক, কোষাধ্যক্ষ জামান তপন, প্রচার সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিমউদ্দিন অভি, নির্বাহী সদস্য কানু দত্ত , আলিম খান আকাশ, শামিম আকতার প্রমুখ।