বিনোদন

নিউইয়র্কে সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব শুরু

post-img

যুক্তরাষ্ট্রে উপমহাদেশের বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ৯৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সময় শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে নিউইয়র্কের জ্যমাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টারে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। এ সময় চঞ্চল চৌধুরী, বাঁধন, জয়, ভারতের ঋতুপর্ণা সেন, রেশমি মিত্রসহ শতাধিক চিত্রনায়ক নায়িকা, পরিচালকসহ সিনেমাপ্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিন সকাল ১১টা থেকে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়। উদ্বোধনের পর বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক, নায়িকা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা সিনেমা প্রদর্শনী উপভোগ করেন। চলচ্চিত্র উৎসবটি বিনামূল্যে দেখানো হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের ৩৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

আন্তর্জাতিক এ চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে সুচিত্রা সেন মেমোরিয়াল, ইউএসএ নামের একটি সংগঠন। আয়োজকরা জানায়, পাবনার মেয়ে সুচিত্রা সেনের বাংলা চলচ্চিত্রের অবদানকে পৃথিবীময় ছড়িয়ে দিতে তার ৯৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। বাঙালি সংস্কৃতি এবং চলচ্চিত্রের জন্য সুচিত্রা সেনের অবদানকে নতুন প্রজন্মের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।

ভারত ও বাংলাদেশেসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ৪০৯টি ছবি অনুষ্ঠানে প্রদর্শনের জন্য জমা পড়লেও বিচারকরা ৩৯টি ছবি প্রদর্শনের জন্য বাছাই করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল ছিল সুচিত্রা সেনের জন্মদিন। ১৯৩১ সালের এই দিনে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। নয় ভাইবোনের মধ্যে সুচিত্রা ছিলেন পঞ্চম। বাড়ির ছোটরা ডাকতেন রাঙাদি বলে। মা-বাবা নাম রেখেছিলেন রমা।পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্তের সহকারী নীতীশ রায় তা বদলে রাখেন সুচিত্রা। কিন্তু পাবনার মহাকালী পাঠশালায় খাতায় কলমে তার নাম ছিল কৃষ্ণা দাশগুপ্ত। মহাকালী পাঠশালায় পড়ালেখা শেষ করে সুচিত্রা সেন স্থানীয় পাবনা বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন সুচিত্রা সেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের কয়েক মাস আগে বাবা করুণাময় পাবনা ছেড়ে সপরিবারে ভারতে চলে যান।

সম্পর্কিত খবর

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.